1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়ার্নকে এবার রোখে কে?

৩ অক্টোবর ২০১৩

বুধবার গ্রুপ ‘ডি’-র ম্যাচে ম্যান সিটিকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর খেলার বিশ্লেষণ করেছেন আরিয়েন রবেন! কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা বলছেন, প্রতিপক্ষকে হেনস্থা করা উচিত নয়৷ ওদিকে রেয়াল মাদ্রিদের গোল দেওয়া চলেছে চার সিলিন্ডারে৷

Bayern Munich's Arjen Robben (L) shoots to score during their Champions League soccer match against Manchester City at the Etihad Stadium in Manchester, northern England October 2, 2013. REUTERS/Phil Noble (BRITAIN - Tags: SPORT SOCCER)
ছবি: Reuters

বায়ার্ন জিতল কেন, ব্রিটেনের স্কাই স্পোর্টস চ্যানেলকে তার ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন বায়ার্নের উইঙ্গার আরিয়েন রবেন: ‘‘ইউরোপের এত বড় একটা দলের বিরুদ্ধে আমরা এভাবে চেপে ছিলাম – খেলাটা যে এত সহজ হবে, তা আমরা ভাবতে পারিনি৷''

রবেনের অ্যানালিসিস যেন সহকারী কোচের প্যাডে আঁকা ছবি: ‘‘আমরা ওদের জায়গা দিইনি, সামনের দিকে চেপে চলেছি৷ কখনো-সখনো ওরা আমাদের বড্ড বেশি জায়গা দিয়েছে, আর আমরা এমন একটা দল, যারা জায়গা পেলে তার সদ্ব্যবহার করতে জানে বলে আমার ধারণা৷''

রবেন তথা বায়ার্নের কোচ গুয়ার্দিওলা কিন্তু পরাজিত প্রতিপক্ষকেও তাচ্ছিল্য করার বিপক্ষে: সেটা নাকি অভব্যতার লক্ষণ৷ অভব্যতা? অশ্রদ্ধা? খেলার ৬১ ভাগ সময় বল ছিল বায়ার্নের পায়ে, ৩৯ শতাংশ সময় ম্যান সিটির পায়ে৷ বায়ার্ন ১৩ বার প্রতিপক্ষের গোলের দিকে টার্গেট করেছে; ম্যান সিটি মাত্র দু'বার৷

কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা...ছবি: Reuters

‘রবারি' প্লাস ম্যুলার

ফ্রঙ্ক রিবেরি বায়ার্নের হয়ে প্রথম গোলটি করেন: এমন ক্ষিপ্র গতিতে যে টেলিভিশনের সামনে বসেও দর্শকদের রিপ্লের অপেক্ষায় থাকতে হয়৷ টোমাস ম্যুলারের দ্বিতীয় গোলটি ওঁর মতো একজন ফরোয়ার্ডের ঠিক যেমনটি হওয়া এবং করা উচিত: বল রিসিভ করো, গোলিকে ডিসিভ করো, বলটা গোলে ঠেলে দাও৷ বায়ার্নের তৃতীয় গোলটি শুধু একটি কারণেই ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলবে: আরিয়েন রবেন বলটা ডানদিকে কাটিয়ে ডান পা-য়ের শটে গোল করছেন! এতে শুধু ম্যান সিটির জো হার্ট কেন, দুনিয়ার যে কোনো গোলকিপারের ধাঁধাঁ লেগে যাওয়ার কথা৷

পেপ গুয়ার্দিওলা বায়ার্নের প্রতিটি গোলে হাতে মুঠো পাকিয়ে হর্ষ প্রকাশ করলেও, তাঁর সমালোচনা বিভীষণ: বায়ার্নদের সেট-পিস প্লে – অর্থাৎ স্ট্যান্ডার্ড সিচুয়েশন থেকে গোল করার প্রচেষ্টাগুলোকে বলেছেন ‘‘একটা বিপর্যয়, নিদারুণ খারাপ''৷ তবে ওটা ইমপ্রুভ করার টাইম আছে৷ বুধবার তো ছিল এই চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযানের মাত্র দ্বিতীয় খেলা৷ এটাও পেপের মন্তব্য৷

দুর্দান্ত আরিয়েন রবেন....ছবি: CHRISTOF STACHE/AFP/Getty Images

বাকিরা

গ্রুপ ‘এ'-তে বায়ার লেভারকুজেনও জিতেছে রেয়াল সোসিয়েদাদের বিরুদ্ধে, ২-১ গোলে৷ এক্ষেত্রে ইয়েন্স হেগেলারের ফ্রি-কিকটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ তবে জার্মানদের ছেড়ে বাকিদের দিকে নজর ফেরালে প্রথমেই বলতে হবে রেয়ালের গোল-মেশিনের কথা: গালাতাসারাই-এর বিরুদ্ধে ছ'বার নেটে বল ঝোলানোর পর মাদ্রিদ এবার এফসি কেপেনহাগেনকে হারিয়েছে ৪-০ গোলে৷ তার মধ্যে দু'টি গোল ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর৷ ওদিকে পিএসজি-র হয়ে বেনফিকা লিসাবনের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জয়ে স্লাটান ইব্রাহিমোভিচও দু'টি গোল করেছেন৷ তবে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন অলিম্পিয়াকোস পিরেউস-এর কস্তাস মিত্রোগলু, যিনি আন্ডারলেশ্টের বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করেছেন৷ খেলার স্কোর? তিন-শূন্য৷

ফুটবলে ওঠা-নামা দুই-ই আছে৷ তাই খোদ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শাখতার ডোনেৎস্কে গিয়ে ১-১ গোলে ড্র-এর বেশি কিছু করতে পারেনি৷ ওদিকে গ্যালাতাসারাই খেলার মাত্র দু'দিন আগে নতুন কোচ রবের্তো মানসিনিকে পেয়েছে – মানসিনি নাকি এখনো পর্যন্ত প্লেয়ারদের নামগুলোই শিখে উঠতে পারেননি৷ কিন্তু সেই গ্যালাতাসারাই বুধবার খোদ ইউভেন্তুসের কাছ থেকে একটি পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে ২-২ গোলে ড্র করে৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ