কিছুদিন ধরে ভিয়েনার নরসুন্দররা মানুষের চেয়ে কুকুর নিয়ে বেশি ব্যস্ত৷ এতদিন শুধু কুকুরদের চুল কাটানোর দোকান খোলা ছিল, এখন মানুষের সেলুন খুললেও সেখানে যাওয়া অনেক কঠিন৷
বিজ্ঞাপন
করোনা-সংকট শুরুর পর থেকেই বলতে গেলে অস্ট্রিয়ার হেয়ার ড্রেসারদের ‘বড় ক্রেতা' হয়ে গেছে কুকুর৷ প্রথম দফার ছয় সপ্তাহের লকডাউনে সব সেলুন বন্ধ ছিল৷ খোলার পর আসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চুল কাটানোর নিয়ম৷ কিন্তু সেখানে মানুষের নিয়ম কড়া, কুকুরের সহজ৷ মানুষকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হয়, কুকুরের বেলায় তার কোনো বালাই নেই৷ তাই যাদের কুকুর আছে তারা নিজেরা চুল না কাটিয়েও প্রিয় কুকুরের শ্রী-বর্ধনে মন দিয়েছেন৷
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনেকেরই এমন অবস্থা৷ রোলান্ড ভিডেচেক বললেন গত প্রায় এক বছরে ১০ বছর বয়সি প্রিয় কুকুরটা অনেকবার সেলুনে গেলেও ঘরের আর কেউ একবারও যেতে পারেনি, ‘‘গত লকডাউন থেকেই আমার চুল কেটে দিচ্ছে আমার স্ত্রী৷ এখন আমাদের বড় চিন্তা হলো কুকুরটাকে সুন্দর রাখা৷’’
অস্ট্রিয়ায় দ্বিতীয় দফার লকডাউন সবে শেষ হয়েছে৷ এ পর্যায়ে তিন সপ্তাহ মানুষের সব সেলুন বন্ধ থাকলেও কুকুরদের সেলুন শেষ দু সপ্তাহ পুরোপুরি খোলা ছিল৷
এখন সব সেলুনই খোলা৷ তবে মানুষকে যেতে হয় করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে৷ সেই সার্টিফিকেট আবার ৪৮ ঘণ্টার চেয়ে পুরোনো হলে হবে না৷ অন্যদিকে সারা দেশে শুরু হয়েছে টিকা দেয়ার হিড়িক৷ এর মাঝে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে চুল কাটাতে যাওয়া হচ্ছে না অনেকের৷ কিন্তু নিজে না গেলেও, কুকুরটাকে না নিয়ে গেলে কি চলে? ভিয়েনার স্লাতকা কুলার তা পারেননি, ‘‘আমাদের মধ্যে শুধু আমার কুকুরটাই সেলুনে গিয়ে সব সেবা নিয়েছে৷ তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমি নিজে হেয়ারড্রেসারের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাইনি৷ আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে যাবো৷
এসিবি/এফএস (রয়টার্স)
দুর্দান্তক্ষিপ্র সামরিক কুকুর
সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে শ্বাসরূদ্ধকর বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেয় সামরিক কুকুরগুলো৷ মুন্সিয়ানার জন্য যুদ্ধের ময়দান থেকে চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে কোনো কোনো প্রশিক্ষত কুকুরকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Baumgarten
হোয়াইট হাউজের ‘ভেরি গুড বয়’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় আবু বকর আল-বাগদাদীকে হত্যার অভিযানে আহত বেলজিয়ামের একটি কুকুর মালিনোইয়ের ছবি টুইট করেন৷ রয়টার্স জানিয়েছে, কুকুরটি কিছুটা আহত হলেও ইতোমধ্যে কাজে ফিরেছে৷ ট্রাম্প বলেছিলেন, কুকুরটি দুর্দান্ত কাজ করেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP/White House
রিন টিন টিন, যুদ্ধের নায়ক ও চলচ্চিত্র তারকা
এই কুকুরগুলো অনেক বছর ধরে সংঘাতময় অঞ্চলে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ রিন টিন টিন নামে এই জার্মান শেফার্ড প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান সেনাবাহিনীতে ছিল৷ আমেরিকান সৈন্যরা এটিকে বন্দী করেন এবং পরে সেটি তাদের পক্ষে কাজ করে৷ যুক্তরাষ্ট্রে নতুন জীবন কাটায় রিন টিন টিন৷ ১৯২০ এর দশকে হলিউডের একটি চলচ্চিত্রে এটিকে দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/Everett Collection
সার্জেন্ট মেজর জিগস
ইংলিশ বুলডগ জিগস ১৯২২ সালে মার্কিন মেরিন কর্পস-এর প্রথম মাস্কট হয়েছিল৷ এটি কয়েক বছরের মধ্যে সার্জেন্ট মেজর হয়ে যায়৷ কুকুরটি মারা যাওয়ার পর সেটিকে সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/BuyEnlarge
জন্ম থেকেই প্রশিক্ষণ শুরু
বেশিরভাগ সামরিক কুকুরকে জন্ম থেকেই প্রশিক্ষিত করা হয়৷ জার্মানির বুন্দেসেওয়ারে কুকুরছানাগুলোকে বিশেষায়িত প্রশিক্ষকের কাছে রাখা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সেগুলো সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয় উঠে৷ ছবিতে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার ভ্যান ডার বেলেনের কোলোর কুকুরছানাটিকে দেশটির সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/picturedesk/H. Punz
ভাগ্য বদল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ২০০০ সালে ‘রুবিস ল‘ এ সই করেন, যে আইনের লক্ষ্য ছিল এটা নিশ্চিত করা যে, মার্কিন সেনাবাহিনীর সামরিক কুকুরগুলো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে আর ছেড়ে আসা হবে না এবং চাকরি শেষে এগুলোর যন্ত্রনাহীনভাবে মেরে ফেলা হবে৷ ভিয়েতনামে দুই হাজার ৭০০ সামরিক কুকুর দক্ষিণ ভিয়েতনামী সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে যুক্তরাষ্ট্র এবং এক হাজার ৬০০টিকে যন্ত্রনাহীনভাবে মেরে ফেলা হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
জার্মান শেফার্ডস
সব সামরিক কুকুরই জার্মান শেফার্ড প্রজাতির নয়৷ বার্ক পোস্টের তথ্যানুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৮৫ শতাংশ সামরিক কুকুর জার্মানির ও নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে কিনেছে৷ এই দুই দেশ প্রশিক্ষিত কুকুর বিক্রি করে৷