জম্মু-কাশ্মীর থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে জঙ্গি তত্পরতা দমনে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির দিশাহারা অবস্থা৷ এর মধ্যেই আবার নতুন হামলার ডালপালা মেলছে তথাকথিত আইএসের মতো জঙ্গি গোষ্ঠী৷ বেড়ে গেছে সরকারের দুশ্চিন্তা৷
বিজ্ঞাপন
জম্মু-কাশ্মীর ইতিহাসের এক অসমাপ্ত অধ্যায়৷ তার জেরে আজও চলেছে সহিংসতা, সন্ত্রাস আর নিরাপত্তাবাহিনীর দমন পীড়ন৷ কাশ্মীরের জনজীবন এখনও অশান্ত৷ হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে৷ জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেন নিত্যদিনের ঘটনা৷ কিন্তু এর আশু গ্রহণযোগ্য সমাধান সরকার দিতে ব্যর্থ৷
এর সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের পরিস্থিতির গুণগত কোনো প্রভেদ নেই৷ স্বাধীনতার পর প্রথম ভারত বৈরিতা মাথা তোলে নাগাল্যান্ডে৷ তারপর আসাম, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে৷ কারণ কী ? কারণ একাধিক৷ প্রথমত, পঞ্চাশের দশকে রাজ্যগুলির সীমানা চিহ্নিতকরণের সময় আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যতার দিকে নজর দেওয়া হয়নি৷ ফলে রাজ্যের অধিবাসীদের মধ্যে জাতিসত্তা তথা আত্মপরিচয়ে বিস্তর ঘাটতি থেকে গেছে৷ ঠিকমতো নজর দেওয়া হয়নি জাতিগত, ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের দিকে৷ তা সত্বেও সব রাজ্যকে একই বন্ধনিতে রাখা হয়েছে৷
এতে রাজ্যগুলির অধিবাসীদের মনে রয়ে গেছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ৷ দেখা দিয়েছে রাজ্যগুলির অধিবাসীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘাত৷ দাবি উঠেছে পৃথক রাষ্ট্রের, নয়তো উঠেছে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের কিংবা পৃথক রাজ্যের দাবি৷ এছাড়া আছে আর্থ-সামাজিক ইস্যু৷যেমন ঐসব রাজ্যের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ, জৈব-বৈচিত্র্য ও জল-বিদ্যুত উত্পাদনের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ার দরুণ আর্থিক অনগ্রসরতা ইত্যাদি৷সরকারের জাতীয় সংহতির ডাক ঐসব রাজ্যের অধিবাসীদের মনে তাই দাগ কাটতে পারেনি৷তারই জেরে মাথা তুলেছে জঙ্গি কার্যকলাপ৷
কাশ্মীর সমস্যার সমাধান কি সম্ভব?
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সহিংসতা আবারো এই প্রশ্নকে উস্কে দিয়েছে৷ কি চায় কাশ্মীরের জনগণ? আর ভারত সরকার কি সেখানকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে? কাশ্মীরের বর্তমান সংকট নিয়েই এই ছবিঘর৷
ছবি: Getty Images/AFP/T.Mustafa
সংঘর্ষের সূত্রপাত
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৮ জুলাই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথিত সংঘর্ষে স্থানীয় হিজবুল মুজাহিদীন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে৷ বুরহান নিহত হওয়ার প্রতিবাদে হাজার হাজার ক্ষুব্ধ জনতা সড়কে নেমে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর ইট পাটকেল ছুড়লে পাল্টা গুলি চলে তাদের ওপর৷ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪০ এরও বেশি নিহত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Yasin
কারফিউয়ে জনজীবন অচল
কাশ্মীরি নেতাদের বনধের ডাকে সমগ্র কাশ্মীর উপত্যকার জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ কারফিউ জারি করেও নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না প্রতিবাদকারীদের৷ অন্যদিকে, খাবার ও ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে৷ মোবাইল ও ইন্টারনেট এবং ট্রেন সার্ভিস বন্ধ রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
আরো সেনা মোতায়েন
সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে চলতি সপ্তাহে ওই অঞ্চলে বাড়তি ৮শ’ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
নিহতদের বেশিরভাগই তরুণ
সাম্প্রতিক সহিংসতার নিহত ৪৪ জনের মধ্যে বেশিরভাগই বয়সে তরুণ৷ তাদের বয়স ১৬ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে৷ আহতদের মধ্যে অনেক শিশু ও নারী রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে শতাধিক মানুষ
চিকিৎসকদের আশঙ্কা, কারফিউয়ের কারণে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং রক্তের অভাবে আরো অনেকের মৃত্যু হতে পারে৷ প্রায় শতাধিক মানুষের চোখে শটগানের গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন তারা৷ দ্রুত চিকিৎসা না হলে তারা দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন৷
ছবি: Reuters/D.Ismail
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক
কাশ্মীরে চলমান সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তান অভিযোগ করায় দু’পক্ষের সম্পর্ক আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে৷ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ভারত সরকারের অস্বস্তি বেড়েছে৷ ইসলামাবাদে সার্কভুক্ত দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ যাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Press Information Bureau
চাপে মোদী সরকার
কাশ্মীর পরিস্থিতির কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী অভ্যন্তরীণ চাপের মুখেও পড়তে পারেন বলে সরকারের একাংশের আশঙ্কা৷ প্রশ্ন উঠতে পারে, মোদীর পাকিস্তান নীতি নিয়েও৷ নরেন্দ্র মোদী সরকারের শুরুটাই হয়েছিল পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির বার্তা দিয়ে৷ পাঠানকোট হামলার পর পরিস্থিতি বদলে যায়৷ আর কাশ্মীর ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিন্দায় চাপে পড়েছে মোদী সরকার৷
ছবি: DW/J. Akhtar
কাশ্মীর কার ভূখণ্ড?
ভারত ও পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রই কাশ্মীরকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে৷ দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে ওই অঞ্চলটি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে আছে পরমাণু শক্তিধর এই দুই রাষ্ট্র৷ এই সময়ের মাঝে দুটি দেশই দুইবার বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Singh
যে কারণে সহিংসতা
মুসলিম অধ্যুষিত ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাশ্মীরের স্বাধীনতার লক্ষ্যে অস্ত্র তুলে নেয়৷ এরপর থেকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি এবং সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায়ই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর পরিস্থিতি৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Tauseef
9 ছবি1 | 9
রাজ্যগুলির ৯টি জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইউনাইনেড লিবারেশন ফ্রন্ট' গঠন করে এখনও চালিয়ে যাচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই৷ কখনো কম, কখনও বেশি৷ ফিজোর নেতৃত্বে নাগাল্যান্ডকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার সহিংস আন্দোলন শুর হয় ১৯৫০-এর দশকে৷ ২০১৬ সালে এসেও তার পুরোপুরি সমাধান হয়নি৷ চলেছে উপজাতি গেরিলা বাহিনীর আঘাত আর নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা আঘাত৷ রাজনৈতিকভাবে ঐসব রাজ্যের সমস্যাগুলির মোকাবিলা না করে সরকার সেনা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে ‘আফস্পা'র মতো দমন পীড়নের বিশেষ ক্ষমতা আইন৷ এতে মানবাধিকার লংঘনের মাত্রা বেড়ে চলেছে৷ জীবনের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়ছে৷ বলা হয়েছিল এটা সাময়িক এক ব্যবস্থা৷ কিন্তু আজও তা প্রত্যাহার করা হয়নি ফলে নিরীহ মানুষদের নিরাপত্তা বাহিনীর জুলুমের নিষ্ঠুর শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত৷ হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতকে৷
অতি বামপন্থি কমিউনিস্ট আদর্শের ঔরসে জন্ম নেয় নক্সালবাদ ও মাওবাদ৷ এদের দাপট এখন মূলত ঝাড়খন্ড, বিহার ছত্তিশগড়ে৷ এদের আস্তানা রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা আদিবাসী প্রধান দুর্গম এলাকায়৷ সেসব জায়গার রাস্তাঘাট ওরাই চেনে৷ নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে চেনা খুবই কঠিন৷ শুধু তাই নয়, স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠী মাওবাদীদের এক জনভিত্তি৷ বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরুর আগেই তাঁদের কাছে খবর পৌঁছে যায়৷ দুর্গম পাহাড়ি পথে মাওবাদীরা পেতে রাখে মরণ ফাঁদ৷ আইইডি বিস্ফোরক৷ মাত্র দুদিন আগে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয় এরই শিকার হয়, নিহত হয় ১২ জন জওয়ান৷
অপরূপ কাশ্মীরের আসল রূপ
কাশ্মীরের সৌন্দর্য্য নিয়ে অনেক কবিতা, বহু গান রচিত হয়েছে৷ আমাদের রবীন্দ্রনাথও কাশ্মীরের ঝিলম নদী নিয়ে কবিতা লিখেছেন৷ অপরূপ সেই কাশ্মীর নিয়েই দেখুন ছবিঘর৷
ছবি: M.Davari
সব ধর্মের অবস্থান
নানা সংস্কৃতি আর ভাষার মানুষের বসবাস কাশ্মীরে৷ আছে নানা ধর্মের মানুষও৷ কাশ্মীক উপত্যকার অধিকাংশ মানুষ মুসলমান৷ হিন্দুদের বাস জম্মু এলাকায়৷ আর লাদাখে আছেন বৌদ্ধরা৷
ছবি: picture-alliance/Arcaid
জাফরান
কাশ্মীরের আরেকটি বিখ্যাত জিনিস জাফরান৷ ইরান আর স্পেনের পর ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাফরান রপ্তানিকারক৷
ছবি: imago/Xinhua
‘পুবের সুইজারল্যান্ড’
সুন্দর সব ফুলের বাগান আর বরফে ঢাকা সাদা পাহাড়চূড়ার দেখা পাওয়া যায় কাশ্মীরে৷ তাই অনেকে কাশ্মীরকে পুবের সুইজারল্যান্ড বলে ডাকেন৷ ২০১৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় ১১ লক্ষ পর্যটক গিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বরফ সাদা কাশ্মীর
শীত এলে পুরো কাশ্মীরের রঙ সাদা হয়ে যায়৷ তখন শীতকালীন খেলাধুলার জন্য কাশ্মীর উপযুক্ত হয়ে ওঠে৷ কিন্তু অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে সেটা সম্ভব হয় না৷
ছবি: UNI
নদী
কাশ্মীরের হিমালয় অংশ থেকে ঐ অঞ্চলের প্রায় ২০টি নদী পানি পেয়ে থাকে৷ নদীগুলোর মধ্যে সিন্ধু, চেনাব আর ঝিলম সবচেয়ে বড়৷ এছাড়াও রয়েছে নীলম, রবি, দোদা ইত্যদি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নদী৷ বেশিরভাগ নদীই ভারত থেকে পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত হয়েছে৷
ছবি: UNI
কাঠ
জাফরানের মতো কাশ্মীরের কাঠও বেশ বিখ্যাত৷ ভালো ক্রিকেট ব্যাটের জন্য কাশ্মীরের কাঠের যেন বিকল্প নেই৷ এই কাঠ দিয়ে নৌকাও তৈরি হয়৷
ছবি: picture alliance/NurPhoto/Y. Nazir
সুফিবাদ
ষোড়শ শতকে কাশ্মীরে সুফিবাদের আগমন ঘটেছিল৷ সেই থেকে সেখানকার মানুষ সুফিবাদের চর্চাকারীদের পছন্দ করেন৷
ছবি: AP
মুভিতে কাশ্মীর
গত শতকের আশির দশকে বলিউডের ছবি নির্মাতাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ‘লোকেশন’ ছিল কাশ্মীর৷ সেই সময়টা ছিল কাশ্মীরের জন্য স্বর্ণযুগ৷ কিন্তু এখন সেখানে প্রায় প্রতিদিনই সংঘাতের ঘটনা ঘটছে৷ ফলে নির্মাতারাও সেখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷ বর্তমানে সারা বছরে মাত্র এক থেকে দু’টি ছবির শ্যুটিং হয় কাশ্মীরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সংঘাত কবে থামবে?
১৯৪৮ সাল থেকে কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে৷ অদূর ভবিষ্যতে সেটার সমাধান হবে কিনা তার কোনো উত্তর কারও জানা নেই৷
ছবি: dapd
9 ছবি1 | 9
প্রশ্ন হলো, এরা অস্ত্র ধরেছে কেন? মাওবাদীদের চোখে ভারতীয় সমাজ এখনও অনগ্রসর, আধা ঔপনিবেশিক, আধা সামন্ততান্ত্রিক৷ উপজাতি গরিবদের ওপর চলেছে আর্থ-সামাজিক শোষণ৷ বড় বড় শিল্প সংস্থা ও পুঁজিবাদীরা শিল্প স্থাপনের জন্য উপজাতিদের বনাঞ্চল দখল করে নিচ্ছে৷ বন সম্পদই আদিবাসীদের জীবিকা৷ খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য নির্বিচারে স্থানীয় গরিবদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে৷ জমিহীন গরিব কৃষিজীবীরা চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ উচুঁ জাতি নিচু জাতির বিভেদ বাড়ছে৷ এর যোগ্য প্রত্যুত্তর সশস্ত্র সংগ্রাম, জাতপাতের বৈষম্য মুছে দিতে শ্রেণী সংগ্রাম- এমনটাই মনে করে মাওবাদীরা৷ কিন্তু এদের রসদ যোগাচ্ছে কে বা কারা? কোথা থেকে পাচ্ছে এরা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্র, গুলি, বারুদ? আগে তো হাতিয়ার বলতে এদের ছিল তীর-ধনুক আর টাঙ্গি৷
স্বভাবতই সন্দেহের আঙুল মাওবাদের জন্মভূমি চীনের দিকে৷ মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলের প্রায় ৯ কোটি আদিবাসী কি বোঝে মাওবাদ কী? বুঝে হোক, বা না বুঝে হোক, সমর্থন করুক, বা না করুক, হিংসা ও পাল্টা হিংসার নিরীহ শিকার তাঁরা৷ বহু আদিবাসীকে এজন্য জীবন দিতে হয়েছে৷ সমাজবিদরা মনে করেন, এতদিন শক্তি প্রয়োগে যখন কাজ হয়নি, তখন গণতন্ত্রের কাঠামোর মধ্যেই এর সমাধান খুঁজে পেতে হবে৷ আর সেটাই হবে ভারতীয় গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ৷