1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গিদের পিঠে গুলি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ জুলাই ২০১৬

কল্যাণপুরে পুলিশি অভিযানে নিহত ৯ ‘জঙ্গি’র বেশিরভাগের শরীরে গুলি লেগেছে পেছন থেকে৷ বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে এ তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকেরা৷ তবে পুলিশ বলছে অন্য কথা৷

Bangladesch Polizei Moschee Islam
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/NurPhoto/Z. Chowdhury

পুলিশের কথায়, ‘‘এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার তেমন কোনো সুযোগ নেই৷ চারদিক থেকে অভিযান হয়েছে৷ শুধু পিছনে নয় বুক, মাথা বা শরীরের অন্য জায়গাও গুলি লেগেছে৷''

মঙ্গলবার ভোরে কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিং-এ পুলিশের অভিযানে ন'জন জঙ্গি নিহত হওয়ার পর, বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তাদের লাশ নেয়া হয়৷ পরদিন বুধবার, বেলা দু'টোর মধ্যে শেষ হয় ময়নাতদন্ত৷

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ময়নাতদন্তকারী দলের প্রধান সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বুধবার সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘নিহত ন'জনের প্রত্যেকের শরীরে সাত থেকে আটটি গুলির ক্ষত আছে৷ নিহতদের মাথায়, বুকে, পিঠে, হাতে ও পায়ে গুলি লেগেছে৷ আর অধিকাংশের গুলিই লেগেছে পেছন থেকে৷''

মনিরুল ইসলাম

This browser does not support the audio element.

এই ন'জনের দেহ থেকে মোট সাতটি গুলি উদ্ধার করেছে ময়নাতদন্তকারী দল৷ এর তিনটিই ছিল একজনের দেহে৷ এর বাইরে একজনের দেহে দু'টি এবং অন্য দুই জঙ্গির দেহ থেকে একটি করে মোট দু'টি গুলি উদ্ধার করা হয়৷ তবে ন'টি মৃতদেহের মধ্যে ক'টার পেছন দিকে গুলি লেগেছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি চিকিৎসকেরা৷

চিকিৎসকরা জানান, তাঁরা মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা রেখেছেন৷ চুল, পায়ের পেশির কিছুটা অংশ, পাকস্থলী, কিডনি ও যকৃতের অংশবিশেষও সংরক্ষণ করা হয়েছে৷ এছাড়া ডোপ টেস্টের জন্য মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করা হবে৷ এই ন'জন কোনো বিশেষ ড্রাগে আসক্ত ছিল কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা৷

তবে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. সোহেল মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ডয়চে ভেলের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী এবং মানবাধিকার নেতৃ নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমার মতে যারা নিহত হয়েছে, তারা যে জঙ্গি এটা নিয়ে সন্দেহের তেমন কোনো অবকাশ নাই৷

নূর খান

This browser does not support the audio element.

তবে অভিযান নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আছে৷ বিশেষ করে যদি অভিযানের সময় গোলগুলি হয়, তাহলে নিহত অধিকাংশের পিছনে গুলি বিদ্ধ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করাই যায়৷ তবে এখনো অমরা অনেক কিছু জানি না৷ আশা করি পুলিশ বিষয়গুলো স্পষ্ট করবে৷''

ওদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তকারী দলের প্রধান চিকিৎসক সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করেছেন৷ তিনি শুধু পিঠে গুলি লাগার কথা বলেননি, বুকে এবং মাথাসহ শরীরের অন্যান্য জায়গাও গুলি লাগার কথা বলেছেন৷ সুতরাং পিঠে গুলি লাগার ঘটনা নিয়ে কোনো আনুমানিক ধারণা বা প্রশ্ন তোলার তেমন কোনো সুযোগ নেই৷''

তিনি জানান, ‘‘জঙ্গিরা চারটি কক্ষে অবস্থান নিয়েছিল৷ তাদের বিভিন্ন দিক থেকে গুলি করা হয়৷ সেয়াট টিম সব দিক থেকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়৷ তাই গুলি তাদের শরীরে যে কোনো দিক থেকেই লাগতে পারে৷''

মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আমরা পাইনি৷ পেলে আরো বিস্তারিত মন্তব্য করা যাবে৷''

প্রসঙ্গত, ঢাকার কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের জাহাজ বিল্ডিংয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে এক ঘণ্টার অভিযান স্টর্ম ২৬-এর সময় নয়'জন নিহত ও একজন আহত হয়৷ অভিযান প্রস্তুতি অবশ্য রাতভর চলে৷ পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক অভিযানের পর জানান যে, নিহতরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র সদস্য৷ তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল এবং গুলশান হামলাকারী গ্রুপেরই সদস্য ছিল বলেও জানান তিনি৷

বন্ধু, জঙ্গিদের পিঠে গুলির আপনাদের কাছে কি কোনো ব্যাখ্যা আছে? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ