1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর জর্ডান, মিশর ও ব্রিটেন

১৪ নভেম্বর ২০১৪

আইএস-এর হয়ে কেউ যুদ্ধ করতে গেলে তাকে আর ফিরতে দেবেনা ব্রিটেন৷ সন্দেহজনক কাউকে দেশ ছাড়তেও দেবেনা৷ পাশ্চাত্যের দেশগুলোর মতো আরব-বিশ্বেও চলছে আইএস-কে রোখার চেষ্টা৷ জর্ডান আর মিশর মসজিদেও রেহাই দিচ্ছেনা আইএস-সমর্থকদের৷

IS Kämpfer Archivbild 2013
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/M. Dairieh

জর্ডানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমাদ এজাত বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক কালে সে দেশের সরকার জিহাদি চেতনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে৷ মসজিদে নামাজ পড়ানোর নামে কোনো ইমাম জিহাদি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার মতো কথা বললে সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে তাঁকে৷ তিনি জানান, এ পর্যন্ত ২৫ জন ইমামের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার৷ বেশ কিছু মসজিদে ভালো বেতনে নতুন ইমামও নিয়োগ করা হয়েছে৷ আইনজীবী মুসা আবদালাত জানান, জর্ডান সিরিয়া ও ইরাকে আইএস-বিরোধী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৩০জন আইএস সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ গ্রেপ্তারকৃতদের বেশির ভাগই সালাফিস্ট গ্রুপের সদস্য৷

মিশরে বিশেষ করে শুক্রবার, অর্থাৎ জুম্মার নামাজের সময় ইমামদের দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে৷ নামাজ পড়তে এসে কেউ ধর্মের নামে অসন্তোষ বা বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে৷ সরকারের হিসেব অনুযায়ী এ পর্যন্ত অন্তত ১৩শ' সালাফিস্ট যুদ্ধ করতে ইরাক ও সিরিয়ায় গিয়েছে৷ জর্ডান থেকে গিয়েছে প্রায় ৪ হাজার জন৷

ভবিষ্যতে সন্দেহভাজনদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার পথে এগোবে ব্রিটেনছবি: Fotolia/mark yuill

আরব বিশ্বের মতো পাশ্চাত্যের দেশগুলোও ইসলামি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হচ্ছে৷ অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে শুরু হচ্ছে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন৷ এ উপলক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ সেখানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর দেশের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্যামেরন সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্রিটেন ভবিষ্যতে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অনেক বেশি কঠোর হবে৷ তিনি জানান, ভবিষ্যতে সন্দেহভাজনদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার পথে এগোবে ব্রিটেন৷ এর ফলে চাইলেও কেউ বিদেশে গিয়ে ইসলামের নামে যুদ্ধ করতে পারবেনা৷ যুদ্ধ করে ফিরে এসে ব্রিটেনেও যাতে কোনো সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অংশ নিতে না পারে সে দিকেও নজর রাখবে ব্রিটেন৷

ক্যামেরন আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধে অংশ নিতে কেউ বিদেশে গেলে তাকে আর ব্রিটেনে ফিরতে দেয়া হবেনা৷ সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তি যাতে ব্রিটেনের বাইরে যেতে না পারে, কিংবা বিদেশ থেকে ব্রিটেনে ঢুকতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন ক্যামেরন৷ এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে- এমন আশঙ্কার কথা বলা হলে জবাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নাগরিকের স্বাধীনতা বা অধিকার নিয়ে আমরাও ভাবি৷ এসব (পদক্ষেপ)-এর প্রভাব অন্য দেশগুলোর ওপর পড়তে পারে সে বিষয়টিও আমরা বুঝি৷ কিন্তু দিন শেষে এটাই সবচেয়ে বড় সত্যি যে, ব্রিটেনের প্রতিটি নাগরিককে নিরাপদ রাখতে যা যা করা দরকার আমাকে সবার আগে তা-ই করতে হবে৷''

এসিবি/এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ