আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এখন শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত কিনা তা নিয়ে চলছে বিতর্ক৷ আর সেই বিতর্কে উঠে এসেছে স্বাধীন ছাত্র রাজনীতির কথা৷
বিজ্ঞাপন
বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বুধবার শপথের মধ্য দিয়ে তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছে৷ তবে পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না তারা৷ শপথে তারা সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান রুখে দেয়ার কথা বলেছেন৷ এছাড়া বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধেও তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন৷
‘‘বিরাজনীতিকরণের কোনো প্রক্রিয়ায় আমার সমর্থন নেই’’
এই শপথ মেনে চলা ও বাস্তবায়নের জন্য এখন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা কিভাবে কাজ করবেন? তারা রাজনীতির বাইরে গিয়ে কিভাবে সংগঠিত হবেন? এসব প্রশ্নের জবাবে বুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন শাকিল আনোয়ার ডয়চে ভেলেকে বলেন,‘‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে মাসে অন্তত একবার সব শিক্ষার্থীরা বসার প্রস্তাব দিয়েছি৷ সেখানে আমাদের সমস্যা বা আমরা যা চাই তা তুলে ধরবো৷ আর আমরা ছাত্ররা এক হয়ে আমাদের সমস্যা ও অধিকার নিয়ে কথা বলব৷ আমাদের কোনো সভা বা মিটিং-এর প্রয়োজন হলে তার সিদ্ধান্ত নেবে বুয়েটের ব্যাচ৷ রাজনীতির বাইরে ছাত্রদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে, থাকবে৷ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য ২৫টি ক্লাব আছে৷''
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘‘বুয়েট ছাত্র সংসদ বা ইউকসুর ব্যাপারে আমরা এখনো আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করিনি৷ এটা থাকবে কি থাকবে না, নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে আমরা এখনো ভাবিনি৷''
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর অবশ্য মনে করেন,‘‘বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনই পারে ছাত্র রাজনীতির সংকট দূর করতে৷ ছাত্র সংসদের নির্বাচন না হওয়া এবং জাতীয় রাজনৈতিক দলের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার মানসিকতাই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে৷ ছাত্র সংগঠন যদি রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করে তাহলে সেই ধরণের ছাত্র সংগঠন অবশ্যই নিষিদ্ধ করা উচিত৷ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না৷ ছাত্র রাজনীতি হবে স্বাধীন এবং ছাত্রদের কল্যাণে৷ আর এই ছাত্র রাজনীতি না থাকলে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করা যাবে না৷ প্রশাসনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হবে৷''
ভালো-মন্দে ছাত্র রাজনীতি
গণতান্ত্রিক সব আন্দোলন, বাংলাদেশ সৃষ্টি, একটি স্বাধীন দেশের বাঁক বদলে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে৷ গৌরবের সেই ধারা কতটুকু ধরে রাখতে পেরেছে হালের ছাত্র সংগঠনগুলো? ছাত্র রাজনীতির ভালো-মন্দের বয়ান পড়ুন ছবিঘরে৷
ছবি: Journey/S.-M. Gorki
ভাষা আন্দোলন
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ছাত্ররা৷ এই আন্দোলন বাঙালি জাতির জীবনে এমনই এক ঘটনা, দাবি পূরণের পরেও যার রেশ থেকে যায়৷ ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার দীক্ষা দেয়; যা থেকে জন্ম নেয় স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ৷
ছবি: Journey/R. Hoque
গণঅভ্যুত্থান
১৯৬৯ সালে সব ছাত্রসংগঠন মিলে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে জাতীয় ও সমাজতান্ত্রিক ধারণাপুষ্ট ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করে৷ এর ফলে আইয়ুব খানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য করা হয়৷ এরপর এক জনসমাবেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়৷
ছবি: Journey/R. Talukder
মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭১ সালের ১ মার্চের পর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশ জাতিসত্তার ধারণাগুলো বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়৷ শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল ছাত্রদের আকাঙ্ক্ষারই বহিঃপ্রকাশ৷ স্বাধীনতা অর্জনসহ প্রতিটি ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি ও আন্দোলন সফল করার ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্র সংগঠন তথা শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অপরিসীম৷
ছবি: Journey/R. Talukder
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ
১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চ মধ্যরাতে জনগণের উপর পাকবাহিনীর আক্রমণ ৩ মার্চ ছাত্রদের স্বাধীনতা ঘোষণার যৌক্তিকতা প্রমাণ করে৷ ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল বস্তুত ৩ মার্চ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের স্বাধীনতা ঘোষণারই স্বীকৃতি৷
ছবি: Journey
স্বৈরাচার পতন
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং ১৯৯১ সালে তাঁর পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে ছাত্রঐক্য ও শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়৷ ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তৎকালীন ক্ষমতাসীন স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন হয়, শুরু হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নবযাত্রা৷
ছবি: Journey/Y. Saad
ছাত্র বিক্ষোভ
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের সঙ্গে সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ হয়৷ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক ও আট শিক্ষার্থী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালেয়র আট শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে এদের মুক্তি দেয়া হয়৷
ছবি: Journey/S.-M. Gorki
সেভেন মার্ডার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল ছাত্রলীগের সাত নেতা খুন হন৷ ওই সময়কার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধান এই খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে৷ বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে শফিউলের মৃত্যুদণ্ডের রায় হলেও ’৭৫-এর পর জিয়াউর রহমান তাকে বিএনপিতে যোগদানের শর্তে ক্ষমা করে দিয়ে মুক্তি দেন৷
ছবি: Fotolia/Scanrail
সস্ত্রাসে ছাত্র নেতারা
জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নেওয়ার পর ক্যাম্পাসগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়তে থাকে৷ ক্ষমতা ধরে রাখতে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন স্বৈরশাসক এরশাদও৷ এরপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি যখন যে দলটি ক্ষমতায় ছিল ক্যাম্পাসগুলোতে তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতে দেখা যায়৷
ছবি: bdnews24
রগ কাটা শিবির
ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরের পর বছর রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল৷ ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করা এই সংগঠনটির নেতারা প্রতিপক্ষের কর্মীদের হাত-পায়ের রগ কেটে দিত, এজন্য এটিকে রগকাটা সংগঠন হিসেবে মনে করেন অনেকেই৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
ছাত্রদলে অছাত্র
বিএনিপির শাসনামলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বার বার দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়ায় ছাত্রদলের নেতারা৷ ভাতৃপ্রতীম ছাত্র শিবিরের সঙ্গেও তাদের সংঘাত-সংঘর্ষ ছিল নিয়মিত ঘটনা৷ ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রদল টেন্ডারবাজি, ছাত্রী নিপীড়নসহ হাজারো অভিযোগে বিদ্ধ ছিল প্রায় সময়ই৷ অছাত্রদের এই সংগঠনের নেতৃত্বে রাখা এক সময় অঘোষিত রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল৷
ছবি: Reuters
নিয়ন্ত্রণহীন ছাত্রলীগ
টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ৷ এই সময়ে ছাত্রলীগ সারা দেশে তাদের আধিপত্য পুরো প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে৷ প্রতিপক্ষ দূর্বল হয়ে যাওয়ায় নিজেদের মধ্যে বার বার সংঘাতে জড়িয়ে রক্ত ঝরিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা৷ সাধারণ ছাত্ররাও এদের হাতে বলি হয়েছেন অনেকবার৷ সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নানা সময়ে শিরোনাম হয়েছে৷ এ বছর চাঁদাবাজীর অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে৷
ছবি: Bdnews24.com
প্রতিবাদী বাম
এক সময় ক্ষমতা, শক্তি, প্রভাব, প্রতিপত্তি আর দাপুটে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো কালের পরিক্রমায় এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত৷ জাতীয় কোনো ইস্যুতে ভয়ে অনেকে চুপ থাকলেও এখনো বেশকিছু বাম সংগঠনের নেতাকর্মীদের অন্তত রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/M. Asad
ক্যাম্পাসে যত খুন
স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন৷ ঢাবিতে ৭৪, রাবিতে ২৯, চবিতে ১৯, জাবিতে সাত, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন৷ আওয়ামী লীগের গত ১০ বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হয়েছে ২৪ জন শিক্ষার্থী৷ নিজ সংগঠনের নেতাকর্মী বা প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হাতে এসব খুনের ঘটনা ঘটছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Asad
13 ছবি1 | 13
তিনি বলেন,‘‘একটি বা দু'টি ছাত্র সংগঠনের অপরাজনীতির কারণে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হবে মাথাব্যথার জন্য মাথা কাটার মত৷ তাদের অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই একটি বা দু'টি ছাত্র সংগঠন ছাড়া আরো অনেক ছাত্র সংগঠন আছে তারাতো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজি করেনা৷ তাহলে তারা কেন এর দায় নেবে?''
বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে যা স্পষ্ট হয়েছে তা হলো, ক্ষমতাসীনেরা সব সময় তাদের আধিপত্য ধরে রাথকে ছাত্র সংগঠনকে ব্যবহার করে৷ এই মানসিকতার কারনেই ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সংকট শুরু হয়েছে৷ আর ৯০-এ স্বৈরাচারের পতনের পর এটা আরো প্রকট হয়েছে৷ তার আগে এরশাদ ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থামাতে৷ সেটা না পেরে নিজেই ছাত্র ও যুব সংগঠন করেন কাউন্টার দেয়ার জন্য৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘‘বিরাজনীতিকরণের কোনো প্রক্রিয়ায় আমার সমর্থন নেই৷ আমি ছাত্রদের রাজনীতি চাই৷ তা না হলে তারা দেশের নেতৃত্ব দেবেন কিভাবে৷ কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন বা তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ছাত্র রাজনীতি চাই না৷ ছাত্ররা করবেন আদর্শিক রাজনীতি৷ তারা পরে জাতীয় রাজনীতিতে গিয়ে ওই আদর্শের জন্য কাজ করবেন৷ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ চালু থাকলে ইতিবাচক ছাত্র রাজনীতির ধারা চালু হবে৷ বুয়েট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক৷ তারা অপরাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির নামে যা চলছিল তা কোনভাবেই ছাত্র রাজনীতি নয়৷ হত্যা, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি এগুলো ছাত্র রাজনীতি হতে পারে না৷''
তাঁর মতে ,‘‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে ছাত্র রাজনীতি কলুষিত করেন৷ তিনি ফরমান জারি করেন সব রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ছাত্র সংগঠনসহ অন্যান্য সংগঠন থাকতে হবে৷ তার আগে আদর্শিক মিল থাকলেও ছাত্র সংগঠন কোনো রাজনৈতিক দলের সরাসরি অঙ্গ সংগঠন ছিলো না৷''
‘‘সেখানে আমাদের সমস্যা বা আমরা যা চাই তা তুলে ধরবো’’
কেউ কেউ মনে করেন ছাত্র রাজনীতি না থাকলে অপশক্তি এবং মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটতে পারে৷ আবার শাসক দলও এর সুযোগ নিতে পারে৷ কারণ ছাত্র রাজনীতি প্রকাশ্যে না থাকলেও তাদের অনুসারীরা তো থাকবেন৷
এর জবাবে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়গুলোতেতো ছাত্র রাজনীতি নাই৷ সেখানে ছাত্র রাজনীতি না থাকার কারণে ছাত্রদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না৷ তারাতো রাজনীতি ছাড়াই প্রয়োজনে দাবি আদায়ে সংগঠিত হচ্ছে৷ সরকারের আরোপ করা ভ্যাটের বিরুদ্ধে তারাতো আন্দোলন করেছে৷ দাবি আদায় করেছে৷ আমার বিবেচনায় বাংলাদেশে এখন আর ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন নাই৷ ছাত্ররা তাদের অধিকারের জন্য ছাত্র কল্যাণ সমিতি করে সংগঠিত হতে পারে৷ তারা সরাসরি শিক্ষকেদের সাথে প্রশাসনের সাথে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারেন৷ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও শিক্ষার্থীদের কথা শোনার জন্য স্থায়ী একটা প্রক্রিয়া চালু করতে পারে৷''
প্রিয় পাঠক, আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷