চীনে করোনার যে নতুন ধরন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা ভারতেও পাওয়া গেল৷ এতে চারজনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে৷
বিজ্ঞাপন
তবে এর মধ্যে দুইজন নভেম্বর মাসে গুজরাটে আক্রান্ত হন। তারা ভালো হয়ে গেছেন। দুইজন ওড়িশায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন ভাইরাসের দুইটি ধরন বিএফডট৭ ও বিএফডট১২ চীনে ভয়ংকরভাবে ছড়াচ্ছে। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মারাও যাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকতে এবং করোনা যাতে না বাড়ে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছে। সেইমতো প্রতিটি রাজ্যই ব্যবস্থা নিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও করোনা নজরদারি টিম করেছে। এই টিমে স্বাস্থ্যসচিব আছেন। কিছু বিশেষজ্ঞ করোনা চিকিৎসককে রাখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিটিতে ডিএম ও ডিএইচএসরাও থাকবেন।
স্কুলে স্কুলে টিকাকরণ শুরু ভারতে
১৫ থেকে ১৮ বছরের ছাত্রছাত্রীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কলকাতায় স্কুল ধরে ধরে চলছে কর্মসূচি।
ছবি: Adnan Abidi/REUTERS
টিকার ক্যাম্প
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে স্কুল কলেজ বন্ধ। তারই মধ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছরের ছাত্রছাত্রীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে গোটা দেশে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
স্কুল স্যানিটাইজেশন
মাঝে কিছুদিনের জন্য খুললেও অধিকাংশ স্কুল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। ফলে টিকার ক্যাম্প শুরু করার আগে পুরো স্কুল স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বেথুন স্কুলের ক্যাম্প
কলকাতার বহু প্রাচীন এই মেয়েদের স্কুল। ছাত্রীদের স্কুলে ডেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত রাজ্যেই টিকা দেয়ার ছোট ছোট টিম ছড়িয়ে পড়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
অবজারভেশন সেন্টার
টিকা দেওয়ার পর আধঘণ্টা বসিয়ে রাখা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। দেখে নেওয়া হচ্ছে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
টাকি স্কুলের ক্যাম্প
কলকাতার আরেক প্রাচীন ছেলেদের স্কুল এটি। এখানেও শুরু হয়েছে টিকার ক্যাম্প।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
এই বছরের গোড়ায় ছোটদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
ছাত্ররাও কাজে
টিকার ক্যাম্প স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছে ছাত্ররাও। সরকারের আশা, হাই স্কুলের ছাত্রদের টিকাকরণ হয়ে গেলে ফের স্কুল কলেজ চালু করা সম্ভব হবে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
7 ছবি1 | 7
পশ্চিমবঙ্গে গত শনিবার কেউ করোনায়আক্রান্ত হননি। কিন্তু সোমবার আবার সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন। একজন মারাও গেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রতিটি রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্তদের নমুনা কেন্দ্রের কাছে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে।
করোনাকালে কলকাতার দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিটি
কলকাতায় এখন একটু ঘুরলেই দেখতে পাবেন নানা ধরনের গ্রাফিটি। এই দেওয়াল-ছবি কলকাতাকে আরো দৃষ্টিনন্দন করেছে।
সি.আই.টি রোডের দেওয়াল-ছবিতে উঠে এসেছে করোনা। করোনাকালে এভাবে মানুষকে সচেতন করতে চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এই আশার কথাও শোনানো হয়েছে যে, এমন একটা সময় আসবে যখন বিশ্বে আর করোনা থাকবে না।
মেয়েদের প্রতি ধারণা বদলের দাবি করা হয়েছে গ্রাফিটিতে। দাবি করা হয়েছে পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলের।
ছবি: Satyajit Shaw
নারী স্বধীনতার কথা
গ্রাফিটিতে উঠে এসেছে নারী স্বাধীনতার কথাও। অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এই বিষয়টি গ্রাফিটিতে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করতে চাওয়া হয়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw
আছেন দেবী দুর্গাও
নিউটাউনের সাবওয়েতে এভাবেই এসেছে দেবী দুর্গার ছবি।
ছবি: Satyajit Shaw
সুভাষচন্দ্র বসুও আছেন
নিউটাউনের দেওয়াল-ছবিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির ছবিও ঠাঁই পেয়েছে। এই মূর্তিটা আছে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে। দেশপ্রেমিকের এই মূর্তির ছবিই উঠে এসেছে গ্রাফিটিতে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র যে এখনো কলকাতার হৃদয়ে আছেন, তা বোঝা যাচ্ছে এই গ্রাফিটি থেকে।
ছবি: Satyajit Shaw
আছেন সত্যজিৎ রায়
গ্রাফিটিতে অবশ্যই আছেন সত্যজিৎ রায়। কলকাতার দেওয়াল-ছবিতে এই বিশ্ববন্দিত অস্কার বিজয়ী পরিচালক থাকবেন না তা কি হয়! বিশেষ করে তার জন্মশতবর্ষে। তাই গ্রাফিটিতে আছেন কলকাতার গর্ব সত্যজিৎ রায়।
ছবি: Satyajit Shaw
বন্ধুত্বের বার্তা
কলকাতায় জার্মান কনসুলেট অফিসের দেওয়ালে ভারত-জার্মান বন্ধুত্বের বার্তা।
ছবি: Satyajit Shaw
মজার ছবি
কনসুলেটের দেওয়ালেই রয়েছে মজার গ্রাফিটি।
ছবি: Satyajit Shaw
ব্যায়ামচর্চার গ্রাফিটি
হাটখোলায় সরু গলিতেও গ্রাফিটি। ব্যায়ামচর্চার। পুরনো কলকাতার এই এলাকায় ব্যায়াম ও কুস্তির চর্চা হয় দীর্ঘদিন ধরে। বিখ্যাত কুস্তিগির গোবর গোহ শোভাবাজার এলাকায় কলকাতার প্রথম কুস্তির আখড়া স্থাপন করেন।
ছবি: Satyajit Shaw
11 ছবি1 | 11
কেন্দ্রের অনুরোধ, মানুষ যেন করোনার বিধি মেনে চলেন। দেশে অবশ্য কোথাও এখন করোনার কড়াকড়ি নেই। কোনও রাজ্যেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। তবে রাজ্যগুলি আবার মাস্ক পরার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া জানিয়েছেন, করোনা চলে যায়নি। তাই সব রাজ্যকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।