দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদের ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কিছু শর্ত৷
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নতুন এ আদেশ জারি করা হয় বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ আদেশে আগের ছুটির ধারাবাহিকতায় ১৭ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত নতুন করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়৷ ২১ মে শবে কদর, ২২, ২৩, ২৯ ও ৩০ মের সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ ও ২৬ মে ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, ঈদের আগে-পরে চলাচলে কড়াকড়ি এবং ঈদ জামাত নিয়েও সতর্কবার্তা এসেছে৷
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব
এরইমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ রপ্তানি ও প্রবাসী আয় কমেছে ব্যাপকভাবে৷ দেখা দিয়েছে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব বাড়ার শঙ্কা৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
রপ্তানি ধস
লকডাউনের কারণে ইউরোপ ও অ্যামেরিকায় ব্যবসা বাণিজ্য, মানুষের কেনাকাটা কার্যত বন্ধ৷ এসব দেশের ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো তাই বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছে, কয়েকশো কোটি ডলারের কার্যাদেশ বাতিল করেছে৷ এর প্রভাবে এপ্রিলে রপ্তানি আয় নেমে এসেছে মাত্র ৫২ কোটি ডলারে, যা আগের বছরে একই মাসের চেয়ে ৮২.৮৫% কম৷ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার হিসেব বলছে চলতি বছর সারা বিশ্বেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ৩২% পর্যন্ত কমতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yu Fangping
প্রবাসী আয়ে টান
এপ্রিলে প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর পরিমাণ ছিল ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ ভাগ কমেছে৷ প্রবাসী আয়ের সিংহভাগই আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে৷ জ্বালানি তেলের দাম কমায় তাদের অর্থনীতি বিপর্যয়ে পড়েছে৷ সেইসব দেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা৷ এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছর বাংলাদেশের রেমিট্যান্স গত বছরের চেয়ে ২২ শতাংশ কমে যাবে, বলছে বিশ্বব্যাংক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/R. Abd
চাকুরির অনিশ্চয়তা
দেশের ভিতরে যে লকডাউন পরিস্থিতি চলছে তার কারণেও বিভিন্ন শিল্প কারখানা ও সেবাখাতগুলোর কার্যক্রম প্রায় বন্ধ৷ এসব প্রতিষ্ঠানে যারা চাকুরি করছেন, যেসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা রয়েছেন তাদের কর্মসংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছে৷ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক চীনে করোনার প্রকোপ শুরুর পর বলেছিল, বাংলাদেশের প্রায় নয় লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারাতে পারে৷ তবে এখন তৈরি পোশাক খাতেই অনেক শ্রমিকের চাকুরি হারানোর শঙ্কা রয়েছে৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
খাদ্য নিরাপত্তা
গত বছরের মে থেকে চলতি বছরের এপ্রিল, এই সময়ে বাংলাদেশে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩.৫৩ লাখ মেট্রিক টন৷ নতুন বছরে তা ১০ লাখ মেট্রিক টন বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসডিএ৷ সরকারের খাদ্য গুদামে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে৷ বোরো মৌসুমে আরো ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করবে সরকার৷ সেক্ষেত্রে খাদ্যাভাব দেখা দেয়ার আশংকা তেমন নেই৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মানুষের হাতে খাদ্য কেনার টাকা থাকবে কিনা৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
দারিদ্র্য বাড়ছে
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা সোয়া তিন কোটির বেশি৷ এর বাইরে গত দেড় যুগে আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র্যতা থেকে বেরিয়ে এসেছেন৷ উপার্জন না থাকলে দ্রুতই তারা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন৷ ব্র্যাকের সাম্প্রতিক এক জরিপেও দেখা গেছে করোনার প্রভাবে দেশের নিম্নবিত্তের আয় ৭৫ ভাগ কমে গেছে, হতদরিদ্র বা যাদের দৈনিক আয় ১৬০ টাকার কম এমন মানুষের সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়ে গেছে৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
সরকারের প্রণোদনা
অর্থনীতি বাঁচাতে বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশের সরকারও আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, যার আকার ৯৫ হাজার কোটি টাকার বেশি৷ এর বড় একটি অংশ দেয়া হবে বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প আর কৃষি খাতে ঋণ হিসেবে৷ পাশাপাশি লক-ডাউনের কারণে যারা কাজ হারিয়েছেন তাদের ব্যাংক হিসাব তৈরি করে এককালীন নগদ অর্থ প্রদানের কথা বলা হয়েছে৷ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানোরও৷
ছবি: Reuters/A. Rahman
টাকার সন্ধান
বাজেটের ঘাটতি মেটাতে এরিমধ্যে ব্যাংক থেকে সারাবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ করে ফেলেছে সরকার৷ নতুন ঋণ নেয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছ থেকে৷ বিভিন্ন খাতের ব্যয় কমিয়েও অর্থ সংস্থানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ সবশেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যেতে পারে৷ তবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে, এমন আশঙ্কায় টাকা ছাপানোর পক্ষে নন কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ৷
ছবি: DW
মন্দার শঙ্কা
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে মহামন্দার আশংকা করছেন অর্থনীতিবিদরা৷ এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও৷ এরইমধ্যে চলতি বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি৷ মন্দার ধাক্কা বাংলাদেশ কতটা সামলাতে পারবে তা বৈশ্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি নির্ভর করছে সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার উপরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
8 ছবি1 | 8
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ছুটির' এই সময়ে জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে৷ এক জেলা থেকে আরেক জেলা এবং এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল ‘কঠোরভাবে' নিয়ন্ত্রিত থাকবে৷ জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা ‘সতর্কভাবে' বাস্তবায়ন করবে৷
উক্ত সময়ে সড়কপথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল এবং অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে এবং মহাসড়কে মালবাহী/জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ব্যতীত অন্যান্য যানবাহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে৷
ঈদের আগের চারদিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দুইদিন মিলিয়ে মোট সাত দিন প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন৷
সাধারণ ছুটি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কর্মস্থল ত্যাগের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ যে যেখানে আছেন সেখানে থেকেই এ বছর ঈদ উদযাপন করতে বলা হয়েছে৷
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৫ মে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে৷ ঈদের নামাজের ক্ষেত্রেও ‘বিদ্যমান বিধি-বিধান' প্রযোজ্য হবে জানিয়ে আদেশে বলা হয়, ‘‘উন্মুক্ত স্থানে বড় জমায়েত পরিহার করতে হবে৷ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে৷''
সরকারের ছুটির আদেশে আরও বেশ কিছু বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে৷
ছুটির এই সময়ে জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্থাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে৷
রোজা ও ঈদ সামনে রেখে দোকানপাটে বেচাকেনার সময় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে৷ শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ শপিংমলে আসা যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ দোকানপাট এবং শপিংমল বিকাল ৪টার মধ্যে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে৷
জরুরি সেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা সাধারণ ছুটির বাইরে থাকবেন৷
সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল চলাচল অব্যাহত থাকবে৷
কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে না৷
ছবি যখন এক ভিন্ন রমজানের কথা বলে
নতুন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবার মত বদলে দিয়েছে মুসলিমদের জীবন৷ ভিন্ন আমেজে তারা পালন করছেন রমজান৷ কিছু খণ্ড চিত্র দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters/M. P. Hossain
সৌদি আরব
আগে এ সময়টায় মক্কায় ছিল মুসল্লিদের ভিড়৷ রমজানের শুরুতে এবার সেখানে হাতে গোণা কয়েকজন মানুষ দেখা গেছে, যাদের বেশিরভাগই পরিচ্ছন্নতা কর্মী৷
ছবি: Getty Images
শ্রীলঙ্কা
মালওয়ানাতে এই শ্রীলঙ্কান পরিবারটির সদস্যরা ইফতার করতে বসেছেন৷ এখনো সময় হয়নি, তাই খাবার সাজিয়ে বসেছেন৷ ইফতারের আগে প্রার্থনা করছেন৷
ছবি: Getty Images/I. S. Kodikara
ইসরায়েল
ইসরায়েলের নাগরিকরা নিরাপদ দূরত্বে থাকার বিষয়টি খুব গুরত্ব দিচ্ছেন৷ যেমন, এই মুসলিম নাগরিকরা জাফা বিচ এলাকায় একটি পার্কিং গ্যারাজে মিলিত হয়েছেন প্রার্থনা করবার জন্য৷ পার্কিংয়ের দাগগুলো তাদের দূরত্ব বজায় রাখতে সহযোগিতা করছে৷
ছবি: Getty Images/A. Gharabli
ইন্দোনেশিয়া
রাজধানী জাকার্তায় ইমাম বামবাং সুপ্রিয়ান্তো মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাধারণ মুসল্লিদের কাছে পৌঁছাচ্ছেন৷ সুন্দা কেলাপা মসজিদে সুপ্রিয়ান্তো কোরআন তেলাওয়াত করছেন এবং তা লাইভ স্ট্রিমিং করছেন৷ শুধু তাই নয়, এ সময় মাস্ক পরে তিনি একটি দৃষ্টান্তও তৈরি করছেন৷
ছবি: Reuters/W. Kurniawan
যুক্তরাষ্ট্র
মিশিগানের ডিয়ারবর্ন কমিউনিটি সেন্টারে মসজিদ আল-সালামের সামনে লেখা ‘রামাদান কারিম’৷ রমজানের শুরুতে সেন্টারের কর্মীরা এই অক্ষরগুলো এখানে বসান৷
ছবি: Getty Images/E. Cromie
শ্রীলঙ্কা
মসজিদে যাওয়া মানা, তাই বলে কি বন্ধ থাকবে উপাসনা? আবারো শ্রীলঙ্কার ছবি৷ কলম্বোর একটি ছাদে কার্পেট বিছিয়ে বসে থাকা এই বালক অপেক্ষায় রয়েছে ইফতারের৷
ছবি: Reuters/D. Liyanawatte
জার্মানি
ইমাম বেনিয়ামিন ইদরিস স্মার্টফোনে কোরআন পড়ে রেকর্ড করছেন৷ পরে তা ইন্টারনেটে আপলোড করবেন৷ বাভেরিয়া রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের একটি মসজিদে তাঁর এই ছবি৷
ছবি: Reuters/A. Uyanik
তুরস্ক
ইস্তাম্বুলের বেয়োগলু এলাকার গালাটা টাওয়ার৷ এখানে মানুষজনের সমাগম নেই ধারণাই করা যায় না৷ অন্যান্য দেশের মত তুরস্কও করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে৷ বন্ধ রেখেছে মসজিদগুলো৷
ছবি: Getty Images/B. Kara
নেপাল
কিছু জিনিস কখনো বদলায় না, সময় যেমনই হোক৷ রাজধানী কাঠমাণ্ডুর একটি মসজিদের মিনারে আযান দিচ্ছেন মুয়াজ্জিন৷
ছবি: Getty Images/P. Mathema
সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরের একটি কনভেনশন সেন্টার এটি৷ সাধারণত প্রদর্শনী বা বাণিজ্য মেলা হয় এখানে৷ এখন এই কনভেনশন সেন্টারটি করোনা চিকিৎসায় একটি ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ সেখানে প্রার্থনা করার জন্য আলাদা জায়গা রাখা আছে৷
ছবি: Reuters/M. Nasiruddin
বাংলাদেশ
ঢাকার আরমানিটোলায় তারা মসজিদের ছবি এটি৷ সেখানে নিভৃতে কোরআন পড়ছেন এই ব্যক্তি৷
ছবি: Reuters/M. P. Hossain
11 ছবি1 | 11
চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যমে (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্টি মিডিয়া) এবং কেবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীরা এ ছুটির আওতায় পড়বেন না৷
ঔষধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পসহ সকল কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে৷ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রণীত ‘বিভিন্ন শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে নির্দেশনা' প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে৷
পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প-কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও পরিবহন পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে৷
ছুটির সময় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না৷
রমজান, ঈদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে৷
সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসগুলো প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে৷ সেইসঙ্গে তারা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে৷ মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং আওতাধীন অফিসগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা ১৩ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে৷
বাংলাদেশে প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল৷ সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়৷
এরপর সেই ছুটির মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়৷ তবে এর মধ্যে কিছু বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়া হয়৷
ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দুই ঘণ্টা বাড়ানোর পাশাপাশি বিপণি বিতান ও দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়৷ সেই সঙ্গে চালু হয় পোশাক কারখানা, বাইরে থেকে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজও পড়া যাচ্ছে এখন৷ তবে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷