চীনে সাংবাদিকের কারাদণ্ড
১৭ এপ্রিল ২০১৫রাষ্ট্র সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাচারকে চীনে মারাত্মক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়৷ গাও ইয়ু অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ৷ তাঁর আইনজীবী মো শাওপিং এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন৷ তিনি আরও বলেন, যে নথি পাচারের অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা কমিউনিস্ট পার্টির ‘ইন্টারনাল ডকুমেন্ট', যাতে কর্মকর্তারা ‘আদর্শগত ত্রুটি' সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ গত বছর মে মাসেই গাও-কে গ্রেপ্তার করা হয়৷ চীনা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তিনি এর আগেও বার বার গর্জে উঠেছেন এবং কারাদণ্ডও ভোগ করেছেন৷
গাও ইয়ু-র বিরুদ্ধে চীনা আদালতের রায়ের পর জার্মানিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ জার্মান সরকারের মানবাধিকার নীতি ও মানবিক সাহায্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্রিস্টফ স্ট্র্যেসার আইনি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাবের সমালোচনা করেন৷ তাঁর মতে, জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে এবং আদালতে তার ভিডিও রেকর্ডিং দেখানো হয়েছে৷ ফলে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রের বিধিনিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে৷ তিনি চীনা নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক মত প্রকাশের অধিকার ও স্বচ্ছতা আরও মজবুত করার আহ্বানও জানিয়েছেন৷
ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গ-এর মতে, গাও ইয়ু-র বিরুদ্ধে আদালতের রায় অত্যন্ত হতাশাজনক৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দৃষ্টিতে ৭১ বছর বয়সি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এমন কঠোর শাস্তি ভিত্তিহীন৷'' উল্লেখ্য, গাও ইয়ু ডয়চে ভেলের জন্যও কাজ করেছেন৷
এসবি / এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)