কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ও নজরদারির সমন্বয়ে মানুষের সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে৷ স্কুল পড়ুয়াদের কল্যাণেই চীনের এক স্কুলে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করছে৷
বিজ্ঞাপন
খাদ্যাভাসের উপর নজরদারি
১৬ বছর বয়সি মেং জিনইয়াং স্কুলে যখন মধ্যাহ্নভোজ করতে যায়, তখন শুধু নিজের মুখ দেখালেই চলে৷ সঙ্গে সঙ্গে মাংস, ডিম ও সবজিসহ পছন্দের পদ তার কাছে চলে আসে৷ বিশেষ এক প্রণালী স্কুল পড়ুয়াদের আগের অর্ডারের ভিত্তিতে পছন্দের খাবার বিতরণ করে৷ ক্যান্টিনের অ্যাকাউন্ট থেকে তখন সেই পদের দাম কেটে নেওয়া হয়৷
এতকাল তাদের একটি কার্ড দেখাতে হতো৷ এখনো সেই পদ্ধতি চালু আছে বটে, কিন্তু প্রায় কেউই আর সেই কার্ড ব্যবহার করে না৷ মুখচ্ছবি শনাক্ত করে দাম মেটানোর পদ্ধতি অনেক সহজ বলে মেং মনে করে৷ হাইস্কুলের ছাত্রী মেং জিনইয়াং বলে, ‘‘আমি প্রায়ই এই সিস্টেম ব্যবহার করেছি৷ আগের তুলনায় স্বাচ্ছন্দ্য অনেক বেড়েছে৷ প্রত্যেককে নিজের কার্ড যন্ত্রের উপর রাখতে হতো বলে খাবার সংগ্রহ করতে লম্বা লাইন দেখা যেত৷ তাছাড়া রান্নাঘরের কর্মীদেরও এখন কোনো বোতাম টিপতে হয় না৷''
শিক্ষক-শিক্ষিকারা মনে করেন, দৈনন্দিন জীবন অনেক স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে৷ কারণ এখন সারা মাসের খাদ্য রিপোর্টে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর খাদ্যতালিকা দেখা যায়৷ কেউ শাকসবজি বাদ দিয়ে শুধু হ্যামবার্গার খেলে তা চোখে পড়ে৷ হাংজু হাইস্কুলের শিক্ষিকা জু জিয়াও এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘‘প্রত্যেক অর্ডারের পর তথ্য জমা হয়৷ কিছুকাল পর আমরা তা বিশ্লেষণ করতে পারি৷ বাবা-মায়েরাও সেই তথ্য হাতে পান৷ ছাত্রছাত্রীরা কত পরিমাণ প্রোটিন, শর্করা ও ভাজাভুজি খেয়েছে, তার পরিমাণ জানতে পারি৷''
পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর কিছু উপায়
ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার চাপ থাকা স্বাভাবিক৷ তবে নানা কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা অনেকের জন্যই বেশ কঠিন হয়৷ মস্তিষ্ককে সজাগ রাখার কিছু সহজ উপায় থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Fotolia/Kzenon
মনোযোগ বাড়াতে চান ?
‘‘যখন নিজেকে ক্লান্ত মনে হবে বা যথেষ্ট মনোযোগ নেই পড়াশোনায়, তখন কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়লে তা মনে রাখা সহজ হয়৷’’ টেক্সাসের একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৩০০ ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে করা এক সমীক্ষার ফলাফল থেকে এই তথ্য জানা গেছে৷ যারা দাঁড়িয়ে পড়াশোনা করেছিলো, তাদের মনোযোগ ছিলো অনেক বেশি – যারা বসে পড়াশোনা করেছিলো তাদের তুলনায়৷ তাছাড়া বন্ধুদের সাথে পড়াশোনা বা আলোচনা করলেও বেশি মনে থাকে অনেকের৷
ছবি: Imago/Jochen Tack
দায়িত্ববোধ
ছোটবেলা থেকেই যারা অস্থির প্রকৃতির হয়, পড়াশোনা বা অন্য কিছুতেও তেমন আগ্রহ নেই বা মন বসাতে পারেনা – তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছুটা ভিন্ন ব্যবস্থা নিতে হবে৷ অর্থাৎ শিশু বা ছাত্র-ছাত্রীকে কোনো পোষা প্রাণী কিনে দেয়া যেতে পারে৷ ছোট ভাই-বোনের খানিকটা দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে, যাতে করে ওরা কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে পারে, আত্মবিশ্বাস বাড়তে পারে৷ কারণ আত্মবিশ্বাসই পড়াশোনায় মনোযোগ এনে দেবে৷
ছবি: BlueOrange Studio/Fotolia
ছাত্র-ছাত্রীদের চাই ভিটামিন ফুড
পড়ুয়াদের যে যথেষ্ট ভিটামিন দরকার সে কথা আর কে না জানে? তবে শুধু জানা নয়, তা কার্যে পরিণত করতে হবে৷ তাই ছাত্র-ছাত্রীদের চাই যথেষ্ট ভিটামিন, মিনারেল এবং পানীয় – অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার৷ প্রধান খাবারের ফাঁকে ফাঁকে আপেল খাওয়া যেতে পারে, যাতে মিনারেল, আয়রন এবং প্রচুর ভিটামিন রয়েছে৷ জার্মানরা প্রচুর আপেল খায়, মনোযোগ ঠিক রাখতে জার্মানির কোন কোনো স্কুলের টিফিনে আপেল খেতে দেয়া হয়৷
ছবি: Colourbox/6PA/MAXPPP
ব্রেনের খাবার
বিভিন্ন বাদাম – বিশেষ করে আখরোট, সামুদ্রিক মাছ, শাক-সবজি, ফল, গ্রিন- টিসহ বিভিন্ন চা৷ যা শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী৷ পড়াশোনার মাঝে পাকা টমেটো বা টমেটোর জুসও খাওয়া যেতে পারে৷ কারণ মাত্র ১০০ গ্রাম টমেটোতে আছে ২৫ গ্রাম ভিটামিন ‘সি’ এবং পটাশিয়াম৷ কাজেই পান করতে পারেন ছাত্র-ছাত্রীরা টমেটোর জুস বা অন্য কোন ফল বা সবজির রসও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফাস্টফুড!
ফাস্টফুডে ব্যবহার করা হয় নানা রকম রাসায়নিক উপাদান, যা অনেকের ক্ষেত্রেই অ্যালার্জির কারণ হয়ে থাকে এবং যা মনোযোগ এবং শরীরে তার প্রভাব ফেলে৷ জার্মানির খাদ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়ুর্গেন শ্লুইটারের মতে, ‘‘দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে ভুক্তভোগী অনেকেই সেকথা জানতে বা বুঝতে পারে না৷’’ আজকের তরুণদের প্রিয় খাবার ফাস্টফুড এবং মিষ্টি পানীয় হলেও শরীর ও মস্তিষ্কের কথা মনে রেখে সে সব থেকে কিছুটা সাবধান হওয়া উচিত৷
ছবি: Fotolia/Silverego
ব্রেনের বিশ্রাম
আজকাল দেখা যায় অনেকে পড়ার ফাঁকে একটু বিশ্রামের জন্য ফেসবুকে ঢোকেন বা গেম খেলেন, যাতে আসলে মোটেই বিশ্রাম হয় না৷ তার চেয়ে বরং কর্মক্ষমতা বাড়ায় সেরকম ছোট এক টুকরো ডার্ক চকলেট মুখে দিয়ে পছন্দের গান শুনতে পারেন৷ অথবা বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেন৷ সোজা কথা মনোযোগটাকে কিছুক্ষণের জন্য অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া৷ এতে করে মাথাটা খালি তো হবেই এবং পড়াশোনায়ও মনোযোগ ফিরে আসবে৷
ছবি: colourbox
খেলাধুলা বা ব্যায়াম
গবেষকরা মনে করেন, শারীরিক পরিশ্রম অর্থাৎ খেলাধুলা বা ব্যায়াম যে কোনো মানুষকে যে কোনো চাপ থেকে সহজে মুক্তি দিতে সাহায্য করে৷ ব্যায়াম বা খেলাধুলা করার ফলে শরীরে হরমোনের প্রকাশ ঘটে কিছুটা অন্যভাবে৷ আর স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পড়ে মনোযোগেও৷
ছবি: Fotolia/Kzenon
7 ছবি1 | 7
নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ ও বিশ্লেষণ – ১০০ বছরেরও বেশি পুরানো হাংজু শহরের ১১ নম্বর হাইস্কুল চীনে বেশ কয়েকবার পুরস্কৃত হয়েছে৷ দেশের অন্য অনেকে এই ব্যবস্থাকে আদর্শ মনে করে৷
‘ইন্টেলিজেন্টস্কুল'
হাংজু হাইস্কুলের প্রধান জাং গুয়ানচাও ভবিষ্যতের ‘ইন্টেলিজেন্ট স্কুল' গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভেবে দেখলাম, প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা কীভাবে স্কুল পড়ুয়াদের জীবন আরও মনোরম করে তুলতে পারি এবং শিক্ষকদেরও দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারি৷ তখন আরও বড় মাত্রায় ‘বিগ ডেটা', ‘ইন্টারনেট অফ থিংস' ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের কথা ভাবি৷''
প্রত্যেকেই তার কার্যকলাপের মাধ্যমে যে তথ্য সৃষ্টি করে, সেগুলি শুধু অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য কাজে লাগানো হয় বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করে৷ এমনকি লাইব্রেরি থেকে বই ধার নেবার সময়ও শুধু মুখ দেখালে চলে৷ স্কুলের লাইব্রেরির তুলনায় বই ভেন্ডিং মেশিন ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে৷ জু জিয়াও বলেন, ‘‘আমরা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে জানতে পারি, কে কবে কত বই ধার নিয়েছে৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে গ্রন্থাগার স্কুল পড়ুয়াদের আগ্রহ অনুযায়ী আরও বই কিনতে পারে৷''
মেং চারিদিকে ক্যামেরা দেখে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ তার মতে, ‘‘একদিকে অবশ্যই নজরদারি মনে হয়৷ অন্যদিকে আবার পড়াশোনার সুবিধা হয়৷ সেটাই তো আমাদের মূল দায়িত্ব৷ সব মিলিয়ে অসুবিধার তুলনায় সুবিধাই বেশি৷''
মাত্রাতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ?
প্রায় প্রত্যেক কোণেই মুখচ্ছবি শনাক্ত করার ক্যামেরা লাগানো রয়েছে৷ হোস্টেলের সব বাসিন্দা ঠিক সময়ে নিজেদের ঘরে ফিরেছে কিনা, মনিটরে একবার নজর দিলেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা তা জানতে পারেন৷
স্কুলে পড়ুয়ারা যাতে নিজেদের সেরা ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই সব প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করে৷ যত বেশি তথ্য আসবে, তত ভালো করে প্রত্যেকের ক্ষমতা, দুর্বলতা ও আগ্রহ শনাক্ত করা যাবে৷
জার্মানির স্কুলে শিশুদের খাবার নিয়ে অভিযোগ
দুপুরের খাবার একে তো ঠান্ডা তার ওপর স্বাদও নেই৷ এমন খাবারই পরিবেশন করা হয় জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের স্কুলগুলোতে৷ এ কারণে খাবারের অনেকটাই শিশুরা ফেলে দেয় ডাস্টবিনে৷ এমনটাই অভিযোগ উঠেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অস্বাস্থ্যকর খাবার
স্কুলে শিশুদের দুপুরের খাবারের মধ্যে প্রায়ই থাকে নুডলসের সাথে টমেটোর সস৷ দেওয়া হয় আঠালো ভাত, গলে যাওয়া সবজি, চর্বিযুক্ত মাংস৷ তাছাড়া সে খাবার প্রায়ই থাকে ঠান্ডা, যা কিনা প্রতি চারজন শিশুর একজনই খেতে পছন্দ করে না৷ ফলে তার অনেকটাই চলে যায় ডাস্টবিনে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. May
দামও বেশি
যদিও স্কুলের খাবারের জন্য কমিউনিটি থেকে প্রতিবছর ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরো দেওয়া হয়, তারপরও শিশুদের মা-বাবাকে প্রতি বাচ্চার একবেলার খাবারের জন্য সাড়ে ৩ ইউরো করে দিতে হয়৷
ছবি: Paul Hakimata/Fotolia
শেষ পর্যন্ত খাবার যায় ডাস্টবিনে
শিশুদের জন্য রান্না করা শতকরা ২৫ ভাগ খাবারই ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়, অর্থাৎ একজন বাচ্চা বছরে ২৫ কেজি খাবার ফেলে দেয়৷
ছবি: DW
মজা না লাগার কারণ
স্কুলের খাবারগুলো কিন্তু স্কুলের কিচেনে নয়, রান্না করা হয় বাইরে অন্য কোথাও এবং পরে সেগুলো পৌঁছে দেয়া হয় স্কুলে৷ সে খাবার শিশুদের পরিবেশন করতে করতেই ঠান্ডা হয়ে যায়৷ তাছাড়া এত মানুষের রান্না একসাথে করলে খাবারের গুণগত মানও খুব ভালো থাকে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Klose
খাবারের মান
তাছাড়া কোনো খাবার দ্বিতীয়বার গরম করলেও তা তাজা বা ফ্রেশ থাকে না ৷ প্রতিটি মা-বাবাই চান তাঁদের সন্তান দুপুরে যেন ফ্রেশ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার পায়৷ স্কুলের খাবারের মান নিয়ে সন্তানদের মা-বাবারা বেশ অসন্তুষ্ট৷
ছবি: picture-alliance/W. Bahnmüller
যা করা যেতে পারে
তবে স্কুলে শিশুদের তাজা খাবার দিতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হবে বলে মনে করেন, নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের স্কুল কতৃপক্ষ উটে স্টাইনকে৷ তিনি জাপানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেদেশে শিশুদের স্কুলে দুপুরের খাবারে একটিমাত্র পদ বা আইটেম থাকে৷ আর সে কারণে তা সহজে ফ্রেশ এবং গরম রাখা সম্ভব৷ তবে তিনি মনে করেন, জার্মানিতে তা কখনো সম্ভবই নয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Kyodo News
বড় ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা যা করে
একটু বড় ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই স্কুলের খাবার ভালো না লাগায় আশেপাশের দোকান থেকে অন্যকিছু খেয়ে নেয়৷
ছবি: DW
সহজে সমাধান সম্ভব নয়
খাবার যদি পুরোপুরি রান্না না করে, অর্থাৎ অর্ধেক রান্না বা কিছুটা তৈরি করে স্কুলে আনার পর বাকিটুকু করা হয় তাহলে হয়তো শিশুদের ফ্রেশ খাবার দেওয়া সম্ভব হতে পারে৷ তবে স্কুলে করতে হলে যে চুলা বা মেশিনের প্রয়োজন, তার মূল্য ৮০০০ ইউরোর মতো৷ কাজেই সময় এবং ব্যয়সাপেক্ষ বলে তা কতটা সম্ভব হবে সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছেন স্কুল পরিচালক৷
ছবি: picture-alliance/Robert B. Fis
8 ছবি1 | 8
সব ক্লাসঘরে লাগানো ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা মুখের অভিব্যক্তি বিশ্লেষণ করতে পারে৷ স্কুল পড়ুয়ারা কি মনোযোগ দিচ্ছে? নাকি সবকিছু একঘেয়ে লাগছে? তারা কি খুশি? তবে আপাতত সেই ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে৷ বৈজ্ঞানিক ও নৈতিক মানদণ্ডের প্রশ্নে কিছু বাবা-মা, এমনকি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের কাছেও বিষয়টি বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ এই সংশয় দূর করার চেষ্টা করছে৷ কারণ তারা আবার সেই ক্যামেরা চালু করে আরও পরীক্ষা চালাতে চান৷ হাংজু হাইস্কুলের প্রধান জাং গুয়ানচাও মনে করেন, ‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি চোখের মণির সঞ্চালন, মস্তিষ্কের তরঙ্গ, মুখের অভিব্যক্তি, মনোযোগ ও আচরণ লক্ষ্য করে৷ কিন্তু স্কুলেও কি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সব প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে? দেখতে হবে, এই প্রযুক্তি আমাদের কতটা সাহায্য করতে পারে৷ তখন উপযুক্ত প্রযুক্তি বাছাই করে ক্যাম্পাসে আমরা তা প্রয়োগ করি৷''
১১ নম্বর হাইস্কুলে কার্যত কিছুই আর নজরদারি এড়িয়ে থাকতে পারে না৷ সদর দরজায়ও মুখচ্ছবি শনাক্ত করতে ক্যামেরা বসানো রয়েছে৷ স্কুল খোলার পর দরজা বন্ধ হয়ে যায়৷ সবাইকে ক্যামেরার সামনে দিয়ে যেতে হয়৷ যারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে, তাদের ভাগ্য খারাপ৷ আজ কে দেরিতে এসেছে, সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের মোবাইল ফোনে তা দেখে নিতে পারেন৷