1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইইউ টেবিল থেকে রিভলভার সরাচ্ছে না’

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

ব্রিটিশ সংসদে প্রধানমন্ত্রী জনসন বিতর্কিত আইনের পক্ষে সওয়াল করেন৷ তবে সেই আইন প্রয়োগ করে ব্রেক্সিট চুক্তি ভাঙতে হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি৷ ইইউ এর পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছে৷

ছবি: picture-alliance/empics/House of Commons

সোমবার ব্রিটিশ সংসদের নিম্ন কক্ষে ব্রেক্সিট চুক্তির শর্ত ভেঙে বিতর্কিত একটি আইন প্রথম ধাপ পেরোলো৷ তবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে সেই কাজে সফল হলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজের দলের মধ্যে বিরোধিতার মুখে পড়ছেন৷ সংসদে সেই আইনের খসড়ায় রদবদলের প্রচেষ্টা আপাতত বিফল হলেও আগামী চার দিন ধরে বিতর্কের সময় আরো সংশোধনী প্রস্তাব আনার উদ্যোগ চলছে৷ এমনকি সংশোধনীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙার সম্ভাবনাও দূর করতে চাইছেন কয়েক জন সংসদ সদস্য৷

আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে জাতীয় আইন প্রণয়নের উদ্যোগের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের ঐক্য ও অখণ্ডতা বজায় রাখতেই তাঁকে এমন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে বলে দাবি করেন জনসন৷ সেইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি৷ তিনি বলেন, বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনায় ইইউ ‘টেবিল থেকে রিভলভার’ সরিয়ে নিচ্ছে না৷ উত্তর আয়ারল্যান্ডকে হাতিয়ার করে ইইউ যুক্তরাজ্যে বিভাজনের চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন জনসন৷ তিনি আশ্বাস দেন, যে প্রস্তাবিত আইনটিকে শুধু বিমা হিসেবে ব্যবহার করতে চায় সরকার৷ ইইউ-র সঙ্গে বোঝাপড়া হলে বাস্তবে সেটি প্রয়োগের প্রয়োজন হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন তিনি৷

ব্রেক্সিট চুক্তি স্বাক্ষরের দায়দায়িত্ব সম্পর্কে মনে করিয়ে দিয়ে বিরোধী পক্ষের মুখপাত্র লেবার দলের এড মিলিব্যান্ড জনসনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন৷ তিনি বলেন, হয় তিনি দেশকে সে সময়ে এই চুক্তি সম্পর্কে সত্য কথা বলেন নি, অথবা তিনি ভাল করে না বুঝেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন৷ মিলিব্যান্ড বলেন, মোটকথা এটা জনসনেরই ব্যর্থতা৷ এমনকি ব্রেক্সিটের ভবিষ্যতও বিপন্ন করছেন তিনি৷

ইইউ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে এই আইন প্রণয়ন করা হলে বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা ভেঙে পড়বে এবং কোনো বোঝাপড়া ছাড়াই আগামী বছর ব্রেক্সিট পুরোপুরি কার্যকর হবে৷ সেপ্টেম্বর মাসেই ব্রিটেন ব্রেক্সিট চুক্তির শর্ত পূরণের অঙ্গীকার না করলে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি শুরু করতে চায় ইইউ৷ লন্ডনের উপর চাপ বাড়াতে ইইউ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মুলতুবি রেখেছে৷ ব্রিটেন ভবিষ্যতেও ইইউ-ভিত্তিক গ্রাহকদের জন্য ইউরো মুদ্রায় লেনদেনের অনুমতি চেয়েছে৷ বর্তমান জটিলতার কারণে সেই সম্মতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷

আন্তর্জাতিক আইন ভাঙলে ব্রিটেনের ভাবমূর্তির ক্ষতি সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের পাঁচ জন জীবিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী৷ জন মেজর, ডেভিড ক্যামেরন, টেরেসা মে, টোনি ব্লেয়ার ও গর্ডন ব্রাউন এ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ