1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এনএসএ-র কোপদৃষ্টিতে শ্র্যোডার

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

জার্মান মিডিয়ার অনুসন্ধানে প্রকাশ পায় যে, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের পূর্বসূরি গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের টেলিফোনেও আড়ি পেতেছে মার্কিনিরা৷ শ্র্যোডার সরকারের ইরাক যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট হতে আপত্তিই ছিল নাকি তার কারণ৷

George W. Bush / Gerhard Schröder / 2005
ছবি: AP

সরকারি এনডিআর বেতার ও টেলিভিশন সংস্থা এবং ‘স্যুডডয়চে সাইটুং' পত্রিকার যৌথ গবেষণায় এই নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে: জার্মান চ্যান্সেলর ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ রাজনীতিকদের টেলিফোনের ওপর মার্কিনিদের আড়ি পাতার কাজ শুধু ২০১৩ সালের ঘটনা নয়, সে কাজ তার দশ বছর আগেই শুরু হয়েছে, চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের নেতৃত্বাধীন লাল-সবুজ সরকারের আমলে৷

সালটা ছিল ২০০৩, ইরাক যুদ্ধ সবে শুরু হতে চলেছে, শ্র্যোডার সরকার যা-তে অংশগ্রহণ করা পুরোপুরি নাকচ করেন৷ সবুজদের ইয়শ্কা ফিশার তখন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ফলে ফিশারের টেলিফোনের ওপরেও আড়ি পাতা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ এবং যথারীতি: কোন কোন রাজনীতিকের টেলিফোনে কী পরিমাণ আড়ি পাতা হয়েছে, তা বলার ক্ষমতা একমাত্র এনএসএ কিংবা খোদ এডোয়ার্ড স্নোডেনেরই আছে৷

এডোয়ার্ড স্নোডেনছবি: picture-alliance/dpa

আর যে জার্মান রাজনীতিক – সবুজ দলের সাংসদ হান্স-ক্রিস্টিয়ান স্ট্রোবেলে – সম্প্রতি মস্কোয় গিয়ে স্নোডেনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন, তিনিও এনডিআর ও স্যুডডয়চে সাইটুং-এ প্রকাশিত খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন৷ ইরাক যুদ্ধের আমলে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সবুজ দলের ইয়শ্কা ফিশারের টেলিফোনের ওপর আড়ি পাতার কথা স্ট্রোবেলের অজ্ঞাত নয়৷

জার্মান মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, মার্কিন ন্যাশনাল সিকিওরিটি এজেন্সি বা এনএসএ ২০০২ সাল থেকেই তাদের আড়ি-পাতা ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানের তালিকায় গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের নাম দেখিয়ে আসছে – ৩৮৮ নম্বরে৷ মজার কথা, স্নোডেনের তাঁবে থাকা একটি সাম্প্রতিক নথিতেও ‘‘২০০২-৩৮৮'' এই সংখ্যাটিতেই বর্তমান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের টেলিফোনের ওপর আড়ি পাতার উল্লেখ আছে৷ গোড়ায় এই তথ্য থেকে ধরে নেওয়া হয়েছিল যে, ম্যার্কেলের টেলিফোনের ওপর ২০০২ সাল থেকে আড়ি পাতা হচ্ছে – যদিও আসল ব্যাখ্যা হলো: চ্যান্সেলর বদলেছে, আড়ি পাতাও চলেছে এবং ফাইল নাম্বার দৃশ্যত অপরিবর্তিতই থেকেছে৷

সাবেক চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার পুরো ঘটনাবলীর কথা শুনে বলেছেন: ‘‘সে আমলে আমি ভাবতে পারতাম না যে, মার্কিন গুপ্তচর বিভাগ আমার টেলিফোনে আড়ি পাতছে৷ কিন্তু আজ আর আমি এই খবরে আশ্চর্য হচ্ছি না৷''

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ