1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছবি এঁকে আনন্দ ও সাহায্য দিচ্ছে ব্রিটিশ কিশোরী

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

অন্যদের মনে আনন্দ দিতে ছবি আঁকতে শুরু করে কিশোর বয়সেই নামী চিত্রকর হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের একটি মেয়ে৷ সেই ছবি বিক্রি করে মহৎ কাজের জন্য লাখ লাখ ইউরো সংগ্রহ করা হচ্ছে৷

ডেইজি ওয়াট
ডেইজি ওয়াটছবি: DW

মাত্র ১১ বছর বয়সেই প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের ডেইজি ওয়াট৷ ছয় বছর বয়স থেকেই সে ছবি আঁকছে৷ ডেইজির চিত্রকর্ম শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই৷ তার আঁকা ফুলের ছবি কয়েক হাজার ইউরো দামে বিক্রি হয়৷ আয়ের কিছু অংশ ক্যানসার রোগীদের সহায়তায় দান করে ডেইজি৷

তবে তুলি হাতে নেবার কারণটা মোটেই সুখকর ছিল না৷ সেই সময়ের কথা মনে করে ডেইজি বলে, ‘‘কয়েক বছর আগে আমার নানা ও দাদির প্রায় একই সময় ক্যানসার হয়েছিল৷ তাদের মনে উৎসাহ জোগাতে আমি আঁকতে শুরু করি, কারণ তাদের খুব দুঃখ হয়েছিল৷ আমি আসলে মানুষকে আনন্দ দিতে ভালবাসি৷’’

ক্যানসার রোগীদের সহায়তায় ১১ বছর বয়সি শিল্পী

04:03

This browser does not support the video element.

ক্যারেন ওয়াট মেয়ের প্রতিভা লক্ষ্য করেন এবং ক্যানসার সংগঠনের কল্যাণে ছবিগুলি নিলাম করার সিদ্ধান্ত নেন৷ ডেইজির আঁকা ছবি বিক্রি করে বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের জন্য প্রায় ৫৫,০০০ ইউরো সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এমন মহৎ উদ্যোগ যথেষ্ট স্বীকৃতিও পাচ্ছে৷ যেমন ২০১৯ সালে ডেইজি ‘ইয়র্কশায়ার ইয়ং অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছিল৷ ক্যারেন জানান, ‘‘ডেইজি তার ইচ্ছামতো ছবি আঁকে৷ কখনো কম, কখনো বেশি৷ মানুষজন তার ছবি দেখে প্রশংসা করলে সে খুবই বিব্রত বোধ করে৷’’

ডেইজি একেবারে তার নিজস্ব শৈলি অনুযায়ী আঁকে বটে, কিন্তু তার রংচংয়ে ফুলের ছবির সঙ্গে প্রায়ই ইমপ্রেশনিস্ট ধারার ফরাসি চিত্রশিল্পী ক্লোদ মোনের তুলনা করা হয়৷

করোনা সংকটের সময় চিকিৎসাকর্মীদের সাহায্য করতে ডেইজি নিজের নামের ফুল দিয়ে একটি রংধনু এঁকেছে৷ গ্রিটিং কার্ড ও চুম্বকের মোটিফ হিসেবে সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য পরিষেবা এনএইচএসের জন্য এরই মধ্যে ১,৯০০ ইউরো সংগ্রহ করা গেছে৷

ছবি আঁকা ছাড়াও ডেইজি স্কেটবোর্ডিং করতে, ঘোড়ায় চড়তে ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে ভালবাসে৷ স্থানীয় এক ফুটবল ক্লাবেও সে খেলে৷ নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও একটা ধারণা জন্মাচ্ছে৷ বড় হলে সে বিশ্ব ভ্রমণ করে ছবি তুলতে চায়৷ তারপর ঘরে ফিরে ছবি আঁকতে চায়৷

ডেইজির মা হিসেবে ক্যারেন ওয়াট মনে করেন, ‘‘আশাকরি সে কোনো একদিন নিজের প্রতিভা টের পাবে এবং সেটি কাজে লাগিয়ে কত মানুষকে সাহায্য করেছে তা বুঝবে৷’’

ডেইজির ভবিষ্যৎ যে তারই আঁকা বর্ণিল চিত্রের মতো হবে, সে বিষয়ে তেমন সন্দেহ নেই৷

ডিনা ওসিনস্কি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ