জার্মানির সেলুন ও বিউটি পার্লারের মালিক ও কর্মীরা এই দিনটির অপেক্ষাতেই ছিলেন৷ তবে সরকার সেলুন খোলার অনুমতি দিলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার  যথাযথ নির্দেশনা মেনে কাজ করতে হবে৷

চুল কাটার সময় নাপিত এবং ক্লায়েন্ট উভয়ের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷  চুল কাটতে অপেক্ষমানদেরও যতটুকু সম্ভব সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং মাস্ক পরতে হবে৷

সংক্রমণ এড়াতে জার্মানির বেশির ভাগ পার্লার নতুন একটি নিয়ম চালু করেছে৷  চুল কাটতে চাইলে আগে অবশ্যই চুল ধুয়ে নিতে হবে৷ যদিও চুলে যে তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করা হয় সেটা ভাইরাস মারতে খুব একটি কার্যকর হবে না বলে মত অনেকের৷

বিশ্বজুড়ে লকডাউন অবস্থায় বাড়ন্ত চুল নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন, জার্মানিও তার ব্যতিক্রম নয়৷ চুল কাটতে কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের দ্বারস্ত হয়েছেন, কেউ অনলাইনে নানা ভিডিও দেখে নিজে নিজেই চেষ্টা করেছেন৷  উপায় না পেয়ে পুরো মাথা ন্যাড়া করে ফেলতেও বাধ্য হয়েছেন অনেকে৷ সেলুন খোলায় তাই সব ধরনের মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে৷

জার্মানিতে সেলুন বা পার্লারে চুল কাটার কাজ নারীরাই বেশি করেন৷ ২০১৮ সালের তথ্যানুযায়ী, ওই বছর নতুন আরো সাত হাজার ১০০ জন নারী এ কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন৷ যেখানে পুরুষের সংখ্যা দুই হাজার ৫০০৷

সমাজে গুরুত্বপূর্ণ পেশার একটি নাপিত৷  প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা ছাড়া এ কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব না৷ কিন্তু নাপিতদের বেতন খুব কম৷ একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জার্মানির সব ধরনের হেয়ারড্রেসারদের মধ্যে ১৬ শতাংশের গড় বেতন মাসে ৪৫০ ইউরোর কম৷ অথচ এই খাতে বার্ষিক টার্নওভার ৭০০ কোটি ইউরোর বেশি৷