1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনসনের ক্ষমা প্রার্থনা

৪ নভেম্বর ২০১৯

৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করতে না পেরে ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন৷ এদিকে ব্রেক্সিট পার্টির প্রধান ফারাজ সারা দেশে প্রার্থী দিয়ে নিজে নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

ছবি: picture alliance/AP Photo/A. Chown

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবশেষে নির্ধারিত সময়ে ব্রেক্সিট কার্যকর না করতে পেরে টোরি দলের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চাইলেন৷ ক্ষমতায় এসে ৩১শে অক্টোবর ‘যে কোনো মূল্যে' ব্রেক্সিট কার্যকর করার যে অঙ্গীকার তিনি করেছিলেন, সংসদের চাপে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেন নি তিনি৷ এবার আগাম নির্বাচনের আগে তিনি ব্রিটিশ ভোটারদের সামনে নিজের অবস্থান আবার স্পষ্ট করে দিয়ে সমর্থন চাইছেন৷

একইসঙ্গে জনসন আরও কয়েকটি বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য রাখেন৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর নেতৃত্বে টোরি দল চুক্তিসহ ব্রেক্সিট কার্যকর করতে চায়৷ অর্থাৎ জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দরকষাকষি করে যে বিচ্ছেদ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, ১২ই ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভ করলে সেটি সংসদে অনুমোদন করে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে চান তিনি৷ এ প্রসঙ্গে তিনি প্রকাশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেন৷ উল্লেখ্য, ট্রাম্প বলেছিলেন, ব্রেক্সিট চুক্তির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে না৷ জনসন বলেন, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল৷ ব্রেক্সিট চুক্তির ফলে ব্রিটেন যে কোনো দেশের সঙ্গে বিনা বাধায় বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে৷

ব্রিটেনের আসন্ন নির্বাচনে জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি শিবিরে এই চুক্তিকে ঘিরে বিভাজন গোটা প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলতে পারে৷ বিশেষ করে ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের অঙ্গীকার না করায় তাঁর দল জনসনের টোরি দলের সঙ্গে কোনো নির্বাচনি সমঝোতায় যাচ্ছে না৷ তাঁর মতে, এই চুক্তির ফলে প্রকৃত অর্থে ব্রেক্সিট সম্ভব হবে না৷ অর্থাৎ ট্রাম্পের পরামর্শ অনুযায়ী জনসন ও ফারাজ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন না৷ প্রত্যেকটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে ফারাজ গোটা দেশজুড়ে প্রচার চালাবেন৷ এমনকি দল ও মতবাদের স্বার্থে তিনি নিজেও প্রার্থী হচ্ছেন না৷ এর আগে জাতীয় নির্বাচনে তিনি প্রত্যেকবার হেরে গেছেন৷

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন এবারের নির্বাচনে ‘একলা চলো রে' নীতি অবলম্বন করছেন৷ তিনি ভোটারজের সাবধান করে দিয়ে বলছেন, টোরি দল যথেষ্ট সমর্থন না পেলে লেবার নেতা জেরেমি কর্বিন ব্রিটেনের আগামী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন৷ সে ক্ষেত্রে দেশ সমাজতন্ত্রের দিকে চালিত হবে এবং অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি হবে৷ অন্যদিকে টোরি দল যথেষ্ট সমর্থন পেয়ে ক্ষমতায় এলে সংসদে চুক্তি অনুমোদন করে দ্রুত ব্রেক্সিট কার্যকর করবে৷ জনসন ও কর্বিনের মধ্যে টেলিভিশন বিতর্কের প্রস্তুতি চলছে৷

ব্রেক্সিটপন্থিদের মধ্যে মতবিরোধের মাঝে ব্রেক্সিট বিরোধীরা একজোট হচ্ছে৷ উদারপন্থি লিব ডেম দল সবুজ দল ও ওয়েলসের আঞ্চলিক দলের সঙ্গে মিলে নির্বাচনি বোঝাপড়ার ঘোষণা করতে চলেছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ