বেসামরিক কাজে ড্রোন
২৩ মে ২০১৪জাহিদ হাসানের এই পোস্টের শিরোনাম ‘‘জনহিতকর ও বেসামরিক কাজে ড্রোন বিমান!''
তিনি লিখেছেন, ‘‘বর্তমান সময়ে লাইভ চ্যানেল সম্প্রচার, ফ্রি ওয়াইফাই ইন্টারনেট সেবা প্রদান, দ্রুত পণ্য সরবরাহ, সহজ যোগাযোগ তৈরি, সাহায্য পৌঁছানো – সবখানেই ড্রোনের ব্যবহার তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো৷ সময়ের সাথে সাথে এর ক্ষেত্রও সম্প্রসারিত হবে৷''
জাহিদ হাসান তাঁর ব্লগে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরের সমাবেশ ঘটিয়েছেন৷ তেমনি একটি খবর হলো, বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই' গত স্বাধীনতা দিবসে ‘রংতুলিতে মুক্তিযুদ্ধ' শীর্ষক একটি চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠানের কিছু অংশ সরাসরি সম্প্রচার করে৷
এরপর এই ব্লগার ফেসবুকের একটি ড্রোন কোম্পানি কিনে নেয়ার খবরটি উল্লেখ করেছেন৷ ‘‘বিশ্বের যেসকল এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ নেই, সেসব অঞ্চলে ইন্টারনেটকে ছড়িয়ে দিতে এই ড্রোন ব্যবহার করা হবে,'' একটি সূত্রের উল্লেখ করে লিখেছেন জাহিদ হাসান৷
তাঁর পোস্টের পরের খবরটি ড্রোন দিয়ে পিৎসা সরবরাহের সংবাদ নিয়ে৷ বিষয়টা এরকম – ভারতের একটি কোম্পানি মুম্বইতে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোন ব্যবহার করে ক্রেতার কাছে পিৎসা পৌঁছে দিয়েছে৷
ড্রোন নিয়ে ব্লগে লেখালেখি চলছে অনেকদিন৷ কারণ কয়েকমাসের মধ্যে বাঙালিদের ড্রোন তৈরির কয়েকটি খবর জানা গেছে৷ তবে সেগুলো আসলে ড্রোন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ৷ এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে জানুয়ারির ৯ তারিখে সামহয়্যার ইন ব্লগে সাইফুল আজীম ‘‘ড্রোন এবং বাংলাদেশ: কিছু কথা'' শীর্ষক একটি ব্লগ লেখেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘কয়েকদিন আগে ব্লগে দেখলাম শাবির ড্রোন বানাবার ঘোষণা নিয়ে নানা লেখা৷ আজ ফেসবুকে দেখলাম কুয়েটের ছাত্র দীপের তৈরি করা পণ্য পরিবহণে সক্ষম ড্রোনের সাফল্য৷ তাছাড়া একজন ব্লগারের কমেন্টে জানলাম ১০ বছর আগে সাফল্য পাওয়া একজন বুয়েটিয়ানের কথাও৷'' এমন সব সাফল্যের খবর উল্লেখ করার পর আজীম তাঁর পোস্ট শেষ করেছেন এভাবে, ‘‘ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ দূরে থাক৷ আমরা-আমরাই তো তাই না? যদি শাবির ড্রোন, থিওরির দিক দিয়ে অপরিপক্ক হয়ও তাতে কি আসে যায়? পরিপক্কতা আপেক্ষিক....হয়ত শাবি, দীপ বা বুয়েটিয়ান সেই ভাইই ড্রোনের দুনিয়ায় নতুন কিছু আনতে চলেছে!!!''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ