ছুটি মানে ছুটি – ‘নো ফেসবুক, নো ই-মেল’
২৭ মে ২০১১একথা মানতেই হবে, প্রযুক্তির কল্যাণে জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে৷ এখন অফিস থেকে হাজার মাইল দূরে থাকলেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব৷ যখন তখন চাইলেই অফিসের খোঁজ খবর নেওয়া যায় ই-মেল চেক করে কিংবা সহকর্মীদের ফেসবুক ঘেঁটে৷ কিন্তু, মানুষের শরীর-মন ছুটি চায়৷ তাই, এসব থেকে বছরে কিছুদিন দূরে থাকা খুব জরুরি৷ আর সেই সময়টা হচ্ছে বাৎসরিক ছুটির সময়৷
কীভাবে প্রযুক্তি পণ্য থেকে দূরে থাকবেন? বিশেষজ্ঞদের বিবেচনায়, সবচেয়ে মোক্ষম উপায় হচ্ছে, ছুটিতে যাওয়ার আগে একেবারে বিশ্বস্তজনকে নিজের ফেসবুক, ই-মেল ইত্যাদির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া৷ এরপর সেই বিশ্বস্তজনের দায়িত্ব হবে, আপনার ই-মেল, ফেসবুকসহ যাবতীয় ইলেকট্রনিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাসওয়ার্ড বদলে দেওয়া৷ যাতে আপনার মন চাইলেও আপনি ছুটিতে থাকাকালে এসবে ঢুকতে না পারেন৷ ছুটি থেকে ফিরে এসে আবারও এসবের দায়িত্ব বুঝে নিলেই হল৷
এর চাইতে হালকা উপায়টি হচ্ছে, দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নেওয়া৷ ছুটিতে থাকাকালীন দিনে আধ ঘণ্টা বা সপ্তাহে দু'ঘণ্টা ইন্টারনেট দুনিয়ায় বিচরণ করবেন আপনি৷ এর বেশিও নয়, কমও নয়৷ নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়া মাত্র ল্যাপটপ বা মুঠোফোন বন্ধ করে দিন৷ অথবা অন্য কাউকে দিয়ে দিন৷ সবসময় এসব নিজের কাছে রাখা চলবে না কিছুতেই৷
ছুটির সময় নিজেকে ব্যস্ত রাখুন ভ্রমণসঙ্গীদের সঙ্গে৷ তাদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে উঠুন, গল্পগুজব করুন, আড্ডা দিন৷ আর ভুলে যান ইন্টারনেট দুনিয়ার কথা৷ এই কাজটি সহজ করতে খাবার টেবিলের উপরে কখনো মুঠোফোন রাখবেন না৷ ছুটিতে থাকাকালীন সেটির জায়গা হোক সুটকেসে কিংবা দূরে কোথাও৷ যাতে তাঁর নাগাল পাওয়া দুরূহ হয়৷ নিজের অজান্তেই হাত যেন সেটির নাগাল না পায়৷ তবে ছুটিতে গিয়েও যদি অতীব জরুরি কোন ভাবনা মনে থাকে, তাহলে মুঠোফোন বেশি দূরে না রাখাই উত্তম৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন