1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আকর্ষণীয় শহর স্টুটগার্ট

নিলস কলডিৎস/এসবি১৩ জানুয়ারি ২০১৬

জার্মানির দক্ষিণে বাডেন ভ্যুর্টেমব্যার্গ রাজ্যের রাজধানী স্টুটগার্ট৷ শহরটি ছোট হলেও আকর্ষণ কম নয়৷ একদিকে পর্শে, ডাইমলারের মতো নামী গাড়ি কোম্পানি রয়েছে, অন্যদিকে ওয়াইন তৈর জন্যও শহরটি বিখ্যাত৷

Eislaufen Eisbahn Stuttgart Innenstadt Schlittschuh laufen
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Murat

ছোট্ট, কিন্তু আকর্ষণীয় শহর স্টুটগার্ট

03:51

This browser does not support the video element.

জার্মানির স্টুটগার্ট শহরের নানা চরিত্র রয়েছে৷ জনসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ৷ অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র৷ অনেক কোম্পানির গাড়ি এখানেই তৈরি হয়৷ আবার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও কম নয়৷ শহরে একাধিক অট্টালিকা ও পার্ক রয়েছে৷

ইয়োর্ন গ্রোসহান্স অ্যানিমেশন ভিশুয়াল এফেক্টস সুপারভাইজার হিসেবে একটি কোম্পানির জন্য কাজ করেন, যারা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের জন্য নানা এফেক্ট তৈরি করে৷ তিনি ভেবেচিন্তেই স্টুটগার্ট শহরটি বেছে নিয়েছেন৷ গ্রোসহান্স বলেন, ‘‘চারিদিকে সবুজ পাহাড়, আঙুরের খেত৷ সুন্দর পরিবেশ, দক্ষিণ ইউরোপের মতো৷ তাই এখানে থাকার একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে৷''

২০১১ সালে যে টিম হলিউডের পরিচালক মার্টিন স্করসেসি-র ‘উগো কাব্রে' থ্রিডি ছবিতে ভিশুয়াল এফেক্টের জন্য অস্কার পেয়েছিল, ইয়োর্ন গ্রোসহান্স সেই টিমে ছিলেন৷ এখন তিনি অ্যামেরিকার ‘গেম অফ থ্রোনস' টিভি সিরিজের জন্য কাজ করছেন৷ এর জন্য তিনি দু-দু'বার এমি অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছেন, যা মার্কিন টেলিভিশন জগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার৷ স্টুটগার্ট শহরেই তিনি কল্পনার জগত তৈরির অনুপ্রেরণা পান৷ ইয়োর্ন গ্রোসহান্স বলেন, ‘‘নিসর্গ কেমন দেখতে? প্রাচীর কেমন দেখতে? আলো কীভাবে কাজ করে, তার প্রতিফলন কেমন দেখায়? দু-তিনশ বছর পুরানো একটি দুর্গ দেখতে কীরকম? কোন ভিশুয়াল রেফারেন্সের ভিত্তিতে আমরা ডিজিটাল দুর্গ তৈরি করতে পারি?''

পুরানো দুর্গের উঠানের একটি মূর্তি অনেক টেলিভিশন দর্শকের হয়তো পরিচিত মনে হতে পারে৷ ‘গেম অফ থ্রোনস' টিভি সিরিজের টাইটান তার আদলেই তৈরি হয়েছে৷ ছবির জন্য উপযুক্ত এমন আরও মোটিফ রয়েছে৷ শহরের কেন্দ্রে প্রাসাদের খোলা চত্বর ঘিরে রয়েছে তিনটি সুসজ্জিত ভবন৷ একটি হলো নতুন প্রাসাদ৷ দ্বিতীয়টি পুরানো প্রাসাদ এবং রয়েছে রাজপ্রাসাদ৷ শহরের কিছুটা বাইরের দিকে রয়েছে ‘নিঃসঙ্গতা'-র প্রাসাদ৷ আজ সেখানে এক অ্যাকাডেমির দপ্তর৷ তরুণ শিল্পীরা সেখানে থাকতে এবং কাজ করতে পারেন৷

স্টুটগার্ট শহরের প্রায় ৫০,০০০ ছাত্রছাত্রীদের একজন লুকাস ড্যুর৷ তিনি কৃষিবিজ্ঞান ও ওয়াইন তৈরি নিয়ে পড়াশোনা করছেন৷ অন্য কোনো বড় শহর প্রকৃতির এত কাছাকাছি অবস্থিত নয়৷ লুকাস তা চুটিয়ে উপভোগ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘স্টুটগার্ট শহরের মাঝেই এত সবুজ অংশ, তার মধ্যে ৪০০ হেক্টরেরও বেশি আঙুরের খেত৷''

স্টুটগার্টের অনেক ওয়াইন পুরস্কার পেলেও এই অঞ্চলের বাইরে খুব বেশি মানুষ এ বিষয়ে জানে না৷ লুকাস বলেন, ‘‘কেউ এই ওয়াইনের কথা জানে না, কারণ আমরাই সব খেয়েনি!''

স্টুটগার্টের ওয়াইনের সঙ্গে ডাল ও ডাম্পলিং-এর মতো আঞ্চলিক খাবার বেশ খাপ খায়৷ এই শহরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেরও অভাব নেই৷ এখানকার অপেরা এবং স্টেট গ্যালারি ইউরোপের সবচেয়ে বিখ্যাত ভবনগুলির মধ্যে পড়ে৷ শহরের পুরানো দুর্গের মিউজিয়ামে প্রস্তর যুগ থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত গোটা অঞ্চলের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়৷ ওয়াইন কাল্টিভেশন ছাত্র লুকাস ড্যুর বলেন, ‘‘মিউজিয়ামটি সত্যি খুবই সুন্দর৷ শুধু দেখা নয়, অনেক কিছু ছুঁয়ে দেখারও সুযোগ রয়েছে৷''

সেখানে ভ্যুর্টেমবুর্গ রাজবংশের নানা সম্পদও শোভা পাচ্ছে৷ ১৯১৮ সাল পর্যন্ত এই বংশের রাজারা ক্ষমতায় ছিলেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ