চ্যান্সেলর শলৎস ও তার সরকারের ওপর অসন্তুষ্ট অধিকাংশ জার্মান
২২ আগস্ট ২০২২
পাঁচ মাস আগেও নতুন চ্যান্সেলর ও তার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রতি যথেষ্ট আস্থা ছিল জার্মানদের৷ তবে জরিপ বলছে, এই মুহূর্তে জার্মানির অধিকাংশ মানুষই নতুন সরকার ও চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের ওপর অসন্তুষ্ট৷
ছবি: Michele Tantussi/REUTERS
বিজ্ঞাপন
রোববার জার্মানির বিল্ড আম জনটাগে প্রকাশিত এক জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেয়া শতকরা ৬২ ভাগ জার্মানই মনে করেন চ্যান্সেলর হিসেবে শলৎসের কাজ সন্তোষজনক নয়৷ আইএনএসএ নামের একটি জরিপ প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন অনুযায়ী, শলৎসের প্রতি অসন্তোষ ২৩% বেড়েছে, কারণ গত মার্চের এক জরিপে ৩৯% জার্মান বলেছিলেন জার্মানির নতুন চ্যান্সেলরের কাজে তারা অসন্তুষ্ট৷
তবে ২৫ ভাগ এমন মানুষও আছেন যারা মনে করেন এসপিডি নেতা শলৎস ভালোই কাজ করছেন৷ গত মার্চে এমন মানুষ অনেক বেশি ছিল৷ তখন জরিপে অংশ নেয়া ৪৬% মানুষ জানিয়েছিলেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া চ্যান্সেলর হিসেবে শলৎস ভালোই করছেন৷
আইএনএসএ-র জরিপে জানতে চাওয়া হয়েছিল জোট সরকারের মন্ত্রী পরিষদে যারা আছেন, তাদের মধ্য থেকে সরাসরি চ্যান্সেলর নির্বাচন করার সুযোগ থাকলে কাকে সেই দায়িত্বে দেখতে চাইবেন? জবাবে ২৫% মানুষ বলেছেন অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট হাবেক (গ্রিন পার্টি)-র কথা, ১৯% রায় দিয়েছেন সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিশ মার্স-এর পক্ষে আর শলৎসকে চ্যান্সেলর দেখতে চেয়েছেন মাত্র ১৮% মানুষ৷
জার্মানির নতুন মন্ত্রিপরিষদে যারা আছেন
শলৎস সরকারের মন্ত্রিসভায় নারী রয়েছেন পঞ্চাশ শতাংশ৷ শুধু তাই নয়, দেশটিতে প্রথম কোনো নারী হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ চলুন জেনে নেয়া যাক, কারা কারা রয়েছেন নতুন সরকারে৷
জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির রাজনীতিবিদ ওলাফ শলৎস দেশটির নবম চ্যান্সেলর নির্বাচিত হয়েছেন৷ তিনি এসপিডির চতুর্থ রাজনীতিবিদ যিনি এই পদ পেলেন৷ শলৎস এর আগে ম্যার্কেলের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী এবং ডেপুটি চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ হামবুর্গের সাবেক এই মেয়রের মধ্যডানপস্থি দল গত সেপ্টেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিস্ময়করভাবে জিতে যায়, যদিও গত কয়েক বছর ধরে দলটির জনপ্রিয়তা কম ছিল৷
ছবি: Michael Kappeler/picture alliance/dpa
অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার (এফডিপি)
মিডিয়াস্যাভি ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার ২০১৩ সাল থেকে জার্মানির মুক্ত গণতন্ত্রী দল এফডিপির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন৷ তিনি এমন এক সময় দলটির দায়িত্ব নেন, যখন সেটি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার মতো অবস্থাতেও ছিল না৷ লিন্ডনারের নেতৃত্বে সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি এবং শলৎস সরকারের অর্থমন্ত্রী হয়েছেন দলটির প্রধান৷
অর্থনীতি ও জলবায়ু সুরক্ষামন্ত্রী এবং ভাইস চ্যান্সেলর ব়্যোবার্ট হ্যাবেক (সবুজ দল)
জার্মানির সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনীতি মন্ত্রণালয়ে জলবায়ু সুরক্ষাকে অন্তর্ভূক্ত করতে সক্ষম হয়েছে সবুজ দল৷ আর সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সবুজ দলের সহ-প্রধান ৫২ বছর বয়সি ব়্যোবার্ট হ্যাবেক৷ তিনি দলটির অপেক্ষাকৃত উদারপন্থি ‘বাস্তববাদী’ অংশের সদস্য৷ শিশুদের জন্য বই লেখা এই রাজনীতিবিদ তার নিজের রাজ্য স্লেশভিশ-হল্সটাইনে পরিবেশ এবং কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷
ছবি: Reuhl/Fotostand/picture alliance
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক (সবুজ দল)
সবুজ দলের চল্লিশ বছর বয়সি চ্যান্সেলর প্রার্থী আনালেনা বেয়ারবক চ্যান্সেলর হতে না পারলেও শলৎসের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পেরেছেন৷ তিনি ইতোমধ্যে জার্মানির চীন নীতি কঠোর করার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷
ছবি: Bernd Settnik/picture alliance/dpa
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফায়েজার (এসপিডি)
শলৎসের মন্ত্রিপরিষদের সবচেয়ে বড় বিস্ময় সম্ভবত ন্যান্সি ফায়েজার৷ এসপিডি দলের এই নারী রাজনীতিবিদকে জার্মানির বড় মন্ত্রণালয়গুলোর একটি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন উগ্র ডানপন্থিদের প্রতি সরকার আরো কড়া হতে সম্ভবত তাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ তিনি হচ্ছেন জার্মানির প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
ছবি: Hannibal Hanschke/REUTERS
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখ্ (এসপিডি)
টেলিভিশন টকশো-তে স্পষ্টভাষী হিসেবে জার্মানদের কাছে জনপ্রিয় লাউটারবাখ্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ তিনি করোনা সংক্রমণ রোধে সবার জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করার মতো কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ছবি: picture alliance/dpa
বিচারমন্ত্রী মার্কো ব্যুশমান (এফডিপি)
এফডিপির ৪৪ বছর বয়সি রাজনীতিবিদ মার্কো ব্যুশমান ২০০৯ সালে প্রথম কেন্দ্রীয় সংসদের সাংসদ নির্বাচিত হন৷ পরবর্তীতে দলটির চরম দুর্দিনেও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন তিনি৷ মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষায় তৎপর হিসেবে সুনাম রয়েছে তার৷
ছবি: Torsten Sukrow/SULUPRESS.DE/picture alliance
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিষ্টিন লাম্বব্রেশট্ (এসপিডি)
ম্যার্কেল সরকারের সর্বশেষ বিচারমন্ত্রীকে এবার দেশটির সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক অবশ্য ধারণা করেছিলেন ৫৬ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হবে, কেননা সামরিক বিষয়ে তার জ্ঞান সীমিত৷
ছবি: Hannibal Hanschke/REUTERS
খাদ্য এবং কৃষিমন্ত্রী চেম ও্যজডেমির (সবুজ দল)
সবুজ দলের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ চেম ও্যজডেমির অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারে জায়গা পেলেন৷ জার্মান মন্ত্রি পরিষদে এই প্রথম একজন তুর্কি বংশোদ্ভূত রাজনীতিবদ জায়গা পেলেন৷ তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত চেম প্রায় এক দশক ধরে সবুজ দলের সহ-চেয়ারম্যান৷
১৯৮৯ সালে পূর্ব জার্মানিতে সবুজ দলের প্রথম শাখা চালু করা স্টেফি ল্যামকেকে জার্মানির সবচেয়ে বড় নামের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ ১৯৯৪ থেকে ২০০২ সাল অবধি জার্মান সংসদে থাকাকালে আফগান যুদ্ধে জার্মানির অংশগ্রহণের ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি৷
ছবি: Hendrik Schmidt/picture alliance/dpa
পরিবহণ ও ডিজিটাল অবকাঠামোমন্ত্রী ফল্কার ভিসিং (এফডিপি)
সঙ্গে গড়া জোট সরকারে তাই তিনি অপরিচিত কোনো মুখ নন৷ এর আগে পাঁচ বছর রাইনল্যান্ড-পালাটিনাট রাজ্যের রাজ্য সংসদে অর্থনীতি মন্ত্রণালয় সামলেছেন তিনি৷
ছবি: Michael Kappeler/picture alliance/dpa
নির্মাণ এবং গৃহায়ণমন্ত্রী ক্লারা গেভিৎস (এসপিডি)
শলৎসের মন্ত্রিপরিষদে জায়গা পাওয়া প্রাক্তন পূর্ব জার্মানির দুই রাজনীতিবিদের একজন ক্লারা গেভিৎস৷ জার্মানিতে বেড়ে ওঠা গৃহায়ণ সমস্যার সমাধানে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷
ছবি: Imago Images/M. Müller
শ্রম এবং সমাজ বিষয়ক মন্ত্রী হুবার্টাস হাইল (এসপিডি)
ম্যার্কেলের সর্বশেষ সরকারে থাকা পদটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন এসপিডির হাইল৷ তার দল যে তার উপর সন্তুষ্ট - এটা তারই ইঙ্গিত৷ জার্মানিতে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর পাশাপাশি ‘হোম ওয়ার্কার’-এর ঘাটতি মোকাবিলা ও তাদের মজুরি বৃদ্ধিতে মনোযোগ দেবেন তিনি৷
ছবি: Uwe Koch/Eibner-Pressefoto/picture alliance
অর্থনীতি সহায়তা এবং উন্নয়নমন্ত্রী স্যোয়েনিয়া শুলৎসে (এসপিডি)
ম্যার্কেল সরকারের পরিবেশমন্ত্রী স্যোয়েনিয়া শুলৎসে হচ্ছেন শলৎসের প্রথম উন্নয়নমন্ত্রী৷ ৫৩ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ পরমাণু বিদ্যুতের ঘোরবিরোধী এবং বিভিন্ন পরিবেশ বিষয়ক সংস্থার সদস্য৷
ছবি: Birgit Maass/DW
শিক্ষা এবং গবেষণামন্ত্রী বেটিনা স্টার্ক-ভাটসিঙ্গার (এফডিপি)
হাসে এফডিপির প্রধান ৫৩ বছর বয়সি বেটিনা স্টার্ক-ভাটসিঙ্গার নতুন জোট সরকারের অন্যতম সমঝোতাকারী ছিলেন৷ অর্থ এবং শিক্ষাবিষয়ক নীতির বিশেষজ্ঞ তিনি৷
ছবি: Michael Kappeler/picture alliance/dpa
পরিবার, জ্যেষ্ঠ নাগরিক, নারী, এবং যুবমন্ত্রী আনে স্পিগেল (সবুজ দল)
৪১ বছর বয়সি আনে স্পিগেল ইতোমধ্যে রাজনীতিতে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন৷ রাজ্য পর্যায়ে পরিবার, এবং জলবায়ু সুরক্ষা মন্ত্রণালয় সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তার৷ এবার কেন্দ্র সরকারে তার অবস্থান নিশ্চিত হলো৷
ছবি: Armando Babani/AFP
‘চিফ অব স্থাফ’ এবং স্পেশাল অ্যাফেয়ার্সমন্ত্রী ভল্ফগাং স্মিডট (এসপিডি)
মন্ত্রিপরিষদে শলৎসের ডানহাত হবেন ভল্ফগাং স্মিডট৷ শলৎস যখন হামবুর্গের মেয়র ছিলেন, তখন তিনি তার সঙ্গে কাজ করেছেন৷ তিন দলের মধ্যকার মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কাজে মূলত সমন্বয় করবেন স্মিডট৷
ছবি: Kay Nietfeld/picture alliance/dpa
সংস্কৃতি এবং গণমাধ্যম বিষয়ক কমিশনার ক্লাউডিয়া ব়্যুথ (সবুজ)
জার্মানির সংস্কৃতি নীতি নিয়ে কাজ করবেন ক্লাউডিয়া ব়্যুথ৷ চ্যান্সেলরের দপ্তরে ডয়চে ভেলের দায়িত্বেও থাকবেন ৬৬ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ৷ লেখক: বেন নাইট, লিসা হ্যানেল / এআই
ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance
18 ছবি1 | 18
শলৎসের দল এসপিডি আর ব্যবসাবান্ধব দল এফডিপি এবং সবুজ দলের জোট সরকার শপথ নিয়েছে গত ডিসেম্বরে৷ করোনা সংকটের ধকল সামলাতে থাকা জার্মানিতে তার দু মাস পরই লেগেছে ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা৷ পণ্যের দাম বাড়ছে, বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি, বাড়ছে জ্বালানি সংকট৷ সব মিলিয়ে খুবই জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি এখন শলৎসের সরকার৷ জনমনেও পড়ছে এসবের প্রভাব৷ জরিপে দেখা গেছে, গত মার্চে এই সরকারের প্রতি যেখানে মোট ৪৩% মানুষ নেতিবাচক মানসিকতা দেখিয়েছিল, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬৫%৷ অর্থাৎ, প্রতি ১০০ জনে ৬৫ জন জার্মান মনে করেন জোট সরকারের পারফরম্যান্স মোটেই সন্তোষজনক নয়৷ গত মার্চে এমন মানুষ ছিল শতকরা ৪৩ ভাগ৷ তখন শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষ বলেছিলেন নতুন সরকারের পারফরম্যান্সে তারা সন্তুষ্ট৷ এখন জার্মানিতে সরকারের কাজে সন্তুষ্ট মানুষ মাত্র ২৭%৷
আইএনএসএ-র জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, জার্মানিতে এখন বিরোধী দলগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷ তাই ২৮% মানুষ বলেছেন দল হিসেবে সিডিইউ এবং সিএসইউ ভালো৷ ক্ষমতাসীনদের মধ্যে গ্রিন পার্টি পেয়েছে ২২% ভোট (আগের চেয়ে ৭% কম), এসপিডি পেয়েছে ১৯% (আগেও ছিল ১৯%) এবং এফডিপি পেয়েছে ৮% ভোট৷
জার্মানির নতুন সরকার: ফ্যাশনে পরিচয়?
বুধবার জার্মানিতে নতুন সরকার শপথ নিচ্ছে৷ তিন দলের জোট সরকারের শীর্ষ নেতাদের পোশাক নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থার আভাস দিচ্ছে বলে মনে করছেন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance
‘যেন রক ব্যান্ডের সদস্য’
জার্মানির ভবিষ্যৎ চার মন্ত্রী৷ (বাঁ থেকে) ভাইস চ্যান্সেলর এবং ইকোনমি ও জ্বালানিমন্ত্রী রোব্যার্ট হাবেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক, পরিবহন ও ডিজিটাল অবকাঠামো মন্ত্রী ফল্কার ভিসিং এবং অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার৷ কেউ টাই পরেননি৷ আরেকজনের পায়ে স্নিকার৷ জোট সরকার গঠনের আলোচনায় অংশ নিতে তারা এভাবেই গিয়েছিলেন৷ পরে ইতিহাসবিদ ক্লাওদিয়া গাৎস্কা বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে ইন্ডি রক ব্যান্ডের সদস্য৷’’
ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance
ভবিষ্যৎ চ্যান্সেলর
জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে বুধবার শপথ নিতে যাচ্ছেন ওলাফ শলৎস৷ ম্যার্কেল সরকারে তিনি অর্থমন্ত্রী ও ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন৷ ছবিতে এ বছর ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে এভাবেই অংশ নিয়েছেন তিনি৷ টি-শার্টের সঙ্গে ছিল ট্রাউজার৷ নির্বাচনি প্রচারণার সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, চ্যান্সেলর হলে সবসময় টাই পরবেন কিনা৷ উত্তরে বলেছিলেন, বেশিরভাগ সময় পরবেন, সবসময় নয়৷
ছবি: Bernd von Jutrczenka/dpa/picture alliance
সাধারণত তারা যা পরেন
২৬ সেপ্টেম্বর জার্মানিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর জোট সরকার গড়তে আলোচনা শুরু করেছিল সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি, সবুজ দল ও মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি দল৷ ২৪ নভেম্বর তারা জোট চুক্তিতে উপনীত হয়৷ ছবিটি সেই দিনের৷ খেয়াল করে দেখুন, ডানে থাকা ইকোনমি ও জ্বালানিমন্ত্রী রোব্যার্ট হাবেক টাই পরেননি৷ তাকে কখনো টাই পরতে দেখা যায়নি৷
ছবি: Markus Schreiber/AP/picture alliance
‘নতুন শুরুর পক্ষে’
ছবিঘরের প্রথম ছবি ‘রক ব্যান্ডের’ যে সদস্যদের দেখেছেন এই ছবিতেও তাদের দেখতে পাচ্ছেন৷ জার্মান নির্বাচনের দুদিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর তোলা এই ছবিতে সবুজ দল ও এফডিপির শীর্ষ চার নেতাকে দেখা যাচ্ছে৷ ইতিহাসবিদ ক্লাওদিয়া গাৎস্কা বলেন, ‘‘এ বছরের নির্বাচনে যারা জিতেছেন তারা দেখাতে চান যে তারা পরিবর্তনের পক্ষে, নতুন শুরুর পক্ষে৷ নিজস্ব স্টাইল দিয়ে তারা সেটা ফুটিয়ে তুলেছেন৷’’
ছবি: Instagram/@volkerwissing/via Reuters
সমালোচনা
ফ্যাশন ডিজাইনার ভল্ফগাং ইয়ুপ ভবিষ্যৎ চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস (বামে) ও ভাইস চ্যান্সেলর রোব্যার্ট হাবেকের (ডানে) পোশাকের কড়া সমালোচনা করেছেন৷ স্পিগেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘তাদের পোশাক অসহায়ত্বের একটা মাত্রার প্রতীক৷’’ হাবেকের মাঝেমধ্যে টাই পরা উচিত বলেও তিনি মনে করেন৷ ‘‘কেউ যদি পোশাককে অবহেলা করে সেটা তার চিন্তাভাবনার ধরনকে প্রতিফলিত করে,’’ বলেন তিনি৷
ছবি: Christophe Gateau/dpa/picture alliance
‘স্বাভাবিক’
স্টাইলের উপর কয়েকটি বইয়ের লেখক ব্যার্নহার্ড রোয়েৎসেল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সময় পালটেছে৷ এখনকার ‘বিজনেস লুক’ অনেকটাই কম ফর্মাল৷ তাই তিন নতুন নেতার (হাবেক, শলৎস, লিন্ডনার) পোশাক-আশাক এখনকার যুগে একেবারেই ‘স্বাভাবিক’৷’’ সাইকোলজিস্ট ইয়েন্স ল্যোনেকার মনে করেন, ঐ তিন নেতা যে সাদা শার্ট পরেন সেটাকে ক্লাসিক বিজনেস লুক মনে করা যেতে পারে, যা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রতীক৷
ছবি: Frank Molter/Alexey Vitvitsky/Malte Krudewig/dpa/picture alliance
হাই হিলের বেয়ারবক
ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক প্রায় সবসময় উঁচু হিল পরেন৷ ফ্যাশন এক্সপার্ট রোয়েৎসেল মনে করেন, ‘‘এটা তাকে স্টাইলিশের চেয়ে সময়ের চেয়ে পেছনে পড়ে থাকা মানুষ বানিয়ে দেয়৷’’ এছাড়া বেয়ারবক যে সবসময় সর্বাধুনিক ফ্যাশন ট্রেন্ড মেনে চলেন তা মনে করেন না রোয়েৎসেল৷
ছবি: K. Schmitt/Fotostand/picture alliance
স্নিকার পরে মন্ত্রীর শপথ
বেয়ারবকের সবুজ দলের অন্যতম বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ছিলেন ইয়শকা ফিশার৷ ১৯৮৫ সালে হেসে রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি স্নিকার পরে হাজির হয়েছিলেন (ডানে)৷ পরে ১৯৯৮ সালে তিনি জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন৷ তখন অবশ্য ‘আনুষ্ঠানিক পোশাক’ পরেছিলেন তিনি (বামে)৷
ছবি: Michael Jung/Heiz Wieseler/dpa/picture alliance
সেরা পোশাক পরা ব্যক্তি
পুরুষদের ম্যাগাজিন জিকিউ ২০১৬ সালে জার্মানির বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাসকে জার্মানির সবচেয়ে সেরা পোশাক পরা মানুষ নির্বাচিত করেছিল৷