1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ছুটা’ কাজ: বিপর্যয়ে জার্মানির বড় হাতিয়ার

৩১ মার্চ ২০২০

অর্থনৈতিক মন্দায় বিশ্বের প্রায় সব দেশ যখন বিপর্যস্ত, তখনও বেসামাল হয়নি জার্মানির অর্থনীতি৷ করোনা সংকটেও এক দশক আগের সেই হাতিয়ারই কাজে লাগাচ্ছে আঙ্গেলা ম্যার্কেল সরকার৷

ছবি: imago/Rainer Weisflog

হাতিয়ারের জার্মান নাম 'কুরৎসআরবাইট’৷ এর অর্থ ‘শর্ট টাইম ওয়ার্ক' বা খণ্ডকালীন কাজ৷ বিশেষ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যখন কর্মীদের নিরাপদে কর্মস্থল থেকে বাড়ি পাঠাতে অথবা পর্যাপ্ত কাজ দিতে ব্যর্থ হয়, তখন সেরকম প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়াতেই কাজে লাগে এই ‘কুরৎসআরবাইট' স্কিম৷ কেউ যাতে বিনা দোষে বেকার না হয়, কোনো কোম্পানি যাতে দক্ষ কর্মী না হারায়, সেই জন্য আপৎকালে  কর্মীদের বেতনের শতকরা ৬০ ভাগ দিয়ে দেয় সরকার৷ ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীর সন্তান-সন্ততি থাকলে ওই সময় তিনি সরকারের কাছ থেকে পান বেতনের ৬৭ ভাগ৷ দুঃসময় কেটে গেলে আবার তারা ফিরে যেতে পারেন কর্মস্থলে৷ সাময়িক বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে অর্থনীতি৷ 

২০০৮-০৯ সালে বিশ্বের অনেক দেশ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়লেও এই ক্রিম ব্যবহার করে বিপর্যয় এড়াতে পেরেছিল জার্মানি৷ তখনমোট ১৫ লাখ কর্মীকে কুরৎসআরবাইটগেল্ড, অর্থাৎ বিশেষ পরিস্থিতিতে খণ্ডকালীন কাজের টাকা দিয়েছিল সরকার৷

করোনা সংকটেও একই হাতিয়ার

করোনা ভাইরাসের কারণে গত ৮ মার্চ মার্চ থেকে জার্মানিও খুব সতর্কাবস্থায়৷ বাইরে চলাচলে রয়েছে বিধি-নিষেধ৷ ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা প্রায় বন্ধ৷ এ অবস্থায় কুরৎসআরবাইট স্কিমকে আরো বেশি কোম্পানির কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ নিয়ম করা হয়েছে সহজ৷ আগে কোনো কোম্পানির অন্তত ৩০ভাগ কর্মী সমস্যায় পড়লে সহযোগিতার হাত বাড়াতো সরকার, এবার দশভাগ কর্মীর কাজ আশঙ্কার মুখোমুখি হলেই এই স্কিমের আওতায় আসতে পারবে৷

ফলে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠান এই সুযোগের জন্য আবেদন করেছে৷ প্রথম সপ্তাহে জমা পড়েছে ৭৬ হাজার আবেদন৷ সপ্তাহে এত বেশি আবেদন আগে কখনো জমা পড়েনি৷ গতবছর যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের সময় সপ্তাহে জমা পড়েছিল ৬০০ আবেদন৷ নিয়ম অনেক শিথিল করায় আবেদন যে অনেক বাড়বে তা বোঝা যাচ্ছিল৷ এই খাতে সরকারের খরচ বেড়ে যাওয়াও ছিল অনিবার্য৷ 

ধারণা করা হচ্ছে, এবার প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ কর্মীকে কুরৎসআরবাইটগেল্ড দিতে অন্তত ১০ বিলিয়ন ইউরো খরচ হবে জার্মান সরকারের৷

সীমাবদ্ধতা

বড় বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামাল দেয়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখলেও কুরৎসআরবাইট স্কিম একেবারে নিখুঁত নয়৷ রেস্তোরাঁ এবং ছোট ছোট দোকানের কর্মীরা এই স্কিমের আওতায় আগে খুব বেশি আসতে পারেননি৷ 

আর্থার সুলিভান/ এসিবি

২০১৭ সালর ছবিঘরটি দেখুন... 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ