কার্লোভি ভারি: গত পঁচিশ বছর ধরে চেক প্রজাতন্ত্রের এই স্পা শহরটির আসল সমঝদার হলেন রুশ টুরিস্টরা – ইউক্রেন সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে যারা আপাতত সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছেন: যদি তাঁদের ক্রেডিট কার্ড আটকে দেওয়া হয়?
বিজ্ঞাপন
বিশ্ব রাজনীতিতে কী ঘটছে না ঘটছে, তাতে কাটেরিনা প্লাচকোভা-র কিছু আসে যায় না৷ কিন্তু সেই বিশ্ব রাজনীতিই এ বছর কাটেরিনা-র ব্যবসা মাটি করতে চলেছে! চেক প্রজাতন্ত্র, এককালে চেকোস্লোভাকিয়া-র পৃথিবী-বিখ্যাত ‘স্পা' বা স্বাস্থ্য ফেরানোর জায়গা ছিল এই কার্লোভি ভারি, জার্মানরা যাকে বলেন কার্লসবাড৷ এখানে গরম কালটাই আসল টুরিস্ট সিজন৷ কাটেরিনা-কে এই টুরিস্ট সিজনে তাঁর দুই চতুষ্পদ সহচরী ফিনা আর লোনা-কে নিয়ে সারা বছরের কামাইটা করে নিতে হবে৷ অথচ এ বছর শহরটা যেন খাঁ-খাঁ করছে৷ কাটেরিনা বললেন, ‘‘কার্লসবাড-কে আমি আর কখনো এমন খালি দেখিনি৷ আগে অবস্থা এর চাইতে অনেক ভালো ছিল; আর এখন যেন চরমে পৌঁছেছে৷ প্রায় কোনো খদ্দেরই নেই৷ রুশরাও আর আসে না৷ হয় তারা কোনো ভিসা পায় না – নয়তো জানি না, কী ঘটে থাকতে পারে৷''
আকর্ষণীয় ফিগার পেতে সহজ ১১ উপায়
আজকের যুগে মেদহীন আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে কে না চায়? সে জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই দরকার শরীর চর্চা৷ আর সেটা ঘরের কাজের মাধ্যমেই কিন্তু করা সম্ভব৷ জেনে নিন কীভাবে, দেখুন এই ছবিঘর৷
ছবি: Fotolia/Franz Pfluegl
আকর্ষণীয় ফিগার
আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ৷ যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে৷ আজকাল সুস্বাস্থ্য মানে সুস্থ, ফিট আর টান টান শরীরের কোনো মানুষ, যাঁকে যে কোনো পোশাকে মানায় এবং সবার মাঝে আকর্ষণীয় করে তোলে৷
ছবি: Fotolia/mars
ফিটনেস সেন্টার
শরীর চর্চা বা ব্যায়াম বললেই, অনেকে বোঝেন ফিটনেস সেন্টারে গিয়ে বিভিন্ন যন্ত্র বা প্রশিক্ষকের সাহায্যে দৈহিক সৌন্দর্য বাড়ানোর কিছু নিয়মকানুন৷ কিন্তু ফিটনেস সেন্টারে যাতায়াত এবং ব্যায়াম করার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন৷ তাই সুন্দর ফিগার চাইলেও চাকরি, সংসার, ঘরের নানা কাজ ফেলে নিয়ম করে ফিটনেস সেন্টারের জন্য সময় খরচ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না৷
ছবি: AP
ঘরের মেঝে মোছা
অথচ ঘরের কাজগুলো যদি নিজেই নিয়ম করে ঠিকমতো করে ফেলা যায়, তাহলে কিন্তু দুটোই সম্ভব৷ অর্থাৎ বাড়ি-ঘর পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে তা একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকরও হলো, আবার শরীরও সুন্দর হলো৷ বিশেষ করে মেঝে বা সিঁড়ি মুছতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই পেটে প্রচণ্ড চাপ পড়ে, ফলে পেটের মেদ সহজেই কমে যায়৷ নিয়ম করে মেঝে মুছলে পেট মসৃণ হয় আর কোমরের আকারও হয় সুন্দর৷
ছবি: picture alliance/dpa
জানালা পরিষ্কার
জানালার গ্লাস পরিষ্কার করতে গেলে হাত বার বার ওপরে-নীচে নামাতে তো হয়ই, এতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও নাড়াচাড়া হয়৷ কাজেই জানালা পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি হাতের মাংসপেশী শক্ত হয় ও শরীরের বাড়তি মেদ কমে৷ বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের হাতের মাংসপেশী খানিকটা ঝুলে পড়ে, যা হাতের এই ব্যায়ামের মাধ্যমে কমানো সম্ভব৷
ছবি: Picture-Factory - Fotolia.com
দাড়িয়ে ঘরের কাজ
আগেকার দিনে মেয়েরা রান্না ঘরের সব কাজ বসে বসেই করতো৷ বসে কাজ করলে কেবল একটি কাজই করা যায়৷ কিন্তু দাড়িয়ে কাজ করলে একই সাথে রান্না, বাসন ধোয়া, কাটাকুটি এবং রান্নাঘরের অন্যান্য কাজও করা সম্ভব৷ এতে খানিকটা হাঁটাহাটির ফলে পায়েরও কিছুটা ব্যায়াম হয় এবং হাড় শক্ত থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মেদও জমতে পারে না সহজে৷
ছবি: Costa Pelechas
যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখা
শরীরের সৌন্দর্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা বা বাধা মোটা পেট বা ভুড়ি, যা খুবই দ্রুতগতিতে বাড়ে৷ মেঝেতে বসে কাপড় কাঁচলে বা আধা বসা অবস্থায় কাপড় ধোয়ার মেসিন ব্যবহার করলে বা সেটা পরিষ্কার করলে পেটে চাপ পড়ে৷ নিয়মিত এ ধরনের কাজ করলে পেটে চর্বি জমে কম৷ এতে নিজেকে মেদহীন দেখতে যেমন সুন্দর লাগে, অন্যদিকে যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখার ফলে সেগুলোর আয়ুও বাড়ে৷
ছবি: Hansgrohe Bilderdienst
গাড়ি নিজেই পরিষ্কার করুন
আজকের ব্যস্ত জীবনে গাড়ির প্রয়োজন যেমন অনেক, তেমনি অনেকের আবার গাড়ির সখও কম নয়! তাই সখের মূল্যবান জিনিসটিকে ‘কারওয়াশ’-এ না দিয়ে বা ড্রাইভারকে ধুতে না বলে নিজেই ধুয়ে ফেলুন! এতে গাড়িটাও ঝকঝকে সুন্দর হবে, আবার নিজের শরীরটাও ফিট থাকবে৷ তখন দেখবেন যে কোনো আধুনিক পোশাকে নিজেকে কেমন স্মার্ট আর আকর্ষণীয় লাগছে!
ছবি: Fotolia/photoiron
বাগান করা
বাগান করা একটি সখের ব্যাপার৷ এ কাজটি ভালোভাবে করতে, অর্থাৎ শাক-সবজি, ফল আর সুন্দর ফুল ফোটাতে শরীরের বেশ পরিশ্রম হয়৷ বাগানপ্রেমীদের মেদহীন সুন্দর শরীর দেখেও অবশ্য তা বোঝা যায়৷ তাছাড়া বাগানপ্রেমীদের প্রকৃতির সাথেও থাকে নিবিড় সম্পর্ক৷ ফলে শরীর এবং মন দুটোই ভালো রাখতে সাহায্য করে বাগান৷
ছবি: Rido - Fotolia.com
পরিবেশবান্ধব বাগান
জার্মানিতে বহুদিন থেকেই বাগান কেনা বা ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে৷ যাঁরা ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকেন, তাঁদের অনেকেই ফ্ল্যাটের কাছাকাছি কোথাও এ রকম বাগান করে থাকেন৷ ইদানীং কোনো কোনো অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষায় মানুষকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিনে পয়সায়ও কিছু জমির খানিকটা অংশ কিছুদিনের জন্য দেওয়া হয়৷ এতে অবশ্য শর্ত থাকে যে, সেখানে শুধুমাত্র নিজেদের খাওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে শাক-সবজি বা ফলের চাষ করতে যেতে পারে৷
ছবি: picture alliance / dpa
ছোট থেকেই অভ্যাস গড়ে তোলা
এশিয়ার দেশগুলোতে গৃহিনীরা ‘কাজের লোক’ বা গৃহক্রমী দিয়ে ঘরের কাজ করাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন৷ যদিও এ কাজটি করানোও সবসময় একেবারে সহজ নয়৷ তবে যাঁরা কাজের লোক না রেখে ছোটবেলা থেকে ঘরের কাজ বা নিজের কাজ নিজে করায় অভ্যস্ত হন, তাঁদের শরীরের গঠন ছোট থেকেই হয়ে ওঠে সুন্দর৷
ছবি: Getty Images
কাজের পর বিশ্রামও চাই
উপুড় হয়ে বাথটবটি নিজে হাতে ভালো করে পরিষ্কার করতে যে বেশ কিছুটা ক্যালোরি খরচ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই৷ স্বাভাবিকভাবেই তারপর যে কেউ কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়বেন, তাই না? ঝকঝকে সুন্দর বাথটবে পানি ভর্তি করে এতে ঢেলে দিন সুগন্ধী তরল সাবান৷ এবার নেমে পড়ুন পানিতে৷ আধঘণ্টা পর পানি থেকে উঠে শরীরটাকে মনে হবে একেবারে হালকা আর মনটা দারুণ ফুরফুরে!
ছবি: picture-alliance / Creasource
ঘরের কাজ করুন, সুন্দর থাকুন!
নিয়মিত যে কোনোভাবে শরীরচর্চা করলে অবশ্যই তার ফল পাওয়া যায়৷ আর তাই সুন্দর ফিগারের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় না৷ স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটু সচেতনতা আর পাশাপশি কিছুটা হাঁটাহাটি বা বাড়ির কাজই করে দেবে যে কেউকে সুন্দর ফিগারের অধিকারী৷
ছবি: Fotolia/Franz Pfluegl
12 ছবি1 | 12
‘রাশিয়ার সবচেয়ে পশ্চিমের শহর'
এই সেদিনও কার্লোভি ভারি-কে বলা হতো রাশিয়ার সবচেয়ে পশ্চিমের শহর৷ রুশিদের কার্লসবাড-প্রীতি শুরু হয় জার পিটার দ্য গ্রেট-এর আমলে৷ ১৭১১ সালে মহান পিটার এসেছিলেন কার্লসবাডে তাঁর শরীর সারাতে৷ ১৯৮৯ সালের পর রুশরা কোটি কোটি ডলার খরচ করে ভাঙাচোরা স্পা-শহরটিতে আবার পুরনো দিনের মতো ঝলমলে, চকচকে করে তোলে৷ কিন্তু ইউক্রেন সংকটের ফলে কার্লসবাডের ‘রুশ' দ্যুতি অনেকটা ম্লান হয়ে এসেছে – সেটা নগর প্রশাসনে গেলেও বোঝা যায়৷ নগর প্রশাসনের মুখপাত্র ইয়ান কোপাল শোনালেন, ‘‘১৯৬৮ সালে ‘প্রাগ বসন্তের' সময় রুশ ট্যাংক আর সৈন্যরা যখন চেকোশ্লাভাকিয়ায় ঢোকে, তখন থেকেই এ দেশে রুশদের সম্পর্কে মনোভাব খুব ভালো নয়৷ অনেকেই রুশদের সহ্য করতে পারত না৷ কিন্তু কার্লসবাডে তার কোনো রেশ ছিল না৷ ইউক্রেন সংকটের ফলে চেকদের রুশ ভীতি আবার ফিরে এসেছে, তারা আবার রুশদের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ৷''
পা সুন্দর রাখতে যা করবেন
পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে শুধু সুন্দর মুখশ্রী নয়, আকর্ষণীয় ফিগারের মতো মেয়েদের পায়ের সৌন্দর্যও একইরকম গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে৷ সুস্থ এবং সুডৌল পায়ের জন্য কিছু টিপস পাবেন এই ছবিঘরে৷
ছবি: Imago
মারলেনে ডিট্রিশ
বিশ্বখ্যাত জার্মান অভিনেত্রী ও গায়িকা মারলেনে ডিট্রিশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর এক কিংবদন্তি শিল্পী৷ ক্যাবারে গায়িকা হিসেবে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল৷ জন্ম ১৯০১ সালে৷ মারলেনে তাঁর কণ্ঠ, অভিনয় আর সুন্দর পায়ের অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে পুরুষদের মাথা ঘুরিয়ে দিতেন৷ তাঁর পা জোড়ার মূল্য ছিলো ১.৮ মিলিয়ন ডলার৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
মারাইয়া ক্যারি
পপস্টার মারাইয়া ক্যারি তাঁর সুন্দর পায়ের জন্য এক বিলিয়ন ডলারের বিমা করেছেন৷ ছবিতে সুন্দর পায়ের অধিকারী মারাইয়া ক্যারিকে মোনাকোর মন্টে কার্লোতে ২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Getty Images
সুন্দরী নারীর সুন্দর পা
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যেমন মেয়েদের মুখ আর ফিগার নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়, জার্মানিতে তেমনটা শোনা যায় মেয়েদের সুন্দর পা নিয়ে৷
ছবি: Fotolia/mars
পায়ের যত্নে ক্রিম জরুরি
পরিষ্কার পরিচ্ছতাই হলো সৌন্দর্যের প্রথম শর্ত অর্থাৎ পায়ের লোম ভালোভাবে দূর করতে হবে৷ আর পরে অবশ্যই ভালো লোশন বা ক্রিম মাখা জরুরি৷
পায়ের মেকআপ
পায়ের ছোটখাটো দাগ বা ক্রুটি দূর করার জন্য ব্রাউন রংয়ের বিশেষ ধরনের কয়েকটি মেকআপ পাওয়া যায়৷ এর মধ্য থেকে পছন্দের একটি বেছে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে স্পঞ্জ দিয়ে লাগিয়ে নিতে হয়৷ পরে পাউডার লাগিয়ে দিলেই সব ঢেকে যায়৷ এই পরামর্শ দিয়েছেন জার্মানির এক ফার্মেসিতে কাজ করা কর্নেলিয়া গ্যুটে৷
ছবি: DPA
সবসময় হাই হিল নয়
হাই হিল জুতো পরলে বেশিরভাগ মেয়েকেই আরো আকর্ষণীয় লাগে সন্দেহ নেই৷ তা সত্ত্বেও সবসময় হাই হিল পরা উচিত নয়৷ মাঝে মাঝে একদম খালি পায়ে থাকতে পারলে আরো ভালো৷ তবে পা দুটো ক্লান্ত মনে হলে তাতে খুব ঠাণ্ডা, বিশেষ করে জেল বা থারমাল স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে যেন পাগুলো আবার সজীব হয়ে ওঠতে পারে৷ সুন্দর জুতোর জন্য যে চাই সুন্দর পা!
ছবি: Fotolia/Zeit4men
ম্যাসাজ গ্লাভস
লুইবেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. বিরগিট কালে বলেন, ‘‘পায়ের ত্বক মসৃণ করতে সপ্তাহে দু’বার বিশেষ ধরনের ওয়েলনেস বা ম্যাসাজ গ্লাভস পরে ম্যাসাজ করুন৷ এতে পায়ের রক্ত চলাচল ভালো হবে এবং ত্বক খুব সুন্দর ও মসৃণ হবে৷ তবে ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে ভালো লোশন ব্যবহার করুন৷’’
ছবি: picture alliance/chromorange
আকর্ষণীয় পা
ডা. কালে আরো বলেন, ত্বকে আর্দ্রতা কমে গেলে তা ত্বকের জন্য হয় স্ট্রেস৷ তখন তা অতিবেগুনি রশ্মি বিকিরণের মতো কাজ করে থাকে অর্থাৎ ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া ত্বরান্বিত করে৷ তাই সপ্তাহে দু’দিন পায়ের গোড়ালি থেকে ওপর পর্যন্ত স্ক্রাব ক্রিম দিয়ে আস্তে আস্তে ঘসে ধুয়ে পরে ভালো বডি লোশন লাগাতে হবে৷ এতে পায়ের ত্বক মসৃণ তো হয়ই, রক্ত চলাচলও খুব ভালো হয় এবং দেখতেও আকর্ষণীয় লাগে৷
ছবি: Fotolia/Franz Pfluegl
ম্যাসাজ
মাঝে মাঝে পায়ের নীচ থেকে উপর পর্যন্ত আঙুল দিয়ে মৃদুভাবে চেপে ধরে উপর-নীচ করতে পারেন৷ এছাড়া পা ম্যাসাজ করার জন্য বিশেষ রোলার পাওয়া যায়৷ সেটা একবার ওপর থেকে নীচে, আবার পরে নীচ থেকে ওপরে তুলতে থাকুন৷ এভাবে কয়েকবার করলেই পা দুটো খুব হালকা মনে হবে এবং ক্লান্তি দূর হবে৷
ছবি: Elenathewise - Fotolia.com
হাঁটা বা পায়ের ব্যায়াম
সুন্দর পায়ের জন্য হাঁটা এবং ব্যায়াম খুবই জরুরি৷ পায়ের মাংশপেশি কিছুটা শক্ত না হলে পা দেখতে সুন্দর লাগে না৷ তাছাড়া হাঁটা যে-কোনো মানুষকে ফিট রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে৷ সুস্থ ও সুন্দর থাকতে হাঁটাহাটির কোনো বিকল্প নেই৷ মানুষ যত সুন্দরই হোক না কেন সুন্দর করে না হাঁটলে যেমন তার ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে না, তেমনি ব্যক্তিত্বহীন মানুষকেও সুন্দর বলা যায় না৷
ছবি: Andreas Stommel
সাইকেল চালানো
নিয়মিত সাইকেল চালানো পায়ের জন্য একটা বেশ ভালো ব্যায়াম৷ সারাদিন পর বাড়িতে ফিরে পা দুটোকে একটু উঁচুতে তুলে বসে বা শুয়ে থাকলে পায়ের বেশ আরাম হয়৷ এভাবে রক্ত চলাচলও ভালো হয়৷ যাঁদের দিনের অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে কাটাতে হয় তাঁদের জন্য এই আরাম অবশ্যই প্রয়োজন৷
ছবি: Imago
11 ছবি1 | 11
‘কিন্তু আমার ক্রেডিট কার্ড?'
সংকট সত্ত্বেও যে সব রুশরা কার্লসবাডে এসেছেন, তাঁরা কিন্তু চেকদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ৷ অপরদিকে স্পষ্ট যে, ইউক্রেন সংকট যাবৎ রুশিরা দৃশ্যত ইউরোপে আসতে দ্বিধা করছে৷ কার্লসবাড-এর বহু সুদৃশ্য ফ্ল্যাট এখন ‘ফর সেল'৷ কোচোয়ান কাটেরিনা-র গাড়ির যাত্রী কমে গেছে৷ কাটেরিনা যে সব নামিদামি দোকানপাটের পাশ দিয়ে গাড়ি চালান, তাদেরও শাঁসালো খদ্দেরের সংখ্যা কমে গেছে৷ কাটেরিনা'র মন্তব্য: ‘‘এখানে মরসুম শুরু হয় মে মাসে – অক্টোবর অবধি সবকিছু ভর্তি থাকে৷ কিন্তু অবস্থা দেখলে মনে হবে, যেন এখনই হেমন্ত এসে গেছে৷''
কার্লসবাডের সেন্ট পিটার্সবার্গ হোটেলে এ বছর ৫০ শতাংশ কম অতিথি৷ রুশিদের ভয় হলো, ইউরোপে তাদের ক্রেডিট কার্ড আটকে দেওয়া হতে পারে৷ কার্লসবাড থেকে ইউক্রেন-রুশ সীমান্তের দূরত্ব তেইশ'শো কিলোমিটার – তা সত্ত্বেও সেই সংঘাতের অর্থনৈতিক ফলশ্রুতি কার্লোভি ভারি-তে দৃশ্যমান৷ হয়তো সংশ্লিষ্ট রাজনীতিকদের এই কার্লসবাডে কনফারেন্স করা উচিত – ঠাট্টা করে বলেন টুরিস্টরা৷
আদতে কার্লসবাড ছিল জার্মানদের স্পা, জার্মানদের স্বাস্থ্য ফেরানোর জায়গা৷ রুশদের আসা বন্ধ করলে হয়ত জার্মানরা আবার এখানে আসতে শুরু করবে – কাটেরিনা ও তাঁর পেশাগত সতীর্থদের সেটাই একমাত্র আশা৷