1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গিবাদের হাত থেকে ইসলাম রক্ষার দায়িত্বে ইমামরা

১ জুন ২০১৫

ইসলামকে বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের ধর্মে পরিণত করতে তৎপর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইমাম এবং ইসলামি শিক্ষাবিদরাও এবার মাঠে নেমেছেন৷ মসজিদ, স্কুল-কলেজ এমনকি ইন্টারনেটেও জঙ্গিবাদ ঠেকাতে তৎপর তাঁরা৷

Ägypten - al-Azhar Moschee
ছবি: Getty Images

মেধাবৃত্তি এবং সংস্কৃতির্চায় মুসলিম বিশ্বের রাজধানী হিসেবে পরিচিত মিশরে জঙ্গিবাদ ঠেকাতে ‘ধর্মীয় বিপ্লব'-এর কাজ শুরু হয়েছে৷ গত জানুয়ারিতে এই বিপ্লবকে সম্ভব করতে ইমামদের সহযোগীতা চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি৷ দেশের প্রাচীনতম মসজিদ আল-আজহায় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে উপস্থিত ইমামদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ইসলাম ধর্মকে সারা বিশ্বে উদ্বেগ, বিপদ, হত্যা এবং ধ্বংসের উৎস হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে৷ আপনারা (ইমাম) তো আল্লাহর কাছে দায়বদ্ধ৷ সারা বিশ্ব তাই আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে৷ এই জাতিকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করার যে অপতৎপরতা চলছে তার বিরুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা দেখার অপেক্ষায় আছে সবাই৷''

এক হাজার শতকে প্রতিষ্ঠিত আল-আজহার মসজিদকে ঘিরে গড়ে ওঠা মুসলিম বিশ্বের প্রসিদ্ধ শিক্ষায়তন আল-আজহা বিশ্ববিদ্যালয়েও তাই শুরু হয়েছে নতুন ধারার কর্মদ্যোগ৷ উগ্রপন্থি দর্শনের বিপরীতে উদার পন্থার প্রচারে নেয়া হচ্ছে নানা ধরণের উদ্যোগ৷ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে চার লাখ শিক্ষার্থীর ওপর যাতে জঙ্গিবাদের প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করতে ইমাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা পাঠ্য পুস্কক প্রণয়ন, সংস্কার করছেন, পাশাপাশি ইন্টারনেটে জঙ্গিবাদী তৎপরতার চলছে কিনা – সেদিকেও নজর রাখছেন৷ দেশের ৯ হাজার স্কুলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষারত মোট প্রায় ২০ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর আধুনিক শিক্ষা অব্যাহত রাখতে জঙ্গিবাদ বিরোধী ইউটিউব অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট সিসি আশা করছেন, ইমাম এবং ইসলামি চিন্তাবিদদের এমন উদ্যোগ ইসলামি জঙ্গিদের ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে৷

মিশরে ‘ধর্মীয় বিপ্লব’ সফল করতে ইমামদের সহযোগীতা চেয়েছিলেন সিসিছবি: Reuters/Dalsh

কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসিকে আটক করে ক্ষমতায় আসা সিসির এই উদ্যোগের সমালোচকেরও অভাব নেই মিশরে৷ আল-আজহার মসজিদে চিরকাল সরকারের মনোনীত ব্যক্তিই গ্র্যান্ড ইমাম হতেন৷ সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের পতনের পর ইমামদের একটি কমিটি গঠন করে সেই কমিটিকে গ্র্যান্ড ইমাম নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়৷ কমিটির নির্বাচন করা ইমামকে অবশ্য দায়িত্ব শুরুর আগে সরকারের অনুমোদন পেতে হতো৷ কিন্তু মুরসি ক্ষমতায় আসার পর আল-আজহারে ব্রাদারহুড সমর্থকদের সুযোগ দিতে শুরু করেন৷ এ কাজে কিছুটা সফলও হয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু মুরসিকে আটক করার পর সিসি ব্রাদারহুডের পক্ষের ইমাম এবং শিক্ষকদের আবার ধীরে ধীরে সরিয়ে দেন৷

এই পরিস্থিতিতে আল-আজহার মসজিদ এবং আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জঙ্গিবাদবিরোধী শিক্ষা তৎপরতার সূচণাকে মুরসি সমর্থকরা ভালোভাবে নিতে পারেননি৷ তাঁদের অনেকে মনে করেন, এভাবে সামরিক বাহিনীর মদতপুষ্ট সরকার নিয়ন্ত্রিত উদ্যোগ জনমনে খুব বেশি কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ