ছয় লাখ কোটি টাকার বাজেট, ঘাটতি এক তৃতীয়াংশ
৩ জুন ২০২১নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি৷ বাজেটের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হবে পরিচালন ব্যয়ে যার আকার ৩ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা৷ ৬৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকাই যাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে৷ রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা৷ বৈদেশিক অনুদান মিলিয়ে মোট অর্থ সংস্থান ধরা হয়েছে তিন লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকার৷ বাকি দুই লাখ ১১ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি থাকছে৷ এর যোগান হিসেবে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বৈদিশিক ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ অভ্যন্তরীন খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার৷
২০২১-২২ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ সাত হাজার ৬১৪ কোটি টাকা, যা বাজেটের ১৭ দশমিক আট তিন শতাংশ৷ বিদায়ী অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা৷
কর্পোরেট করহার শেয়াবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির জন্য ৩২ দশমিক পাঁচ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে৷ তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ দশমিক ৫ শতাংশে করা হয়েছে৷ এক ব্যক্তি কোম্পানির জন্য তালিকাভুক্ত ছাড়াদের জন্য করহার ৩২ দশমিক পাঁচ শতাংশ৷ ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতার জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ তবে তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে৷
যদি কোন প্রতিষ্ঠান মোট কর্মচারী ১০ শতাংশ বা ১০০ জনের বেশি তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয় তবে কর্মচারিদের পরিশোধিত বেতনের ৬৫ শতাংশ বা প্রদেয় করে পাঁচ শতাংশ কর রেয়াত দেয়া হবে৷
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে মেগা শিল্পের বিকাশ ও মেইড ইন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধ পরিকর৷ এজন্য অটোমোবাইল থ্রি-হুইলার ও ফোর হুইলার উৎপাদনকারীদের শর্ত সাপেক্ষে দশ বছর মেয়াদী কর অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করেন তিনি৷