1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বাণিজ্য

‘চীন একইসঙ্গে সহযোগী ও প্রতিপক্ষ'

২৩ জুন ২০২০

সোমবার চীনের সঙ্গে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা হংকং, বাণিজ্য, করোনা ভাইরাস ইত্যাদি বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন৷ চীন রক্ষণাত্মক মনোভাব নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ সামলানোর চেষ্টা করেছে৷

Symbolfoto Handelsbeziehungen zwischen China und der EU
ছবি: picture-alliance/dpa/K.Ohlenschläger

এই মুহূর্তে বিশ্বের একাধিক প্রান্তে চীনের ভাবমূর্তি মোটেই ভাল যাচ্ছে না৷ করোনা ভাইরাস থেকে শুরু করে হংকং-এ দমন নীতি, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে উত্তেজনা, বাণিজ্য নীতিকে ঘিরে ক্ষোভ ইত্যাদি কারণে চীনের সঙ্গে অনেক দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে৷ সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের শীর্ষ সম্মেলনেও এমন সব অপ্রিয় বিষয় উঠে এসেছে৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই প্রান্তের শীর্ষ নেতাদের আলোচনায় শিষ্টাচার বজায় থাকলেও জোরালো মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ চীনের পক্ষে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কেশিয়াং এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ও ইইউ সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল আলোচনায় অংশ নেন৷

ইইউ নেতারা চীনের উদ্দেশ্যে সে দেশের অর্থনীতি আরও উন্মুক্ত করার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন৷ গোটা বিশ্বে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চীনের প্রবল উৎসাহ সত্ত্বেও নিজস্ব বাজারে বিদেশি পণ্য আমদানির পথে এখনো নানা বাধা রয়েছে৷ বিদেশি কোম্পানিগুলির আইনি রক্ষাকবচও বেশ দুর্বল৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একা নন, অনেক দেশেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে৷ মিশেল বলেন, চীনের কোম্পানিগুলি ইউরোপে যে সুবিধা ভোগ করছে, ইউরোপীয় কোম্পানিগুলিকে চীন মোটেই সেইরকম সুবিধা দিচ্ছে না৷ বিশেষ করে গাড়ি, বায়োটেক ও মাইক্রো-ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলির জন্য ভরতুকি সীমিত রাখার ডাক দিয়েছে ইইউ৷ চীনের এক প্রতিনিধি এ বিষয়ে আরও ধৈর্য্য ধরার ডাক দিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় ভরতুকিতে চলা বিদেশি কোম্পানিগুলির কার্যকলাপ সীমিত রাখতে ইইউ যে আইন প্রণয়ন করতে চলেছে, সে বিষয়ে চীন অস্বস্তিতে রয়েছে৷

হংকং-এ বেইজিং-এর দমন নীতিরও সমালোচনা করেছে ইইউ৷ বিশেষ করে সেখানে বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন কার্যকর করলে তার পরিণাম ‘অত্যন্ত নেতিবাচক' হবে বলে ইইউ সতর্ক করে দিয়েছে৷ ইইউ এ প্রসঙ্গে হংকং-এর স্বায়ত্তশাসনের অধিকার সম্পর্কে চীনের অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে৷ চীনের সংসদ অবশ্য শনিবার এ বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে৷ হংকং-কে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়' হিসেবে বিবেচনা করে চীন বাইরে থেকে কোনো হস্তক্ষেপ চায় না৷

করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চীন থেকে প্রথমদিকে ভুল তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল বলেও ইইউ অভিযোগ করেছে৷ এমন আচরণ মোটেই বরদাস্ত করা হবে না, বলেন ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ শীর্ষ সম্মেলনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন, ইইউ ও চীনের কৌশলগত সম্পর্ক একইসঙ্গে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জে ভরা৷ চীনকে একই সঙ্গে সহযোগী ও প্রতিপক্ষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি৷

চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী৷ তাঁর মতে, চীন ও ইইউ প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও সহযোগিতার মাত্রা অনেক বেশি৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ