অর্থনৈতিক মন্দায় বিশ্বের প্রায় সব দেশ যখন বিপর্যস্ত, তখনও বেসামাল হয়নি জার্মানির অর্থনীতি৷ করোনা সংকটেও এক দশক আগের সেই হাতিয়ারই কাজে লাগাচ্ছে আঙ্গেলা ম্যার্কেল সরকার৷
বিজ্ঞাপন
হাতিয়ারের জার্মান নাম 'কুরৎসআরবাইট’৷ এর অর্থ ‘শর্ট টাইম ওয়ার্ক' বা খণ্ডকালীন কাজ৷ বিশেষ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যখন কর্মীদের নিরাপদে কর্মস্থল থেকে বাড়ি পাঠাতে অথবা পর্যাপ্ত কাজ দিতে ব্যর্থ হয়, তখন সেরকম প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়াতেই কাজে লাগে এই ‘কুরৎসআরবাইট' স্কিম৷ কেউ যাতে বিনা দোষে বেকার না হয়, কোনো কোম্পানি যাতে দক্ষ কর্মী না হারায়, সেই জন্য আপৎকালে কর্মীদের বেতনের শতকরা ৬০ ভাগ দিয়ে দেয় সরকার৷ ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীর সন্তান-সন্ততি থাকলে ওই সময় তিনি সরকারের কাছ থেকে পান বেতনের ৬৭ ভাগ৷ দুঃসময় কেটে গেলে আবার তারা ফিরে যেতে পারেন কর্মস্থলে৷ সাময়িক বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে অর্থনীতি৷
২০০৮-০৯ সালে বিশ্বের অনেক দেশ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়লেও এই ক্রিম ব্যবহার করে বিপর্যয় এড়াতে পেরেছিল জার্মানি৷ তখনমোট ১৫ লাখ কর্মীকে কুরৎসআরবাইটগেল্ড, অর্থাৎ বিশেষ পরিস্থিতিতে খণ্ডকালীন কাজের টাকা দিয়েছিল সরকার৷
অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে কোন দেশ কী করছে
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে৷ প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হওয়াসহ আছে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান হারানোর শঙ্কা৷ তবে উন্নত দেশগুলো এই পরিস্থিতি সামলাতে বিভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থাও নিচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Jordan
জার্মানি
সব ধরনের কোম্পানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১০ কোটি ডলারের ঋণ দিচ্ছে জার্মান সরকার৷ দুর্যোগকালীন এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মোট ৮০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছলতা বজায় রাখতে দেয়া হচ্ছে কর-ছাড়৷ দেরিতে ঋণ পরিশোধে গুণতে হবে না জরিমানা৷ প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে দেয়া হবে সাড়ে ১৪ কোটি ইউরো৷
অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে ২১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে স্পেন৷ ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি, কর্মী আর আর্থিক অস্বচ্ছলদের সুরক্ষায় এই অর্থ ব্যয় করা হবে৷ এর মধ্যে শুধু সামাজিক নিরাপত্তায় খরচ করা হবে প্রায় ৬৪ কোটি ডলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AAB. Akbulut
পর্তুগাল
১৮ মার্চ থেকে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে পর্তুগাল৷ এখন পর্যন্ত এক হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা ‘প্যাকেজ’ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার৷ এরমধ্যে ৩২২ কোটি ডলার পর্যটন, বস্ত্র, কাঠসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ঋণ সহায়তা হিসেবে দেয়া হবে৷ ৫৩৬ কোটি ডলার আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে কর সুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে৷
ছবি: Reuters/M. F. Lopes
ফ্রান্স
প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার সহায়তা তহবিলের প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফ্রান্স সরকার৷ এর বড় একটি অংশ দেয়া হবে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে৷ রেস্টুরেন্ট, দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং কোয়ারান্টিনের কারণে যেসব কর্মী কাজে যোগ দিতে পারছেন না, তাদের জন্য কয়কশ’ কোটি ডলার ব্যয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Marin
যুক্তরাজ্য
করোনা ভাইরাসের কারণে ১৪৫০ কোটি ডলারের জরুরি আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য৷ জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা এবং সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকসান মেটাতে এই টাকা দেয়া হবে৷ পাশাপাশি খুচরা ব্যবসা এবং পর্যটন শিল্পের জন্য ৪০ হাজার কোটি ডলারের ঋণ তহবিলও রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/empics/PA Video
যুক্তরাষ্ট্র
সম্প্রতি ১০ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে সেনেট৷ স্বাস্থ্য বিমা ছাড়াই করোনার পরীক্ষা করানো, স্কুলগামী শিশুদের জন্য খাবার সরবরাহ, কর্মীদের ১০ দিনের অসুস্থতাজনিত এবং কিছু ক্ষেত্রে ১২ সপ্তাহের বেতনসহ ছুটির পেছনে এই টাকা ব্যয় হবে৷ পাশাপাশি এক ট্রিলিয়ন ডলারের আরেকটি প্রণোদনা প্যকেজের জন্য আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন৷
ছবি: Reuters/L. Millis
ক্যানাডা
ক্যানাডার জন্য পাঁচ হাজার ৬৪০ কোটি ডলারের সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো৷ এই অর্থ দেশটির জিডিপির তিন শতাংশ ৷ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর-ছাড়, কর্মীদের বেতন, সমাজে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ব্যয় হবে এই অর্থ৷
ছবি: picture-alliance/empics/M. Sudoma
অস্ট্রেলিয়া
১১০০ কোটি ডলারের আর্থিক প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার৷ ৬৫ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষকে এককালীন ৪৫১ ডলার করে দেয়া হবে এই তহবিল থেকে৷ পাশাপাশি এক লাখ ২০ হাজার শিক্ষানবিশ চাকুরিজীবী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকিয়ে রাখতেও খরচ করা হবে এখান থেকে৷ অন্যদিকে অর্থনীতিকে সচল রাখতে ঋণের সুদহার কমিয়ে দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Carrett
তুরস্ক
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ১৫৪০ কোটি ডলারের ব্যয় পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তুরস্ক৷ ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা’ শিরোনামের এই প্যাকেজটির আওতায় মোট ২১ টি খাতে খরচ করা হবে৷ এর মধ্যে অবসরকালীন ভাতা বৃদ্ধি, ব্যবসা সহযোগিতা, মূল্য সংযোজন কর হ্রাসসহ খুচরা, ইস্পাত, গাড়ি ও পর্যটন শিল্পে আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Ozbilici
9 ছবি1 | 9
করোনা সংকটেও একই হাতিয়ার
করোনা ভাইরাসের কারণে গত ৮ মার্চ মার্চ থেকে জার্মানিও খুব সতর্কাবস্থায়৷ বাইরে চলাচলে রয়েছে বিধি-নিষেধ৷ ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা প্রায় বন্ধ৷ এ অবস্থায় কুরৎসআরবাইট স্কিমকে আরো বেশি কোম্পানির কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ নিয়ম করা হয়েছে সহজ৷ আগে কোনো কোম্পানির অন্তত ৩০ভাগ কর্মী সমস্যায় পড়লে সহযোগিতার হাত বাড়াতো সরকার, এবার দশভাগ কর্মীর কাজ আশঙ্কার মুখোমুখি হলেই এই স্কিমের আওতায় আসতে পারবে৷
ফলে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠান এই সুযোগের জন্য আবেদন করেছে৷ প্রথম সপ্তাহে জমা পড়েছে ৭৬ হাজার আবেদন৷ সপ্তাহে এত বেশি আবেদন আগে কখনো জমা পড়েনি৷ গতবছর যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের সময় সপ্তাহে জমা পড়েছিল ৬০০ আবেদন৷ নিয়ম অনেক শিথিল করায় আবেদন যে অনেক বাড়বে তা বোঝা যাচ্ছিল৷ এই খাতে সরকারের খরচ বেড়ে যাওয়াও ছিল অনিবার্য৷
ধারণা করা হচ্ছে, এবার প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ কর্মীকে কুরৎসআরবাইটগেল্ড দিতে অন্তত ১০ বিলিয়ন ইউরো খরচ হবে জার্মান সরকারের৷
সীমাবদ্ধতা
বড় বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামাল দেয়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখলেও কুরৎসআরবাইট স্কিম একেবারে নিখুঁত নয়৷ রেস্তোরাঁ এবং ছোট ছোট দোকানের কর্মীরা এই স্কিমের আওতায় আগে খুব বেশি আসতে পারেননি৷
আর্থার সুলিভান/ এসিবি
২০১৭ সালর ছবিঘরটি দেখুন...
সেরা জার্মান রপ্তানি পণ্য?
জার্মানি থেকে প্রতিবছর এক লক্ষ কোটি ইউরোর বেশি পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়৷ কিন্তু তার মধ্যে কোন পণ্যগুলি থেকে ‘আমদানি’ সবচেয়ে ভালো?
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
দেখতে বিরাট, কিন্তু তালিকায় দশ নম্বর
আগে বলা হতো, ওসেনলাইনার, আজ তারা হলো ক্রুজ শিপ৷ এ ধরনের একটি সুবিশাল ক্রুজ জাহাজকে যখন পাপেনবুর্গ থেকে এম্স নদী হয়ে উত্তর সাগরে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন দেখলে মনে হয় যেন একটা পাহাড়প্রমাণ কচ্ছপ একটি ছোট নালা ধরে হেঁটে চলেছে৷ নিম্ন স্যাকসনি রাজ্যে এ ধরনের ক্রুজ জাহাজ তৈরি হয় বটে, কিন্তু জার্মানির এক্সপোর্ট চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে শুধু ক্রুজ যাত্রীদের খুশি করে চলে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
বিদেশে চাহিদা, দেশে অপ্রিয়
‘মেড ইন জার্মানি’ অস্ত্রশস্ত্র – তা বন্দুক, ডুবোজাহাজ বা লিওপার্ড ট্যাংক, যাই হোক না কেন – বিদেশে এ সব পণ্যের চাহিদা অনেক৷ কিন্তু শান্তিপ্রিয় জার্মানরা এ বিষয়ে কিছুটা কুণ্ঠা বোধ করে থাকেন৷ আবার অতোটা কুণ্ঠারও কোনো কারণ নেই, কেননা সেরা রপ্তানি পণ্যের তালিকায় অস্ত্রশস্ত্র নবম স্থানের বেশি এগোতে পারেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Steffen
‘ধাতব’
ইংরেজিতে বা জার্মানে যাকে বলে ‘মেটাল’, যা কিনা সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তরের নথিপত্রে রপ্তানিকৃত পণ্যের একটি বিশেষ বিভাগ – যার মধ্যে পড়ে অ্যালুনিমিয়াম৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে কীভাবে চকোলেট টাটকা রাখা হয়৷ ২০১৫ সালে জার্মানি মোট ৫,০০০ কোটি ইউরো মূল্যের ‘মেটাল’ রপ্তানি করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Junos
‘অন্যান্য যান’
বলতে বোঝায় ধরুন আবর্জনা তুলে নিয়ে যাওয়ার ‘ট্র্যাশ ট্রাক’ – আবার অন্য যে কোনো ধরনের লরি, বাস বা ট্রাক ইত্যাদি – এক কথায় প্রাইভেট গাড়ি ছাড়া বাকি সব ধরনের চার বা বেশি চাকার যান৷ ২০১৫ সালে জার্মানির মোট রপ্তানি ছিল ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি ইউরো৷ তার মধ্যে ‘অন্যান্য যান’ শীর্ষকে রপ্তানি হয় প্রায় ৫,৭০০ কোটি ইউরো মূল্যের পণ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Wolf
ফার্মাসিউটিক্যালস
জার্মান ওষুধ তৈরি শিল্পের সুনাম দুনিয়া জুড়ে৷ এই সুনামের ভিত্তি স্থাপিত হয় মোট ১০০ বছর আগে, যখন জার্মানিতে নানা ধরনের ওষুধ আবিষ্কৃত হয়৷ তার মধ্যে বহু ওষুধের পেটেন্ট অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে, তবুও ২০১৫ সালে জার্মানির ওষুধ তৈরির কোম্পানিগুলির রপ্তানি ছিল মোট ৭,০০০ কোটি ইউরো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Endig
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম
বিদ্যুৎ এমন একটি বস্তু, যা উপকারী হলেও বিপজ্জনক, এমনকি ওভারহেড তারের ক্ষেত্রে মারাত্মকও হতে পারে৷ কাজেই বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে নো-হাউ খুবই প্রয়োজনীয়৷ দৃশ্যত জার্মান কোম্পানিগুলির সে নো-হাউ আছে বলে গ্রাহকদের ধারণা, তাই ২০১৫ সালে জার্মানির রপ্তানিকৃত পণ্যের ছয় শতাংশ ছিল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম৷
ছবি: picture alliance/J.W.Alker
ডাটা প্রসেসিং ও অপটিক্যাল ইকুইপমেন্ট
এই বিভাগের রপ্তানিকারকরা প্রায় ১০,০০০ কোটি ইউরো মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছেন, যা কিনা জার্মানির মোট রপ্তানির আট শতাংশের বেশি৷ জার্মানির বহু কোম্পানি একাধিক প্রজন্মের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিকতম পর্যায়ের পণ্য উৎপাদন করে থাকে – যেমন ইয়েনঅপটিক কোম্পানির এই ডায়োড লেজার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Kasper
রাসায়নিক পণ্য
বায়ার বা বিএএসএফ-এর মতো জার্মান রাসায়নিক কোম্পানিগুলি শুধু ফার্মাসিউটিক্যালস নয়, সেই সঙ্গে নানান বহুল ব্যবহৃত গ্যাস বা তরল রাসায়নিক পদার্থ প্রস্তুত ও রপ্তানি করে থাকে৷ রাসায়নিকের রপ্তানি থেকে ১০,০০০ কোটি ইউরোর বেশি রোজগার হয় জার্মানির – যা কিনা সেরা রপ্তানি পণ্যের তালিকায় রাসায়নিককে তৃতীয় স্থান এনে দিয়েছে৷
ছবি: Bayer AG
মেশিন
জার্মানি হলো প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিবিদদের দেশ, এ কথা নিশ্চয় শুনেছেন৷ কথাটা যে খুব মিথ্যে নয়, তা প্রমাণ হয় জার্মানির রপ্তানি তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ‘মাশিনেনবাউ’ বা ‘মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর পণ্যগুলিকে দেখে৷ ২০১৫ সালে জার্মানি মেশিন সংক্রান্ত পণ্য রপ্তানি করেছে মোট ১৬,৯০০ কোটি ইউরোর৷ তবে মেশিন সংক্রান্ত রপ্তানি বিশ্ব অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/DMG Moro Seiki/Thissen
চলতি কা নাম গাড়ি!
জার্মানির রপ্তানি তালিকার শীর্ষে স্বভাবতই মোটরগাড়ি৷ ফল্কসভাগেন, বিএমডাব্লিউ, পোর্শে আর ডাইমলার মিলে যা রপ্তানি করে থাকে, তার মূল্য হলো ২২,৬০০ কোটি ইউরো৷ বৈদ্যুতিক গাড়ির জয়যাত্রা বা ‘ডিজেলগেট’ কেলেঙ্কারি, কোনো কিছুই জার্মান মোটরগাড়ি শিল্পের এই জয়যাত্রা থামাতে পারেনি৷