ছাত্র রাজনীতির দু’টি ধারা৷ একটা ত্যাগের, আর একটি ভোগের৷ এখন ত্যাগের ধারা নয়, ভোগের ধারাই প্রধান হয়ে গেছে বলে মনে করেন ডাকসুর দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ও একবারের সহ সভাপতি আখতারুজ্জামান৷
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে তিনি গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান৷ ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ডাকসুতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি৷
ডয়চে ভেলে : হঠাৎ করেতো ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি উঠেছে? আপনি কিভাবে দেখেন?
আখতারুজ্জামান : আমি মনে করি, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে ছাত্র রাজনীতির পরিশীলিত ধারা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়৷ ছাত্র রাজনীতি সচল রেখেই এটার মধ্যে যে অপসংস্কৃতি, অপরাজনীতি প্রবেশ করেছে সেটা থেকে মুক্ত করতে হবে৷ এগুলো বন্ধ করে আগের ধারায় বা ত্যাগের ধারায় ফিরিয়ে আনা গেলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার প্রয়োজন নেই বলেই আমি মনে করি৷
‘‘ছাত্র রাজনীতি দু'টি ধারায় বিভক্ত হয়ে গেছে’’
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার পেছনে কি ছাত্র রাজনীতি দায়ী?
আমি তো বলেছি, ছাত্র রাজনীতি দু'টি ধারায় বিভক্ত হয়ে গেছে৷ এর একটা ত্যাগ-আদর্শভিত্তিক ধারা আর আরেকটা হল অপরিশিলীত ধারা৷ এই হত্যাকাণ্ড সেই ধারারই বহিঃপ্রকাশ৷
আপনাদের সময় থেকে এখনকার ছাত্র রাজনীতির গুণগত পার্থক্যটা কি?
আমাদের সময় ছাত্র রাজনীতিতে ত্যাগের ধারা প্রধান ছিল, পরিশিলীত ধারা প্রধান ছিল৷ আর এখন ভোগের ধারা প্রধান হয়েছে, অপরিশিলীত ধারা প্রধান হয়ে গেছে৷
অর্থই কি ছাত্ররাজনীতি নষ্টের মূল কারণ? আপনি কী মনে করেন?
এটা সামগ্রিক বিষয়৷ এখানে অর্থ বা গাড়ি-বাড়ি এগুলো বিষয় না৷ একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন, সরকারি দলের ছাত্র রাজনীতির যদি অবক্ষয় হয়ে থাকে তাহলেতো বিরোধী দলের রাজনীতি খুব ভালো থাকার কথা ছিল৷ সেক্ষেত্রে আমরা বিরোধী দলের ছাত্র রাজনীতিতে কি খুব আদর্শবান, মেধাবী, ত্যাগী ছাত্রদের দেখছি? না৷ সেখানেও অছাত্র, সন্ত্রাসীদের বিচরণ আমরা দেখি৷ কাজেই পক্ষে-বিপক্ষে বিষয় না, এই ধারাটাকেই ঢেলে সাজাতে হবে৷
ছাত্ররাজনীতি কলুষিত হওয়ার দায় কি ছাত্রনেতাদের নাকি রাজনীতিকদের?
কেউ আসলে দায়িত্ব এড়াতে পারেন না৷ অভিভাবক, শিক্ষক, প্রশাসন, শিক্ষাঙ্গনের প্রশাসন, ছাত্রনেতা, জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব সামগ্রিকভাবেই এই বিষয়টার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৷
ছাত্ররাজনীতিকে কি দলীয় লেজুড়বৃত্তি থেকে বের করা সম্ভব?
প্রথমত, ছাত্র রাজনীতিকে নিজস্ব গণ্ডিতে চলার সুযোগ দিতে হবে৷ আর দ্বিতীয়ত হল কোন সময়ই ছাত্র রাজনীতি দলীয় প্রভাবের বাইরে ছিল না৷ প্রভাব বলতে আমি দলীয় আদর্শ বা আদর্শের আলো সব সময়ই ছাত্রদের উপর বর্তিয়েছে৷ সেটা কিন্তু লেজুড়বৃত্তি নয়৷ সেই আলোয় ছাত্র নেতৃত্ব বিকোশিত হয়৷ সেটা ছিল ভালো সমন্বয়৷
ভালো-মন্দে ছাত্র রাজনীতি
গণতান্ত্রিক সব আন্দোলন, বাংলাদেশ সৃষ্টি, একটি স্বাধীন দেশের বাঁক বদলে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে৷ গৌরবের সেই ধারা কতটুকু ধরে রাখতে পেরেছে হালের ছাত্র সংগঠনগুলো? ছাত্র রাজনীতির ভালো-মন্দের বয়ান পড়ুন ছবিঘরে৷
ছবি: Journey/S.-M. Gorki
ভাষা আন্দোলন
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ছাত্ররা৷ এই আন্দোলন বাঙালি জাতির জীবনে এমনই এক ঘটনা, দাবি পূরণের পরেও যার রেশ থেকে যায়৷ ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার দীক্ষা দেয়; যা থেকে জন্ম নেয় স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ৷
ছবি: Journey/R. Hoque
গণঅভ্যুত্থান
১৯৬৯ সালে সব ছাত্রসংগঠন মিলে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে জাতীয় ও সমাজতান্ত্রিক ধারণাপুষ্ট ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করে৷ এর ফলে আইয়ুব খানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য করা হয়৷ এরপর এক জনসমাবেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়৷
ছবি: Journey/R. Talukder
মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭১ সালের ১ মার্চের পর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশ জাতিসত্তার ধারণাগুলো বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়৷ শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল ছাত্রদের আকাঙ্ক্ষারই বহিঃপ্রকাশ৷ স্বাধীনতা অর্জনসহ প্রতিটি ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি ও আন্দোলন সফল করার ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্র সংগঠন তথা শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অপরিসীম৷
ছবি: Journey/R. Talukder
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ
১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চ মধ্যরাতে জনগণের উপর পাকবাহিনীর আক্রমণ ৩ মার্চ ছাত্রদের স্বাধীনতা ঘোষণার যৌক্তিকতা প্রমাণ করে৷ ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল বস্তুত ৩ মার্চ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের স্বাধীনতা ঘোষণারই স্বীকৃতি৷
ছবি: Journey
স্বৈরাচার পতন
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং ১৯৯১ সালে তাঁর পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে ছাত্রঐক্য ও শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়৷ ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তৎকালীন ক্ষমতাসীন স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন হয়, শুরু হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নবযাত্রা৷
ছবি: Journey/Y. Saad
ছাত্র বিক্ষোভ
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের সঙ্গে সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ হয়৷ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক ও আট শিক্ষার্থী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালেয়র আট শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে এদের মুক্তি দেয়া হয়৷
ছবি: Journey/S.-M. Gorki
সেভেন মার্ডার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল ছাত্রলীগের সাত নেতা খুন হন৷ ওই সময়কার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধান এই খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে৷ বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে শফিউলের মৃত্যুদণ্ডের রায় হলেও ’৭৫-এর পর জিয়াউর রহমান তাকে বিএনপিতে যোগদানের শর্তে ক্ষমা করে দিয়ে মুক্তি দেন৷
ছবি: Fotolia/Scanrail
সস্ত্রাসে ছাত্র নেতারা
জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নেওয়ার পর ক্যাম্পাসগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়তে থাকে৷ ক্ষমতা ধরে রাখতে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন স্বৈরশাসক এরশাদও৷ এরপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি যখন যে দলটি ক্ষমতায় ছিল ক্যাম্পাসগুলোতে তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতে দেখা যায়৷
ছবি: bdnews24
রগ কাটা শিবির
ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরের পর বছর রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল৷ ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করা এই সংগঠনটির নেতারা প্রতিপক্ষের কর্মীদের হাত-পায়ের রগ কেটে দিত, এজন্য এটিকে রগকাটা সংগঠন হিসেবে মনে করেন অনেকেই৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
ছাত্রদলে অছাত্র
বিএনিপির শাসনামলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বার বার দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়ায় ছাত্রদলের নেতারা৷ ভাতৃপ্রতীম ছাত্র শিবিরের সঙ্গেও তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ ছিল নিয়মিত ঘটনা৷ ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রদল টেন্ডারবাজি, ছাত্রী নিপীড়নসহ হাজারো অভিযোগে বিদ্ধ ছিল প্রায় সময়ই৷ অছাত্রদের এই সংগঠনের নেতৃত্বে রাখা এক সময় অঘোষিত রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল৷
ছবি: Reuters
নিয়ন্ত্রণহীন ছাত্রলীগ
টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ৷ এই সময়ে ছাত্রলীগ সারা দেশে তাদের আধিপত্য পুরো প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে৷ প্রতিপক্ষ দূর্বল হয়ে যাওয়ায় নিজেদের মধ্যে বার বার সংঘাতে জড়িয়ে রক্ত ঝরিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা৷ সাধারণ ছাত্ররাও এদের হাতে বলি হয়েছেন অনেকবার৷ সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নানা সময়ে শিরোনাম হয়েছে৷ এ বছর চাঁদাবাজীর অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে৷
ছবি: Bdnews24.com
প্রতিবাদী বাম
এক সময় ক্ষমতা, শক্তি, প্রভাব, প্রতিপত্তি আর দাপুটে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো কালের পরিক্রমায় এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত৷ জাতীয় কোনো ইস্যুতে ভয়ে অনেকে চুপ থাকলেও এখনো বেশকিছু বাম সংগঠনের নেতাকর্মীদের অন্তত রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/M. Asad
ক্যাম্পাসে যত খুন
স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন৷ ঢাবিতে ৭৪, রাবিতে ২৯, চবিতে ১৯, জাবিতে সাত, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন৷ আওয়ামী লীগের গত ১০ বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হয়েছে ২৪ জন শিক্ষার্থী৷ নিজ সংগঠনের নেতাকর্মী বা প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হাতে এসব খুনের ঘটনা ঘটছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Asad
13 ছবি1 | 13
ছাত্ররাজনীতির মূল সমস্যা আসলে কোথায়?
মূল কথা হল, ছাত্রদের হাতেই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে৷ জাতীয় রাজনীতির আদর্শগত ছায়া এবং কর্তৃত্ব সেখানে থাকবে৷ সেটা ফরমাল বা ইনফরমাল হতে পারে৷ তাহলে ছাত্রদের রাজনীতি ক্যাম্পাস ভিত্তিক হবে৷ জাতীয়ভাবে তারা কী ভূমিকা রাখতে পারে সেটা তারা আলোচনা করে ঠিক করবে৷ কিভাবে বেকার সমস্যার সমাধান করা যায়, কিভাবে শিক্ষার গুণগত মান উন্নত হবে এবং ছাত্ররা কিভাবে প্রস্তুতি নিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করবে সেই কাজটা তারা তখন করতে পারবে৷ এখন অনেক কাজের জায়গা হয়েছে, কিন্তু ভালো কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না৷ উন্নয়নের ধারার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে শিক্ষাঙ্গনকে সাজাতে হবে৷ যেন তারা অপরাজনীতির দিকে চলে না যায়৷
এখনকার ছাত্রনেতারা কি ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেন?
দেখেন রাজনীতির নাম না দিয়েও ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে৷ বুয়েটের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করল সেখানেতো কোন রাজনীতিক দলের পরিচয় ছিল না৷ তারা রাজনীতি সচেতন হিসেবে আন্দোলনটা করেছে৷ রাজনীতি করলে তারা যতটুকু পরিপক্ক হতো তার চেয়ে তাদের একটুও কম মনে হয়নি৷ সংগঠনের নাম না থাকলেও ছাত্রদের রাজনৈতিক জ্ঞান কিন্তু বাড়ছে৷
ছাত্র রাজনীতি কি আসলে ছাত্রদের হাতে আছে?
এই যে ডাকসু নির্বাচন হয়ে গেল৷ সেখানে কিন্তু ছাত্ররাই ছাত্রদের কাছে গেছে৷ তারাই ভোট চেয়েছে৷ তারা ইশতেহার ঘোষণা করেছে৷ এখানে জাতীয় রাজনীতির সহযোগিতা থাকতে পারে, দিক নির্দেশনা থাকতে পারে৷ জাতীয় রাজনীতির আদর্শগত প্রভাব থাকতে পারে৷
কিভাবে ছাত্ররাজনীতির সুসময় ফিরে আনা সম্ভব?
এখন যে আলোচনা হচ্ছে, সেখান থেকেই ছাত্র, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ সবাই মিলে যদি মনে করি, ছাত্র রাজনীতির আদর্শগত ধারা ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলেই সম্ভব৷
রাজনীতিবিদদের ভূমিকা এখানে কতটুকু?
তারা যেভাবে দেশের মঙ্গল চান, গণতন্ত্র চান সেভাবেই ছাত্র নেতাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে ভালো ধারায় ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখতে পারেন৷
সরকারি দল এক্ষেত্রে কতটা ভূমিকা রাখতে পারে?
সরকারি দল বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে৷ গত ১০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন রক্তপাত হয়নি৷ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়নি৷ পাশাপাশি অনেক বাধা বিঘ্ন উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে৷ তাই আমি মনে করি, সরকারি দল এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই রেখেছে৷
প্রিয় পাঠক, আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷