1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছবির বিষয় যখন ভাঙাচোরা গাড়ি

১৯ মার্চ ২০২০

গাড়ি পুরানো বা অচল হয়ে গেলে বাংলাদেশ-ভারতে সেটির যন্ত্রাংশ, ধাতু ইত্যাদি অনেক উপাদান বিক্রি করা হয়৷ জার্মানির মতো দেশে এককালে গোটা গাড়ি ফেলে রাখা হতো৷ দুই আলোকচিত্রী এমনই গাড়ির ছবি তোলেন৷

Symbolbild Fotograf Fotografin Frau fotografiert Schnappschussfotografie
ছবি: Fotolia/Alexey Klementiev

রাতের অন্ধকারে তাঁরা ভাঙাচোরা, জং-ধরা গাড়ির খোঁজে বেরিয়ে পড়েন৷ গাড়ি যত পুরানো ও ভাঙাচোরা হবে, উভে স্যুল্ফলোন ও টেওডোর বার্ট ততই খুশি হন৷ যেমন ১৯৬০-এর দশকের ফোর্ড কোম্পানির টাউনুস মডেলের একটি গাড়ি জঙ্গলের মাঝে ফেলে রাখা হয়েছে৷

গাড়ির জীবনের চূড়ান্ত পরিণতি নিয়ে এই দুই আলোকচিত্রী এক ছবির সংকলন প্রকাশ করেছেন, তাতে ভাঙাচোরা ও পরিত্যক্ত গাড়ির ১১০টি ছবি শোভা পাচ্ছে৷ পরিত্যক্ত গ্যারেজ, ছাউনি অথবা পেছনের উঠানে তাঁরা এই সব গাড়ির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন৷

প্রায়ই তাঁরা একসঙ্গে মোটিফের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন৷ আশির দশকে ফটো ডিজাইন নিয়ে উচ্চশিক্ষার সময় দু'জনের আলাপ হয়েছিল৷ টেওডোর বার্ট ছবিসহ নিজস্ব প্রতিবেদনের কাজে গোটা বিশ্ব চষে বেড়ান ও বিখ্যাত দ্রুতগতির গাড়ির শৈল্পিক ছবি তোলেন৷

ভাঙাচোরা গাড়ির ফটোগ্রাফি

03:41

This browser does not support the video element.

উভে স্যুল্ফলোন বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ছবি তোলেন এবং নানা শৈল্পিক কনসেপ্ট বা ধারণা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেন৷ ‘লস্ট কার্স' তাঁদের যৌথ প্রকল্প৷ এর জন্য তাঁরা দূরদূরান্তেও পাড়ি দিতে প্রস্তুত৷ তবে ছবির বিষয়বস্তুর অবস্থান তাঁরা ফাঁস করেন না৷ উভে বলেন, ‘‘জায়গার খবর গোপন রাখতে হয়, কারণ, তা না হলে সুযোগসন্ধানীরা শকুনির মতো সেখানে ঠিক পৌঁছে যাবে৷ জনপ্রিয় বা বিরল গাড়ির সন্ধান পেলে সেগুলি ছিন্নবিচ্ছিন্ন করার বিপদ থেকে যায় বৈকি!''

গাড়ির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান করা অনেকটা গোয়েন্দার কাজের মতো৷ যেমন কোলন শহরের দক্ষিণে আইফেল অঞ্চলে ফোর্ড টাউনুস মডেলের খোঁজ পেয়েছেন উভে৷ সম্ভবত সত্তরের দশক থেকে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে৷ আইফেলের বাসিন্দা রাফায়েব ফেয়ারহলৎস বলেন, ‘‘এখানে কোনো জঞ্জালের স্তূপ ছিল না, জঞ্জাল নিতে পৌর কর্তৃপক্ষও আসতো না৷ গ্রামের মানুষ সে যুগে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় আবর্জনা ফেলে আসতো৷ এই পথ দিয়ে আরো এগিয়ে গেলে অতীতের বিশাল এক জঞ্জালের স্তূপের জায়গাটি দেখা যাবে৷ গাড়ি, সাইকেল থেকে শুরু করে কত কিছুই যে সেখানে ফেলা হতো!''

আজকাল এমনটা করলে জার্মানিতে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হয়৷

সন্ধ্যার সময়ে দুই ফটোগ্রাফার জঙ্গলে প্রবেশ করলেন৷ তাঁরা ছবি তোলার জন্য অন্ধকারের সময়টিই বেছে নেন৷ কারণ, একমাত্র এমন অবস্থায় তাঁরা আলোর উপর পুরো নিয়ন্ত্রণ পান৷ টর্চ ও রিমোট ফ্ল্যাশের মাধ্যমে বিষয়বস্তু আলোকিত করতে পারেন৷ উভে স্যুল্ফলোন বলেন, ‘‘পরিস্থিতির মধ্যে অবশ্যই কিছুটা নাটকীয়তা রয়েছে৷ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একসময় আমরা আবিষ্কার করলাম যে, গাড়ির ভেতরের অংশে আলোকপাত করলে সেটিকে যেন পুনর্জীবিত করা যায়৷''

ধ্বংসাবশেষ চিরকালের মতো দূর করার আগে গাড়িটিকে শেষ বারের মতো জীবন্ত করে তোলার রোমাঞ্চই আলাদা৷

ক্রিস্টিয়ান ভাইবেসান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ