1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গি দমনে স্থাপনা উচ্ছেদ?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২০ জুলাই ২০১৬

গুলশান হামলার পর অবৈধ স্থাপনা, বিশেষ করে গুলশান-বারিধারার অবৈধ হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা কি সম্ভব? স্থাপনা উচ্ছেদে সুফলের সম্ভাবনাই বা কতটুকু?

Bildergalerie Megacities Dhaka
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

এরইমধ্যে গুলশান-বারিধারার অবৈধ স্থাপনার তালিকা করা হয়েছে৷ যে কোনো দিন উচ্ছেদ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন৷

গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ১ জুলাই জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়৷ অবাক করা ব্যাপার হলো, হোলি আর্টিজান রেষ্টুরেন্টটিও অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল৷ এমনটিই জানিয়েছেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন৷

রেস্টুরেন্টের এই প্লটটি নার্সিং হোম করার কথা বলে ১৯৭৯ সালে বরাদ্দ নেয়া হয়৷ ১৯৮২ সালে নার্সিং হোমের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়৷ কিন্তু পরে সেখানে নাসিং হোম না করে প্লটের একটি অংশে হোলি আর্টিজান বেকারি গড়ে তোলা হয়৷

মন্ত্রণালয় রাজধানীর আবাসিক এলাকাগুলোয় এক হাজার ৬২৫টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছে৷ এর মধ্যে মধ্যে কূটনৈতিক পাড়া গুলশান ও বারিধারায় রয়েছে ৫৫২টি৷ এছাড়া উত্তরায় ২১৫, মিরপুরে ৮৮০, ধানমন্ডি-লালবাগে ১৭৩ এবং মতিঝিল-খিলগাঁও এলাকায় ১০৫টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে৷

সারা দেশে চিহ্নিত অবৈধ স্থাপনার মধ্যে আবাসিক প্লট ও ভবনে থাকা ১২ হাজার ৯৫৭টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে নোটিস দিয়েছে সরকার৷ নোটিসের জবাব পর্যালোচনা করে সেসব প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে ‘নগর এলাকার রাস্তার পাশে আবাসিক প্লট ও ভবনে রেস্তোরাঁ-বারসহ নানাবিধ বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনাজনিত সমস্যা নিরসনে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ক' কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়৷

তবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সঙ্গে জঙ্গি দমনের সম্পর্ক কতটুকু জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷ তিনি সংসদ অধিবেশেনের ব্যস্ততার কথা বলে এড়িয়ে যান৷

[No title]

This browser does not support the audio element.

তবে এ বিষয়ে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়েছে৷ তিনি মনে করেন, ‘‘অবৈধ স্থাপনা স্বাভাবিক নিয়মেই উচ্ছেদ করা উচিত৷ এতদিন না করে হঠাত্‍ কেন তোড়জোড় শুরু হয়েছে তা আমি বুঝতে পারছিনা৷ এর সঙ্গে জঙ্গি দমনের দূরতম সম্পর্ক থাকতে পারে, তবে আমি সরাসরি কোনো সম্পর্ক দেখছিনা৷'’

তিনি বলেন, ‘‘গুলশান হামলার পর তদন্তে আমরা এখনো কোনো অগ্রগতি দেখছিনা৷ জঙ্গিবিরোধী বিশাল অভিযানে উদ্ধার হয় দা, চাপাতি৷ জঙ্গিরা ধরা পড়ছেনা৷ আমার মনে হচেছ, আসল কাজ না করে এখন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ নানা কাজ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরাতে চায় সরকার৷''

এদিকে ব়্যাব ২৬১ জন নিখোঁজ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে৷ গুলশান হামলার পর নিখোঁজ এসব তরুণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ মানুষের কাছে ‘দুশ্চিন্তা’ উঠেছে, কারণ, গুলশান হামলাকারীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল৷

প্রিয় পাঠক, এ ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ