সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তরুণদের সচেতন করতে ইউরোপের স্কুলগুলোতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ মৌলবাদবিরোধী এক প্রকল্প শুরু হয়েছে জার্মানির স্কুলগুলোতে৷ বিভিন্ন গণমাধ্যম ‘এক্সট্রিম ডায়লগ' নামে নতুন প্রকল্প শুরু করেছে৷
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে এ বিষয়ে স্কুলগুলোতে সচেতনতামূলক প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ এরই অংশ হিসেবে জার্মানির স্কুলগুলোতে মৌলবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী সচেতনতামূলক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে৷ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ভেকটা শহরে গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ৷
এই প্রকল্পের জার্মান পরিচালক হ্যারাল্ড ভাইলনবোক জানালেন, ‘‘পাঠ্যসূচিতে অপরাধকে ঘৃণা করতে শেখানো হচ্ছে একই সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন আদর্শ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তারা ধর্মীয় বিষয়গুলো দর্শনের সাহায্যে বুঝতে পারে৷ এর ফলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাববার, তর্ক করার, আলোচনা করার মানসিকতা তৈরি হবে৷ তারা এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করতে শিখবে৷'' তিনি আরও জানান, ‘‘আমরা প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় উগ্র ও কট্টরপন্থি মানুষের সাথে কথা বলেছি৷ তারা এমন ভাবে কথা বলে যে তার বিপক্ষে কোনো যুক্তি শুনতে চায় না৷ নিজেদের চিন্তার বাইরে গিয়েও যে ভাবা যায় এই ভাবনাটা তৈরির মানসিকতা যাতে তরুণদের মধ্যে তৈরি হয়, তাই এই প্রকল্প৷''
মুসলিম নারীরা যেসব উপায়ে ‘পর্দা’ করে
হিজাব, বোরকা বা নিকাবের মতো নারীদের জন্য বিভিন্ন ইসলামি পোশাক নিয়ে ইউরোপে এখন তুমুল বিতর্ক চলছে৷ কোনো কোনো দেশ এ সব পোশাক নিষিদ্ধের পক্ষে৷ মুসলমান নারীদের শরীর ঢাকার পোশাকগুলি কী কী – চলুন জেনে নেই৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
হিজাব
দেশ এবং সংস্কৃতিভেদে অনেক মুসলমান নারী হিজাব পরিধান করেন৷ মূলত মাথা, চুল এবং গলা এবং ঘাড়ের খোলা অংশ ঢাকা হয় এই পোশাক দিয়ে৷ বিভিন্ন ডিজাইনের এবং রঙের হিজাব পাওয়া যায় যেগুলো পরলে চেহারা পুরোটাই দেখা যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/Seyllou
নিকাব
নিকাব পরলে নারীর পুরো শরীর ঢেকে যায়, শুধু চোখ দু’টো খোলা থাকে৷ সাধারণত পুরোপুরি রক্ষণশীল মুসলমান নারীরা নিকাব পরেন৷ নিকাব মূলত কালো রঙের হলেও অন্যান্য রঙের নিকাবও ইদানীং দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
দোপাট্টা
দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় দোপাট্টা বা ওড়না৷ নিকাব বা বোরকার মতো না হলেও এই পোশাকেও নারীর শরীর অনেকটা ঢাকা থাকে৷ তবে চুলের কিছুটা, চেহারা এবং গলা দেখা যায়৷ দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য ধর্মের মেয়েরাও দোপাট্টা পরেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/S.Jaiswal
আল-আমিরা
মূলত দুই টুকরো কাপড় দিয়ে আল-আমিরা তৈরি করা হয়৷ একটি টুকরো দিয়ে চুল পুরোপুরি ঢেকে দেয়া হয় আর অন্য টুকরোটা হিজাবের মতো জড়িয়ে দেয়া হয়৷ কম বয়সি মুসলিম নারীদের মধ্যে এই আল-আমিরা বেশ জনপ্রিয়৷
শায়লা
শায়লা হচ্ছে লম্বা, চারকোনা এক ধরনের স্কার্ফ, যা গল্ফ অঞ্চলের মুসলিম নারীদের মধ্যে জনপ্রিয়৷ এটি সাধারণত কালো রঙের হয় এবং কাঁধের কাছে পিন দিয়ে আটকাতে হয় এটিকে৷ তবে হিজাবের মতো সবকিছু ঢেকে রাখে না শায়লা৷
ছবি: Getty Images/AFP/A.Rochman
এশার্প
অনেকটা হিজাবের মতো হলেই এসার্প তৈরি হয় সিল্ক দিয়ে এবং বেশ উজ্জ্বল রঙের হয়৷ মূলত তুরস্কের মুসলিম নারীরা এটা পরিধান করেন৷ এটি বিভিন্ন রং এবং ডিজাইনে পাওয়া যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Altan
কেরুডুং আর টুডুং
ইন্দোনেশিয়ার আধুনিক মেয়েরা আজকাল যে হিজাব ব্যবহার করছে, তার নাম কেরুডুং৷ আর প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়ায় নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় টুডুং৷ এই দু’টি অনেকটা চাদরের মতো হলেও, একটি অংশে সুন্দর প্যার্টার্ন থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকে বিভিন্ন রঙের শেডও৷ হিজাবের মতো টুডুং বা কেরুডুং-ও চুল, গলা এবং কাঁধ পুরোপুরি ঢেকে ফেলে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S.Khan
চাদর
ইরানের মেয়েদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় চাদর৷ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সাধারণত সে দেশের নারীরা চাদর পরে নেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Mehri
বোরকা
মুসলিম নারীরা সারা চেহারা এবং সারা শরীর পুরোপুরি ঢেকে ফেলে বোরকা পরিধান করেন৷ ক্ষেত্রবিশেষে বোরকার চোখের অংশে জাল দেয়া থাকে, যাতে তারা দেখতে পারেন৷ কালো ছাড়াও বিভিন্ন রংঙের বোরকা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Arshad Arbab
জিলবুবস
সারা শরীর ঢেকে রেখেও নারীর স্তন এবং পশ্চাতদেশের আকার ফুটিয়ে তোলা যায় এই পোশাকে৷ এ জন্যই একে জিলবুবস বলা হয়৷ ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পোশাকের ব্যবহার দেখা যায়৷ তবে এই পোশাক নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ দ্রষ্টব্য: মুসলিম নারীদের পোশাক সংক্রান্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ছবিঘরটি তৈরি করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Indahono
10 ছবি1 | 10
এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের গল্প তৈরি করা হচ্ছে৷ অনুভূতি প্রবণ, যুক্তিবাদ, বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, আস্থা ও বিশ্বাসের গল্প৷ স্কুলের শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে জানানো হবে৷ কর্মশালাগুলো করাবে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা৷
‘এক্সট্রিম ডায়লগ ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম '-এ সহায়তায় হচ্ছে এই প্রকল্প৷ যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্ট্র্যাটেজিক ডায়লগ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় প্রকল্পটি চলছে৷ বিভিন্ন ভাষাভাষীদের মধ্যে বিনামূল্যে এ ধরনের শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে তারা৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গিবাদের কারণে যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বানানো হয়েছে শর্টফিল্ম, যা দেখানো হবে এ সব কর্মশালায়৷
একটি শর্টফিল্ম হয়েছে ক্রিস্টিয়ানে বোদ্রোর জীবনের ঘটনা নিয়ে৷ যার ছেলে দামিয়ান ক্যানাডা ছেড়ে ২০১৪ সালে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটে বা আইএস-এ যোগ দেয় এবং তাদের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রাণ হারায়৷ এরপর থেকে ঐ মা সেসব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন, যাদের ছেলে বাড়ি ছেড়ে জঙ্গিবাদে যোগ দিয়েছে৷ একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন, যার নাম ‘মাদারস ফর লাইফ'৷
ক্রিস্টিয়ানে ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশুরা যা জানতে চায় তাই ইচ্ছেমতো দেখতে ও জানতে পারে৷ আপনি ইচ্ছে করে সেই অবাধ বিচরণ বাড়িতে আটকাতে পারেন, কিন্তু বাইরে বন্ধুদের কাছ থেকে আটকাবেন কীভাবে? তাদের নানা বিষয়ে কৌতূহল দমন করাটা কঠিন৷ তাই কিশোরদের মধ্যে যে ফ্যান্টাসি বা রোমান্টিকতা কাজ করে, সে কারণে তারা সন্ত্রাসবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়৷''
মিউনিখ হামলার কিছু ছবি
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ জার্মানির মিউনিখের অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে হামলা চালায় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা৷ শুরু করে গুলিবর্ষণ৷ ছবিঘরে থাকছে হামলার বিশেষ কিছু ছবি৷
ছবি: Reuters/dedinac/M. Müller
ঘটনার শুরু
বিপণিবিতানের ম্যাকডোনাল্ড’স-এ ৬টার দিকে প্রথম গুলিবর্ষণ হয় বলে জানা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Widmann
হেলিকপ্টার টহল
অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে সম্ভবত এখনো অনেক কর্মী আটকা পড়ে আছে৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে, যে মিউনিখের আকাশে একটি মহড়ার আওতায় অনেক হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে।
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
সবাইকে ঘরে থাকার ডাক
ঘটনার পরপরই মিউনিখ কর্তৃপক্ষ শহরবাসীকে ঘর থেকে বের না হওয়ার ডাক দিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
আহত ও নিহত
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জার্মানির অনেক গণমাধ্যম জানিয়েছে, অনেকে নিহত ও আহত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe
ঘটনাস্থলের আশপাশের রাস্তা বন্ধ
অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারের আশপাশ ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ আশপাশের সব সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এই এলাকায় যাতে জনসাধারণ না আসে সেজন্য বার বার অনুরোধ করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Gebert
বন্ধ রেল ও বাস সার্ভিস
ঘটনার পর মিউনিখে ট্রেন, ট্রাম ও বাসের একাধিক লাইন বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন কর্তৃপক্ষ৷ এতে ট্রেন স্টেশনে আটকা পড়েছে অনেক মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
লাইভ ফুটেজ না দেখানোর অনুরোধ
পুলিশের অভিযানের কোন লাইভ ভিডিও ফুটেজ না দেখাতে গণমাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
আততায়ী তিন জন
পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্রধারী তিনজনকে গুলি চালাতে দেখা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Gebert
নিখোঁজদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
মিউনিখ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি নোটিস জারি করা হয়েছে৷ কারো স্বজনের খোঁজ পাওয়া না গেলে +৪৯৮০০৭৭৬৬৩৫০ এই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Gebert
ব্রিটেনের সতর্কতা
হামলার পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জার্মানিতে অবস্থানরত নাগরিকদের মিউনিখের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে৷
ছবি: Reuters/dedinac/M. Müller
10 ছবি1 | 10
তাঁর মতে, এ ধরনের শর্টফিল্ম যে কোনো মানুষকে এত নাড়িয়ে দেয় যে তাদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়৷ স্কুলগুলোতে যে পরিবেশে তাদের এই কর্মশালা হবে, তাতে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারবে শিক্ষার্থীরা৷ তাই নির্দিধায় তাদের মনের প্রশ্ন গুলোর জবাব চাইতে পারবে৷
বার্লিনভিত্তিক ভায়োলেন্স প্রিভেনশন নেটওয়ার্ক ভিপিএন এ কাজে সাহায্য করছে৷ অনেক আগে থেকেই জার্মানিতে সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রকল্প চলছে৷ ৯০-এর দশক থেকে জার্মান সরকার এক আইন করেছে সন্ত্রাসবাদ নিরসনে৷ বছরে ২ কোটি ১০ লাখ ইউরো ব্যয় হয় এই খাতে৷ তবে এই আইন করা হয়েছিল নব্য নাৎসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে৷
বেন নাইট/এপিবি
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তরুণদের আরো কীভাবে সচেতন করা যায়? লিখুন নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷
যেসব দেশে বোরকা নিষিদ্ধ, যেখানে চলেছে আলোচনা
ইউরোপের বেশ কিছু দেশে বোরকা ও নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ কিছু কিছু দেশে আবার পুরো মুখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধ করা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা৷ প্রশ্ন উঠেছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা না থাকায় এসব অঞ্চলে কি জঙ্গি তৎপরতা বাড়ছে?
ছবি: CLAUDE PARIS/AP/dapd
ফ্রান্স
ফ্রান্স ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে বোরকা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়৷ ফ্রান্সে ৫০ লাখ মুসলমানের বাস৷ ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল এই আইন কার্যকর হয়৷ বোরকা বা নেকাব পড়লে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনে৷
ছবি: Getty Images
বেলজিয়াম
২০১১ সালের জুলাইয়ে বেলজিয়ামেও নেকাব নিষিদ্ধ হয়৷ অর্থাৎ কোনো নারী তার পুরো মুখ কাপড়ে ঢেকে রাখতে পারবে না৷
ছবি: AP
নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডসে ২০১৫ সালে আইন করে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়৷ বিশেষ করে জনসমক্ষে, অর্থাৎ স্কুল, হাসপাতাল ইত্যাদির মতো জায়গায বোরকা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷
ছবি: AP
স্পেন
পুরো স্পেনে নয়, বার্সেলোনা শহর কর্তৃপক্ষ সেখানে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্রিটেন
ব্রিটেনে প্রচুর মুসলিমের বাস, তাই সেখানে কোনো ইসলামি পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই৷ তবে স্কুলগুলোতে নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হয়৷ ২০০৭ সালে বেশ কয়েকটি মামলার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে, স্কুলে কেউ বোরকা বা নেকাব পরতে পারবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
সুইজারল্যান্ড
২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ইটালীয় ভাষাভাষীদের এলাকা টিসিনোতে বোরকা নিষিদ্ধের ওপর ভোট হয়৷ নিষিদ্ধ করার পক্ষে পড়ে ৬৫ শতাংশ ভোট৷ এরপর ২৬টি শহরে বোরকা নিষিদ্ধ হয়৷ চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে লুগানো, লোকারনো, মাগাদিনোসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বোরকা নিষিদ্ধ হয়৷ কেউ জনসমক্ষে বোরকা পড়লে ৯ হাজার ২০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে তাঁর৷
ছবি: imago/Geisser
ইটালি
ইটালির বেশ কয়েকটি শহরে নেকাব নিষিদ্ধ৷ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নোভারা কর্তৃপক্ষ সেখানে আইন করে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে৷ ৭০-এর দশকেই মুখ ঢেকে রাখা সব ধরনের ইসলামিক পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইটালি৷
ছবি: picture alliance/dpa/Rolf Haid
অস্ট্রিয়া
দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকার প্রকাশ্য স্থানে পুরো মুখ ঢাকা নিকাব নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত হয়েছে৷ স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতে নিকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে একমত হয়েছে সরকারের শরিক দলগুলোও৷ এছাড়া যাঁরা সরকারি চাকরি করেন, তাঁদের মাথায় স্কার্ফ, হিজাব কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও বিবেচনা করছে সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
জার্মানি
জার্মানির রক্ষণশীল রাজনীতিকদের মধ্যে বোরকা নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে৷ সিডিইউ দলের একাধিক রাজনীতিক স্কুল, সরকারি অফিস, আদালতকক্ষ ও গাড়ি চালানোর সময় বোরকা ও গোটা মুখ ঢাকা নিকাব পরা নিষিদ্ধ করতে চান৷ সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ জার্মানও প্রকাশ্যে বোরকাধারী মহিলাদের দেখতে নারাজ৷ এমনকি সম্প্রতি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও পুরো মুখ ঢাকা নিকাব নিষিদ্ধ করার পক্ষ তাঁর সায় দিয়েছেন৷