1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন-তাইওয়ান ঐতিহাসিক সাক্ষাতের সম্ভাবনা

৪ নভেম্বর ২০১৫

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইং-জু একটি অপ্রত্যাশিত, কিন্তু ঐতিহাসিক সাক্ষাতে শনিবার সিঙ্গাপুরে মিলিত হতে চলেছেন৷ ১৯৪৯ সাল যাবৎ দু'পক্ষের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ৷

Präsident von Taiwan Ma Ying-jeou
ছবি: Reuters/P. Chuang

আগামী জানুয়ারি মাসে তাইওয়ানে সাধারণ নির্বাচন৷ সেই নির্বাচনে চীনপন্থি জাতীয়তাবাদী দল – বা কুয়োমিনটাং পার্টি – বিরোধী গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল পার্টি বা ডিপিপি দলের কাছে পরাজিত হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ প্রথাগতভাবে ডিপিপি চীন থেকে স্বাধীনতার সপক্ষে৷

নির্বাচনের প্রাক্কালে অপ্রত্যাশিত শি-মা সাক্ষাতের খবর অবশ্যই চীন-বিরোধীদের মনে সন্দেহ এনে দিয়েছে যে, বেইজিং আসন্ন নির্বাচনের উপর প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে৷ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইং-জু সাংবিধানিক মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে আগামী বছর পুনরায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে পারবেন না৷ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর মা চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নতিসাধনকে মূল নীতি করেছিলেন৷ তিনি চীনের সঙ্গে বিভিন্ন ‘ঐতিহাসিক' বাণিজ্যিক ও পর্যটন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন৷

মা-শি সাক্ষাৎ সম্পর্কে ডিপিপি-র প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সাই ইং-ওয়েন বলেছেন যে, ঘোষণাটি পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল৷ ‘‘জনসাধারণকে এ রকম তাড়াহুড়ো করে, বিশৃঙ্খলভাবে খবরটা দেওয়া তাইওয়ানের গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর,'' বলে সাই মন্তব্য করেছেন৷ অপরদিকে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, শি-মা সাক্ষাতের ঘোষণা তাইওয়ানের তরুণ জনতার মধ্যে চীন-বিরোধী মনোভাবকে আরো উসকে দিতে পারে৷ ‘দ্য ইকোনমিস্ট' পত্রিকার একটি টুইট সেদিকেই ইঙ্গিত করছে৷

চীনের গৃহযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে চিয়াং কাই-শেক-এর জাতীয়তাবাদী সমর্থকরা মাও জে-ডং-এর কমিউনিস্টদের কাছে পরাজিত হয়ে ‘মেনল্যান্ড' চীন থেকে দ্বীপটিতে পলায়ন করেন৷ সে যাবৎ তাইওয়ান স্বশাসিত হলেও, চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রদেশ হিসেবে গণ্য করে৷ অপরদিকে চীন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তাইওয়ান যদি সরকারিভাবে স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে চীন বলপ্রয়োগ করতেও দ্বিধা করবে না৷

তাইওয়ান জাতিসংঘের সদস্য নয়; অলিম্পিকে ‘‘চীনা তাইপে'' নাম নিয়ে অংশগ্রহণ করে; বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাইওয়ান-কে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না৷ সরকারিভাবে তাইওয়ান তার সরকারি নাম ‘‘চীন প্রজাতন্ত্র'' বজায় রেখেছে ও তাইওয়ানের সংবিধানে সমগ্র ‘মেনল্যান্ড' চীন-কে তাইওয়ানের রাজ্যাঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়েছে৷ অপরদিকে চীনের চূড়ান্ত মনোভাব হল, ‘‘ওয়ান চায়না'' – চীন শুধু একটিই, বিভাজনযোগ্য নয়৷ এএফপি সংবাদ সংস্থা ১৯৪৯ সাল যাবৎ চীন-তাইওয়ান সম্পর্কের একটি ‘টাইমলাইন' দিয়েছে৷

শনিবার দুই নেতা দৃশ্যত পরস্পরকে ‘‘মিস্টার'' বলে সম্বোধন করবেন, যাতে তাঁদের পরস্পরকে ‘‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট'' বলে সম্বোধন না করতে হয় – জানিয়েছেন চীনের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিসের প্রধান ঝাং ঝিজুন৷ পরে দুই নেতার নাকি একসঙ্গে নৈশভোজেরও কথা আছে৷ যদিও এই দহরম-মহরমের উপযোগিতা সম্পর্কে টুইটারে বিশ্বনিন্দুকরা সক্রিয়৷ যেমন বেন গোরেন টুইট করেছেন: ‘‘আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তিন দিন ধরে ‘ঐতিহাসিক শান্তি বৈঠক' নিয়ে আদিখ্যেতা করবে, আর ‘চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে কী ঘটতে চলেছে', তা নিয়ে দিস্তা দিস্তা কপি ভরাবে৷''

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-র সাবেক প্রধান মোহামেদ এল-বারাদেই কিন্তু অতোটা হতাশাপ্রবন নন৷ তিনি টুইট করেছেন, ‘‘সংলাপ, আপোশ আর আস্থাসৃষ্টি হল শান্তি আনার পথ: পশ্চিমা বিশ্ব/ইরান; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র/কিউবা; চীন/তাইওয়ান৷ উত্তাল মধ্যপ্রাচ্যের এ থেকে শেখবার কি কোনো আশা আছে?''

এসি/এসবি (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ