1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গি অর্থায়ন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ আগস্ট ২০১৪

বাংলাদেশে জঙ্গি অর্থায়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার৷ এ কারণেই বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক লি.-এ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল৷

Jahidur Rahman Mizan verhaftet
ছবি: AP

মূলত ব্যাংকটির আয়-ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি৷ বৃহস্পতিবার ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার' কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘‘ইতিমধ্যেই ইসলামী ব্যাংক তাদের লভ্যাংশ ব্যয়ের একটি প্রতিবেদন দিয়েছে৷ সেই প্রতিবেদনে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে কিনা – তা যাচাই-বাছাই করতে গোয়েন্দাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গিবাদের মূল উত্‍স হলো অর্থ৷ এই অর্থের উত্‍স খুঁজে বের করতে পারলে জঙ্গিবাদ দমন অনেক সহজ হবে৷''

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘‘আরো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত কিনা – তাও তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা৷'' তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ ধরণের অভিযোগ আছে৷''

জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ ওঠায় গত কয়েকবছর ধরেই চাপে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক৷ অভিযোগের কারণে এইচএসবিসি যুক্তরাজ্য, সিটি ব্যাংক এনএ, ব্যাংক অফ আমেরিকা ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করে দেয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটির এক প্রতিবেদনেও ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগ করা হয়৷

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ‘‘ইসলামী ব্যাংকে এমন কিছু অ্যাকাউন্ট হোল্ডার পাওয়া গিয়েছিল, যাদের নাম ছিল জাতিসংঘের সন্দেহের তালিকায়৷ এ সব অ্যাকাউন্টের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ‘লুকিয়েছিল' ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ৷

জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগের পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ‘অনিয়ম-দুর্নীতির' অভিযোগ থাকায় ২০১০ সাল থেকেই ঐ ব্যাংকে একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ এছাড়া অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাতও তাঁর গবেষণায় বলেছেন, ‘‘ইসলামী ব্যাংক জামায়াত নিয়ন্ত্রিত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান৷ এই ব্যাংক নানা ধরণের অদৃশ্য খাতে অর্থ খরচ করে৷ আর মধ্যে জঙ্গি অর্থায়ন অসম্ভব কিছু না৷''

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘‘এরই মধ্যে সন্দেহের তালিকায় থাকা কয়েকটি আরো ইসলামী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে৷ আর তাদের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেৰণের জন্যও বলা হয়েছে৷''

তিনি জানান, ‘‘বাংলাদেশের কিছু এনজিও-র কাজেও নজর রাখা হচ্ছে৷ বিশেষ করে কক্সবাজার, উপকূলীয় এলাকা এবং পার্বত্য এলাকায় কর্মরত কিছু এনজিও-র বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়নসহ নানা ধরণের অভিযোগ আছে৷''

২০০৯ সালে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার' কমিটি নামের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে সরকার৷ ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণজাগরণ মঞ্চ গঠন হওয়ার পর ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি প্রবল হয়৷ এরপর চলতি বছরেই একটি জাতীয় অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে নেয়া তহবিল ফেরত দেয়া হয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে৷ এই ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর কতিপয় নেতার হাতে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ