1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জমি অধিগ্রহণ বিল পাস, শিল্পায়নে প্রভাব

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩

কৃষি ও শিল্পায়নের মধ্যে সংঘাত আপাতদৃষ্টিতে মিটলো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ বেসরকারি প্রকল্পের জন্য জমি নিতে গেলে ৮০% জমি-মালিকের সম্মতি লাগবে৷ আর সরকারি-বেসরকারি যৌথ প্রকল্পে জমি নিতে লাগবে ৭০% জমি-মালিকের সম্মতি৷

Kashmiri labourers carry fodder for cattle as they walk on the edge of Dal Lake on the outskirts of Srinagar on April 3, 2013. Tourists arrivals are picking up after a sharp fall in the wake of protests over the hanging of Kashmiri activist Afzal Guru in February, for an attack on India's parliament in 2001. AFP PHOTO/Tauseef MUSTAFA (Photo credit should read TAUSEEF MUSTAFA/AFP/Getty Images)
ছবি: AFP/Getty Images

বহু-প্রতীক্ষিত খাদ্য সুরক্ষা বিল সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাস করানোর পর, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মনমোহন সিং সরকার সংসদে পাস করিয়ে নিল জমি অধিগ্রহণের মতো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল৷ দুটি বিল যে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসকে নির্বাচনি বৈতরণি পার হতে যথেষ্ট সাহায্য করবে, সেবিষয়ে সন্দেহ নেই৷ বিরোধীদের রাজি করিয়ে দুটি বিল পাস করানোর কৃতিত্ব কংগ্রেস একাই দাবি করবে৷ কৃতিত্বের ভাগিদার হতে বিরোধীদল বিজেপি এবং অন্যান্য দল সংশোধনের দাবি ছাড়া সরাসরি বিলে আপত্তি করেনি৷ অর্থাৎ, বিজেপি দেখাতে চায় যে তারাও কৃষকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে নয়, এমনটা অনেকেই মনে করছেন৷

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংছবি: picture-alliance/dpa

জমি বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিল্পায়নের জন্য জমি নিতে গেলে ৮০ শতাংশ জমি-মালিকের পূর্ব-সম্মতি নিতে হবে৷ অবশিষ্ট ২০ শতাংশের জন্য দরকার হলে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে৷ তফশিলি উপজাতি এলাকায় জমি অধিগ্রহণে স্থানীয় পঞ্চায়েত বা গ্রামসভার অনুমতি বাধ্যতামূলক৷ রাস্তা-ঘাট, অবকাঠামো, রেল, প্রতিরক্ষা ইত্যাদির মতো ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি যৌথ প্রকল্পের জন্য ৭০ শতাংশ জমি-মালিকের সম্মতি লাগবে৷ আর জনস্বার্থে সরকারি প্রকল্পের জন্য সরকার নিজেই জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে৷

এরপর আছে ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন, তথা প্রতিস্থাপনের প্রশ্ন৷ শহরাঞ্চলে জমির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বাজার দামের চারগুণ এবং গ্রামাঞ্চলের জমির জন্য বাজার দামের দ্বিগুণ৷ বিলে জমি মালিকদের জন্য রাখা হয়েছে উপযুক্ত পুনর্বাসন ও প্রতিস্থাপন সংস্থান৷ পুনর্বাসনের আগে জমি মালিকদের উচ্ছেদ করা যাবে না৷ একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে, তা নাহলে জমি চলে যাবে ল্যান্ড-ব্যাংকে৷ এছাড়া, বহু-ফসলি জমি কতটা নেয়া যাবে তা ঠিক করবে রাজ্য সরকার৷

নতুন দিল্লিতে ভারতীয় সংসদছবি: AP

শিল্পমহল জমি বিলকে মোটামুটি স্বাগত জানিয়েছে৷ তাদের মতে, জমি নিয়ে জমি মালিক ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ কমবে৷ জমি জট খুলে যাওয়ায় শিল্পায়নে গতি আসবে৷ পাশাপাশি তাঁদের আশঙ্কা, এতে শিল্পস্থাপনের খরচের পরিমাণ অনেক বাড়বে৷ জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া জটিলতর হবে৷ অনেক ক্ষেত্রে শিল্পস্থাপন আর্থিক দিক থেকে লাভজনক নাও হতে পারে৷ আবাসন প্রকল্পের ব্যয় বাড়তে পারে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত৷ সরকারের আশা, বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচির অন্যতম জমি সংস্কার বিল৷ এরফলে ভোটের আগে বিনিয়োগ তথা প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে৷ প্রশ্ন উঠেছে, বিলে কার স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে? কৃষক না শিল্প? তৃণমুল কংগ্রেস বিলের বিরোধীতা করলেও নিরপেক্ষ মতে, দুই-এর মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে জমি অধিগ্রহণ বিলে সংশোধনের প্রস্তাব এনেছিল, কিন্তু সংসদে পাস করাতে পারেনি পূর্বতন কংগ্রেস-জোট সরকার৷ এবার ১১৯ বছর আগেকার ব্রিটিশ আমলের জমি বিলটি একেবারে বাতিল করে বিরোধীদের ১৩টি সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করে তা পাস করানো হয়৷ যদিও সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় তা পাস করাতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ