রবের আদিবাস ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে৷ তবে হালের সাকিন টেক্সাসের স্যান অ্যান্টোনিও শহরে আজকাল থাকেন তিনি৷ পেশা: চুল কাটা; নেশা: ছবি আঁকা৷ দু'টোকে মেলালে যা হয়, তাই হলো এখন রবের কাজ: তাঁর শিল্পই তাঁর কর্ম, বা তাঁর কর্মই তাঁর শিল্প৷
ভিডিওটা দেখলেই রবের কর্মপদ্ধতি বোঝা যায়৷ বিশেষ করে মাথার পিছন দিকের চুল অতি ছোট করে ছেঁটে ফেললেই সেটা হয়ে যায় ছবি আঁকার পটভূমি বা ‘ক্যানভাস'৷ এর পরে ইলেকট্রিক ক্লিপার দিয়ে আরো ছোট করে চুল ছেঁটে ছবিটাকে যেন সাদা-কালোয় ফুটিয়ে তোলেন এই শিল্পী – কেননা চুল অত ছোট করে ছাঁটলে মাথার চামড়া ( বা তার আভাস) বেরিয়ে পড়ে৷ চুল মানে কালো, চামড়া মানে সাদা: শিল্পী যেন সাদা কাগজের ওপর সাদা পেন্সিল – বা কালো কাগজের ওপর সাদা পেন্সিল দিয়ে ছবি আঁকছেন৷ মাঝেমাঝে অবশ্য নানা ধরের রঙেরও ব্যবহার করেন তিনি৷
সহজ ‘ফেড' থেকে জটিল ডিজাইন, এমনকি মানুষের মুখচ্ছবি অবধি, তাঁর ক্লিপার ব্যবহার করে সব কিছু আঁকতে পারেন এই ‘হেয়ার আর্টিস্ট'৷ রব বলেন, তিনি সর্বত্রই ‘আর্ট' দেখেন, কাঠের ওপর কোনো তরল পদার্থ পড়ে যে দাগ হয়, অথবা গাড়ির ওপর যে ধুলো জমে, এ সবই তাঁর কাছে শিল্পকলা৷
রবের নিজের শিল্প ওয়েবে সাড়া তুলেছে তো বটেই, বরং সেই সঙ্গে রবকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছে৷ কুইন লতিফার শো থেকে শুরু করে, বহুবার টেলিভিশনে দেখা গেছে রব-কে এবং আগামীতেও যাবে৷ পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, হেয়ারড্রেসার রব আর গ্রাহকদের চুল কাটার সময় পান না৷ তা সত্ত্বেও ২০১৬ সালে তিনি চীনের প্রাকার ও দা ভিঞ্চির লাস্ট সাপারের অনুকরণে দু'টি ‘কেশ ছবি' এঁকেছেন৷
‘কালের কপোলতলে এক বিন্দু নয়নের জল’ – তাজমহল সম্পর্কে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ৷ বেগম মমতাজমহলের স্মৃতিরক্ষায় বাদশাহ শাহজাহানের এই কীর্তিটির মূল বিষাদসুরটি ধরা পড়ে এই একটি কথাতেই৷ এই স্মৃতিসৌধ আজ বিশ্বজুড়ে ভারতের প্রতীক৷
ছবি: picture-alliance/dpaমর্মরসৌধ তাজমহলের বিশাল রাজকীয় সৌন্দর্য প্রথম দর্শনেই যেন অবশ করে দেয়৷ শ্বাস রুদ্ধ করে দেয় এই স্থাপত্যের মহিমান্বিত উপস্থিতি৷ আর সে জন্যই তো এটি পৃথিবীর সাত আশ্চর্যের অন্যতম৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyayতাজমহল চত্বরে ঢোকার দু’টি দরজা, পুবে আর পশ্চিমে৷ এটি পশ্চিমের ফটক৷ ব্যাপক নিরাপত্তার বিধি-নিষেধ পেরিয়ে ঢুকলে প্রথমে তাজ নয়, চোখে পড়ে বেলেপাথরে তৈরি এই বিরাট ফটকটাই৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyayতাজমহল দর্শনে বছরভর বহু পর্যটক আসেন৷ ভিড় শুরু হয়ে যায় একেবারে সূর্যোদয়ের মুহূর্ত থেকেই৷ আর আনাগোনা চলে সূর্যাস্ত পর্যন্ত৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyayযেসব বিদেশি পর্যটক ভারতে আসেন, তাঁরা প্রত্যেকেই একবার না একবার তাজমহল দেখতে যান৷ অনেকে অভিভূত হন, অনেকে হতাশ৷ কিন্তু তাজের আকর্ষণ কেউই এড়াতে পারেন না৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyayআর সবথেকে বেশি হুড়োহুড়ি তাজের সামনে এই শ্বেতপাথরের বেঞ্চিতে বসে ছবি তোলার৷ প্রেমের সমাধিতীরে এই বেঞ্চের নাম যে ‘লাভ সিট’!
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Sharmaতাজমহলের ছবি সবাই তোলেন৷ এর মধ্যে ফোয়ারার জলে প্রতিবিম্বিত তাজের এই ছবিটি অবশ্যই নিয়ে যান সাথে করে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyayমূলত শ্বেতপাথরেরই প্রাধান্য৷ কিন্তু মূল গম্বুজ ঘিরে আছে বেলেপাথরের লালের ছোঁয়া৷ এই বৈপরিত্ব যেন তাজের শুভ্রতাকেই আরও বাড়িয়ে দেয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyayনাশকতার আশঙ্কা আছে, তাই তাজমহলের চত্বরে সর্বত্র মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষী৷ তাঁরা সতর্ক নজর রাখেন ভিড়ের ওপর৷ থাকে আচমকা হামলা ঠেকানোর সব ব্যবস্থাও৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyayতাজমহলের চার কোণে চার সুউচ্চ মিনার আর তার ভেতরে ঈগলপাখির বাসা৷ এরাও যেন সজাগ বাদশাহ শাহজাহানের সাধের স্থাপত্যের সুরক্ষায়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyayবিত্তবান বিদেশি পর্যটক থেকে দেশের সাধারণ মানুষ – সবাই আসেন ঘুরে দেখতে৷ তাজমহল যে সবার জন্যে অবারিতদ্বার৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay এসি/ডিজি