1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জরুরি অবস্থা জারি করলেন জোনাথন

১ জানুয়ারি ২০১২

ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জর্জরিত এখন গোটা নাইজেরিয়া৷ এই অবস্থায় দেশটির কয়েকটি জায়গায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন৷ তা সত্বেও কোন পরিবর্তন নেই৷ গোষ্ঠীগত দাঙ্গায় রোববার আরও অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছে৷

epa03046192 (FILE) A file photograph Nigerian president Goodluck Jonathan (2-L) standing on the back of a vehicle as he is driven after he was sworn in as president during a ceremony in Abuja, Nigeria 29 May 2011. Media reports state on 31 December 2011 that President Goodluck Jonathan has declared a state of emergency in areas affected by attacks from the Islamist group Boko Haram. Borders will be temporarily closed in the north-eastern states of Yobe and Borno, and central state of Plateau. EPA/STR *** Local Caption *** 00000402757844
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথনছবি: picture-alliance/dpa

নাইজেরিয়ায় বিদায়ী বছরের শেষের মত নতুন বছরের শুরুটাও হলো রক্তপাতের মধ্য দিয়ে৷ দেশটির উত্তরাঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি, অন্যদিকে দক্ষিণে খ্রিষ্টান জনসংখ্যা বেশি৷ বেশ কয়েকমাস ধরেই সেদেশে চলছে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ৷ আর এর নেতৃত্বে রয়েছে উগ্র ইসলামপন্থী দল বোকো হারাম৷ গত বড়দিনে দেশটির একাধিক জায়গায় গির্জা লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় দলটি৷ এতে অন্তত এখন পর্যন্ত ৪২ জন প্রাণ হারিয়েছে৷ এর জের কাটতে না কাটতেই গত শুক্রবার মাইদুগুরি নামক জায়গায় একটি মসজিদে বোমা হামলা চালানো হয়৷ এতে প্রাণ হারায় অন্তত চার জন৷ তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়৷ দেশের মধ্যে এই রক্তাক্ত সাম্প্রদায়িক বিরোধ সামাল দিতে শনিবার তাই জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন৷ এই সময় তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সংকট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রূপ নিচ্ছে৷ জাতিসংঘ ও সরকারি ভবন এমনকি ধর্মীয় উপাসনালয় পর্যন্ত এখন এইসব হামলার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে৷ এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে, তবে দেশে এই মুহূর্তে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ পদক্ষেপ প্রয়োজন৷ এই অবস্থায় সংবিধান আরোপিত ক্ষমতাবলে আমি জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিচ্ছি৷''

বড়দিনে হামলা চালানো হয় একাধিক গির্জাতেছবি: Picture-Alliance/dpa

প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন জানিয়েছেন এই জরুরি অবস্থা দেশের বর্নো, ইয়োবে, নাইজার এবং প্ল্যাট্যু রাজ্যে জারি করা হয়েছে৷ তবে এই সিদ্ধান্ত তার জন্য তেমন কোন গুডলাক বয়ে আনেনি৷ জরুরি অবস্থা জারির মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে আবারও রক্ত ঝরেছে৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, দক্ষিণের এবোনি রাজ্যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে রোববার৷ সেখানকার এজ্জা এবং এজিলো গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে৷ এই সময় উভয় পক্ষের সহিংসতায় অনেক বাড়িঘর এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এবোনি রাজ্যের গভর্নর মার্টিন এলেচি বলেছেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য চেষ্টা করছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ