ছত্তিশগড় বিধানসভার ৯০টি আসনের মধ্যে প্রথম দফার ভোট হয় সোমবার৷ সবক'টিই মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায়৷ অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা সত্ত্বেও বিস্ফোরণ ও মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই এড়ানো যায়নি৷
বিজ্ঞাপন
ছত্তিশগঢ় বিধানসভা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা৷ তারপরও সোমবার রাজ্য বিধানসভার মোট ৯০টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনের ভোট হয় মাওবাদী উপদ্রুত এলাকাগুলিতে৷ উপজাতি প্রধান ঐ সব জঙ্গল এলাকা মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি বলে চিহ্নিত৷ ভোটের কয়েকদিন আগে কম করে আধ ডজন আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা৷ তাতে মারা যায় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সাব-ইন্সপেক্টর, আহত হন আরেকজন নিরাপত্তা কর্মী৷মাওবাদীরা জায়গায় জায়গায় পোস্টার সেঁটেহুঁশিয়ারি দেয় – যাঁরা ভোট দিতে যাবে তাঁদের যে আঙুলে ভোট দেবার কালি চিহ্ন থাকবে, সেই আঙুল কেটে ফেলা হবে৷ ভোটের দিনও একটি ভোটকেন্দ্রের অদূরে বোমা বিস্ফোরণ হয়৷ অন্য একটি ভোটকেন্দ্রের পাশ থেকে তিনটি আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ৷ সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে বম্ব স্কোয়াড৷ ভোট চলাকালীন অন্য একটি কেন্দ্রে মাওবাদীদের সঙ্গে দীর্ঘ গুলির লড়াই চলে নিরাপত্তা বাহিনীর৷ নিকেশ হয় পাঁচ মাওবাদী৷ আর পালটা হামলায় গুরুতর জখম হয় কোবরা কমান্ডো বাহিনীর দুই জওয়ান৷
আতঙ্ক ও উত্তেজনার আবহেও জীবন বাজি রেখে ভোট দেন ৭০ শতাংশের মতো ভোটার৷ এর আপাত কারণ ৩১ লাখ ভোটারের জন্য অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ প্রায় সোয়া লাখ নিরাপত্তা জওয়ান মোতায়েন করা হয় এলাকায়৷ আকাশপথে মাওবাদীদের গতিবিধির দিকে নজর রাখতে ব্যবহার করা হয় ২০টি দ্রোন এবং সেনা হেলিকপ্টার৷ অনেকে ভোট দেবার বিপদ অগ্রাহ্য করতে পারেনি৷ তাঁরা মনে করেন, ভোট শেষ হলে চলে যাবে এইসব নিরাপত্তা জওয়ান৷ তখন মাওবাদীদের হাত থেকে বাঁচাবে কে? গণতন্ত্র? ওটা মাথায় থাক৷ ওটা খায় না মাখে, সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা নেই এই আদিবাসী জনজাতি ভোটদাতাদের৷
‘কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক নয়’
সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাওবাদীদের এই দাপটের কারণ কী? উগ্র বামপন্থিরা আধা সামরিক বাহিনীর চাপে আশ্রয় নেয় জঙ্গল এলাকার উপজাতি অঞ্চলে৷ উপজতিদের মগজ ধোলাই করে জনজাতিদের দলে ভেড়ায়৷ ট্রেনিং দেয় গেরিলা যুদ্ধে৷ পরিবর্তন আসে মাওবাদী নেতৃত্বেও৷ মাওবাদীদের বিভিন্ন শাখা এক হয়ে ২০০৪ সালে নাম নেয় কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)৷ শুরু করে তথাকথিত বিপ্লবী রাজনৈতিক আন্দোলন৷ এই অবৈধ আন্দোলন ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয় ভারতের মধ্য ও উত্তর-মধ্য অঞ্চলে, যা ‘লাল করিডোর' নামে পরিচিত৷
অন্যদিকে, পাঁচটি রাজ্য বিধানসভা ভোটের জয়-পরাজয় নিয়ে আগাম জল্পনা শুরু হয়েছে পর্যবেক্ষক মহলে৷ তাঁদের মতে, এটা নাকি আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের সেমিফাইনাল৷ পাঁচটি রাজ্য ছত্তিশগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামের মোট সংসদীয় আসন সংখ্যা ৮৩টি৷ তেলেঙ্গানায় শাসকদল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি এবং মিজোরামে কংগ্রেস৷ বাকি তিনটি রাজ্যে শাসকদল বিজেপি৷ ছত্তিশগঢ়ে মায়াবতীর বিএসপি এবং জনজাতি নেতা অজিত যোগীর নব গঠিত জনতা কংগ্রেস বিজেপিকে হারাতে জোট বেধেঁছে৷ এই জোট উপজাতি ভোট টানবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
বিজেপিকে চিনে নিন
ভারতে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি৷ বর্তমানে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে সর্বাধিক প্রতিনিধিত্ব রাখা দলটি সদস্য সংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম৷ ঐতিহাসিকভাবে হিন্দু-জাতীয়তাবাদী অবস্থানের বিজেপির গল্প এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. K. Singh
আদর্শগত উৎস
বিজেপিকে চিনতে হলে ‘সংঘ পরিবার’-এর অন্তর্গত হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির উৎস আরএসএস অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে জানা দরকার৷ বিশ্বের বৃহত্তম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মারাঠি চিকিৎসক কেশব হেডগেওয়ার৷ ১৯২৫ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ ভি ডি সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’ চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণই আরএসএস-এর প্রধান উদ্দেশ্য৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরত্ব
কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে দূরে ছিল আরএসএস৷ ১৯৪০-এর দশকে সংগঠনের নেতা হিসেবে এম এস গোলওয়ালকর হিন্দু রাষ্ট্র গড়তে ব্রিটিশ বিরোধিতার বদলে ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ডাক দেন৷ উল্লেখ্য, পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া অটলবিহারী বাজপেয়ী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় সত্যাগ্রহীদের সাথে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন৷ লিখিত মুচলেকা দিয়ে আন্দোলনে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাড়া পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M.Desfor
দেশভাগ ও আরএসএস
দেশভাগের সময় আরএসএস পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের সাহায্য করে৷ আরএসএস ও বর্তমানের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির কর্মীরা মনে করেন, দেশভাগ মুসলিমদের প্রতি নরম আচরণের ফল৷ এজন্য গান্ধী ও নেহরুকে বিশেষভাবে দায়ী মনে করেন তাঁরা৷ স্বাধীনতার পর কংগ্রেসকে ঠেকাতে ১৯৫১ সালে জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ সেই জনসংঘই আসলে বিজেপির উৎস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
জরুরি অবস্থা ও জনতা পার্টির জন্ম
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন৷ বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে জনসংঘের অসংখ্য সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা শেষে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন৷ কংগ্রেসকে হারাতে অন্যান্য দলের সঙ্গে মিলে যায় জনসংঘ, জন্ম নেয় জনতা পার্টি৷ নির্বাচনে জিতেও যায় জনতা পার্টি৷ প্রধানমন্ত্রী হন মোরারজি দেশাই৷ স্বাধীন ভারতে সূচিত হয় হিন্দুত্ববাদীদের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ জয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজেপির জন্ম
১৯৮০’র পর দল ও আরএসএসের দ্বৈত সদস্য হবার বিধান না থাকায় জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি৷ নতুন দলে নতুন সদস্য যোগ দিলেও, গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল পুরোনোদের দাপট৷ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন বাজপেয়ী৷ মূলত, ইন্দিরা হত্যার পর ভোটে খারাপ করার কারণেই নেতৃত্বে এই পরিবর্তন৷ তবে বিজেপির উত্থান শুরু ১৯৮৪ সালে৷ সে বছর দলের সভাপতি হন লালকৃষ্ণ আডবানি৷ রাম জন্মভূমির দাবিকে ঘিরে তাঁর নেতৃত্বেই শক্তিশালী হতে থাকে বিজেপি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Raveendran
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও বাবরি মসজিদ
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই বিজেপি সরাসরি ধর্মের রাজনীতিতে নামে৷ বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির গঠনের দাবিতে সারা দেশ থেকে অযোধ্যার পথে রওয়ানা দেয় হাজার হাজার ‘করসেবক’৷ পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে উত্তেজিত জনতা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হন দু’ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/D .E. Curran
সরকার গঠন ও জোটের রাজনীতি
সাম্প্রদায়িক আবেগকে হাতিয়ার করে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১৬১টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়৷ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন অটলবিহারী বাজপেয়ী৷ কিন্তু ১৩ দিন পর, লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি৷ ১৯৯৬ সালে আঞ্চলিক দলগুলির একটি জোট সরকার গঠন করে৷ কিন্তু সেই সরকারের স্থায়িত্ব দীর্ঘ হয়নি৷ ১৯৯৮ সালে আবার নির্বাচন হয়৷
ছবি: UNI
প্রথম এনডিএ সরকার
নির্বাচনে জিতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গড়ে৷ জোটে অংশগ্রহণ করে সমতা পার্টি, অকালী দল, শিব সেনা, নিখিল ভারত আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গম (এআইএআইডিএমকে), বিজু জনতা দল ও শিব সেনা৷ ১৯৯৯ সালে তাঁরা সংসদে ৩০৩টি আসন জিতলে বাজপেয়ী তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন৷ পাঁচ বছরের পূর্ণমেয়াদী এই জোট সরকার প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসের মোকাবিলার পাশাপাশি নব্য-উদার অর্থনীতির ওপর জোর দেয়৷
ছবি: Imago/photothek/T. Koehler
দুর্নীতি ও দাঙ্গায় কোণঠাসা বিজেপি
বিজেপির জয়রথে প্রথম ‘বাধা’ গোধরা দাঙ্গা৷ তীর্থযাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগাকে ঘিরে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যান৷ তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতার নাম এই দাঙ্গার সাথে জড়ায়৷ বিজেপি-প্রধান বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ৷ সব মিলিয়ে বিপন্ন বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট ২০০৪ সালে নতুন সরকার গড়ে৷ প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং৷
ছবি: AP
নেতৃত্বে কে? মোদী, না আডবাণী?
২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে বিজেপি৷ অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দলের নেতৃত্বের দায়ভার বর্ষীয়ান নেতা এল কে আডবানির ওপর বর্তানোর কথা উঠলেও, বাস্তবে তা হয়নি৷
ছবি: AP
মোদীর উত্থান
বিজেপির ইতিহাসে ব্যক্তিকেন্দ্রীক নির্বাচনী প্রচার মোদীর ক্ষেত্রেই প্রথম৷ পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে মোদীর ‘গুজরাট মডেল’-কে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরা হয় প্রচারে৷ সুবক্তা মোদী শীঘ্রই হয়ে ওঠেন তরুণ প্রজন্ম থেকে সংবাদমাধ্যম, সকলের প্রিয়পাত্র৷ নির্বাচনের আগে বিজেপি হিন্দু জাতীয়তাবাদকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে গেলেও, মোদীর প্রাক-নির্বাচন বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল ‘হিন্দুত্ব’৷
ছবি: picture alliance/AA/M. Aktas
মোদী থেকে ‘মোদীজি’
২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে৷ ভোটারদের কংগ্রেসের প্রতি অনাস্থার পাশাপাশি বিজেপির সাফল্যের আরেকটি কারণ ছিল আরএসএসের নিঃশর্ত সমর্থন৷ নরেন্দ্র মোদীই হন প্রধানমন্ত্রী৷ পিউ গবেষণা কেন্দ্রের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রথম বছরের তুলনায় বর্তমানে মোদীর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে, যা ২০১৯-র নির্বাচনে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির জন্যও নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয়৷
ছবি: Reuters
12 ছবি1 | 12
পাঁচটি রাজ্যের চলতি বিধানসভার ফলাফলকে ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের সেমিফানাল বলা যায় কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় ডয়চে ভেলে বললেন যে তিনি তা মনে করেন না৷ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক নয়৷ আলাদা৷ বিভিন্ন বিরোধী দলগুলির মহাজোটের কোনো ছাপ এখানে দেখা যাচ্ছে না৷ চলতি ভোটের ফলাফল বিজেপির পক্ষে বা বিপক্ষে থাকতে পারে৷ কিন্তু আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট কতটা জোরদার হবে, তার ওপরে নির্ভর করছে সব কিছু৷ বিরোধী দলগুলি যদি এককভাবে লড়ে, তাহলে বিজেপির অসুবিধা হবার কথা নয়৷
ভারতীয় রাজনীতিতে অতি সরলীকরণ বা বিশ্লেষণ হলো, এই ভোটে বিজেপি এখানে হেরে গেল, তাতে বিজেপি পরেরবারেও হেরে যাবে সেটা আমার মনে হয় না৷ বড়জোর একটা ইঙ্গিত হলেও হতে পারে৷ ভারতের রাজনীতি অনেক বদলে গেছে৷ অ্যান্টি-বিজেপি জোট কতটা জোরদার হবে সেটাই আসল কথা৷ সেটার ওপরই নির্ভর করছে আগামী সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল৷ রাজ্য বিধানসভার ফলাফল যদি বিজেপির পক্ষে নেতিবাচক হয়, তাহলে কোথায় তারা কমজোর সেটা শুধরে নেবার একটা সুযোগ পাবে বিজেপি, ডয়চে ভেলেকে বললেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানি প্রতীপ চট্টোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি এটাও সত্যি যে কংগ্রেস বা অন্য বিরোধী দল নিজের জোরে বিজেপির বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না৷ যদি ইউনাইটেড ফ্রন্ট গঠন করে, তাহলে ছবিটা হয়ত বদলে যেতে পারে৷ কাজেই চলতি বিধানসভা নির্বাচনি ফলাফল জাতীয় নির্বাচনের সেমিফাইনাল নয়৷ বরং জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির কর্ম-কৌশলের সেমিফাইনাল৷ ছত্তিশগঢ়ে বাকি ৭২টি আসনের ভোট ২০শে নভেম্বর৷ অন্য চারটি রাজ্য বিধানসভার ভোট ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে৷ ফলাফল ১১ই ডিসেম্বর৷