আয়তনে ছোট হলেও বাংলাদেশে ভ্রমণের জায়গা অনেক৷ সাগর, পাহাড়, স্থাপত্য– সবরকম পর্যটন আকর্ষণই আছে বাংলাদেশে৷ এরকমই জনপ্রিয় দশটি ভ্রমণ গন্তব্য তুলে ধরা হলো এখানে৷
বিজ্ঞাপন
সেন্টমার্টিন দ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন৷ স্থানীয়ভাবে জায়গাটি নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত৷ টেকনাফ থেকে ৩৫ কিলোমিটার সমুদ্রগর্ভে এই দ্বীপের অবস্থান৷ প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটার দীর্ঘ এ দ্বীপের আকর্ষণ সৈকত জুড়ে সারিসারি নারিকেল গাছ, বেলাভূমিতে প্রবাল পাথর, দিগন্তজুড়ে সমুদ্রের নীল জলরাশির মনমাতানো সৌন্দর্য৷ ছোট্ট এই দ্বীপটিতে বৈচিত্র্য ঠাসা৷ উত্তর থেকে দক্ষিণ আর পুর্ব থেকে পশ্চিম, সব জায়গাতেই সৌন্দর্যের পসরা৷ যেমন, উত্তরের সৈকতে জোয়ারভাটায় জেলেদের মাছ ধরা, পশ্চিমের সৈকতে সারিসারি নারিকেল বাগান৷ পূর্ব আর দক্ষিণ পাশের সৈকতজুড়ে মৃত প্রবালের সঙ্গে নীলসমুদ্র৷ এত নীল পানির সমুদ্র বাংলাদেশের আর কোথাও নেই৷
বৈচিত্র্যময় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন৷ দ্বীপটি এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি৷ ভ্রমণ মৌসুমে পর্যটকদের ঢল নামে ছোট্ট এই প্রবাল দ্বীপে৷
ছবি: DW/M. Mamun
নারিকেল জিঞ্জিরা
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সমুদ্র গর্ভে এ দ্বীপটির অপর নাম নারিকেল জিঞ্জিরা৷ প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটার জুড়ে এ দ্বীপের বেলাভূমিতে প্রবাল পাথরের মেলা, সারি সারি নারিকেল বৃক্ষ, দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া সমুদ্রের নীল জলরাশি পর্যটক আকর্ষণের মূল উপাদান৷
ছবি: DW/M. Mamun
নাফ নদী
টেকনাফের অপূর্ব নাফ নদী৷ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিচ্ছেদ রচনা করেছে এই নদী৷ সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যেতে যেতে নাফ নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
তৈঙ্গা পাহাড়
নাফ নদীর তীরে বাংলাদশের তৈঙ্গা পাহাড়৷ নেটং পাহাড় নামেও এর পরিচিতি আছে৷ এ পাহাড়েই এশীয় হাতির অভয়াশ্রম ‘গেম রিজার্ভ’৷
ছবি: DW/M. Mamun
দমদমিয়া ঘাট
টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের জাহাজগুলো ছাড়ে সকাল ৯টা থেকে ১০ টার মধ্যে৷ জায়গাটি টেকনাফ শহরের প্রায় সাত কিলোমিটার আগে৷
ছবি: DW/M. Mamun
জাহাজ চলাচল
টেকনাফ থেকে দিনে পাঁচটি জাহাজ চলাচল করে সেন্টমার্টিনের পথে৷ প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টায় নাফ নদী আর বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে জাহাজগুলো পৌঁছায় প্রবাল দ্বীপে৷ সেন্টমার্টিন থেকে ফিরতি জাহাজগুলো ছেড়ে আসে বিকেল তিনটায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
বৈচিত্র্য
সেন্টমার্টিনের পুরো জায়গাটিই আকর্ষণীয়৷ এর একেকটি জায়গার বৈচিত্র্য একেকরকম৷ পশ্চিম দ্বীপে গেলে এক রকম আবার পূর্ব দ্বীপটা আবার একবোরে অন্য রকম৷ একটু সামনের দিকে গেলে গলাচিপাটা আরো অন্যরকম৷ পুরো দ্বীপটাই বৈচিত্র্যে ভরপুর৷
সেন্টমার্টিন দ্বীপে সূর্যোদয়ের দৃশ্য মনকাড়া৷ এখানে সূর্য ওঠে মিয়ানমারের পাহাড়গুলোর আড়াল থেকে৷ সূর্যোদয় দেখার জন্য আদর্শ জায়গা দ্বীপের প্রবেশপথের পাশের সৈকত৷ সূর্যোদয়ের আগে থেকেই এখানে আকাশে রং মাখায় প্রকৃতি৷
ছবি: DW/M. Mamun
সূর্যাস্ত
সেন্টমার্টিনে সূর্যাস্তের দৃশ্যও অসাধারণ৷ সন্ধ্যায় এখানে সূর্য সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যায়৷ এ দ্বীপে সূর্যাস্ত দেখার ভালো জায়গা পশ্চিম সৈকত৷ দ্বীপের পশ্চিম প্রান্তে হোটেল অবকাশের সৈকত সূর্যাস্ত দেখার সবচেয়ে ভালো জায়গা৷
ছবি: DW/M. Mamun
জেলেদের মাছ ধরা
সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় দশ হাজার মানুষের বসবাস৷ বাসিন্দাদের প্রধান পেশা মাছ ধরা৷ ভাটার সময় পর্যটকরা দ্বীপের উত্তর সৈকতে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
নারিকেল গাছের সারি
সেন্টমার্টিনের উত্তর সৈকতে নারিকেল গাছের সারি দেখতে অপূর্ব লাগে৷ পুরো দ্বীপ জুড়েই নারিকেল গাছের ছড়াছড়ি৷
ছবি: DW/M. Mamun
নীল ও স্বচ্ছ পানি
সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ সৈকত৷ এখানকার সমুদ্রের পানি একেবারেই নীল ও স্বচ্ছ৷ দক্ষিণ সৈকতে প্রবালের প্রাধান্যও বেশি৷ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের জন্য সাধারণ মানের বেশ কিছু হোটেল- রিসোর্ট আছে৷ ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকায় এ দ্বীপে পর্যটকরা রাত্রিবাস করতে পারেন এসব হোটেল-রিসোর্টে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ছেঁড়া দ্বীপ
সেন্টমার্টিনের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে ছেঁড়াদ্বীপ৷ এক সময় এ জায়গাটি মূল দ্বীপ হতে বিচ্ছিন্ন ছিল৷ বর্তমানে মূল দ্বীপের সাথে প্রায় মিলে গেছে৷ তবে এখনো জোয়ারের সময় এ দুই দ্বীপের সংযোগস্থল ডুবে গিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেয় মূল ভূ-খণ্ড থেকে৷ সেন্টমার্টিন থেকে ছেঁড়াদ্বীপ যাওয়ার জন্য বাহন ইঞ্জিন নৌকা কিংবা স্পিড বোট৷
ছবি: DW/M. Mamun
সমুদ্র সৈকতে ডাবের পানি
সেন্টমার্টিন সৈকতে ডাব বিক্রেতা৷ এ দ্বীপের ডাব পর্যটকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
শিশুদের আনন্দ
সেন্টমার্টিন সৈকতে স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে খেলায় মেতেছে পর্যটক শিশু৷
ছবি: DW/M. Mamun
নিরাপত্তার অভাব
সেন্টমার্টিন সৈকতে সমুদ্র স্নানে পর্যটকরা৷ এখানকার সৈকতে কোনো লাইফ গার্ড না থাকায় প্রতিবছরই পর্যটকদের সমুদ্রে ভেসে যাওয়ার নজির আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
16 ছবি1 | 16
সেন্টমার্টিনের আরেক আকর্ষণ ছেঁড়াদ্বীপ৷ মূল দ্বীপের একেবারে দক্ষিণে অবস্থিত৷ একসময় মূল দ্বীপ থেকে এটি বিচ্ছিন্ন ছিল, এখন প্রায় মিলে গেছে৷ তবে জোয়ারের সময় এখনো এর সংযোগস্থল ডুবে যায়৷
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিয়ে যাওয়ার জন্য চালু আছে বেশকিছু সমুদ্রগামী জাহাজ৷
কক্সবাজার
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার৷ এর সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছে দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভও৷ ভ্রমণে তাই কক্সবাজার এখন আরো বেশি উপভোগ্য৷
কক্সবাজারের প্রধান আকর্ষণ সমুদ্র সৈকত৷ শহর থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভ ধরে টেকনাফ পর্যন্ত এখানে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর সৈকত আছে৷ কক্সবাজার শহরের লাবনী ও সুগন্ধা সৈকত ছাড়াও মেরিন ড্রাইভে আছে হিমছড়ি, ইনানী, শামলাপুর, হাজামপাড়া আর টেকনাফ৷ এর একেকটি সৈকত যেন বৈচিত্র্যের ভান্ডার৷
সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজার শহরের পার্শ্ববর্তী থানা রামুতে আছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বেশ কিছু কেয়াং ও প্যাগোডা৷ আর চকোরিয়ার ডুলাহাজরায় আছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক৷
ঢাকা থেকে সড়ক ও আকাশপথে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়া যায়৷
কক্সবাজারের দু’টি অপূর্ব দ্বীপ
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের পাশে ছোট্ট দু’টি দ্বীপ কুতুবদিয়া ও মহেশখালী৷ বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা এ দ্বীপ দু’টি আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় পিছিয়ে থাকলেও, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
কুতুবদিয়া চ্যানেল
কুতুবদিয়া দ্বীপের পূর্ব প্রান্তে এই কুতুবদিয়া চ্যানেল দ্বারা মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপটি৷ প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপে যেতে হলে চকোরিয়ার মগনামা ঘাট থেকে পাড়ি দিতে হয় এই চ্যানেল৷ শীত মৌসুমে এ চ্যানেল বেশ শান্ত থাকলেও বর্ষা মৌসুমে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে৷ জায়গাটিতে ঘুরতে যাওয়ার আসল সময় তাই শীতকাল৷
ছবি: DW/M. Mamun
সমুদ্র সৈকত
উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ কুতুবদিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত৷ পর্যটকের থেকে জেলেদের আনাগোনা বেশি দেখা যায় এ সৈকতে৷ কুতুবদিয়া সৈকতের অন্যতম বৈশিষ্ট প্রচুর গাঙচিলের আনাগোনা৷ নির্জনতার সুযোগে সৈকতের কোথাও কোথাও লাল কাঁকড়াদের দল ঘুরে বেড়ায় নির্ভয়ে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সূর্যাস্ত
কুতুবদিয়ার সৈকত থেকে সূর্যাস্ত দেখা যায় ভালোভাবে৷ এখানে সূর্য যেন ডোবে সমুদ্র জলে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কুতুবদিয়ায়৷ প্রায় ১০০০ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সৈকতের দক্ষিণ প্রান্তের আলী আকবরের ডেল এলাকায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
শুঁটকি কেন্দ্র
কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ এলাকার সমুদ্র সৈকত জুড়ে আছে শুঁটকি কেন্দ্র৷ সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এসে এখানেই শুঁটকি তৈরি করেন জেলেরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
লবণ চাষ
শীতে কুতুবদিয়ার মাঠগুলোতে দেখা যায় কৃষকদের লবণ চাষের ব্যস্ততা৷ দ্বীপের সর্বত্রই কম-বেশি লবণের চাষ হয়৷ তবে সবচেয়ে বেশি লবণের মাঠ তাবলের চর, কৈয়ার বিল, আলী আকবরের ডেল প্রভৃতি স্থানে৷ প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ উৎপাদনের নানান কৌশল দেখা যাবে এখানে৷
ছবি: DW/M. Mamun
কুতুব আউলিয়ার দরবার
দ্বীপের ধুরং এলাকায় কুতুব আউলিয়ার দরবার শরীফ৷ এ দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী এখানেই জন্মগ্রহণ করেন ১৯১১ সালে৷ ২০০০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি মারা যান৷ কথিত আছে কুতুবদিয়ার নামকরণ হয়েছে কুতুব আউলিয়ার পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাহাড়ের দ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ মহেশখালী যেখানে পাহাড় আছে৷ কক্সবাজারের পার্শ্ববর্তী এ দ্বীপটিতে হিন্দু মন্দির ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির৷
ছবি: DW/M. Mamun
যাতায়াত
কক্সবাজার শহর থেকে মহেশখালী যাবার সহজ মাধ্যম স্পিড বোট৷ কক্সবাজারের কস্তুরীঘাট থেকে স্পিডবোটে জায়গাটিতে যেতে সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট৷ তবে কক্সবাজার থেকে মহেশখালী দ্বীপে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থাও আছে৷ তবে সেটা বেশ সময় সাপেক্ষ৷
ছবি: DW/M. Mamun
মৈনাক পাহাড়
মহেশখালীর গোরখঘাটা ইউনিয়নের ঠাকুরতলা এলাকায় মহেশখালীর একমাত্র পাহাড় ‘মৈনাক’৷ আদিনাথ মন্দিরের কারণে এর পরিচিতি আদিনাথ পাহাড় নামেও৷
ছবি: DW/M. Mamun
আদিনাথ মন্দির
মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় আদিনাথ মন্দির৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পায় ৮৫ মিটার উচ্চতায় মন্দিরটির অবস্থান৷ প্রাচীন এ মন্দিরটির নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য জানা যায় না৷
ছবি: DW/M. Mamun
রাখাইন আদিবাসী
মহেশখালীতে আছে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী রাখাইনদের বসবাস৷ কাপড় বুননে পারদর্শী রাখাইন নারীরা৷ মহেশখালী শহরে রাখাইন নারীদের হাতে তৈরি কাপড়ের বেশ কিছু বিক্রয় কেন্দ্র আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বড় বৌদ্ধ কেয়াং
মহেশখালী জেটি থেকে বাজারে প্রবেশের আগে সড়কের বাঁ পাশে রাখাইন পাড়ায় আছে বড় বৌদ্ধ কেয়াং৷ এর ভেতরে বেশ কয়েকটি বুদ্ধমূর্তি আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ
পদ্মফুলে উপবিষ্ট ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ, সামনে প্রার্থনারত দুই নারী৷ চমৎকার এ বুদ্ধমূর্তিটি আছে মহেশখালীর বড় বৌদ্ধ কেয়াংয়ের ভেতরে৷
ছবি: DW/M. Mamun
রাখাইন বৌদ্ধ মন্দির
মহেশখালীর দক্ষিণ রাখাইনপাড়ায় আছে রাখাইন বৌদ্ধ মন্দির৷ এর ভেতরে আছে বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ মন্দির৷
ছবি: DW/M. Mamun
পিতলের বৌদ্ধ মূর্তি
বেশ কয়েকটি পিতলের বৌদ্ধ মূর্তির দেখা মিলবে এ কেয়াংয়ে৷
ছবি: DW/M. Mamun
16 ছবি1 | 16
কুতুবদিয়া
কক্সবাজার জেলার একটি দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া৷ প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই দ্বীপে আছে নানান পর্যটন আকর্ষণ৷ নির্জন সমুদ্র সৈকত, একমাত্র বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রাচীন বাতিঘর, কুতুব আউলিয়ার মাজারসহ দেখার মতো অনেক কিছুই আছে এ দ্বীপে৷
চকোরিয়ার মাগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়েই পৌঁছতে হয় দ্বীপে৷ এখানকার সমুদ্র সৈকত উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ৷ বেশিরভাগ এলাকাই বেশ নির্জন৷ সৈকতের তীরে অনেক জায়গাতেই আছে ঝাউগাছের বাগান৷ বাংলাদেশের একমাত্র বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও কুতুবদিয়ায়৷ এক হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তের আলী আকবরের ডেল এলাকায়৷
আর দ্বীপের উত্তর প্রান্তে আছে কুতুবদিয়ার প্রাচীন বাতিঘর৷ সমুদ্রপথে চলাচলকারী জাহাজের নাবিকদের পথ দেখাতে বহুকাল আগে কুতুবদিয়ায় তৈরি করা হয়েছিল একটি বাতিঘর৷ পুরানো সেই বাতিঘর সমুদ্রে বিলীন হয়েছে বহু আগে৷ তবে ভাটার সময় সেই বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ কখনো কখনো জেগে উঠতে দেখা যায়৷
দ্বীপের মাঝামাঝি ধুরং এলাকায় কুতুব আউলিয়ার দরবার শরীফ৷ এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী জন্মস্থান এটি৷ জনশ্রুতি আছে দ্বীপটির নামকরণ হয়েছে কুতুব আউলিয়ার পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই৷ বর্তমানে কুতুব শরীফ দরবারের দায়িত্বে আছেন তাঁরই পুত্র শাহজাদা শেখ ফরিদ৷ এছাড়া কুতুবদিয়ার সর্বত্রই লবণ চাষ হয়৷ প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ উৎপাদনের নানান কৌশল দেখা যাবে এখানে৷
বান্দরবান
তিন পার্বত্য জেলার অন্যতম বান্দরবান৷ এখানে রয়েছে বেড়ানোর মতো সুন্দর সব জায়গা৷
বান্দরবান শহরের এক পাশেই আছে বোমাং রাজার বাড়ি৷ বোমাং রাজার উত্তরসূরীরা এখন বসবাস করেন এ বাড়িতে৷ আর বান্দরবান শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে সাঙ্গু নদী৷
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র
পৃথিবীর মানচিত্রে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট দেশ বাংলাদেশ৷ সমুদ্র-পাহাড়-নদী – সব পর্যটন আকর্ষণই আছে এই দেশটিতে৷ বাংলাদেশের ১৫টি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের কথা তুলে ধরা হলো এখানে৷
ছবি: DW/M. Mamun
দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার৷ প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য৷ কক্সবাজারকে তাই বলা হয় বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী৷ কক্সবাজার শহরে গত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মানের হোটেল-রিসোর্ট৷
ছবি: DW/M. Mamun
একমাত্র প্রবাল দ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন৷ টেকনাফ থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সমুদ্র গর্ভে জেগে ওঠা এ দ্বীপটির আয়তন প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটার৷ এ দ্বীপের মূল আকর্ষণ সৈকত জুড়ে প্রবাল পাথরের মেলা, সারি সারি নারিকেল বৃক্ষ, দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া সমুদ্রের নীল জলরাশি আর স্থানীয়দের বিচিত্র জীবনযাপন৷ প্রায় দশ হাজার লোকের বসবাস এই দ্বীপে৷ এ দ্বীপের আরেক নাম ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’৷
ছবি: DW/M. Mamun
নির্জন সমুদ্র সৈকত
বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরিবিলি ও পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত টেকনাফ৷ নির্জনে যারা অবকাশ যাপন পছন্দ করেন, তাদের জন্য আদর্শ ভ্রমণ গন্তব্য এটি৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাহাড় চূড়ায় নীলগিরি
বান্দরবান জেলাসদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের এ পর্যটন কেন্দ্রটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত৷ এখান থেকে মেঘ ছুঁতে পারেন পর্যটকরা৷ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে কয়েকটি রিসোর্টও আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
মেঘে ঢাকা নীলাচল
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়ার পাহাড়চূড়ায় জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র নীলাচল৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬০০ ফুট উচ্চতায় এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে মেঘের লুকোচুরি দেখা যায়৷ নীলাচল থেকে পাখির চোখে দেখা যায় বান্দরবান শহরকেও৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাহাড়ের বাঁকে কাপ্তাই লেক
পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে প্রায় ১৭৬০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের কাপ্তাই লেক রাঙ্গামাটির অন্যতম ভ্রমণ গন্তব্য৷ কাপ্তাই লেকের ঝুলন্ত সেতু পর্যটকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়৷ এছাড়া কাপ্তাই লেকের অন্যতম আকর্ষণ নৌকা ভ্রমণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাথর বিছানো বিছনাকান্দি
সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা বিছনাকান্দি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়৷ পাথর বিছানো বিস্তীর্ণ প্রান্তরের উপরে বয়ে চলা মেঘালয়ের পাহাড়ী ঝরনাধারা বিছনাকান্দির মূল আকর্ষণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিশ্ব ঐতিহ্য স্থাপনা ষাট গম্বুজ
দক্ষিণাঞ্চলের জেলা শহর বাগেরহাটে অবস্থিত ষাট গম্বুজ মসজিদ৷ ১৯৮৩ সালে এটি বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের একটি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে৷ নাম ষাট গম্বুজ হলেও মসজিদটিতে মূলত একাশিটি গম্বুজ আছে৷ খান জাহানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য কীর্তি এটি৷ ধারণা করা হয়, ষাট গম্বুজ মসজিদটি তিনি নির্মাণ করেছিলেন ১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দের কিুছুকাল আগে৷
ছবি: DW/M. Mamun
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন
বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে প্রায় দশ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবন৷ এর বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটার৷ ১৯৯৭ সালে সুন্দরবন ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়৷ বিপন্ন বেঙ্গল টাইগারের নিরাপদ আবাসস্থল এটি৷ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে যায়গাটি বেশ পছন্দের৷
ছবি: DW/M. Mamun
রাঙ্গামাটির ছাদ সাজেক ভ্যালি
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উচ্চতায় সাজেক ভ্যালিকে বলা হয় ‘রাঙ্গামাটির ছাদ’৷ ভৌগোলিক অবস্থান রাঙামাটিতে হলেও যাতায়াতের সহজ পথ খাগড়াছড়ি হয়ে৷ সাজেকের আশপাশের গ্রামগুলোতে লুসাই,পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসীদের বসবাস৷ কমলা চাষের জন্য বিখ্যাত সাজেকে কফিও চাষ করা হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
দক্ষিণের ভাসমান বাজার
দক্ষিণের জেলা শহর ঝালকাঠী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ভিমরুলি গ্রামের কৃত্তিপাশা খালের শতবর্ষের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ভাসমান বাজার৷ প্রায় সারা বছরই এ হাট বসলেও পেয়ারা ও আমড়ার মৌসুমে প্রায় তিন মাস এ হাট জমজমাট থাকে৷ সপ্তাহের প্রতিদিনই বসে ভাসমান এ হাট৷ ঝালকাঠী থেকে ছোট ছোট খালে ঘুরে এ সব এলাকার মানুষের বিচিত্র জীবনযাত্রাও দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
সাগরকন্যা কুয়াকাটা
সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালীর শেষপ্রান্তে অবস্থিত৷ এটি বাংলাদেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়৷ এছাড়া কুয়াকাটার পাশেই আছে ফাতরার বন, যেটি সুন্দরবনেরই একটি অংশ বিশেষ৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির
পুরনো ঢাকার প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঢাকেশ্বরী মন্দির৷ কিংবদন্তী আছে রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের জঙ্গলে দেবী দুর্গার একটি মূর্তি পেয়ে একটি মন্দির নির্মাণ করে সেটিকে সেখানে স্থাপন করেন৷ আর নাম দেন ঢাকেশ্বরী মন্দির৷ অনেক ঐতিহাসিকের মতে এই ঢাকেশ্বরী নাম থেকেই ‘ঢাকা’ নামের উৎপত্তি৷
ছবি: DW/M. Mamun
লালবাগ দুর্গ
পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত এ দুর্গটি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের ছেলে শাহজাদা আজাদ ১৬৭৮ সালে নির্মাণ শুরু করেছিলেন৷ পরে শায়েস্তা খান এসে ১৬৮৪ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন৷ এ দুর্গের ভেতরে পরীবিবির সমাধি, দরবার হল ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
প্রাচীন স্থাপনা সমৃদ্ধ সোনারগাঁও
প্রাচীন সুবর্ণগ্রাম থেকেই সোনারগাঁও নামের উদ্ভব৷ বঙ্গ অঞ্চলে মুসলমানদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবার পর থেকে ১৬১০ সালে ঢাকা নগরের অভ্যুদয়ের আগ পর্যন্ত সোনারগাঁও ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গের প্রশাসনিক কেন্দ্র৷ সোনারগাঁও এলাকার প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো খাসনগর দীঘি, দুলালপুরের নীলকুঠি, গোয়ালদি শাহী মসজিদ, আমিনপুর মঠ, দামোদরদি মঠ, পানাম নগরের আবাসিক ভবন, বড় সরদার বাড়ি প্রভৃতি৷
ছবি: DW/M. Mamun
15 ছবি1 | 15
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে বান্দরবান চন্দ্রঘোনা সড়কের পুল পাড়ায় জাদির পাহাড়ে আছে স্বর্ণ মন্দির৷ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এ মন্দিরের নাম বুদ্ধধাতু জাদি৷ শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের পাশে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স৷ প্রকৃতির কোলে এখানে আছে ঝুলন্ত সেতু, চিড়িয়াখানা আর হ্রদ৷
শহরের কাছে সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের নাম নীলাচল৷ শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে টাইগার পাড়ায় এ পাহাড়টির উচ্চতা প্রায় এক হাজার ফুট৷ এখানে দাঁড়িয়ে বান্দরবান শহরসহ দূর দূরান্তের অনেক জায়গার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়৷
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে শৈলপ্রপাত৷ এখানে আছে একটি ঝরনা৷ শৈল প্রপাতের পাশেই স্থানীয় আদিবাসীদের ভ্রাম্যমাণ বাজারটি দেখার মতো৷ তাঁদের তৈরি চাদর আর পাহাড়ি ফলমূল পাওয়া যায় এ বাজারে৷ এখানে আরো আছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বম সম্প্রদায়ের একটি গ্রামও৷
শৈলপ্রপাত থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে চিম্বুক পাহাড়৷ এ পথে বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরি৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২শ' ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এ পর্যটন কেন্দ্র থেকে চারপাশের দৃশ্য ছবির মতো৷
রাঙ্গামাটি
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পার্বত্য চট্টগ্রামের আরেকটি জেলা রাঙ্গামাটি৷ এখানকার জেলা শহরে আছে উপজাতীয় জাদুঘর৷ জেলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি আর ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পেতে এ জাদুঘরের জুড়ি নেই৷ এর কাছেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান রাজবনবিহার৷ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নানান আচার অনুষ্ঠান নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় এখানে৷ রাজবনবিহারের পাশেই কাপ্তাই লেকের ছোট্ট একটি দীপ জুড়ে রয়েছে চাকমা রাজার বাড়ি৷
খাগড়াছড়িতে যা দেখতে পাবেন
অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলা৷ সর্পিল নদী, পাহাড়, পাহাড়ি ঝরনা, আদিবাসীদের গ্রাম – সে এক মনোরম পরিবেশ৷ এছাড়া পর্যটকদের জন্য আছে আরও কিছু আকর্ষণ৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/M. Mamun
শহরে ঢোকার দরজা
খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশমুখে ‘খাগড়াছড়ি গেইট’৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাখির চোখে
কুয়াশায় ঢাকা খাগড়াছড়ি শহরের ‘বার্ডস আই ভিউ’৷ পুরো খাগড়াছড়ি জেলা জুড়ে পাহাড় আর পাহাড় থাকলেও, এর জেলা শহরটি কিন্তু একেবারেই সমতলে অবস্থিত৷
ছবি: DW/M. Mamun
শীতে শান্ত, বর্ষায় ভয়ংকর
খাগড়াছড়ি শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সর্পিল আঁকা বাঁকা পাহাড়ি নদী ‘চেঙ্গী’৷ শীতে পাহাড়ি এ নদী শুকিয়ে গেলেও বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে৷
ছবি: DW/M. Mamun
নদীর বাণিজ্যিক ব্যবহার
খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীতে বাঁশের ভেলা৷ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পাহাড় থেকে বাঁশ কেটে এ নদী দিয়ে ভাসিয়ে নেয়া হয় দেশের নানান প্রান্তে৷
ছবি: DW/M. Mamun
দুর্গম পথ
পুরো খাগড়াছড়ি জেলাজুড়েই আছে এমন দুর্গম পাহাড়ি পথ৷ আঁকা বাঁকা এ সব পথে চলতে চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর জীবন দেখা
খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার নুনছড়ি এলাকায় ‘দেবতার পাহাড়’৷ দুর্গম এ পাহাড়ে দেখা মিলবে এ সব এলাকায় বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠী, তাঁদের সংগ্রামী জীবনধারা৷
ছবি: DW/M. Mamun
দেবতার পুকুর
নুনছড়ি এলাকার দেবতার পাহাড়ের চূড়ায় দেবতার পুকুর৷ এর আরেক নাম ‘মাতাই পুখিরি’৷ ত্রিপুরা ভাষায় ‘মাতাই’ শব্দের অর্থ দেবতা আর ‘পুখিরি’ শব্দের অর্থ পুকুর৷ স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেবতার আশীর্বাদে পাহাড় চূড়ার এ পুকুরের পানি কখনো কমে না৷ দেবতার পুকুরের পাড়েই আছে একটি শিব মন্দির৷ এই মন্দিরকে ঘিরেই প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সেখানে বসে তীর্থ মেলা৷
ছবি: DW/M. Mamun
রিসাং ঝরনা
খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে মনোরম প্রাকৃতিক ঝরনা রিসাং৷ বিশাল পাথুরে জায়গার এক প্রান্ত থেকে অঝোরে বইছে এই জলপ্রপাত৷ রিসাংয়ের চারপাশে পাহাড়ের নিস্তব্ধতা ভেঙে অবিরাম বয়ে চলছে রিসাংয়ের জলধারা৷ শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত ঝরনায় পানির প্রবাহ কম থাকে, বর্ষায়ে বেড়ে যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
আলুটিলা পাহাড়
খাগড়াছড়ির আলুটিলা পাহাড়ে সূর্যাস্ত৷ শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরের এ পাহাড় থেকে খাগড়াছড়ি শহর আর চেঙ্গী নদীকে পাখির চোখে দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
প্রাচীন গুহা
আলুটিলা পাহাড়ের নীচে প্রাচীন গুহা৷ পাহাড়ের চূড়া থেকে ২৬৬টি ধাপের একটি সিঁড়ি নেমে গেছে গুহাপথের মুখে৷ গুহার ভেতর দিয়ে বয়ে চলছে শীতল জলধারা৷
ছবি: DW/M. Mamun
গুহায় অ্যাডভেঞ্চার
আলুটিলা গুহাপথে পর্যটক৷ এ গুহার একপ্রান্ত থেকে ঢুকে অন্য প্রান্তে পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১৫ মিনিট৷ ঘুটঘুটে অন্ধকার এ গুহায় প্রবেশ করতে হয় মশাল নিয়ে৷ প্রবেশ পথেই কিনতে পাওয়া যায় এ মশাল৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঝুলন্ত সেতু
খাগড়াছড়ি শহরের পাশেই জেলা পরিষদের হর্টিকালচার পার্ক৷ লেক ঘেরা এ জায়গাটির মূল আকর্ষণ দোদুল্যমান ঝুলন্ত সেতু৷
ছবি: DW/M. Mamun
নৃ-গোষ্ঠীর বাস
খাগড়াছড়ি জেলায় চাকমা, ত্রিপুরা, মারমাসহ নানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা বাস করেন৷ জেলার সর্বত্রই পর্যটকদের জন্য এ সব নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারা দেখার সুযোগ আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
জুম চাষ
খাগড়াছড়ির পাহাড়ে জুম চাষের জন্য পাহাড় প্রস্তুত করছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা মানুষেরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
সবুজ পাহাড়
জুমের ফসলে ছেয়ে গেছে পাহাড়৷ জেলার সর্বত্রই দেখা যায় জুমের ফসলে ভরপুর সবুজ এরকম পাহাড়৷
ছবি: DW/M. Mamun
তামাক চাষ
খাগড়াছড়ির দীঘি-নালায় মাইনি নদীর তীরে তামাক চাষ৷ স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আগাম ঋণপ্রাপ্তি ও ক্ষেত থেকেই বিক্রির সুযোগ থাকায় ব্যাপকহারে তামাক চাষে ঝুঁকছেন খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষকরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
16 ছবি1 | 16
রাঙ্গামাটি শহরের শেষ প্রান্তে কাপ্তাই হ্রদের তীরে খুব ব্যস্ত দুটি জায়গা রিজার্ভ বাজার আর তবলছড়ি বাজার৷ দুটি বাজারেই মূলত আদিবাসীদের আনাগোনা বেশি৷ তবলছড়ি ছাড়িয়ে আরও প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে রয়েছে পর্যটন কমপ্লেক্স৷ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল ছাড়াও এর ভেতরে আছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু৷
রিজার্ভ বাজার থেকে নৌকায় চড়ে যাওয়া যায় শুভলং বাজার৷ বাজারের আগেই বাঁ দিকের পাহাড়ে আছে শুভলং ঝরনা৷ তবে শীতে এ ঝরনায় পানি থাকে না৷ শুভলং যেতে পথে কাপ্তাই হ্রদের মাঝের ছোট দ্বীপজুড়ে আছে টুক টুক ইকো ভিলেজ ও পেদা টিংটিং৷ এখানকার রেস্তোরাঁয় মেলে হরেক পদের পাহাড়ি খাবার৷
রাঙ্গামাটির সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রটি হলো সাজেক৷ জায়গাটির অবস্থান রাঙামাটি জেলায় হলেও যাতায়াত সুবিধা পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে৷ সেখান থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার৷ বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণগন্তব্যগুলোর একটি সাজেক৷ রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় জায়গাটির অবস্থান৷ সাজেকের পাহাড়চূড়া থেকে পুরো রাঙামাটির চারপাশ দৃষ্টিগোচর হয় বলে একে রাঙামাটির ছাদও বলেন অনেকে৷
খাগড়াছড়ি
পার্বত্য চট্টগ্রামের আরেকটি জেলা খাগড়াছড়ি৷ এখানেও ভ্রমণের অনেক জায়গা রয়েছে৷ চট্টগ্রাম থেকে এই জেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ১২২ কিলোমিটার৷ চারিদিকে পাহাড়ের মাঝে অনেকটা সমতলে এই শহর৷
খাগড়াছড়ির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভ্রমণের জায়গা হলো আলুটিলা পাহাড়৷ জেলা শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে মহাসড়কের পাশেই রয়েছে এই পাহাড়৷ প্রায় এক হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়ালে পুরো খাগড়াছড়ি শহরকে পাখির চোখে দেখা যায়৷ আলুটিলা পাহাড়ের আরেকটি আকর্ষণীয় জায়গা হলো এর নিচের গুহাপথ৷ পাহাড়ের নীচে গুহার ভেতর দিয়ে বয়ে চলছে শীতল জলধারা৷
আলুটিলা পাহাড় থেকে তিন কিলোমিটার দূরে রিসাং ঝরনাটিও বেশ সুন্দর৷ আর শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নুনছড়ির পাহাড় চূড়ায় দেবতার পুকুরও মনোরাম জায়গা৷
সুন্দরবনের সুন্দর দশ পাখি
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবন নানান জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ৷ এ সব জীববৈচিত্রের মধ্যে আছে বিপুল সংখ্যক পাখি, অন্ততপক্ষে ৩২০টি প্রজাতির৷ এর মধ্য থেকে বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুন্দরবনের সুন্দর দশটি পাখি দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
সুন্দরী হাঁস
কালোমুখ প্যারাপাখি বা সুন্দরী হাঁস৷ ইংরেজি নাম মাস্কড ফিনফুট৷ দেখতে অনেকটা পানকৌড়ির মতো এ পাখিটি স্থানীয়ভাবে ‘হাঁস পাখি’ নামেও পরিচিত৷ পাখিটি সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোথাও দেখা যায় না৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
মদনটাক
সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় পাখি এটি৷ ইংরেজি নাম লেসার অ্যাডজুটেন্ট৷ বেশিরভাগ সময় গাছের মগডালে দেখা গেলেও ভাটার সময় খাবারের সন্ধানে এরা নদী বা খালের চরে ঘুরে বেড়ায়৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
খয়রাপাখা মাছরাঙ্গা
খয়রাপাখা মাছরাঙ্গার ইংরেজি নাম ব্রাউন উইঙ্গড কিংফিশার৷ সুন্দরবেন দেখা বিভিন্ন প্রজাতির মাছরাঙ্গার মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়৷ সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোথাও পাখিটি দেখা যায় না৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
সিঁদুরে মৌটুসি
পাখিটির ইংরেজি নাম ক্রিমসান সানবার্ড৷ সিঁদুরের মতো লার টুকটুকে ছোট এ পাখিটি বিভিন্ন ফুলে মধু খেতে দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
শঙ্খচিল
শঙ্খিচিলের ইংরেজি নাম ব্রাহ্মিণী কাইট৷ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালের ওপর উড়ে উড়ে মাছ শিকার করতে দেখা যায় পাখিটিকে৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
কালোকপাল বনমালী
ভেলভেট ফ্রন্টেড নাটহ্যাচ, ইংরেজি নাম কালোকপাল বনমালী৷ সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছে পোঁকামাকড় খেতে দেখা যায় ছোট এ পাখিটিকে৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
বড় বক
বড় বকের ইংরেজি নাম গ্রেট এগ্রেট৷ সুন্দরবনে প্রচুর দেখা যায় সাদা ধবধবে এ পাখিটি৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
বাদামি ডানা পাপিয়া
এ পাখিটির ইংরেজি নাম চেস্টনাট উইঙ্গড কাক্কু৷ সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছের আড়ালে দেখা যায় পাখিটি৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
সবুজ ঠোঁট মালকোয়া
পাখিটির ইংরেজি নাম গ্রিন বিলড মালকোয়া৷ পাখিটি বন কোকিল নামেও পরিচিত৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
বন মোরগ
লাল বন মোরগের ইংরেজি নাম জঙ্গল ফাওল৷ সুন্দরবেনর সর্বত্র দেখা যায়৷ দেখতে খুবই সুন্দর এ পাখিটির কর্কশ ডাক সকালে সুন্দরবনের নিরবতা ভাঙে৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
10 ছবি1 | 10
সুন্দরবন
প্রায় দশ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের ছয় হাজার বর্গকিলোমিটারই বাংলাদেশে৷ ১৯৯৭ সালে সুন্দরবন ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়৷ ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য এটি৷ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বেঙ্গল টাইগারের বাস ছাড়াও এ বনে আছে চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, বন্য শূকর, বানর, গুঁইসাপ, ভোদর, ডলফিন, লোনাপানির কুমিরসহ আরো অনেক বন্যপ্রাণী৷ সুন্দরবনের প্রায় ৩৩০ প্রজাতির গাছপালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুন্দরী, কেওড়া, পশুর, ধুন্দল, আমুর, গরান, গর্জন, খোলশী, হেতাল, গোলপাতা, টাইগার ফার্ন, হারগোজা ইত্যাদি৷
সুন্দরবনে ভ্রমণে এখন অনেক পেশাদার ভ্রমণ সংস্থা এখন প্যাকেজ ট্যুর পরিচালনা করে৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বেঙ্গল ট্যুরস, গাইড ট্যুরস, সিলভার ওয়েভ ট্যুরস, পাগমার্ক ট্যুরস ইত্যদি৷
শ্রীমঙ্গল
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চা বাগান মৌলভী বাজার জেলায়৷ আর এ জেলার শ্রীমঙ্গলেই সবচেয়ে বেশি চা বাগান৷ জীব বৈচিত্রে ভরা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানও শ্রীমঙ্গলের পাশেই৷
শ্রীমঙ্গলে বেশ কিছু সুন্দর চা বাগান আছে৷ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সময় চারিদিকে চোখে পড়বে শুধুই চা বাগান আর চা বাগান৷ পছন্দসই যে কোনো বাগানে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দেখতে পারেন৷
শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের থাকার জন্য গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মানের হোটেল রিসোর্টও৷ তাই চা বাগান বেড়ানোর সাথে সাথে এখানে আরো বেড়াতে পারেন বাইক্কা বিল৷ এ বিল অতিথি পাখির অন্যতম অভয়াশ্রম৷ শ্রীমঙ্গলের সীমান্তবর্তী থলই এলাকায় আছে বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতি সৌধ৷ আর কমলগঞ্জের মাধবপুর লেকও শ্রীমঙ্গল থেকে খুবই কাছের একটি দর্শনীয় স্থান৷
বাগেরহাট
প্রাচীন মসজিদের একটি শহর বাগেরহাট৷ বেশ কিছু প্রাচীন মসজিদ এখানকার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ৷ ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদসহ খানজাহান আলীর এসব প্রাচীন স্থাপনা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ৷
মসজিদের শহর বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য
খুলনার প্রচীন মসজিদের শহর বাগেরহাটের নাম ছিল খলিফাতাবাদ৷ শহরটির প্রতিষ্ঠাতা খান-ই-জাহান ছিলেন এক সাধক পুরুষ৷ ষাট গম্বুজ মসজিদসহ এখানকার নানা প্রাচীন স্থাপনা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় ১৯৮৫ সালে৷
ছবি: DW/M. Mamun
নির্মাণ কাল ১৪৫৯
খান জাহান আলীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য কীর্তি ষাট গম্বুজ মসজিদ৷ ঐতিহাসিকদের মতে, এই ষাট গম্বুজ মসজিদটি তিনি নির্মাণ করেছিলেন ১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দেরও কিছু আগে৷
ছবি: DW/M. Mamun
একাশিটি গম্বুজ
নাম ষাট গম্বুজ হলেও মসজিদটিতে মূলত একাশিটি গম্বুজ আছে৷ মসজিদের ছাদে ৭৭টি এবং চারকোণার টাওয়ারে চারটি৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মসজিদের অভ্যন্তরে ষাটটি স্তম্ভ থাকার কারণে এর নাম হয়ত ষাট গম্বুজ৷
ছবি: DW/M. Mamun
অভ্যন্তর ভাগ
ষাট গম্বুজ মসজিদের ভেতরের অংশ৷ এই অংশ অতীতে চুন-শুরকির মিশ্রণে লাল রঙের হলেও, পরবর্তীতে তা পলেস্তরা আরা সাদা রঙের প্রলেপে ঢাকা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঢেকে ফেলা হয়েছে কালো পাথর
ষাট গম্বুজ মসজিদের ভেতরের স্তম্ভগুলো ছিল মূলত কালো পাথরের তৈরি৷ উত্তর দিকের একটি স্তম্ভ খালি দর্শনার্থীদের দেখার জন্য রেখে বাকি স্তম্ভগুলোর মূল্যবান কালো পাথর ঢেকে ফেলা হয়েছে সিমেন্টের পলেস্তারার প্রলেপে৷ বাংলাদেশের অনেক প্রাচীন স্থাপনাই এরকম অদক্ষ সংস্কারের নামে ধ্বংস করেছে খোদ সরকারেরই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর!
ছবি: DW/M. Mamun
সিংড়া মসজিদ
ষাট গম্বুজ মসজিদের দক্ষিণ পাশে সুন্দরঘোনা গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন স্থাপনা সিংড়া মসজিদ৷ইট নির্মিত মসজিদের প্রাচীরগুলি প্রায় সাত ফুট প্রশ্বস্ত৷ মসজিদের পূর্ব দেয়ালে আছে তিনটি প্রবেশপথ৷ প্রবেশপথ বরাবর পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি অলংকৃত মিহরাব৷ তবে কেন্দ্রীয় মিহরাবটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং সুসজ্জিত৷ এর নির্মাণ শৈলী বিবেচনা করে ঐতিহাসিকরা মনে করেন, সিংড়া মসজিদের নির্মাণকাল পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি৷
ছবি: DW/M. Mamun
হযরত খানজাহান আলীর সমাধিসৌধ
ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এক গম্বুজ বিশিষ্ট হযরত খানজাহান আলীর সমাধিসৌধ৷ কথিত আছে, হযরত খান জাহান আলী বাগেরহাটে এসেছিলেন ১৩৯৮ খ্রিষ্টাব্দের পরে৷ তিনি প্রথমে দিল্লির সুলতান এবং পরে বাংলার সুলতানের কাছ থেকে সুন্দরবন অঞ্চলের জায়গির লাভ করেন৷ এখানকার গভীর বন কেটে তিনি মুসলিম বসতি গড়ে তোলেন৷ ১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ অক্টোবর খান জাহান আলীর মৃত্যু হলে, এখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
জিন্দাপীর মসজিদ
হযরত খানজাহান আলীর সমাধির পশ্চিম দিকে ঠাকুর দিঘির পশ্চিম পাড়ে সুন্দরঘোনা গ্রামে ইট নির্মিত এক গম্বুজ বিশিষ্ট জিন্দাপীর মসজিদ৷ মসজিদের পাশেই হযরত খানজাহানের অনুসারী জিন্দাপীরের সমাধি৷ তাঁর নামেই এ মসজিদের নামকরণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
নয় গম্বুজ মসজিদ
খান জাহান আলীর সমাধির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে, ঠাকুর দিঘীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত নয় গম্বুজ মসজিদ৷ ইটের তৈরি এ মসজিদের উপরে নয়টি গম্বুজ রয়েছে৷ পুরো মসজিদের গায়ে পোড়ামাটির কারুকাজ খচিত৷ মসজিদের ছাদ নয়টি নীচু অর্ধ বৃত্তাকার গম্বুজ দিয়ে ঢাকা৷
ছবি: DW/M. Mamun
নয় গম্বুজের মিহরাব
নয় গম্বুজ মসজিদের অভ্যন্তরভাগ৷ মসজিদের ভেতরের পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মিহরাব আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
রণবিজয়পুর মসজিদ
বাগেরহাট শহরের উপকণ্ঠে রণবিজয়পুর গ্রামের ষাটগম্বুজ সড়কে এ মসজিদটি অবস্থিত৷ ফকিরবাড়ি মসজিদ নামেও এর পরিচিতি আছে৷ স্থাপত্যশৈলির বিচারে এটিকে হযরত খান জাহান আলীর সময়কালে (১৪৫৯ সাল) নির্মিত বলে মনে করা হয়৷ ইটের তৈরি এ মসজিদটি বর্গকারে নির্মিত এবং এক কক্ষ বিশিষ্ট৷ রণবিজয়পুর গ্রামের নামেই এ মসজিদের নামকরণ হয়েছে৷ রণবিজয়পুর মসজিদ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ৷
ছবি: DW/M. Mamun
চুনাখোলা মসজিদ
ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ধান খেতের মধ্যে অবস্থিত চুনাখোলা মসজিদ৷ বর্গাকৃতির এ মসজিদটি বাইরের দিকে লম্বায় প্রায় ৪০ ফুট এবং ভেতরের দিকে ২৫ ফুট৷ দেয়ালগুলি প্রায় আট ফুট চওড়া৷ কেন্দ্রস্থলের উপরের দিকে রয়েছে বড় একটি গম্বুজ৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিবি বেগনী মসজিদ
ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে এক গম্বুজ বিশিষ্ট বিবি বেগনী মসজিদ৷ মসজিদটি সিংড়া মসজিদের অনুরূপ হলেও, এর পশ্চিম দেয়ালে মিহরাবের সংখ্যা তিনটি৷ মসজিদটির সঠিক নির্মাণকাল সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই৷
ছবি: DW/M. Mamun
সাবেকডাঙ্গা পুরাকীর্তি
খান জাহান আলীর স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সাবেকডাঙ্গা পুরাকীর্তির অবস্থান বাগেরহাট শহরের উপকণ্ঠে সাবেকডাঙ্গা গ্রামে৷ লাল ইটের তৈরি আয়তকার এ ভবনটি একেক পাশে দৈর্ঘ্য ৭.৮৮ মিটার৷ ভবনটির দক্ষিণপাশে কেবল একটি প্রবেশপথ আছে৷ এর ভেতরে আর কোন দরজা, জানালা কিংবা মিহরাব নেই৷ তাই এটিকে মসজিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি৷ জনশ্রুতি আছে খান জাহান আলী তাঁর বিশেষ প্রার্থনার জন্য এটি নির্মাণ করেছিলেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
13 ছবি1 | 13
বাগেরহাট শহরের মাঝে হযরত খানজাহানের (র) সমাধিসৌধ, মসজিদ আর প্রাচীন দীঘি৷ এছাড়া এই দিঘীর তীরে জিন্দাপীর মসজিদ আর নয় গম্বুজ মসজিদ নামে আরো দুটি মসজিদ আছে৷ হযরত খান জাহান আলীর (র) সমাধিসৌধ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ষাট গম্বুজ মসজিদ৷ এটি বাগেরহাটের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ৷ বিশাল এই মসজিদ ইটের তৈরি৷ ষাট গম্বুজ নাম হলেও মসজিদটিতে একাশিটি গম্বুজ আছে৷ তবে মসজিদের ভেতরের ষাটটি স্তম্ভ থাকার কারণে এর নাম হতে পারে ষাট গম্বুজ৷ স্তম্ভগুলো কালো পাথরের তৈরি৷
এছাড়া বাগেরহাটের অন্যান্য প্রাচীন মসজিদগুলো হলো ষাট গম্বুজের পাশেই সিংড়া মসজিদ, রণবিজয়পুর গ্রামে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ রণবিজয়পুর মসজিদ৷ চুনাখোলা গ্রামের চুনাখোলা মসজিদ উল্লেখযোগ্য৷
কুয়াকাটা
বাংলাদেশের দক্ষিণে কুয়কাটাকে বলা হয় সাগরকন্যা৷ একই সৈকত থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে পাওয়ার কারণে এ জায়গাটি বেশি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র৷
কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ৷ এখানকার সৈকত লাগোয়া পুরো জায়গাতেই আছে নারিকেল গাছের বাগান৷ তবে এর অনেকটাই সাগরে বিলীন হয়েছে৷ বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রের জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে সমুদ্র তীরের এই নারিকেল বাগান৷
এ সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে আছে জেলে পল্লী৷ এখানে প্রচুর জেলেদের বসবাস৷ শীত মৌসুমে এ পল্লীর জেলেরা ব্যস্ত থাকেন শুঁটকি তৈরির কাজে৷ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম পাশে নদী পার হলেই সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল৷ এর নাম ফাতরার বন৷ সুন্দরবনের অংশ হলেও তেমন কোনো হিংস্র বন্যপ্রাণী নেই সেখানে৷
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির খাল৷ এখান থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গামতির জঙ্গল৷ এখান থেকে আরো সামনে গেলে ছোট্ট একটি দ্বীপে আছে লাখ লাখ লাল কাঁকড়া৷দ্বীপটি ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ নামে পরিচিত৷
‘রাঙ্গামাটির ছাদ’ অপূর্ব সাজেক ভ্যালি
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর একটি সাজেক৷ জায়গাটির অবস্থান রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায়৷ নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সেখানকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা সাজেকের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘রাঙ্গামাটির ছাদ’
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন৷ সাজেকের পাহাড়চূড়া থেকে রাঙ্গামাটির চারপাশের বড় একটা অংশ দেখা যায় বলে একে ‘রাঙ্গামাটির ছাদ’ বলা হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
আধুনিক রিসোর্ট
মূল সাজেক ভ্যালিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গড়ে তোলা পর্যটন কেন্দ্র৷ ‘রুনময়’ নামে আধুনিক একটি রিসোর্ট আছে এখানে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সাজেক রিসোর্ট
রুইলুই পাড়ায় ‘সাজেক রিসোর্ট’ নামের আধুনিক এ রিসোর্টটিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত৷ এছাড়া রুইলুই পাড়ায় বেশ কিছু সাধারণ মানের রিসোর্ট আছে৷ পর্যটকদের সিংহভাগই থাকেন রুইলুই পাড়ায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
ত্রিপুরা সম্প্রদায়
সাজেকের রুইলুই পাড়ায় এক ত্রিপুরা মা ও শিশু৷ রুইলুই পাড়ায় বসবারত নৃ-গোষ্ঠীদের অধিকাংশই ত্রিপুরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘ঝাড়ভোজ’
সাজেক ভ্যালির পাশে ‘ঝাড়ভোজ’ বনভোজন কেন্দ্র৷ জনপ্রতি ২০ টাকা টিকেটে জায়গাটিতে প্রবেশ করতে হয়৷ এখান থেকে চারপাশের পাহাড়ের দৃশ্য উপভোগ করা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
যাতায়াত
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও যাতায়াত সুবিধা পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে৷ সেখান থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার৷ যেতে হয় আঁকাবাঁকা সর্পিল পাহাড়ি পথ পেরিয়ে৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘চাঁদের গাড়ি’
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার প্রধান বাহন ‘চাঁদের গাড়ি’৷ পুরনো জিপ গাড়ির স্থানীয় নাম এটি৷ এসব চাঁদের গাড়ীর বেশিরভাগই আশির দশক কিংবা তারও আগের৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘গঙ্গারাম মুখ’
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যেতে বাঘাইহাট বাজারের পরই দেখা মিলবে পাহাড়ী দুই নদীর মিলনস্থল ‘গঙ্গারাম মুখ’৷
ছবি: DW/M. Mamun
কাচালং নদী
অপূর্ব পাহাড়ি নদী কাচালং৷ খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পথে অপূর্ব এ পাহাড়ি নদীটিও দেখা যাবে৷
ছবি: DW/M. Mamun
মেঘের সঙ্গে মিতালি
পাহাড়ের চূড়ায় বলে সাজেকের সঙ্গে মেঘের মিতালিও দেখা যায়৷ তবে মেঘে ঢাকা সাজেক দেখার আসল সময় আগস্ট-অক্টোবর মাস৷
ছবি: DW/M. Mamun
কংলাক পাহাড়
সাজেকের কংলাক পাহাড়৷ সাজেক ভ্রমণে অবশ্য দ্রষ্টব্য৷ রুইলুই পাড়া থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের এ কংলাক পাহাড় সাজেকের সর্বোচ্চ জায়গা৷
ছবি: DW/M. Mamun
কংলাক পাড়া
কংলাক পাহাড়ের উপরে কংলাক পাড়া৷ পাহাড়চূড়ার ছোট্ট এ গ্রামটিতে ত্রিপুরা ও লুসাই নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস৷
ছবি: DW/M. Mamun
লুসাই নারী
কংলাক পাহাড়ে পানি নিয়ে ফিরছেন এক লুসাই নারী৷ কংলাক পাহাড়ের নীচে কংলাক ঝরনাই এখানকার মানুষের পানির একমাত্র উৎস৷ এই কংলাক ঝরণার নামেই পাহাড়টিরও নামকরণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
মা ও শিশু
কংলাক পাড়ার একটি বাড়িতে ত্রিপুরা মা ও শিশু৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘জলবুক কটেজ’
সাজেকের কংলাক পাহাড়ের গোড়ায় প্রকৃতির মাঝে ‘জলবুক কটেজ’৷ সাজেকের নিসর্গ উপভোগ করতে হলে এই ইকো কটেজটির কোনো জুড়ি নেই৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘পাইলিংপাড়া’
কংলাক পাহাড়ের নীচে আরেকটি পাহাড়ের চূড়ায় ছোট্ট একটি গ্রাম ‘পাইলিংপাড়া’৷ ত্রিপুরা নৃ-গোষ্ঠীর ১৪টি পরিবারের বসবাস এই গ্রামে৷
ছবি: DW/M. Mamun
কাপড় বুনন
পাইলিং পাড়ায় কাপড় বুননে ব্যস্ত দুই ত্রিপুরা নারী৷ ত্রিপুরা নারীরা কাপড় বুননে বেশ দক্ষ৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘হাই স্কুল পাড়া’
কংলাক পাড়ার নিচে আরো একটি পাহাড়ি গ্রাম ‘হাইস্কুল পাড়া’৷ ব্রিটিশ আমলে সেখানে একটি হাই স্কুল থাকলেও এখন আর সেটি নেই৷ তবে গ্রামের নামের সঙ্গে রয়ে গেছে সেই স্কুল৷ কংলাক পাড়া থেকে এ গ্রামটিতে পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা৷
ছবি: DW/M. Mamun
জুম চাষ
হাই স্কুল পাড়ায় ২৯টি ত্রিপুরা পরিবারের বসবাস৷ তাদের প্রধান পেশা জুম চাষ৷
ছবি: DW/M. Mamun
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক
সাজেকের হাইস্কুল পাড়ায় মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখছেন দুই ত্রিপুরা নারী৷ পাহাড়ি এসব এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক তাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এনেছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাহাড়ি ছড়া
সাজেকের হাই স্কুল পাড়ার মানুষের পানির চাহিদা মেটায় ছোট্ট এই পাহাড়ি ছড়া৷ বর্ষা মৌসুমে এ ছড়ায় পর্যাপ্ত পানি থাকলেও শীত মৌসুমে তা একেবারেই তলানিতে ঠেকে৷