আচ্ছা বিয়ে কি একটা খেলা? বাংলাদেশে বিবাহবিচ্ছেদ কেন বাড়ছে? এর জন্য কি নারীরাই দায়ী? হ্যাঁ, আমাদের ফেসবুক পাতায় ‘ডিভোর্স'-এর জন্য অনেকেই নারীদের দায়ী করেছেন৷ তবে এর যুক্তিসঙ্গত পাল্টা মন্তব্যও রয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
শুধুমাত্র নারীর কারণে কখনো তালাক বা ‘ডিভোর্স' হতে পারে না৷ আর এ কথাটাই বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু নুরুন নাহার বকুল৷
বকুলের ভাষায়, ‘‘নারীর কারণে ডিভোর্স হয় তখন, যখন পুরুষের হাজারো নির্যাতনের স্বীকার হয়ে সে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে বা একবুক যন্ত্রণা আর সে বহন করতে পারে না৷ তখনই নারী হয়ে ওঠে বেহায়া, নির্লজ্জ, চরিত্রহীন৷ তাকে নিয়ে আর সংসার করা যায় না৷ এমনকি তখন নারীই বাধ্য হয় ডিভোর্স দিতে৷ এ হলো আমাদের সমাজের অধিকাংশ রূপ৷ তবে আমি ‘সেলুট' করি সেসব পুরুষদের, যাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে নারীও ‘মানুষ'৷ কন্যা-জায়া-জননীর প্রতি যাদের মমত্ববোধ রয়েছে, সহযোগিতা ও ভালোবাসা আছে৷''
বন্ধু মোহাম্মদ সুমন অবশ্য একেবারে নিশ্চিত যে নারীর কারণেই ডিভোর্স হয়৷ তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘আমার ‘পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স' থেকে বলছি, সম্পূর্ণ নারীর কারণে ডিভোর্স হয়৷''
রকিবুল আওয়াল তৃষ্ণার পাল্টা প্রশ্ন, সব ত্যাগস্বীকার কেন শুধু মেয়েরা করবে? তাঁর মতে, পুরুষরাও যদি কিছুটা ত্যাগস্বীকার করে, তাহলে তালাক আটকানো সম্ভব৷ তাঁর কথায়, ‘‘ছেলেরা ভালোবাসার নামে লৌকিকতা করে৷''
পারিবারিক সম্পর্ক সুন্দর রাখার ১০ উপায়
পেশাগত কাজের চাপই যে স্ট্রেসের প্রধান কারণ তা নয়৷ এই বিশ্বায়নের যুগে স্বামী-স্ত্রীর চাকরি, সন্তানদের যোগ্য মানুষ হওয়া নিয়ে নানা মতবিরোধ, দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও সবার মাঝে মধুর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কিছু টিপস থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Getty Images
ঝগড়া এড়িয়ে শান্ত থাকুন
প্রায়ই কথায় কথায় এর সাথে ওর লেগে যায়, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর কলহ বা সন্তানদের নিয়ে অথবা সন্তানদের মধ্যে৷ তা হতে পারে পেশাগত চাপ বা নিজেদের লাইফস্টাইল নিয়ে৷ কিংবা সংসারের নানা কাজ৷ তাই কিছুটা সচেতন হয়ে কথা বলুন, একজন উত্তেজিত হলে অন্যজন শান্ত থাকুন৷ সরাসরি বলতে গেলে, ঝগড়া এড়িয়ে চলুন৷
ছবি: drubig-photo - Fotolia
কাজের স্বীকৃতি দিন
দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজ থাকে, যা একজন হয়তো নিয়মিত করে চলেছে৷ কিন্তু সেকথা কখনো বলা হয়না বা স্বীকৃতি দেওয়া হয়না৷ যে যেটা নিয়মিত করছে তাকে মাঝে মধ্যে মুখে বলুন বা স্বীকৃতি দিন, কাজের সম্মান দেখান৷ স্বীকৃতি পেলে কে খুশি না হয়! তাছাড়া সংসারে সবাই সমান পারদর্শী নয়, তাই বলে কাউকে অবহেলা একেবারেই নয় !
ছবি: imago/imagebroker
কাজ ভাগাভাগি করে নিন
সংসারের প্রয়োজনীয় কাজগুলো ভাগাভাগি করে নিন৷ কারো পেশাগত চাপ বা পড়াশোনার চাপ থাকলে সে সময়ে অন্য আরেকজন সে কাজটি করে ফেলুন৷ তবে এ নিয়ে অবশ্যই কথা বলুন রাতে খাবার টেবিলে অথবা সপ্তাহান্তে৷ সকালে তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বের হবার আগে কখনো সিরিয়াস আলাপ নয় !
ছবি: DW/L.Heller
ব্যক্তিগত ইচ্ছে বা সখের মূল্য দিন
পরিবারের সদস্যদের সখ বা ইচ্ছের মূল্য দিন৷ অবসর সময়ে কে কী করতে চায় অর্থাৎ গান, বাজনা, বই পড়া, ছবি আঁকা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা অন্য যা কিছুই হোক না কেন, এতে আগ্রহ দেখান৷ একজনের যা ভালো লাগে, অন্যের তা পছন্দ নাও হতে পারে৷ তাই বলে অসম্মান নয়৷ তবে প্রয়োজনে ভালো-মন্দ বুঝিয়ে বলা যেতে পারে৷ সবাই মিলে আলোচনা করে একে অপরের আগ্রহের কথা জানতে পারলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব৷
ছবি: Fotolia/ Gennadiy Poznyakov
স্বামী-স্ত্রীর কলহ
আধুনিক যুগের চাকরিজীবী স্বামী-স্ত্রীর কলহের ধরনও পালটে গেছে৷ তবে সন্তানদের সামনে মা-বাবা ঝগড়া করলে তা সন্তানদের ওপর বেশ প্রভাব ফেলে৷ তাই মা-বাবাকে দু’জনের ভেতরের কলহ নিজেদের ঘরেই মিটিয়ে ফেলতে হবে৷ সন্তানদের সামনে ঝগড়া নয়, বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের সামনে ঝগড়া হলে শিশুমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা পরে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে৷
ছবি: goodluz - Fotolia
পারিবারিক দ্বন্দ্ব
পারিবারিক দ্বন্দ্ব নেই – এমন পরিবার বোধহয় কমই আছে৷ নানা জনের নান মত থাকবেই৷ তাই মনের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব বা ভিন্ন মত হলে তা নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখে কষ্ট না পেয়ে খোলাখুলি স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন বা সকলে মিলে কথা বলুন৷ পারিবারিক দ্বন্দ্ব এড়াতে সবসময় সরাসরি আলোচনা করুন, কারণ এর কোনো বিকল্প নেই৷
ছবি: Fotolia/drubig-photo
জন্মদিন বা কোন উপলক্ষ্য
জন্মদিন পালন করা পশ্চিমা বিশ্বের সংস্কৃতি হলেও আজকাল তা আমাদের দেশেও চলে এসেছে৷ জন্মদিন উদযাপন মানেই বিশাল আকারে পার্টি করা নয়৷ ছেলে-মেয়ে, বাবা-মা সবার জন্মদিনকে বিশেষভাবে, অর্থাৎ যার জন্মদিন তাকে পছন্দের ছোট কিছু দিয়ে সবাই মিলে পরিবারের মধ্যেই দিনটি উদযাপন করতে পারেন৷ পরিবারে যার জন্মদিন, তাকে বছরের এই দিনটিতে সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়া যে, পরিবারে তার মূল্য কারো চেয়ে কম নয়৷
ছবি: pressmaster - Fotolia.com
অসুখ-বিসুখে বাড়তি যত্ন
অসুখ-বিসুখে পরিবারের সদস্যরা একে অপরের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন, বুঝিয়ে দিন অন্যদের সমবেদনার কথা৷ কিনে আনুন ফুল অথবা রোগীর পছন্দের মজার কোনো বই, যা রোগীকে আনন্দ দিতে পারে৷ কোনোভাবেই অবহেলা নয়, প্রয়োজনে নিজের কোনো কাজ ফেলে রেখে রোগীর দৃষ্টি আকর্ষণ করুন৷
ছবি: picture alliance/ZB
সপ্তাহান্ত বা ছুটির দিন
পরিবারের সবার কাছেই যেন মনে হয় দিনটি পরিবারের জন্য৷ একসাথে একটু বেশি সময় নিয়ে সকালের নাস্তা করুন৷ কারো অন্য কোন কাজ বা অন্যকিছু থাকলে সবাইকে জানিয়ে দিন, হঠাৎ করে বলবেন না ‘আমি বাইরে যাচ্ছি’৷ যার যে কাজই থাকুক না কেন, সবার যেন এই অনুভূতি হয় যে ‘আমরা সকলে সকলের’৷ বাইরে থেকে ফিরতে দেরি হলে অবশ্যই বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দিন৷
ছবি: Fotolia/stefanfister
হলিডে বা ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা
এ বছর কখন কোথায় বেড়াতে যাবেন কিংবা কোথাও যাওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সবাই মিলে আলোচনা করুন৷ পরিবারের প্রতিটি সদস্যেরই মতামতের মূল্য রয়েছে – তা সবাইকে জানিয়ে দেয়া৷ হোক সে ছোট বা বড়৷ ছুটিতে গিয়ে দৈনন্দিন জীবনের সমস্ত চাপ ঝেড়ে আসুন, আনন্দ করুন, নতুন উদ্যম নিয়ে ফিরে আসুন৷ ভাবুন জীবন অনেক সুন্দর!
ছবি: Getty Images
10 ছবি1 | 10
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু দিপ্তীর মতও প্রায় রফিকুল আওয়ালের মতোই৷ অবশ্য শুধু তিনি-ই নন, মঞ্জুরুল হাসান, ইসরাত এমা, সাব্বির তালুকদার এবং অনাথবন্ধু দেবানাথেরও ঐ একই মত৷
তবে মোহাম্মদ নূরের পুরোপুরি ভিন্ন মত৷ অর্থাৎ ডিভোর্সের কারণ হিসেবে তিনি জি বাংলা, স্টার প্লাসের মতো টিভি চ্যানেল এবং বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাবকে দায়ী করছেন৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ার তো কথাই৷ সব খাইলো আমাদের অতি আধুনিকতা৷ জি বাংলা, স্টার প্লাস ইত্যাদির মতো টিভি চ্যানেলগুলো ছাড়া বিদেশের অপসংস্কৃতি তো আছেই৷ বিশ্বাস যেখানে ক্ষীণ, ভালোবাসা যেখানে নামেমাত্র, কাজে নয়৷''
‘সমস্যা নারীদেরই বেশি' – এই মন্তব্য মোহাম্মদ সুমনের৷ তাঁর মতে, শতকরা ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রেই নারীদের কারণে ডিভোর্স হয়৷
মোহাম্মদ সুমনের মন্তব্যকে একদমই সমর্থন করেন না পাঠক অশিকা জ্যোতি৷ পরিসংখ্যান কী বলছে সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে, পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন কামনা করে তিনি বলছেন, ‘‘ভাই, আপনারা শুধু নারীকেই দোষারোপ করছেন৷ পরিসংখ্যান কিন্তু এটাও বলে যে ৯০ শতাংশের বেশি নারী দাম্পত্য জীবনে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন৷ তফাতটা এই যে, এখন তারা তা মুখ বুজে সহ্য করছেন না৷ প্রতিবাদ করছেন কারণ, আজকের নারী অনেক বেশি যোগ্যতা রাখে৷ তারা সচেতন, তারা শিক্ষিত৷ ফলাফল – বিচ্ছেদের আবেদন৷ সুতরাং, এই সমস্যা সমাধানে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন কামনা করি৷''
‘‘নারীরা ধর্মের মূল্যবোধ মানছে না৷ স্বামীর ‘কেয়ার' তাই তাদের কাছে নির্যাতন মনে হয়৷ তার উপর আছে ভারতীয় সিরিয়ালের প্রভাব৷'' বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ায় এই মন্তব্য মোবাস্সার হোসেনের৷
পছন্দের সঙ্গী পাওয়ার ৯ উপায়
আপনার কি বন্ধু বা বান্ধবী আছে, নাকি ব্রেকআপ হয়ে গেছে? নাকি কেউ নেই? কিংবা আপনি কি নতুন কারো সন্ধানে? নতুন সঙ্গী পেতে হলে কি করতে হবে, বিশেষজ্ঞদের দেয়া সেরকমই কিছু টিপস থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Fotolia/detailblick
সঙ্গী কামনা করাই স্বাভাবিক
যারা একা থাকেন তাঁদের জীবন অনেকটা নিরানন্দে কাটে৷ তারপর যদি হয় শীতকাল তাহলে কষ্টের মাত্রা আরো বেড়ে যায়৷ একজন সুস্থ মনের মানুষ একজন সঙ্গী কামনা করবেন সেটাই তো স্বাভাবিক, তাইনা? তবে মনের মতো একজন সাথী পাওয়া যে খুব সহজ ব্যাপার নয় সেকথা প্রাপ্ত বয়স্করা ভালো করেই জানেন৷ তবে নিয়ম জানা থাকলে সঙ্গী পাওয়া সহজ হয়৷ সেরকমই কিছু টিপস দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এফা ব্লোডারেক৷
ছবি: Fotolia/detailblick
নিজের কাছে কিছু প্রশ্ন
প্রথমেই ভাবতে হবে আপনার কেন সঙ্গী নেই বা পুরনো সম্পর্ক কেন শেষ হয়ে গেলো? অতীতে কি ভুল করেছেন এবং সেখান থেকে আপনি কি শিখেছেন? আর এখন কেমন সঙ্গী চান? নিজের হৃদয়ের কাছে এসব প্রশ্ন করুন৷ আর এই প্রশ্নের উত্তরগুলোই নতুন সঙ্গী পেতে অনেক সাহায্য করবে৷
ছবি: Fotolia/ra2 studio
ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলুন
আপনি নারী বা পুরুষ যেই হোন না কেন প্রথমেই প্রয়োজন নিজের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা৷ নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলুন৷ নিজের গুণ এবং যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন হোন৷ অর্থাৎ নিজের ভেতরের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন৷
ছবি: Fotolia/Hewac
স্বপ্নের মানুষ
স্বপ্নের মানুষ কিন্তু আপনার দরজায় এসে ‘নক’ করবেনা৷ কাজেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেয়ে সবার সাথে মেলামেশা করুন৷ আপনি সঙ্গী খুঁজছেন সেকথা মাথায় ‘না’ রেখেই সহজভাবে কথা-বার্তা বলুন৷ নিজের হবি বা ভালো লাগার কথাও শেয়ার করতে পারেন সবার সাথে৷ কাছের বন্ধুদের সাথেও এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন, হয়তো তারা আপনাকে সহযোগিতা করবে৷
ছবি: imago/INSADCO
মিডিয়ার সাহায্য
শোনা যায় অনেকেই আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সঙ্গী খোঁজেন, কেউ পান আবার কেউ পাননা৷ তাছাড়া এ সম্পর্কে নানা নেতিবাচক গল্পও শোনা যায়৷ এসব কথায় সেভাবে কান না দিয়ে নিজে সচেতনভাবে খোঁজখবর রাখতে পারেন৷ সামাজিক গণমাধ্যমে অনেকে জীবন সঙ্গী পেয়েছেন এবং সুখী হয়েছেন – এটাও কিন্তু দেখা গেছে গত কয়েক বছরে৷ কাজেই মন চাইলে এগিয়ে যান৷ কারণ যোগাযোগের জন্য কোনো মাধ্যমতো লাগবেই৷
ছবি: Photographee.eu - Fotolia
সহজ থাকুন
সঙ্গীর সাথে প্রথম দেখা হলে ভয় বা নার্ভাস না হয়ে একেবারে সহজ থাকুন৷ প্রথমদিনই এমন কোনো প্রশ্ন করবেন না যাতে আপনার সঙ্গী বিব্রত বোধ করেন৷ প্রথম দেখায় কিছুটা ভালো লাগলে বরং পরে কবে দেখা হবে সেই দিন তারিখ ঠিক করে নিন৷ বেশি সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা না বলে বরং ভ্রমণ, সিনেমা, বই, কিংবা রেস্তোরাঁর গল্প করতে পারেন৷ সাবধান, কোনভাবেই প্রথমদিনই অসুখ-বিসুখ, টাকা পয়সা, ধর্ম বা রাজনীতির কথা নয়!
ছবি: nyul - Fotolia.com
হাসতে নেই মানা!
অনেক নারী, পুরুষই পরিচয় পর্বকে কিছুটা ‘মানসিক চাপ’ বলে মনে করেন এবং ভাবেন তাদের সঙ্গীকে মুগ্ধ করার জন্য বিশেষ কিছু দেখাতে বা করতে হবে৷ আসলে তেমন কিছু করার প্রয়োজনই নেই৷ বার্লিনের মাক্স-প্লাংক ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মুখে একটু হাসি রেখে আর আড়ষ্ট না থেকে শরীরের সহজ চালচলই যথেষ্ট৷
ছবি: Fotolia/Rido
অন্যজনকে গুরুত্ব দিন
আপনার উল্টো দিকে যিনি বসে আছেন তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখান, নিজে কথা বলার চেয়ে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন৷ এমন প্রশ্ন করুন যেন তার উত্তর শুধু হ্যাঁ বা না, না হয়৷ যেমন প্রশ্ন হতে পারে, আপনি অন্য শহর ছেড়ে এখানে এসেছেন কেন?
ছবি: DW-Montage/picture-alliance/dpa
একটু সেকেলে
দিন বদলে গেছে, সময় পাল্টেছে, একথা ঠিক৷ তারপরও কিন্তু কে পুরুষ, আর কে নারী তা প্রথমদিন মনে রাখাই শ্রেয়৷ এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের ভাষা অনেকটা এরকম, ‘‘আগামী সপ্তাহে দেখা হলে কেমন হয়?’’ একথা না বলে, বলা যেতে পারে, ‘‘আজকের সন্ধ্যাটা খুব সুন্দর কাটলো, এরকম দিন রিপিট হলে আমার দিক থেকে কোনো অসুবিধা নেই৷’’ অর্থাৎ এসব কথা একটু সেকেলে হলেও অসুবিধা নেই বরং এতে ভদ্রতার প্রকাশ ঘটে৷
ছবি: Fotolia/contrastwerkstatt
আশাবাদী
আগে থেকে যতটা খুশি বা আনন্দিত ছিলেন, দেখা বা কথা হওয়ার পর তা না হলে মন খারাপ করার কিছু নেই৷ আশা ছেড়ে না দিয়ে, ভালোবাসার আসল মানুষ পেতে অপেক্ষা করুন, ধৈর্য্যহারা হবেন না৷ কারণ হৃদয়ের জন্য ‘শেষ তারিখ’ বলে কিছু নেই৷ তাছাড়া হৃদয়ের ত্বকে কিন্তু বলিরেখা পড়েনা৷ ভালোবাসা চিরসবুজ, যেভাবে যত্ন করবেন, সেভাবেই থাকবে৷
ছবি: Fotolia/detailblick
10 ছবি1 | 10
তৌদিদ খোকনও মেয়েদেরই দায়ী করেছেন তালাকের কারণ হিসেবে৷ শুধু তাই নয়, তিনি এর পেছনে কিছু অবাস্তব যুক্তিও দেখিয়েছেন৷ তবে জুহায়ের ইসরাক তৌহিদ খোকনের মন্তব্যের প্রতিবাদ করে লিখেছেন, ‘‘শুধু মেয়েদের দোষারোপ করা ঠিক নয়৷''
নারীদের শিক্ষার বিপক্ষে পাঠক বাদশাহ খান নকিব৷ তিনি মনে করেন, ‘‘নারীদের যত শিক্ষিত করে তুলবেন, নারীরা ততই স্বাধীন হতে চাইবে৷ আর ততই বিবাহবিচ্ছেদ বাড়বে৷''
আবু বকর সিদ্দিকীর মতে ডিভোর্স হলো ‘‘উদ্দাম জীবনের ফল৷''
বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে ছেলেদের দায়ী করা মন্তব্যগুলো পড়ে সাফিনা ফেরদৌস মেঘলার পাল্টা মন্তব্য, ‘‘হাস্যকর মন্তব্যগুলো পড়ছি আর খুব আশ্চর্য হচ্ছি এই ভেবে যে, বর্তমান সমাজেও এই ভ্রান্ত ধারণা রয়ে গেছে যে নারীরা সংসার ভাঙে৷ নারীরা যদি সংসার ভাঙার কাজ করে, তাহলে সংসার বলে বর্তমানে আর কোনো শব্দই থাকতো না৷''