ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
২৪ এপ্রিল ২০২৩দুর্বৃত্তরা রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানালা দিয়ে গুলি চালালে সবুজ আহত হলে তাঁকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ সবুজ উড়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা শামসুল আলমের ছেলে৷
নিহত শেখ সুমন সবুজের চাচা শেখ ফরিদ উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, উড়াকান্দা এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত গল্পগৃহ রিসোর্টের পাশে সবুজ ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে ডিজিটাল বৈদ্যুতিক নৌকা, জাম্পিং স্লিপারসহ বিনোদনের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ব্যবসা শুরু করে আসছিলেন৷
রোববার রাত ১০টার দিকে সবুজসহ তার আরও আটজন পার্টনার, অর্থাৎ মোট ৯ জনের ঘরের দরজা বন্ধ থাকলেও জানালা খুলে রিসোর্টের আয়ের টাকা হিসাব করতে থাকেন৷
কিন্তু হঠাৎ সবুজের বাড়ির সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করে৷ এর পর বাড়ির মধ্যে ঢুকে ঘরের জানালা দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে৷ এতে সবুজের কপালে এবং ঘরের মধ্যে থাকা সজীব নামে এক যুবকের পেট ও পায়ে গুলি লাগে৷
অবস্থা বেগতিক দেখে ঘরের মধ্যে থাকা অন্যরা দরজা খুলে দৌড়ে বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান৷ তাৎক্ষণিক সবুজ ও সজীবকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক দুজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন৷
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার মো. আতিয়ার সমকালকে বলেন, জরুরি বিভাগে আনার পর চিকিৎসক সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন৷ ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন৷ গুলিবিদ্ধ সজীব শেখ (২৭) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
কি কারণে সবুজকে হত্যা করা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি৷এ বিষয়ে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলজ্জামান বলেন, গুলির ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে৷ তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে৷
ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন ও এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার৷
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে স্থানীয়ছাত্রলীগনেতা জাহিদুল জানান, সবুজ রাত দশটার দিকে ঘরে ছিলেন৷ এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ঘরের জানালা দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়৷
এনএস/কেএম (যুগান্তর,সমকাল)