জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তার জোয়ারে ম্যার্কেল
১৮ জুলাই ২০২৪বুধবার পরিবার ও নিকট জনের মাঝে নিভৃতে সত্তরতম জন্মদিন পালন করলেন জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ ২০০৫ সালে ম্যার্কেল দেশটির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হলে ১৬ বছর এই পদে থাকেন৷
সম্প্রতি দু'হাজার ৩০০জনকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করে জরিপ সংস্থা ইউগভ৷ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৬১ শতাংশের মতে, দেশের পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ম্যার্কেল চ্যান্সেলর পদ থেকে সরে আসার পর৷ ২৮ শতাংশের মতো, বর্তমানে ক্ষমতাসীন বামঘেঁষা সরকার এর জন্য দায়ী৷
জার্মান চ্যান্সেলর হওয়াপ্রথম নারী আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জন্মদিনে তার এক মুখপাত্র বার্তাসংস্থা ডিপিএকে বলেন, ‘‘সাবেক চ্যান্সেলর ড. ম্যার্কেল তার জন্মদিন নিভৃতে কাটাবেন৷ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার সময়েও সাবেক চ্যান্সেলর ব্যক্তিগত প্রশ্নের জবাব দিতেন না৷ পদ ছাড়ার পরেও তার এই বিশ্বাসে কোনো পরিবর্তন আসেনি৷''
রাজনীতির সহকর্মীদের শুভেচ্ছা
ম্যার্কেলের এই বিশেষ দিনে তাকে শুভেচ্ছা জানান বর্তামন চ্যান্সেলর, এসপিডি দলের ওলাফ শলৎজ৷ শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন বার্লিন প্রাচীর পতনের সময় ম্যার্কেলের কাজের কথা, যে সময় ম্যার্কেল পূর্ব জার্মানির গণতন্ত্রমুখী আন্দোলনে যুক্ত হন৷
শলৎজ টুইট করেন, ‘‘একটি দুর্দান্ত রাজনৈতিক কেরিয়ারের দিকে ফিরে তাকাতে পারেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ পূর্ব জার্মানিতে গণতন্ত্রের জন্য ও জার্মান ঐক্যের জন্য যে বিজয় তিনি নিয়ে এসেছিলেন, তা আমায় আজও নাড়া দেয়৷ বিরামহীনভাবে তিনি দেশের জন্য কাজ করেছেন৷ শুভ জন্মদিন!''
জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ম্যার্কেলের প্রশংসা করে তাকে ‘একজন রোল মডেল ও গণতন্ত্রের হলমার্ক' বলেন৷ ম্যার্কেলের সময় ভাইস-চ্যান্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা স্টাইনমায়ার বলেন, ‘‘এই জন্মদিনের সবচেয়ে বিশেষ দিক হলো যে তার জীবনকে সরাসরি দুটো ভাগে ভাগ করে নেওয়া যায়৷ প্রথম ৩৫ বছর, বার্লিন প্রাচীরের পতন পর্যন্ত ও এরপরের ৩৫ বছর যে স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, তার সাথেই৷''
ম্যার্কেলের সিডিইউ পার্টির বর্তমান নেতা ফ্রিডরিশ মেরৎজ তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করে বলেন, ‘‘প্রায় তিন দশক ধরে আপনি আমাদের দেশের রাজনৈতিক চরিত্র নির্ধারণ করেছেন ও সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সিডিইউতে, সংসদে ও সরকারে৷
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক টুইট করে বলেন, ‘‘প্রিয় মিস ম্যার্কেল, ১৬ বছর ধরে আপনি মানবতা ও ধৈর্য্যের সাথে ইউরোপের ঐক্যের জন্য কাজ করেছেন, গণতন্ত্র ও আন্তর্জাতিক আিনের প্রতি সশ্রদ্ধ থেকেই৷ আমার প্রজন্মের নারীদের জন্য আরো অনেক দরজা খুলে দেন আপনি৷ আপনাকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা৷''
২০০৫ সালের নির্বাচনে ম্যার্কেল পরাজিত করেন গেরহার্ড শ্র্যোডারকে৷ এই জন্মদিনে বার্তা দিলেন তিনিও৷ শ্র্যোডার বলেন, ‘‘সকল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে তিনি অনন্য, কারণ তিনি জিতেছেন৷''
জার্মান স্টের্ন পত্রিকাকে শ্র্যোডার বলেন যে তার পছন্দ ছিল ম্যার্কেলের ‘উত্তর জার্মানির পরিচিত ছোঁয়া', তার বিনয়ী আচরণ ও হাস্যরস৷
এসএস/ইয়েন্স ঠুরাউ/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপি, রয়টার্স)