যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ রাজ্যের দুই বছরের এক শিশু তার জমজ ভাইকে বাঁচিয়ে রীতিমত নায়ক হয়ে গেছে৷ মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
শিশুটির নাম বোডি শফ৷ আর তার ভাইয়ের নাম ব্রক শফ৷ ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ সকাল আটটার সময় তারা বাসায় একসঙ্গে খেলছিল৷ এক পর্যায়ে তারা আলমারি নিয়ে খেলা শুরু করে৷ আলমারির ড্রয়ার খুলে তার উপর উঠতে গেলে আলমারিটি দু'জনের উপর পড়ে যায়৷ বোডি বের হয়ে যেতে পারলেও ব্রক আলমারির তলে আটকে যায়৷ সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও সেটি সম্ভব হচ্ছিল না৷ ভাই বোডিও বুঝতে পারছিল না কী করা যায়৷ তবে কিছুক্ষণ পর সে আলমারিটি ঠেলে ব্রককে বের করে আনতে সক্ষম হয়৷
ঘরে থাকা ‘ন্যানি ক্যামেরা’-য় ঘটনাটি ভিডিও হয়৷ জমজ শিশুদের বাবা রিকি শফ ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘আমরা প্রথমে ভিডিওটি শেয়ার করতে ইতস্তত করছিলাম৷ কিন্তু বাবা-মায়েদের সচেতন করতে এটি শেয়ার করছি৷’’ সচেতন বলতে আলমারি সবসময় দেয়ালের সঙ্গে আংটা দিয়ে আটকে রাখার কথা বলেছেন রিকি শফ৷ তিনি এই কাজটি করেননি বলেই বাচ্চাদের ভারে আলমারিটি পড়ে যায়৷
জমজ ভাইদের মা কেলি শফ টাইম ম্যাগাজিনকে বলেন, এই ঘটনায় সন্তানরা আহত না হওয়ার বিষয়টি ‘সম্পূর্ণ অলৌকিক’৷ ‘‘একটুও স্ক্র্যাচ পড়েনি৷ আমরা সত্যিই সৌভাগ্যবান,’’ টাইমকে বলেন কেলি শফ৷
বেশিরভাগ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী ভিডিওটি দেখার পর বোডির প্রশংসা করছেন৷ তবে বাবা-মা সতর্ক না থাকায় তাদের ভর্ৎসনাও করছেন কেউ কেউ৷ একদল অবশ্য ঘটনাটি সাজানো বলে মন্তব্য করছেন৷ তারা বলছেন, বোডি আর ব্রকের বাবা যে কোম্পানিতে কাজ করেন সেই কোম্পানির ক্যামেরাতে ঘটনাটির ভিডিও হয়েছে৷ এছাড়া ক্যামেরাটির লক্ষ্য বিছানা বরাবর না হয়ে আলমারি বরাবর কেন ছিল সেই প্রশ্নও তুলছেন একদল৷ আলমারিটি খালি থাকার বিষয়টিতেও অনেকের খটকা লেগেছে৷ তবে বাবা রিকি শফ এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে ফক্স নিউজকে বলেন, নিজের সন্তানদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে কেউ এমন কিছু করতে পারে এমন ভাবনাটিই ভয়ংকর৷ মা কেলি শফও সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একই মন্তব্য করেছেন৷
জেডএইচ/ডিজি (এপি, টাইম)
শিশু শীতকালেও যেভাবে সুস্থ থাকবে
শিশুদের অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে৷ তবে শীতকালে তার মাত্রা বেড়ে যায়৷ তবে একটু সতর্ক হলে শীতেও শিশুকে সুস্থ রাখা সম্ভব৷ আর সেটা কীভাবে সম্ভব, তা জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷
ছবি: bilderbox
শক্ত হাড়ের জন্য যা দরকার
শিশুদের হাড় শক্ত করার জন্য দরকার যথেষ্ট ভিটামিন ‘ডি’ এবং ক্যলসিয়াম৷ কারণ ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে শিশুদের হাড় সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায় না বা হাড় বাঁকা হয়ে যায় আর অসুস্থ হাড় শীতের সময় বেশি কষ্ট দেয়৷
ছবি: Fotolia/yanlev
শীতকালে ভিটামিন ‘ডি’ বা সূর্যের তাপ বেশি প্রয়োজন
জার্মানিতে একটা প্রবাদ আছে – ‘এস গিবট কাইন শ্লেশটেস ভেটার, ন্যুর ফাল্শে ক্লাইডুং’৷ অর্থাৎ ‘খারাপ আবহাওয়া বলে কিছু নেই, যদি পোশাক নির্বাচন সঠিক হয়’৷ প্রচন্ড শীতে হালকা কাপড়ে স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা বেশি লাগে এবং মানুষ তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ কারণ ‘শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে খুব সহজেই সেখানে জায়গা করে নিতে পারে ভাইরাস’৷ এ তথ্য জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণা থেকে৷
ছবি: Fotolia/Vanessa van Rensburg
খেলাধুলা
শিশুদের হাড় যাতে সঠিকভাবে বাড়তে পারে সেজন্য নিয়মিত খেলাধুলা করা দরকার বিশেষ করে খোলা বাতাসে৷ খেলাধুলার সময় শিশুরা ভিটামিন ‘ডি’ পায়, যা ক্যালসিয়াম শোষণ করে হাঁড়ের গঠন শক্ত করতে পারে৷ আর শরীর ক্যালসিয়াম উৎপাদন করতে পারেনা ফলে খাবার থেকেই ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে৷ যা রয়েছে দুধ এবং দুধের তৈরি খাবারে৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
ভালো ঘুম
শিশুর যাতে ভালো ঘুম হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে৷ আর সেজন্য ঘরের পরিবেশ ও তাপমাত্রা যেন ঠিক থাকে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শিশুদের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন
যেসব বাচ্চা আনন্দে থাকে তাদের কিন্তু অসুখ-বিসুখ কম হয়৷ অনেক চাকরিজীবী মায়ের বাচ্চারা খানিকটা অবহেলায় বড় হয়৷ শিশুকে আদর যত্ন আর ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন৷ তাছাড়াও শিশুকে যে কোনো আবহাওয়া বা পরিবেশে চলতে দিন৷ শিশু সবকিছুতেই অভ্যস্ত হয়ে গেলে কিন্তু অসুখও কম হবে৷
ছবি: DW/V.Weitz
কিন্ডারগার্টেন
সর্দি, কাশি, ছোঁয়াচে বলে কিন্ডারগার্টেনে যে কোনো শিশু অসুস্থ হলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ তাই অসুস্থ শিশুকে কিন্ডারগার্টেনে না পাঠানোই ভালো৷ এতে নিজের সন্তানের যেমন বিশ্রাম হবে, তেমনি অন্য শিশুরাও থাকবে সুস্থ৷ এ তথ্যগুলো জানান জার্মানির অন্যতম শিশু মনস্তাত্ত্বিক ভেরেনা ফেবরেস মেন্ডোসা৷