1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ছোট্ট রকেট ম্যান’-এর জন্য বড় মঞ্চ

২৯ মার্চ ২০১৮

কিম জং উন-এর চীন সফর দাবার একটি ভালো চাল ছিল, কারণ, এখন তিনি আলোচনায় শক্ত অবস্থানে থাকবেন৷ যদিও সংশ্লিষ্ট সবাই নিজেদের সফল ভাবছেন, তবুও সুনির্দিষ্ট ফল দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে, মনে করেন ডিডাব্লিউর আলেকজান্ডার ফ্রয়েন্ড৷

ছবি: picture -alliance/AP/L. Jin-man

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম তাঁর চীন সফরকে সফল বলতে পারেন, কারণ, এর মাধ্যমে তিনি ২৭ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়া আর তারপর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য শীর্ষ বৈঠকের আগে ‘বড় ভাই’ চীনের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পেয়েছেন৷

কিম এখন তাঁর পেছনে চীনের সমর্থন আছে জেনে আলোচনা করতে পারবেন৷ আর পরমাণু সক্ষমতার কারণে তিনি সমানে সমান হয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে পারবেন – ভিক্ষুক হয়ে নয়৷

পরমাণু কর্মসূচি ত্যাগের বিনিময়ে কিম দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ’ আশা করছেন৷ অর্থাৎ, কিম ও তাঁর আশেপাশের সবাই নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন, আর দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদের অস্ত্রহীন করা শুরু করবে বলে আশা করছেন৷

এদিকে, আলোচনা শুরুর আগে কিমের চীনের কাছ থেকে সমর্থন চাওয়ার বিষয়কে বেইজিং বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারে৷ চীনের গণমাধ্যমে কিমের রহস্যময় ট্রেনযাত্রা যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে শি জিনপিং-এর নেতৃত্ব প্রচার করা হয়েছে, তা দেখলে বোঝা যায় যে, চীনের জন্য সাফল্যের বিষয়টি কত গুরুত্বপূর্ণ৷ শি জিনপিং নিজেকে যুক্তিসঙ্গতভাবেই বিজয়ী ভাবতে পারেন৷ কারণ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম যে আলোচনাই করুন না কেন, শি'কে ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে না৷

কোরীয় সংকটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও নিজেকে সফল হিসেবেই দেখেন, কারণ, তাঁর কঠোর মনোভাবের কারণে চাপে পড়ে উত্তর কোরিয়া এগিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে৷ এখন ট্রাম্প যদি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভালো এমন কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেন, তাহলে সেটি একান্ত তাঁরই সফলতা হিসেবে দেখা হবে৷ কোরীয় উপত্যকায় পরমাণু কর্মসূচি বাতিল, কিংবা যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে উত্তর কোরিয়ার রকেট পরীক্ষা বন্ধ হওয়া – এসবই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সফল বলে বিবেচিত হতে পারে৷

ডিডাব্লিউর আলেকজান্ডার ফ্রয়েন্ড

তবে এই সফলতার জন্য ট্রাম্প কতটা ছাড় দিতে রাজি আছেন তা দেখতে হবে৷ তিনি হয়ত দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়া থেকে সরে আসতে পারেন, কিংবা থাড ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নিতে পারেন৷ কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে একমত হওয়াটা ট্রাম্পের জন্য কঠিন হবে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুনকেও সফলের তালিকায় রাখতে হবে, কেননা, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব তিনি এমন সময়ে দিয়েছিলেন যে, তা সব পক্ষের মধ্যে বিশ্বাস আনতে সহায়তা করেছে৷

কথায় বলে, একটি সংকটে যখন সবাই নিজেদের বিজয়ী ভাবে, তখন সাফল্যের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়৷ তবে একটি বিষয় সবপক্ষকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে হবে যে, এখনও সুনির্দিষ্ট সফলতা আসেনি এবং প্রকৃত আলোচনা এখনও অমীমাংসিত৷ এখনও একে অপরের মধ্যে মতপার্থক্য ও অবিশ্বাসের মাত্রা বেশ বড়৷ তবে এটা ঠিক, একটা সমাধান হওয়ার বাস্তবিক আশা আছে৷ আর গত কয়েকমাসের যুদ্ধংদেহী মন্তব্যের কথা বিবেচনা করলে এখন যে পর্যায়ে আসা গেছে, সেটিই আসলে একটি বড় সাফল্য৷

আলেকজান্ডার ফ্রয়েন্ড/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ