গ্রিসে আবার নির্বাচন৷ এবারও জিতলেন জনপ্রিয় গণনেতা আলেক্সিস সিপ্রাস৷ দলের চরম বামপন্থি প্রশাখার বিদ্রোহীদের বিদায় করতে পেরেছেন তিনি৷ কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে পারবেন কি?
বিজ্ঞাপন
গত জানুয়ারি মাসেই গ্রিসের ভোটারদের একটি বড় অংশ সিরিজা জোটের নেতাকে ভোট দিয়েছিলেন এই আস্থায় যে, বিগত পাঁচ বছরের ব্যয়সংকোচ নীতির সামাজিক ফলশ্রুতি তিনি কিছুটা সহনীয় করে তুলতে পারবেন৷ বস্তুত সিপ্রাস তখন সাশ্রয় নীতির অন্ত ঘোষণা করেন৷ কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই হয়নি৷ বেশ কয়েক মাস ধরে টানাপোড়েনের পর সিপ্রাসকে শেষ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক দাতাবর্গের সঙ্গে একটি তৃতীয় আর্থিক সাহায্যের চুক্তি করতে হয় – এবং সেই পন্থায় ইউরোজোন থেকে গ্রিসের অসময়ে বিদায় নেওয়া রোখা সম্ভব হয়৷
এবার সিপ্রাস জনগণের কাছ থেকে একটি দ্বিতীয় সনদ পেলেন৷ গ্রিকদের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ দৃশ্যত সিপ্রাসের বাস্তববোধে সম্মত এবং তিনি যে সামাজিক দুঃখকষ্ট ন্যূনতম পর্যায়ে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনে সক্ষম, এই বিশ্বাস রাখেন৷ ওদিকে সিরিজা (বানানভেদে সিরিসা) থেকে যে দলছুট বামপন্থিরা বেরিয়ে গেছেন, তারা সংসদে আসনগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের বেড়া পর্যন্ত পার হতে পারেননি৷
প্রথম সিপ্রাস = দ্বিতীয় সিপ্রাস?
তবুও প্রশ্ন উঠতে পারে, সিপ্রাস ও তার চরম বামপন্থি ভারমুক্ত সিরিজা দল গ্রিসের আধুনিকীকরণ ঘটাতে সমর্থ কিনা৷ বিগত পাঁচ বছরে পাঁচ-পাঁচটি বিভিন্ন রাজনীতি ও জোটের সরকার সেই অসাধ্যসাধন করতে গিয়ে ঘায়েল হয়েছেন৷ ওদিকে ঋণদাতাদের দাবির কোনো নড়চড় নেই: কার্যক্ষম পাবলিক সেক্টর, প্রতিযোগিতার উপযোগী বেসরকারি অর্থনীতি, দুর্নীতি ও কর ফাঁকি দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিযান৷ প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলি তা করতে পারেনি এবং সিরিজা-ও ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রথম সাত মাসে এ সব ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য দেখাতে পারেনি৷ বরং প্রথম সিরিজা সরকার খানিকটা অতীতমুখো মনোভাব প্রদর্শন করে যেখানে পেরেছেন, দরাজ হাতে ভরতুকি বিলিয়েছেন৷
গ্রিক হওয়ার বিপদ
গ্রিসের ইউরো এলাকায় থাকা বা না থাকা নিয়ে বিতর্ক যখন চরমে, ঠিক সেই মুহূর্তে বন শহরের গ্রিক বাসিন্দারা স্বদেশবাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও, কোনো পক্ষ সরাসরি সমর্থন করতে গররাজি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘আমি গ্রিক শিখছি’
বন-এর একটি গ্রিক রেস্টুরেন্টের এই পেপার ন্যাপকিনটির ওপর বেশ কিছু গ্রিক শব্দ ও তাদের জার্মান অনুবাদ ছাপা রয়েছে৷ যে সব জার্মান রাজনীতিক গ্রিক প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাসকে নতুন প্রস্তাবগুলো বোঝানোর চেষ্টায় রয়েছেন, তাদের হয়ত এই ন্যাপকিনের শব্দকোষ কাজে লাগতে পারতো!
ছবি: DW/M. Gopalakrishnan
জার্মানিতে গ্রিকদের কোনো কমতি নেই
জার্মানিতে ৩ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি গ্রিক অভিবাসী বাস করেন৷ বিদেশি-বহিরাগতদের কেন্দ্রীয় তালিকা অনুযায়ী গ্রিকরা হলেন জার্মানির পঞ্চম বৃহত্তম বিদেশি গোষ্ঠী: তুর্কি, পোলিশ, ইটালিয়ান এবং রোমানিয়ানদের ঠিক পরেই৷
ছবি: DW
শিয়রে সংকট
গ্রিস আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ঋণেরএকটি দেড় বিলিয়ন ইউরো পরিমাণ কিস্তি সময়মতো শোধ করতে পারেনি; কাজেই গ্রিস বস্তুত দেউলিয়া হওয়ার মুখে৷ গ্রিসের পাওনাদাররা, আইএমএফ এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, গ্রিক সরকারকে শ্রম বাজারের পুনর্গঠন, অবসরভাতা হ্রাস ইত্যাদি ব্যয়সংকোচ নীতি কার্যকরি করতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/ROPI
আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে
বন-এর সনাতনপন্থি গ্রিক গির্জার প্রধান যাজক সোক্রাটিস ন’টালিস জানালেন যে, ব্যয়সংকোচ সংক্রান্ত প্রতিটি পদক্ষেপ কার্যকরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রিকদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনাও বেড়েছে৷ জার্মান আইন মন্ত্রণালয়ের একটি জরিপ অনুযায়ী, ২০১২ সালে এই সংখ্যা বিগত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়৷
ছবি: DW/M. Gopalakrishnan
এক দেশ থেকে আরেক দেশে
জার্মানিতে গ্রিক খাবারের খুব চল, বিশেষ করে এই ধরনের ছোট্ট রেস্টুরেন্ট থেকে: যেমন স্যালাড আর সাৎসিকি সহযোগে গিরোস৷ কিন্তু এথেন্সের আর্থিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বহু জার্মান অভিবাসী গ্রিক তাঁদের মতামত ব্যক্ত করতে রাজি নন৷
ছবি: DW/M. Gopalakrishnan
গ্রিকদের মনস্থির করা উচিত
গ্রিসের এলেনা আলিকি পাপিরু প্রায় দশ বছর ধরে বন-এ আছেন; অনুবাদিকা হিসেবে কাজ করছেন৷ গ্রিসের মানুষ অতীতে একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার নির্বাচন করেছেন; এবার নেতা নির্বাচনের সময় তাদের আর একটু সাবধান হওয়া দরকার, বলেন এলেনা৷
ছবি: DW/M. Gopalakrishnan
খাবারের সময় রাজনীতি আর কার ভালো লাগে
বন-এর গ্রিক রেস্টুরেন্টগুলোর মালিকরা আর্থিক সংকট নিয়ে কথা বলতে রাজি নন৷ অতীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের রেস্টুরেন্টের খদ্দেরের সংখ্যাই কমে গেছে৷ যেখানে জীবিকার প্রশ্ন, সেখানে দেশ কিংবা প্রবাসের প্রতি বিশ্বস্ততা কিছুটা প্রচ্ছন্ন রাখাই বোধহয় শ্রেয়৷
ছবি: DW/M. Gopalakrishnan
গ্রিস ছাড়া ইউরোপ হয় না
বহু বিশেষজ্ঞ, বুদ্ধিজীবী, এমনকি রাজনীতিকদের অভিমত৷ কেননা ইউরোপীয় সভ্যতার সূচনাই তো গ্রিসে৷ ইউরোপ নামটাই এসেছে ইউরোপা নামধারী এক রাজকন্যের নাম থেকে৷ প্রাচীন গ্রিসের দেবতাদের প্রধান ভগবান জিয়ুস স্বয়ং প্রেমে পড়েছিলেন ইউরোপার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
8 ছবি1 | 8
দ্বিতীয় সিপ্রাস সরকারের নীতি কি আলাদা হবে? সম্ভবত নয়৷ নির্বাচনের দিন সন্ধ্যাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, সিপ্রাস কিভাবে তাঁর সরকারের সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবস্থা করবেন৷ পূর্বাপর তাঁর জোট সহযোগী হবে পানোস কামেনোস-এর দক্ষিণপন্থি ‘‘স্বাধীন গ্রিক’’ গণদল৷ দৃশ্যত সিপ্রাস সামাজিক গণতন্ত্রী পাসক বা মধ্যমপন্থি ‘তো পোতামি’-র মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষপাতী দলগুলিকে সরকারে আনার কথা বিবেচনা পর্যন্ত করেননি৷ সিপ্রাস দৃশ্যত দেশের পরিস্থিতির টেকসই উন্নতির জন্য কোনো প্রশস্ত রাজনৈতিক ভিত্তির খোঁজ করছেন না৷ একদিকে তিনি বামপন্থিদের নৈতিক ও রাজনৈতিক সততার সাফাই গাইছেন; অন্যদিকে তিনি দক্ষিণপন্থিদের সঙ্গে জোট বাঁধছেন৷
পুরনো কাসুন্দি
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে সিপ্রাস স্বীকার করেছেন যে, আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সঙ্গে মাসের পর মাস আলোচনায় তিনি ‘‘অর্থের ক্ষমতা’’ উপলব্ধি করতে পেরেছেন৷ ‘ক্যারিসম্যাটিক’ কিন্তু অনভিজ্ঞ সিপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোয় গ্রিসের আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা ঠিকমতো উপলব্ধি করতে পেরেছেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে৷ তাঁর মান্ধাতার আমলের বামপন্থি বাগাড়ম্বর, গ্রিসের পুরনো পোড় এবং মার খাওয়া রাজনৈতিক দলগুলির কায়দায় যেন-তেন-প্রকারেণ ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা, যেভাবে তিনি অবলীলাক্রমে জনগণের একটি বড় অংশের জীবনযাত্রার মান বিপন্ন করতে চলেছেন – এ সব দেখে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিশেষ আশার উদ্রেক হয় না৷ গ্রিসের ইতিহাসে এই প্রথম যে ৪৫ শতাংশ ভোটার আদৌ ভোট দিতে যাননি, সেটাও একটা লক্ষণ বটে৷
গ্রিসে শরণার্থীদের ভিড়, আশ্রয়স্থল ‘জাহাজবাড়ি’
প্রতিদিন গ্রিসের কস দ্বীপে আসছে সাতশ’ থেকে আটশ’ অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ তাঁদের জন্য অভিনব এক আশ্রয়স্থল বানিয়ে দিয়েছে গ্রিক সরকার৷ সাগরে ভেসে আসা মানুষগুলোর আশ্রয় দেয়া হচ্ছে সাগরে ভাসমান জাহাজে!
ছবি: picture-alliance/AA/E. Atalay
আশ্রয়
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জরুরি অবস্থার আশ্রয়স্থল এই ‘এলেফথেরিয়োস ভেনিজেলোস’ নামের জাহাজ৷ আড়াই হাজার মানুষের জায়গা আছে এই জাহাজে৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীরা এই জাহাজে আশ্রয় নেয়ার আগে নিজের নাম রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন৷ জাহাজেই আছে সে ব্যবস্থা৷ রেজিস্ট্রেশন হলে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা গ্রিসের ভেতরে ঘুরাফেরাও করতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Odysseus
সূচনা
‘এলেফথেরিয়োস ভেনিজেলোস’-এ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রথম দলটি ঢুকেছে ১৬ই আগস্ট৷ কয়েকদিন এ জাহাজেই থাকবেন তাঁরা৷ রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে যখন তাঁরা দরকারি কাগজপত্র পেয়ে যাবেন, তখন তাঁদের এথেন্সের কাছে অন্য কোনো জাহাজে তুলে দেয়া হবে৷ শুরু হবে তাঁদের ‘দ্বিতীয় জাহাজঘর’-এ বসবাস৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
শুধু সিরীয়রা....
রাতেও জাহাজের সামনে লম্বা লাইন৷ তবে বলা হচ্ছে, ‘‘আগে শুধু সিরীয়রা ঢুকবেন, অন্যরা নয়৷’’ যুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে যাঁরা পালিয়ে এসেছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে বাকিদের দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে৷ বিশৃঙ্খলা এড়ানোর জন্যই নেয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা৷ কয়েকদিন আগে অন্য দেশ থেকে আসা লোকদের সঙ্গে সিরীয়দের প্রায় মারামারি বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হলে কর্তৃপক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়, সবার আগে সিরীয়রা, তারপর বাকিরা ঢুকবে জাহাজে৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
সবার লক্ষ্য ইউরোপ
এখানে আগতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এসেছে সিরিয়া থেকে৷ এশিয়ার তিন মুসলিম প্রধান দেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ইরান আর আফ্রকিার মালি, ইরিত্রিয়া এবং সোমালিয়া থেকেও এসেছেন অনেকে৷ এমনকি ল্যাটিন অ্যামেরিকার মানুষও এসেছে গ্রিসের দ্বীপ কস-এ৷ তুরস্কের ভিসা পাওয়া যায় বেশ সহজে৷ একবার তা পেয়ে গেলেই শুরু হয় গ্রিস হয়ে ইউরোপের বেশি উন্নত দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Odysseus
‘স্বপ্ন’ মাত্র চার কিলোমিটার দূরে
সিরিয়া এবং আশেপাশের দেশগুলো থেকে মানুষ কোনোরকমে একবার তুরস্কে ঢুকে পড়লেই ইউরোপের ‘স্বপ্নের জগত’ প্রায় হাতের মুঠোয় চলে আসে৷ তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুল থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে গ্রিসের কস দ্বীপ৷ ইস্তানবুলে এসে বেশির ভাগ মানুষ শুধু নৌকাটা বদলান, নৌকা বদলেই শুরু করেন কস-এর দিকে যাত্রা৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic
আনন্দাশ্রু
ইরানের এই ভদ্রলোক আনন্দে কাঁদছেন৷ অবশেষে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আনন্দ! কিন্তু তিনি জানেন না, এখনো সুন্দর ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা পেতে কতকাল কত কাঠখড় পোড়াতে হবে তাঁকে৷
ছবি: Reuters/Y. Behrakis
আশ্রয়হীন
প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ মানুষ আসে কস দ্বীপে৷ ৩০ হাজার মানুষের এই দ্বীপে এখন ৭ হাজার শরণার্থীর বাস৷ অনেকেরই ভাগ্যে আশ্রয় শিবির জোটেনি৷ রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নীচেই কোনো রকমে দিনাতিপাত করছেন তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Odysseus
সিরিয়া থেকে আসছে অনেক পরিবার
এতদিন সিরিয়া থেকে তরুণরাই বেশি আসতেন৷ ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে নারীরা এসেছেন, তরুণী বা অন্তঃসত্ত্বাও এসেছেন অনেক৷ কিন্তু আজকাল সিরিয়া থেকে পুরো পরিবারই চলে আসছে৷ নতুন দেশের অজানা পরিবেশে মুসলিম নারীদের জন্য গোপনীয়তা রক্ষা করা অবশ্য একটু বেশি কঠিন৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Gouliamaki
দীর্ঘ প্রতীক্ষা
কস দ্বীপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের রেজিস্ট্রেশন করানোটা বাধ্যতামূলক৷ কিন্তু এই নিয়মে দরকারি কাগজপত্র পাওয়াটা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে৷ কর্তৃপক্ষের কাছে মজুদ সরঞ্জাম হঠাৎ শেষ হয়ে যায়৷ তখন তিন-চার সপ্তাহও অপেক্ষা করতে হয় শরণার্থীদের৷