1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘চীন ট্রাম্পকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না’

৫ অক্টোবর ২০১৮

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স৷ চীন এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে৷

ছবি: picture-alliance/dpa/J. Martin

প্রথমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তারপর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স – দুজনেই সরাসরি চীনের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকার আসন্ন সংসদ নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনলেন৷ পেন্স সেইসঙ্গে দাবি করেছেন যে, চীন তাঁর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও হস্তক্ষেপ করছে৷ ওয়াশিংটনের হাডসন ইনস্টিটিউটে এক ভাষণে পেন্স বলেন, চীন অভূতপূর্বভাবে মার্কিন জনমতের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন ও ২০২০ সালের প্রেসি়ডেন্ট নির্বাচনের পরিবেশ বিষিয়ে তুলছে৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সংসদ নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছে চীন৷ চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন পেন্স৷ তিনি বলেন, ‘‘চীন অন্য কাউকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায়৷’’

ট্রাম্প ও পেন্স সরাসরি চীনা হস্তক্ষেপের কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেননি বটে, তবে তাঁরা নিজেদের দাবির সপক্ষে বেশ কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন৷ পেন্স বলেন, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সামনে রেখে এবং প্রচারণা যন্ত্রের মাধ্যমে অ্যামেরিকার মানুষের মনে চীনা নীতি সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলার চেষ্টা করছে৷ তাঁর দাবি, যেসব রাজ্য গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছে, বাছাই করে সেসব রাজ্যের পণ্যের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক চাপাচ্ছে চীন৷

বলা বাহুল্য, চীন এমন অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া বলেন, উড়ো খবরের ভিত্তিতে প্রমাণ হিসেবে গণ্য করে, ঠিক ও ভুল নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কিছু অভিযোগ আনা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, চীন এমন আচরণের জোরালো বিরোধিতা করছে৷

চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন মারাত্মক অভিযোগের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে৷ ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত থেকে ভোটারদের মনোযোগ সরিয়ে ফেলতেই চীনকে শত্রু হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে৷ সেক্ষেত্রে নভেম্বরের সংসদ নির্বাচনে রিপাবলিকান দল খারাপ ফল করলে তার দায় চীনের উপর চাপিয়ে দেওয়া যেতে পারে৷ চীন এর আগে একাধিক মার্কিন তথ্যভাণ্ডারের উপর হামলা চালালেও ২০১৬ সালে রাশিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইমেল হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে জনমতের উপর যেভাবে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালিয়েছিল, অনেক বিশেষজ্ঞ তার কোনো লক্ষণ দেখছেন না৷ 

ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যেও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো অবস্থান দেখা যাচ্ছে না৷ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী কির্স্টয়েন নিলসন ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রকে বলেছেন, কোনো বিদেশি শক্তি নির্বাচনের অবকাঠামোর উপর হস্তক্ষেপ করছে, এমন কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ তবে তিনি বলেন, চীনের সেই ক্ষমতা ও ইচ্ছা রয়েছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ