1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছবির মতন সুন্দর গ্রাম গাউসাডাল্যুর

১৩ জুলাই ২০১৮

ডেনমার্কের অন্তর্গত স্বশাসিত দ্বীপপুঞ্জ ফেয়ারো আইল্যান্ড৷ সেখানকার অন্যতম প্রত্যন্ত ও ছবির মতো সুন্দর গ্রাম গাউসাডাল্যুর৷ লোকসংখ্যা ১৮৷

Färöer Inseln
ছবি: picture alliance/augenklick/GES

তাঁদের একজন গিসলি হারাউনফিয়র্ড৷ একসময় যেখানে ডাকঘর ছিল, সেখানে বাস করেন তিনি৷ ‘‘ডাকপিয়নকে ঐ পাহাড় পেরোতে হত৷ আঁকাবাঁকা পথ ধরে পাহাড়ে উঠে, তারপর নেমে সারভাগোর গিয়ে চিঠি নিয়ে আসতে হত৷ হ্যাঁ, অনেকটা পথ৷ খুবই দীর্ঘ পথ,'' বলেন হারাউনফিয়র্ড৷

২০০৪ সালে পাহাড়ের নীচ দিয়ে একটি টানেল তৈরি করা হয়৷ ফলে ডাকপিয়ন এখন গাড়ি চালিয়ে গ্রামে যেতে পারেন৷ পর্যটকরাও গ্রামের সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট হয়ে সেখানে যান৷

গিসলি হারাউনফিয়র্ড তাঁর বাড়িতে অতিথিদের স্বাগত জানাতে পছন্দ করেন৷ তিনি তাঁদের ‘ডাকপিয়নের কফি' পানের আমন্ত্রণ জানান – যা একটি পুরনো ঐতিহ্য৷

হারাউনফিয়র্ড বলেন, ‘‘চিঠি আনতে যাওয়ার সময় ডাকপিয়ন কাউকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন৷ কারণ তাহলে আর পথ হারানোর ভয় থাকত না৷ পরে এই রান্নাঘরে এসে তাঁরা মোজা শুকাতেন, গা গরম করতেন, আর সঙ্গে কফি নিয়ে গল্প করতেন৷ আমার স্ত্রী সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে পছন্দ করে৷''

হারাউনফিয়র্ডের স্ত্রী আন আউটনাসটায়ান, শেষ যিনি ডাকপিয়ন ছিলেন, তাঁর নাতনি৷ তিনি ডেনমার্কের মূল ভূখন্ডে কয়েকবছর টেক্সটাইল ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন৷ এখন ঘরে ফিরে তিনি ফেয়ারো আইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী উল নিয়ে কাজ করছেন৷ আউটনাসটায়ান বলেন, ‘‘এই জিনিসটা এত সুন্দর যে, আমি এটা নিয়ে কাজ করতে চাই৷ অতীতে আমরা সবাই এটা ব্যবহার করেছি৷ আগে যখন এমন পোশাক ছিল না, তখন আমরা এরকম পোশাক পরতাম৷ ফেয়ারো আইল্যান্ডে এমন পোশাক থাকা খুবই ভালো, কারণ, জায়গাটা ঠান্ডা৷ তবে মানুষ এখন আর এটা ব্যবহার করছে না৷ আমি তাঁদের বোঝাতে চাই যে, তাঁরা এটা দিয়ে কী করতে পারে৷''

২০১৬ সালের শেষদিকে হারাউনফিয়র্ডের পরিবার গাউসাডাল্যুরে ফিরে যায়৷ তখন থেকে গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে৷ ছোট্ট মায়া গাউসাডাল্যুরে গত ৪৩ বছরে জন্ম নেয়া প্রথম শিশু৷

সেখানে জীবন প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকে৷ গিসলি হারাউনফিয়র্ডের নিজস্ব একটি প্রকল্প আছে৷ মুরগি নিয়ে কাজ তাঁর৷ হারাউনফিয়র্ড বলেন, ‘‘আসল আইসল্যান্ডিক মুরগি খুবই পুরনো জাতের মুরগি৷ তারা ছোট, তবে ভাল ডিম পাড়ে৷ লক্ষ্য হচ্ছে, এই মুরগি থেকে ফেয়ারোস মুরগির জন্ম দেয়া৷ কারণ ফেয়ারো আইল্যান্ডের বাসিন্দারা তাঁদের আসল মুরগি হারিয়ে ফেলেছেন৷ সম্ভবত ওগুলো, এগুলোর মতোই ছিল, কারণ ভাইকিংরা এমন জাতের মুরগিই ইউরোপ থেকে আইসল্যান্ডে নিয়ে গিয়েছিলেন, এখানেও এনেছিলেন৷ কিন্তু ঐ জাতের মুরগি আর নেই, কিংবা অন্য জাতের সঙ্গে মিশে গেছে৷ তাই আমি সেটা ফিরিয়ে আনতে চাই৷ এটাই আমার লক্ষ্য৷''

যদি তাঁর লক্ষ্য পূরণ হয়, তাহলে হারাউনফিয়র্ড হাঁস ও পুরনো খাদ্যশস্যের জাতও ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করবেন৷ বাসিন্দাদের তাঁদের মূলে ফিরে যাওয়ার সঠিক জায়গা গাউসাডাল্যুর৷

ইওয়াখিম রাইন্সহাগেন/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ