জনসনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফিরে এল অস্ট্রেলিয়া
১৭ ডিসেম্বর ২০১০বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে অসিদের মাত্র ২৬৮ রানে অল আউট করে দিয়ে এবারের সিরিজে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখে ইংলিশরা৷ এরপর দ্বিতীয় দিনে যখন ব্যাট করতে নামে তখন তাদের সংগ্রহে কোন উইকেট না হারিয়ে ২৯ রান৷ সকালে দুই ওপেনার স্ট্রস ও কুক বেশ ভালোভাবেই ব্যাট করছিলেন৷ খানিক পর মিশেল জনসনের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক পন্টিং৷ প্রথম স্পেল যখন শেষ করলেন জনসন, ততক্ষণে ইংল্যান্ডের পাঁচ উইকেট হাওয়া৷ জনসনের প্রথম স্পেলের বোলিং ফিগারটা এমন ৯-৩-২০-৪৷ প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ৭৮ রানের মাথায়৷ গালিতে হাসির হাতে ধরা পড়েন কুক৷ এরপর যেন মড়ক লাগে ইংল্যান্ডের ইনিংসে৷ মাত্র ১২ বলের ব্যবধানে তিনজন ব্যাটসম্যানকে ফেরত পাঠান জনসন৷ কুক ছাড়াও আউট করেন ট্রট ও পিটারসন এবং একটু পরে কলিংউডকে৷ অন্যদিকে আরেক পেসার রায়ান হ্যারিস আউট করেন স্ট্রসকে৷ বিনা উইকেটে ৭৮ থেকে পাঁচ উইকেটে ৯৮ এ পরিণত হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস৷
এরপর মাঝে খানিকটা বিরতি দিলেও ইংল্যান্ডের দুর্দশা কাটেনি৷ জনসনকে আবারও বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনেন পন্টিং৷ হ্যারিস ও জনসনের মিলিত আক্রমণে শেষ ১০৯ রানে সবগুলো উইকেট হারায় ইংলিশরা৷ কে বলবে গত দুই ইনিংসে মাত্র ছয় উইকেট হারিয়ে ১২৪০ রান সংগ্রহ করেছে এই দল? মাত্র ৩৮ রান দিয়ে ছয় উইকেট নেন মিশেল জনসন৷ অন্যদিকে হ্যারিস নেন ৫৯ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট৷ ইংল্যান্ডের ১৮৭ রানের ইনিংসে আয়ান বেল সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন৷
এদিকে ৮১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং-এ নামে পন্টিং এর দল৷ তবে মাত্র ৩৪ রানের মধ্যেই পন্টিং সহ দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করে দিয়ে খানিকটা উত্তেজনা ফিরিয়ে আনেন পেসার স্টিভেন ফিন৷ এরপর ৬৪ রানের মাথাতে ক্লার্ককে আউট করেন ট্রেমলেট৷ তবে শেষ পর্যন্ত ইনিংসকে ধরে রেখেছেন শেন ওয়াটসন ও মাইক হাসি৷ দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ তিন উইকেটে ১১৯ রান৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক