শুধু বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নয়, গত ১১ বছরে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে৷ প্রশ্ন উঠেছে ছাত্রলীগ কি সন্ত্রাসী-দুর্বৃত্তদের সংগঠন?
বিজ্ঞাপন
হত্যা ছাড়াও চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অপহরণ ও নির্যাতনের অনেক অভিযোগ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ শুধু সাধারণ পর্যায়ের কর্মী বা নেতার বিরুদ্ধে নয়, ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ আছে৷ টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দলটির সভাপতি শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে সম্প্রতি সংগঠন থেকে বিদায় করা হয়েছে৷ সর্বশেষ বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরারকে হত্যায় প্রমাণিত হয়েছে যে কত নৃশংস হতে পারে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মী৷ হত্যাকান্ডে জড়িতরা বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদধারী নেতা৷
ভারতকে ফেনী নদীর পানি দেয়া নিয়ে সমালোচনা করে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন আবরার৷ ধারণা করা হচ্ছে এ কারণে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নাম্বার কক্ষে নিয়ে তাকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়৷ ওই কক্ষটি হলের শিক্ষার্থীদের কাছে টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত৷
মাহমুদুর রহমান মান্না
সাবেক ছাত্র নেতা এবং ডাকসুর দুইবারের ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘‘শুধু বুয়েট নয়, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন ছাত্রলীগের টর্চার সেল আছে৷ আসলে এই ছাত্র সংগঠনটি এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে৷ তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এদের ব্যবহার করছে৷ প্রতিবাদ ও ভিন্নমত দমনের জন্য এদের ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ফলে এই ছাত্র সংগঠনটির সন্ত্রাসই রাজনৈতিক চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছে৷ আর সাধারণ ছাত্ররা তাদের হাতে মারা পড়ছে, নিগৃহীত হচ্ছে৷''
ছাত্রলীগের আছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস৷ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এই ছাত্র সংগঠনটি ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে বীরোচিত ভূমিকা রাখে৷ স্বাধীন বাংলাদেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাদের রয়েছে গর্ব করার মত ভূমিকা৷
ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর মনে করেন, ‘‘৯০-এর পর থেকেই প্রধান দু'টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের ছাত্র সংগঠনকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করেছে৷ শুধু ছাত্রলীগ নয়, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন ছাত্রদলও একই স্টাইলে হল দখল, টেন্ডার- চাঁদাবাজি করেছে৷ আওয়ামী লীগ যেহেতু টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় তাই তাদের ছাত্র সংগঠনেরও অপতৎপরতা বেশি৷''
ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক নৃশংসতা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একের পর এক নৃশংস ঘটনার জন্ম দিয়েছে ছাত্রলীগ৷ বিশ্বজিৎ থেকে আবরার পর্যন্ত তাদের নির্যাতনে মারা গেছে বেশ কয়েকজন৷ কেউ হারিয়েছেন দৃষ্টি, কারো ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে শরীরের হাড়৷ বিচার হয়নি অনেক ঘটনারই৷
ছবি: bdnews24.com
দখলবাজির শিকার আবু বকর
২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন মেধাবী ছাত্র আবু বকর৷ ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শক্ত ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে আবু বকরের মাথা থেঁতলে দেয়া হয়৷ এই হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়৷ ২০১৭ সালে আদালতের রায়ে ছাত্রলীগের অভিযুক্ত ১০ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পায়৷ (ছবি: সাম্প্রতিক)
ছবি: bdnews24.com
খাবার নিয়ে বিরোধে হত্যা
২০১০ সালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ইফতারের টোকেন সংঘর্ষ বাধে রাজশাহী ছাত্রলীগের মধ্যে৷ তার জের ধরে দলটির কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিমকে পিটিয়ে শাহ মখদুম হলের দ্বিতীয় তলা থেকে ফেলে দেয়া হয়৷ ১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর তার মৃত্যু হয়৷ এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় ১০ জন, যাদের সবাই এখন জামিনে৷
ছবি: DW/A. Khanom
জুবায়েরকে কুপিয়ে হত্যা
২০১২ সালে জানুয়ারিতে মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের৷ তাকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করে তারই সংগঠনের প্রতিপক্ষরা৷ এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালে পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন৷ গত বছরের জানুয়ারিতে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন বহাল রাখে হাইকোর্ট৷ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে চারজনই পলাতক৷
ছবি: bdnews24.com
দুর্ভাগা বিশ্বজিৎ
বিশ্বজিৎ দাস ছিলেন পুরান ঢাকার একজন দর্জি৷ ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নৃশংস হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়৷ সেসময় ১৮ দলের অবরোধ চলছিল৷ বিশ্বজিৎ শিবির কর্মী এমন ধারণা করে তাঁকে চাপাতি, কিরিচ দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কোপায় ছাত্রলীগ কর্মীরা৷ আলোচিত এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে আট আসামির মৃত্যুদণ্ড হলেও চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন, দুইজনকে খালাস আর পলাতক দুইজনের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট৷
ছবি: bdnews24.com
বাদ যায়নি শিশুও
২০১৩ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয় মারা যায় ১২ বছরের শিশু রাব্বি৷
ছবি: bdnews24.com
আধিপত্য বিস্তারের বলি তাপস
২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তাপস সরকার৷ ২০১৬ সালে এই ঘটনায় ২৯ নেতাকর্মীর নামে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ৷ মূল আসামী আশরাফুজ্জামানসহ গ্রেপ্তারকৃত ১৫ জনই জামিনে পান৷ (ছবি: প্রতীকী)
ছবি: Fotolia/Scanrail
খাদিজার মৃত্যুর কাছ থেকে ফেরা
২০১৬ সালের ৩ অক্টোবরের ঘটনা৷ এমসি কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষা দিয়ে বের হবার পরই খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি)-র ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম৷ নার্গিসকে মৃত ভেবে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীরা বদরুলকে আটক কোরে পুলিশে দেয়৷ আলোচিত এই ঘটনায় বদরুলের যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছে আদালত৷
ছবি: bdnews24.com
হেলমেট বাহিনীর হামলা
গত বছর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র কিছু যুবক ধানমন্ডি, জিগাতলা এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে৷ হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে পরিচয় সহ খবর বের হয়৷ কিন্তু এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, কারও বিচারও হয়নি৷
ছবি: Bdnews24.com
হাতুড়ি মামুনদের বিচার হয়নি
দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনের সময় বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ ওঠে৷ তেমনই একটি ঘটনা ঘটে গত বছরের ২ জুলাই৷ তরিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় পেটায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী৷ তাকে হাতুড়ি পেটা করে দলটির সহ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷
ছবি: bdnews24.com
চোখ হারানো এহসান
গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলে এহসান নামের এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা৷ নিজের ক্যালকুলেটর ফেরত চাইলে এই হামলা চালায় তারা৷ এসময় তাকে শিবির কর্মী বলেও অপবাদ দেয়া হয়৷ হামলায় এহসানের চোখের কর্নিয়া গুরুতর জখম হয়৷ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মী বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার হলেও তারা হলে থাকতেন বলে খবর বের হয়৷ অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতায় দেশ ছাড়ে এহসান৷
ছবি: bdnews24.com
আহ্ আবরার!
সবশেষ ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের নৃশংসতার শিকার হল বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ৷ রাত ২টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতারা আগের দিন সন্ধ্যায় তাকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে৷ আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন, যার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ১০ জন ৷
ছবি: bdnews24
১০ বছরে ২৪ হত্যা
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গত ১০ বছরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷ যার প্রায় সবগুলোর সাথেই ছাত্রলীগ জড়িত রয়েছে৷ এর মধ্যে ১৭ টিই ঘটেছে নিজেদের অন্তর্কোন্দলে৷ সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ গত ১০ বছরে সেখানে ৮ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে৷
ছবি: bdnews24
ইচ্ছে হলেই মারধর, হামলা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচীতে ইচ্ছে হলেই হামলা চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা৷ কোটা আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন সময় মারধর করেছে সংগঠনটির নেতা কর্মীরা৷ গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলনেও ছাত্রলীগের হামলা এবং ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনা ঘটে৷ একাধিকবার তাদের হামলার শিকার হয়েছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর৷
ছবি: bdnews24.com
13 ছবি1 | 13
তাঁর মতে, ‘‘এই পরিস্থিতির দায় এককভাবে ছাত্রলীগের নয়৷ নেতিবাচক জাতীয় রাজনীতির প্রতিফলন ঘটছে ছাত্রলীগের মধ্যে৷''
ছাত্রলীগ দুর্বৃত্ত এবং অপরাধীদের সংগঠনে পরিণত হচ্ছে কিনা- এর জবাবে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এ কে এম আজিম মনে করেন, ‘‘ছাত্রলীগের সামনে এখন ছাত্রদের অধিকারভিত্তিক, গণমুখী কোনো কর্মসূচি নেই৷ ফলে তাদের কেউ কেউ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে৷ কিন্তু এটা সংগঠনের দায় নয়৷ ছাত্রলীগের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো ছাড় দিচ্ছেনা৷ তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন৷ সর্বশেষ ঘটনায়ও আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলছে৷''
আর ছাত্রলীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘‘ব্যক্তির অপরাধের দায় কখনো সংগঠন নেবে না৷ আমরা শুধু এটা বলেই শেষ করিনা, ব্যবস্থাও নিই৷ আগেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ আর বুয়েটের ঘটনায়ও আমরা তদন্ত কামিটি করে ২৪ ঘন্টার আগেই ১১ জনকে চিহ্নিত করে বহিস্কার করেছি৷ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে৷ ছাত্রলীগে কোনো সন্ত্রাসী, অপরাধীর জায়গা নেই৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘ছাত্রলীগ অনেক বড় একটি সংগঠন৷ এখানে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজের মত অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে যেতে পারে৷ কিন্তু আমরা জানামাত্র ব্যবস্থা নেই৷ ব্যবস্থা না নিলে আপনি প্রশ্ন তুলতে পারতেন৷ ছাত্রলীগে কখনোই দুর্বৃত্তদের জায়গা হবে না৷ আমারা ছাত্রলীগের মহান আদর্শ নিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই৷''
আল নাহিয়ান খান জয়
বুয়েট পরিস্থিতি
আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের ১০ নেতা-কর্মীকে মঙ্গলবার ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে৷ এর আগে হত্যার ঘটনায় সোমবার ১৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়৷ বুয়েটের শিক্ষার্থীরা পূজার ছুটির মধ্যে আবরার হত্যার বিচারসহ সাত দফা দাবিতে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন৷ তারা শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছেন৷ অ্যাকাডেমিক ও ভর্তি কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণাও করেছেন আন্দোলনকারীরা৷
এই পরিস্থিতির মধ্যে বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ছাত্রদের এড়িয়ে চলছেন৷ তিনি সংবাদ মাধ্যমের সাথেও কথা বলছেন না৷ তবে প্রভোস্ট অধ্যাপক জাফর ইকবাল খান ডয়চে ভেলের কাছ দাবি করেন দায়িত্ব পালনে তিনি কোনো অবহেলা করেননি৷ আবরার হত্যাকাণ্ডকে দু:খজনক এবং মির্মম অভিহিত করে এর বিচার দাবী করেছেন তিনি৷ বলেন, ‘‘যারা এটা করেছে তার বর্বর, তারা মানুষ নামের যোগ্য নয়৷ এই ধরণের খুনীরা কোনো ছাত্র সংগঠনের সদস্য হতে পারে না৷''