1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি থেকে শিক্ষা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১০ জুলাই ২০১৩

জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি শহর কাইজার্সলাউটার্ন৷ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং জঞ্জাল অপসারণ ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এই শহরটি একেবারে আদর্শ৷ সেই দৃষ্টান্তই অনুসরণ করতে চলেছে ভারতের সৈকত শহর গোয়া৷

ছবি: picture alliance/AP Photo

গোয়াকে জঞ্জালমুক্ত করতে না পারলে পর্যটন শিল্প যে মার খাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিৎ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী৷

পিকচার-পোস্টকার্ডের মতো সুন্দর চোখ জুড়ানো দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির ছোট্ট শহর, কাইজার্সলাউটার্ন৷ সেই শহর দেখতে গিয়ে ভারতের পর্যটন রাজ্য গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সব থেকে মুগ্ধ হন শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং জঞ্জাল অপসারণ ব্যবস্থাপনায় পুরসভার দক্ষতায়৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, গোয়াকে জঞ্জালমুক্ত করার দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে এই শহরের ব্যবস্থাপনাই হবে আদর্শ৷

কাইজার্সলাউটার্ন শহরের জঞ্জাল অপসারণ ম্যানেজমেন্ট এবং আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিভিন্ন ধরণের আবর্জনা থাকে, যার মধ্যে আছে প্লাস্টিক, যা গোয়ার সমুদ্র সৈকতে দেখা যায়৷ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা থাকা সত্ত্বেও আশেপাশের এলাকায় না আছে কোনো দুর্গন্ধ, না আছে মাছি বা পোকামাকড়৷ তাই এ ধরণের একটা কারখানাই হবে গোয়াকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার এবং জঞ্জাল অপসারণের উপযুক্ত পন্থা, ঠিক করে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷

কাইজার্সলাউটার্ন শহরের একটি দৃশ্যছবি: DW

গোয়াতে এই ধরণের তিনটি কারখানা বসানোর পরিকল্পনা আছে, যেখানে দৈনিক ৩০০ টন আবর্জনার প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব৷ এর মধ্যে রয়েছে ১৫০ কিউবিক টন শিল্পজাত আবর্জনা৷ শুধু তাই নয়, প্রক্রিয়াকরণের পর বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে ঐ জঞ্জালকে ছোট ছোট টুকরোয় মণ্ড বানিয়ে জ্বালানি হিসেবে এবং আবর্জনাজাত গ্যাস বিক্রি করে পুরসভার আয় বাড়ানোও সম্ভব হবে৷

গোয়ার আবর্জনা অপসারণ সমস্যা আরো উদ্বেগজনক হয়েছে এই কারণে যে, ময়লা ফেলার জায়গার অভাব৷ ফলে শহরের রাস্তাঘাটে, পার্কে, বসতি এলাকা এবং সৈকতের চতুর্দিকে পড়ে থাকতে দেখা যায় নোংরা আবর্জনা৷ নিষেধাজ্ঞা এবং কড়া জরিমানার হুমকিতে কোনো কাজ হচ্ছে না, যেহেতু সেখানে ‘মাইক্রো' এবং ‘ম্যাক্রো' স্তরে জঞ্জাল অপসারণের কোনো কার্যকর সিস্টেম নেই৷

এর ওপর, জার্মান পর্যটক এবং জার্মানিতে বসবাসকারী গোয়ানরা ইতিমধ্যেই জার্মানি থেকে জঞ্জাল অপসারণ ও প্রক্রিয়াকরণের তিনটি কারখানা গোয়াতে বসাতে দরবার করেছেন সরকারের কাছে৷

উল্লেখ্য, বছরে প্রায় ২৬ লাখ পর্যটক গোয়াতে আসেন৷ নোংরা হওয়ার কারণে জার্মান পর্যটকদের গোয়া আগমন ক্রমশই কমছে৷ তাঁরা চলে যাচ্ছেন থাইল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে৷ সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অপেক্ষাকৃত ভালো এবং খরচও কম৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ