জঙ্গি হুমকি সত্ত্বেও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার আশ্বাস ভারতের
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০এই শনিবারেই পুনের জার্মান বেকারি রোস্তোঁরায় বোমা হামলায় নিহত হয়েছে ১১ জন৷ এর দু'দিন পরই জঙ্গি সংগঠন ‘হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামী' হুমকি দিয়েছে হকি ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এবং কমনওয়েলথ গেমসে বিদেশি খেলোয়াড়রা এলে হামলা চালাবে তারা৷
তবে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বেশ আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠেই বলেছেন, ‘‘ভারতের সরকার হকি এবং ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে৷''
বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর হামলার বিষয়ে কাশ্মিরি জঙ্গিদের হুমকি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে চিদাম্বরম একথা বলেন৷
পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ‘লস্কর-ই-তৈবা'র একটি দলছুট গ্রুপ বর্তমানে ‘হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামী'র নামে ক্রিয়াশীল৷ এই সংগঠনের নেতা ইলিয়াস কাশ্মিরি এক ই-মেইল বার্তায় ওই হুমকি দেন৷ ‘দ্য এশিয়া টাইমস অনলাইন' পত্রিকাটি ইলিয়াসের ওই বার্তা প্রকাশের পর এ নিয়ে তুমুল হৈ চৈ শুরু হয়৷
ই-মেইল বার্তায় ইলিয়াস বলেন, ‘‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি যে, তারা যাতে ভারতে ২০১০ সালের হকি বিশ্বকাপ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এবং কমনওয়েলথ গেমসে লোকজন না পাঠান....এবং তাদের নাগরিকদেরও ভারত সফর করা ঠিক হবে না৷ এরপরও তারা যদি তা করেন তাহলে তার দায়দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে৷''
মুম্বাই হামলার পর পুনের ঘটনাই ভারতে এ ধরণের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা৷ মুম্বাইয়ের মতোই পুনেতেও বিদেশিরাই ছিল জঙ্গিদের অন্যতম লক্ষ্য৷ ফলে বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর হামলার হুমকিতে ভারত সত্যিই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে৷ তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম বলছেন, ‘‘ইলিয়াস কাশ্মিরি আমাদের কর্মকাণ্ডের গতিপথ নির্ধারণ করে দিতে পারেন না৷''
ওদিকে, ভারতের এনডিটিভি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের হকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতে জাতীয় দল পাঠানোর বিষয়টি খানিকটা পিছিয়ে দিচ্ছেন তারা৷ কেননা তারা মনে করছেন, ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতিটা আরও কিছুটা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন৷ অস্ট্রেলিয়া বলেছে, তারাও ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতির সর্বশেষ প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন৷
টেলিভিশন চ্যানেলটি আরও জানায়, পাকিস্তান হকি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ব্যবস্থার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য শুক্রবার একটি নিরাপত্তা তদারকি দল পাঠাচ্ছে ভারতে৷
প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক