আমাদের মধ্যে প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময়ে চুয়িংগাম চিবিয়েছে৷ কিন্তু চুয়িংগাম দিয়ে শিল্পসৃষ্টির আইডিয়া বোধহয় কারো মনে আসেনি৷ ইটালির এক শিল্পী বড় আকারে চুয়িংগাম দিয়ে অভিনব ভাস্কর্য তৈরি করে সবাইকে অবাক করে দিচ্ছেন৷
বিজ্ঞাপন
কিংবদন্তি অনুযায়ী রোম শহরের দুই প্রতিষ্ঠাতা শিশুকে বুকের দুধ খাইয়ে বাঁচিয়েছিল ‘লা লুপা' নামের এক নেকড়ে মা৷ ইটালির এই শহরের বিভিন্ন স্থানে পাথরের তৈরি সেই নেকড়ের মূর্তি শোভা পাচ্ছে৷ ১৪ কিলো চুয়িংগাম দিয়েও এমন মূর্তি তৈরি হয়েছে৷ দাম ২৮,০০০ ইউরো৷
ইটালির শিল্পী মাউরিৎসিও সাভানি চুয়িংগাম দিয়ে যে সব ভাস্কর্য তৈরি করেন, সেগুলির খুঁটিনাটি বিষয় চোখে পড়ার মতো – তবে সবার জন্য হয়ত রুচিসম্মত নয়৷ মাউরিৎসিও বলেন, ‘‘সবার আগে মানুষ আমাকে প্রশ্ন করে, তুমি কি এই সব চুয়িংগাম নিজেই চিবাও? এর মধ্যে কত লক্ষ বার যে এই প্রশ্ন শুনতে হয়েছে! আমার প্রায়ই বিরক্ত লাগলেও মানুষের মনে সত্যি এই প্রশ্ন জাগে৷ না, আমি কখনো চুয়িংগাম খাইনি৷''
সহজ জীবনযাপনের শিল্প
প্রতি বছরের মতো এবারও জার্মানির কোলন শহরে বসেছে ইন্টারনাৎসোনালে ম্যোবেল মেসে (আইএমএম) বা আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলা৷ ছবিঘরে দেখে নিন এই মেলায় প্রদর্শিত কিছু অভিনব ডিজাইন৷
ছবি: DW/B. Görtz
গল্প বলা তাঁবু
দূরের কোনো দেশের কথা মনে করিয়ে দেয়া, কোনো ইচ্ছে পূরণের প্রতীক, কোনো স্বপ্ন, কোনো সংস্কৃতিকে তুলে ধরে – এমন তাঁবুতে বাস করা মন্দ কী! আলেকসান্ডার সাইফ্রাইড অসম্ভব সুন্দর এই ‘কারগাহ তাঁবু’ তৈরি করেছেন উত্তর আফগানিস্তানের এক ধরণের ঘরের আদলে৷ জার্মান কোম্পানি রিচার্ড লাম্প্যার্টের জন্য নির্মাণ করা এই অভিনব ঘরটির পেছনের ভাবনাটা হলো, যেখানে তাঁবু ফেলা যায়, সেখানেই বাস করতে পারেন আপনি৷
ছবি: DW/B. Görtz
যেন স্বপ্ন দেখছি...
জেন ভরথিংটন ডাচ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান লেওলুক্সের জন্য তৈরি করেছেন সোফার মতো এই দোলনাটি৷ তাঁর এই ডিজাইন কোলনের আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলায় ‘ইন্টেরিয়র ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে৷ মেলায় পুরো জানুয়ারি মাস জেনের এই স্বপ্নের ঘোর লাগানো সোফা প্রদর্শিত হবে৷
ছবি: DW/B. Görtz
সময় পেরিয়ে...
এমন চেয়ারের আদি ডিজাইনার চার্লস এমেস এবং তাঁর স্ত্রী রে৷ ডিজাইন কবে করা হয়েছিল ৬০ বছরেরও বেশি আগে! পরবর্তীতে অন্য ডিজাইনাররা নিজেদের কল্পনার তুলির আঁচড়ে চার্লস আর রে দম্পতির সৃষ্টিকে নতুন জীবন দিয়েছেন বহুবার৷ তার দিয়ে তৈরি ছবির এই চেয়ারগুলোও চার্লস-রে দম্পতির কাজ থেকে প্রেরণা নিয়েই করা৷ ফার্নিচার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিত্রা-র জন্য দেখতে সহজ অথচ চমৎকার ডিজাইনটি করেছেন ডিটার থীল৷
ছবি: DW/B. Görtz
ডেনিশ আকর্ষণ
মেলার গত আসরে তাঁরা ছিলেন না৷ সবাই খুব মিস করেছেন তাঁদের৷ তবে এবার স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ডিজাইন নিয়ে পূর্ণ মহিমায় ফিরে এসেছেন গুবি, মুটো, নরমান কোপেনহাগেনের মতো অনেকে৷ ওসব দেশের ফার্নিচারের বিশেষ একটা বিশেষত্ত হলো, সাধারণভাবে খুব সুন্দর আসবাবগুলো ছোট কোনো ঘরেও ব্যবহার করা যায়৷ এই সোফাগুলোই দেখুন, কাঠ আর অন্য কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা সোফাগুলোকে আকারে একেবারেই বড় বলা যাবে না৷
ছবি: DW/B. Görtz
আলোর মজা
ঘটনাক্রমে এই আসবাবপত্রের ডিজাইনারও ডেনিশ এবং এটিও খুব পুরোনো৷ ডিজাইনারের নাম ভ্যার্নার পান্টন৷ গত প্রায় ৫০ বছর ধরে কোলন আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলায় বেশ নাম করেছেন তিনি৷ তাঁর ডিজাইন করা ‘ফান’ বা ‘মজা’ নামের ল্যাম্পটি আজও ‘বেস্ট সেলার’৷
ছবি: DW/B. Görtz
সবুজ বাস
লতানো গাছের আদলে বাতি৷ সবুজ লতা-পাতার পাশে সাদা ফুল, ফল হয়ে জ্বলন্ত এই বাতি এবারের আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে৷ আলোর সঙ্গে ক্যানাডিয়ান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোচির নামও ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র৷
ছবি: DW/B. Görtz
সবুজ নিদ্রা
ইটালিয়ান ডিজাইনার কাপো ডি’অপেরার ডিজাইন করা এই বিছানা দেখলে কি মনে হয়, প্রচুর টাকা খরচ করে চোখধাঁধানো কোনো শয্যা তৈরির কোনো মানে আছে? কাপো আসলে বুনো পরিবেশের ছিমছাম একটা শয্যাও যে মুগ্ধ করতে পারে, তা-ই দেখাতে চেয়েছেন৷ বিছানার চাদর এলোমেলো৷ দেখে মনে হয় এই বুঝি কেউ কয়েক মুহূর্তের জন্য বিছানা ছেড়ে গেলেন, এক্ষুনি আবার ফিরে আসবেন৷
ছবি: DW/B. Görtz
একই উৎস থেকে
সার্বিয়ার ডিজাইনাররা এলইডি প্রযুক্তিকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে এমন এক লাইট তৈরি করেছেন যার অভাব মেটাতে গেলে হয়ত একই ঘরে অনেকগুলো লাইট ব্যবহার করতে হবে৷ এই বাতির উৎস একটাই৷ এক জায়গা থেকেই বেরিয়েছে অনেকগুলো বাতি৷ দামও কিন্তু অনেক৷ ৫০ হাজার ইউরো!
ছবি: DW/B. Görtz
ভবিষ্যতে এমন হবে?
এবারও মেলায় এক তরুণ ডিজাইনারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ তাঁর কাজ ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ ঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইন করে দেখানো৷ ডেনিশ-ইংলিশ ডিজাইনার লুইস ক্যাম্পবেল দারুণ কাজ দেখিয়েছেন৷ আইডিয়াটা চমৎকার৷ একটই বিশাল ঘর৷ এক ঘরেই শোবার ঘর, খাবার ঘর, রান্নাঘর – সব৷ একেক ঘরের ডিজাইন এমনভাবে করা যাতে একই ঘর অন্য ঘরের মতোও ব্যবহার করা যায়৷ এই রান্নাঘরটাই দেখুন৷ দেখে কেমন ওয়ার্কশপ ওয়ার্কশপ মনে হয় না!
ছবি: DW/B. Görtz
9 ছবি1 | 9
বছর দশেকেরও বেশি সময় ধরে মাউরিৎসিও চুয়িংগাম নিয়ে কাজ করছেন, তবে সেগুলি মোটেই কেউ চিবায় না৷ বরং গরম করে প্লাস্টারের কাঠামোর উপর ইচ্ছামতো বসানো হয়৷ এই কাঠামো ছাড়া ভাস্কর্য স্থিতিশীল হতো না৷ এই শিল্পীর কাছে চুয়িংগাম শুধু মালমশলা৷ তবে এর সাংস্কৃতিক তাৎপর্যও রয়েছে৷ মাউরিৎসিও সাভানি বলেন, ‘‘আমি আসলে এমন কিছু খোঁজ করছিলাম, ভারি শিল্পের সঙ্গে যার যোগসূত্র রয়েছে৷ তাছাড়া শিল্প ও সামাজিক ইতিহাসের সঙ্গেও সম্পর্ক চাইছিলাম৷ ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর চুয়িংগাম ইউরোপে এসেছিল৷ আমি অবশ্য একে কখনো খাদ্য হিসেবে মনে করিনি৷ ১৯৫০ সালের মধ্যেই কোকা কোলা ও নায়লন মোজার মতো চুয়িংগাম ইউরোপীয় সংস্কৃতির উপর গভীর ছাপ ফেলেছিল, যার রেশ আজও কাটেনি৷''
নিজের শিল্পকর্মের জন্য মাউরিৎসিও একটি বিশেষ কোম্পানির চুয়িংগাম ব্যবহার করেন৷ তার নাম না হয় নাই করলাম৷ কারণ সেই কোম্পানি এই শিল্পসৃষ্টিকে স্বীকৃতি দিলেও উপকরণ যোগান দিয়ে সাহায্য করে না৷ অথচ মাউরিৎসিও সরাসরি কারখানা থেকেই কাঁচামাল কিনতে আগ্রহী৷ কিন্তু তার বদলে এখন প্রত্যেকটি চুয়িংগামের জন্য আলাদা করে প্যাকিং খুলতে হয়৷ তারপর সেগুলি গরম করে তাল তৈরি করতে হয়৷ দুই সহকারী তাঁকে সাহায্য করেন৷
এই কাজে অনেক সময় লাগে৷ একটি ভাস্কর্যের জন্য কখনো তিন হাজারের বেশি চুয়িংগাম কাজে লাগে৷ মাউরিৎসিও সাভিনির শিল্পকর্মের মধ্যে প্রায়ই রাজনীতি ও সমাজের বিতর্কিত বিষয় উঠে আসে৷ সেই বার্তা আরও জোরদার করতে তিনি বিশেষ কোনো রং বেছে নেন৷ মাউরিৎসিও বলেন, ‘‘আমি এই বিশেষ গোলাপি রং ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম৷ অতীতে চুয়িংগাম ছাড়াই এই রং দিয়ে ভাস্কর্য তৈরি করেছি৷ আমার মতে, গোলাপি রং কৃত্রিমতার প্রতীক৷ দেখলেই মনে হবে, চাপিয়ে দেওয়া এক জগত৷''
জীবনযাপন সহজ করেছে যেসব পণ্য
জীবনযাপনের শৃঙ্খলা অনেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ সেটা ঘরে হোক কিংবা বাইরে৷ বিংশ শতাব্দীর শুরুতে তাই ডিজাইনাররা মানুষের জীবনে শৃঙ্খলা আনতে বিভিন্ন ডিজাইন শুরু করেন, যা ‘সিস্টেম ডিজাইন’ নামে পরিচিত৷ চলুন সেগুলো দেখা যাক৷
ছবি: MAKK/Jonas Schneider/Gabriel Richter
ছোট, তবে কাজের
১৯২১ সালে তৈরি এই সুইস নাইফ এখনো কার্যকর এক বস্তু হিসেবে টিকে আছে৷ এটি দিয়ে শুধু রুটি কাটা নয়, ওয়াইনের বোতলও খোলা যায়৷ আরো অনেক কাজে লাগে সুইস নাইফ৷ ‘সিস্টেম ডিজাইন’ হিসেবে কোলনের মিউজিয়াম অফ অ্যাপ্লাইড আর্টসে প্রদর্শিত হচ্ছে পণ্যটি৷ ১৫০টির মতো এ রকম পণ্য জায়গা পেয়েছে প্রদর্শনীতে৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Gabriel Richter
শিল্প প্রক্রিয়া
ডিজাইনার মার্সেল ব্রাওয়ার ১৯২৫ সালে ছোট টেবিল তৈরি করেন৷ পরবর্তীতে বিভিন্ন সাইজে এটি বাজারে ছাড়া হয়েছে৷ তবে এখনো বেশ জনপ্রিয় এগুলো৷
ছবি: Thonet GmbH
স্ট্যাইলিশ ব্যবস্থা
১৯৫৫ সালে সরানো যায় এমন টেবিল ও রেডিওসহ টেলিভিশন বাজারে আসা৷ এটা ঘরের যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় বসানোর সুযোগ আছে৷ এ ধরনের পণ্য মানুষকে ঘরের সাজগোজ সম্পর্কে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Leon Hofacker
ক্লাসিক খেলনা
প্রত্যেক শিশুই এই খেলনার সঙ্গে পরিচিত৷ লেগো একটির সঙ্গে অন্যটি জুড়ে যে কোনো কিছু গড়া যায়৷ ১৯৫৮ সালে এই খেলনা গোটা বিশ্বের ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়৷ এখনো সেই জনপ্রিয়তা রয়ে গেছে৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Leon Hofacker
ক্যাফেটেরিয়ার জন্য
ক্যাফেটেরিয়ায় একসঙ্গে অনেক মানুষ খাওয়া-দাওয়া করেন৷ তাদের জন্য এই ডিশের সেটটি তৈরি করা হয়েছিল৷ সুবিধা হচ্ছে এগুলোর ডিজাইন প্রায় একইরকম এবং রাখার জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না৷
ছবি: HfG-Archiv Ulm
ফার্নিচারের জন্য সুবিধাজনক জায়গা
গত শতকের ষাটের দশকে তৈরি এই ‘৬০৬’ সেল্ফ ফার্নিচারের জগতে অন্যতম সেরা আবিষ্কার হিসেবে বিবেচিত৷ পরিষ্কার শেপ, সোজা লাইন এবং অনমনীয় তাকগুলো সেল্ফটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Gabriel Richter
অভিভাবক এবং বাচ্চাদের জন্য ডিজাইন
রঙিন এই প্লাস্টিকের চেয়ারগুলো তৈরি করেছেন ইটালির ডিজাইনার মার্কো জানুসো এবং তাঁর জার্মান সহকর্মী রিচার্ড সাপের৷ বাচ্চাদের এই চেয়ারগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি জোড়া যায়৷ ফলে রাখা কিংবা পরিবহন দু’টোই বেশ সহজ৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Gabriel Richter
চারজনের জন্য
দেখের বলের মতো মনে হলেও এখানে চারজন মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় থালা-বাসন এভাবে রাখা আছে৷ ভিলেরয় এবং বশ-এর তৈরি এই সেটটি কম জায়গায় বেশি জিনিস রাখার এ উৎকৃষ্ট উদাহরণ৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Gabriel Richter
8 ছবি1 | 8
রোম শহরেই জন্ম৷ বড় হয়ে সেখানেই মাউরিৎসিও স্থাপত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন৷ তারপর শিল্পী হিসেবে কয়েক বছরের জন্য বিদেশে চলে যান৷ আজ তিনি আবার জন্মের শহরে ফিরে এসে কাজ করছেন৷ গোটা বিশ্বে তাঁর ভাস্কর্যের প্রদর্শনী ও বিক্রি হয়৷ কখনো ৫০,০০০ ইউরো পর্যন্ত দামও উঠে আসে৷ উপকরণ চুয়িংগাম হওয়া সত্ত্বেও শুরু থেকেই তাঁর শিল্পকর্মের কদর রয়েছে৷ শুধু প্রথম প্রদর্শনীর সময় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল৷ মাউরিৎসিও সাভানি বলেন, ‘‘প্রথম প্রদর্শনী ভালোই চলেছিল৷ তবে একটা মজার সমস্যা হয়েছিল৷ বিক্রির মাস তিনেকের মধ্যেই ভাস্কর্য পুরো নষ্ট হয়ে যেত৷ সেগুলি ফেরত পাঠানো হতো৷ আমাকেও অর্থমূল্য ফেরত দিতে হতো৷ কিন্তু ততদিনে তো আমি সেই টাকা খরচ করে ফেলেছি!''
আসল সমস্যা ছিল, চুয়িংগামের মধ্যে চিনির অধিক মাত্রা মূল কাঠামোকে নষ্ট করে দিচ্ছিল৷ তারপর থেকে মাউরিৎসিও তাঁর ভাস্কর্য সংরক্ষণ করতে ফর্মালডিহাইড ও অ্যান্টিবায়োটিকের এক মিশ্রণ ব্যবহার করছেন৷ ফলে রোমের এই প্রজন্মের শিল্পও ভবিষ্যতে অমর হয়ে থাকতে পারবে৷