জর্জিয়ায় সমকামীবিরোধী সহিংসতা, চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী
১৩ জুলাই ২০২১
সহিংসতায় ক্যামেরাম্যান আলেক্সান্ডার লাশকারাভার মৃত্য়ুর পর বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান৷ নিহতের সহকর্মীরা ডয়চে ভেলের সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে কথা বলেছেন৷
বিজ্ঞাপন
আলেক্সান্ডার লাশকারাভার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, জর্জিয়ায় এলজিবিটিকিউ অধিকারকর্মীদের প্রাইড প্যারেড এবং এ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের নিরপত্তার কোনো ব্যবস্থা ছিল না৷ ফলে যখন সমকামীবিরোধী ডানপন্থি অ্যাক্টিভিস্টরা প্যারেডে হামলা চালায়, তাদের রক্ষা করার জন্যও কেউ এগিয়ে আসেনি৷
হামলার শিকার হন টিভি পিরভেলির ক্যামেরাম্যান আলেক্সান্ডার লাশকারাভা৷ কদিন পর নিজের বাসায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷
টিভি পিরভেলির নির্বাহী নানা আবুরজানিদজে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘সরকার কেবল দায় অস্বীকারই করছে না, তারা এই সহিংসতাকে ন্যায্যতা দেয়ার চেষ্টা করছে৷ তারা জানতো যে সেখানে ভয়াবহ সহিংসতা হতে পারে, তারপরেও এলজিবিটিকিউ দপ্তর রক্ষায় কোনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল না৷’’
তিনি বলেন, ‘‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে তো কারো থাকা উচিত ছিল, তাই না? কিন্তু সাংবাদিক বা আয়োজকদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য কেউই সেখানে ছিল না৷’’
চলচ্চিত্রে সমকামিতার শত বছর
হলিউডের চলচ্চিত্রে সমকামী চরিত্রে অভিনয় এখন খুব সাধারণ ঘটনা৷ শত বছর আগে বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে রুপালি পর্দায় সমকামিতা নিয়ে আসেন নির্মাতারা৷ অভিনয়ে সাহস দেখান শিল্পীরা৷ ১৯১৯ সালে প্রথমবার চলচ্চিত্রে বিষয় হয়ে আসে সমকামিতা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/DCM/David Bornfri
ডিফারেন্ট ফ্রম দ্য আদার্স (১৯১৯)
সমকামিতা নিয়ে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ডিফারেন্ট ফ্রম দ্য আদারস৷’ জার্মানির আইনে সমকামিতা ছিল শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ ১৯১৯ সালে পরিচালক রিচার্ড অসওয়াল্ড এই ছবি দিয়েই আইনটি প্রত্যাহারের দাবি জানান৷ ওই বছর বার্লিন মুভি থিয়েটারে ছবিটির প্রিমিয়ারের পর হৈ চৈ পড়ে যায়৷ প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন অনেকে৷ তখন সেন্সর বোর্ড না থাকায় ছবিটি নিষিদ্ধ করা যায়নি৷ তবে ছবি মুক্তির কয়েক দশক পর, ১৯৯৪ সালে আইনটি বাতিল করা হয়৷
ছবি: Edition Filmmuseum/film & kunst GmbH
দ্য চিলড্রেন’স আওয়ার (১৯৬১)
স্কুল শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা যায় অড্রে হেপবার্নকে ৷ তার প্রেমে পড়েন সহকর্মী শার্লি ম্যাকলেইন৷ মার্থা চরিত্র নিয়ে শার্লি অভিনয় করেন সমকামী নারীর ভূমিকায়৷ নির্মাতা উইলিয়াম ওয়াইলারের সমকামিতা নিয়ে কাজের দ্বিতীয় কিস্তি ছিল এই ছবি৷ লিলিয়ান হেলম্যানের গল্প ‘দিজ থ্রি’ অবলম্বনে বানানো ছবির প্রথম কিস্তিতে দেখানো হয় মধুর সমাপ্তি৷ তবে দ্বিতীয় দফায় এসে পরিচালক দেখান মার্থার আত্মহত্যা৷
ছবি: Imago Images/United Archives
ডেথ ইন ভেনিস (১৯৭১)
থমাস মানের উপন্যাস থেকেই ছবিটি নির্মাণ করেন লুকিনো ভিস্কোন্তি৷ ছবিতে দেখানো হয়, সমুদ্র পাড়ের এক হোটেলে অবসর যাপন করছেন ৫০ বছর বয়সি নাট্যকার গোস্তব ফন আসেনবাখ৷ সৈকতে এক তরুণকে দেখে প্রেমে পড়ে যান তিনি৷ ওই তরুণও উঠেছেন একই হোটেলে৷ আর এমন প্রেম ওই সময় তো বটেই, এখনও কোথাও কোথাও ট্যাবু৷
ছবি: picture-alliance/kpa
ইট ইজ নট দ্য হোমোসেক্সুয়াল হু ইজ পারভার্স, বাট দ্য সোসাইটি ইন হুইচ হি লিভস (১৯৭১)
পরিচালক রোজা ফন প্রাউনহেইম জানতেন, একজন সমকামী নিজের সঙ্গে কিভাবে যুদ্ধ করেন আর সামাজিক বাস্তবতায় কতটা গ্লানিতে ভোগেন৷ সেখানেই আলো ফেলেছেন তিনি৷ তুলে ধরেছেন একজন সমকামীর লাইফস্টাইল৷ সাধারণ বিয়ে-সংসার, পোশাকের আড়ালে ভিন্ন মানুষ আর সমকামীদের সঙ্গে মিশে আরেক ভূবন- এসবই চিত্রিত হয়েছে এই ছবিতে৷
ছবি: EuroVideo
মাই বিউটিফুল লনড্রেট (১৯৮৫)
ড্যানি ইন স্টিফেন ফিয়ার‘স নামের কমেডি ধাঁচের নাটক ঘিরে নির্মাণ করা হয় এই ছবি, যার মধ্য দিয়ে নজর কাড়েন অভিনেতা ড্যানিয়েল ডে লুইস৷ লন্ডনে ৮০-র দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা৷ একটা লন্ড্রি চালানোর দায়িত্ব পান দুই বন্ধু৷ একজনের নাম ওমর, যার বাড়ি পাকিস্তান৷ তারা জড়িয়ে পড়েন রোমান্টিক সম্পর্কে৷
ছবি: Imago/United Archives
মরিস (১৯৮৭)
১৯১০ সালে ব্রিটেনের এক অসুখি দম্পতিকে নিয়ে ছবিটি তৈরি করেন জেমস আইভরি৷ কলেজ পডুয়া মরিস ও ক্লাইভ একে অপরের প্রমে পড়েন৷ সমকামী পরিচয় সামনে এলে সমাজ-বিচ্যুত হতে পারেন- এমন শঙ্কা নিয়ে এক নারীকেই বিয়ে করেন ক্লাইভ৷ আর মরিসের জীবনে আসে নতুন প্রেম৷ ক্লাইভের গৃহপরিচারকের প্রেমে পড়েন মরিস৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
মাই ওন প্রাইভেট ইডাহো (১৯৯১)
দেহ বেচেই জীবিকা চলে মাইকের৷ তাই রাস্তার মোড়ে খদ্দের খুঁজতে হয় তাঁকে৷ একদিন মা-কে খুঁজছিলেন তিনি৷ এসময় তাঁর সঙ্গে দেখা হয় স্কটের৷ দুজনের নিয়তি একইরকম৷ সেই থেকে বন্ধুত্ব, যা প্রণয়ে গড়ায়৷ কিন্তু বহুমাত্রিক যৌনতায় বিশ্বাসী ছিলেন স্কট৷ তাই সম্পর্কে আসে দূরত্ব৷ ৯০ দশকের শুরুতে এই ছবির মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমকামিতা নির্ভর ছবির নতুন যুগ৷
ছবি: Imago Images/Prod.DB
দ্য মোস্ট ডিজায়ার্ড ম্যান (১৯৯২)
১৯৯৪ সালে জার্মান কমেডি ‘মাকো মিটস ড্র্যাগ কুইন্স’-এর তুমুল ব্যবসার পর এই ছবিতে অভিনয় করেন টিল শোয়াইগার৷ তাঁর চরিত্রটা ছিল দুষ্টু লোকের, যার মাথার মধ্যে সারাক্ষণ নারী বাস করতো৷ শেষ পর্যন্ত ‘ছ্যাঁকা’ খেয়ে এক সমকামীর সঙ্গে জড়িয়ে যান তিনি৷ রালফ কনিগের কমেডির ছায়া থেকে বানানো জ্যোনকে বর্টমানের ছবিটি রূপ নেয় মিউজিক্যালে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্রোকব্যাক মাউন্টেন (২০০৫)
ব্রোকব্যাক মাউন্টেনের দুই কাউবয় জ্যাক আর এনিস৷ সবকিছু একসঙ্গে করেন তাঁরা৷ পানাহার কিংবা ঘুমানো- একসঙ্গেই হওয়া চাই৷ পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করলেও দূরে থাকতে হয় দুজনকে৷ ট্যাবু ভাঙার সাহস আসে না৷ শেষ পর্যন্ত নারীতে আশ্রয় খোঁজেন দুজন৷ নিও-ওয়েস্টার্ন ধাঁচে থাই বংশোদ্ভূত মার্কিন পরিচালক আং লির এই ছবিকে বলা হয় ‘অবিস্মরণীয় মেলোড্রামা’৷ এই ছবির জন্য তিনটি অস্কার নিজের ঝোলায় নেন নির্মাতা৷
ছবি: Tobis Studio Canal
ক্যারল (২০১৫)
৫০-এর দশকে নিউ ইয়র্কের গল্প নিয়ে ’ক্যারল’৷ ক্যাট ব্লানচেট আর রুনি মারা অভিনয় করেছেন মূল ভূমিকায়৷ ভালোবেসে প্রকাশ করতে পারছিলেন না দুই প্রেমী৷ অবাধ যৌনতা, নারীর স্বাধীনতা কিংবা সমকামীদের অধিকার-কিছুই প্রতিষ্ঠা পায়নি৷ দুজনের চাপা আর্তনাদ নিয়েই এগিয়েছে ছবির গল্প৷ প্যাট্রিসিয়া হাইস্মিথের উপন্যাস থেকে ছবিটি নির্মাণ করেছেন টড হাইনস৷ স্পর্শকাতর বিষয় বলে ১৯৫২ সালে বইটি প্রকাশ হলেও পরিচয় গোপন রাখেন লেখিকা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/W. Webb
10 ছবি1 | 10
জর্জিয়ায় এলজিবিটিকিউ-বিরোধী সহিংসতা
লাশকারাভাকে যেদিন পেটানো হয়, সেদিন পঞ্চাশ জনেরও বেশি সাংবাদিক সমকামীবিরোধীদের হামলায় আহত হন৷ সহিংসতার কারণে শেষ পর্যন্ত প্রাইড প্যারেড বাতিল করতে হয়৷
আবুরজানিদজে জানিয়েছেন, লাশকারাভা এবং আরেকজন সাংবাদিক একটি ভবনের ওপরের তলায় আয়োজনের নানা দিক ভিডিও করছিলেন৷ এমন সময় হঠাৎ কিছু মানুষ জোর করে ভেতরে ঢুকে পড়ে৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা সাংবাদিকদের আক্রমণ করা শুরু করে৷ তখন লাশকারাভা এর প্রতিবাদ জানান৷ এরপরই ৩০ জনের মতো মানুষ তাকে পেটাতে শুরু করে, এবং এ কারণেই তার মৃত্যু হয়৷’’
চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী
রাজধানী ডিবিলিসিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কয়েক হাজার মানুষ মিছিল করেছেন৷ তারা সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিচার এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন৷
পার্লামেন্টের অধিবেশন চলাকালে সেখানে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের বিক্ষোভের মুখে কিছুক্ষণের জন্য অধিবেশন স্থগিত করতে হয়৷ তাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টিই সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের জন্য দায়ী৷
জর্জিয়া পুলিশ জানিয়েছে, গণমাধ্যম এবং সংবাদকর্মীদের ওপর সহিংসতার অভিযোগে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে৷
এডিকে/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)
গত সেপ্টেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...
জার্মানির রাজনীতিতে সমকামিতা
জার্মানিতে সমকামীদের অধিকারের লড়াই দীর্ঘদিনের৷ এখন তাদের অনেক অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছে৷ তবে এখনো তাদের নানা ধরনের বৈষম্য ও বিদ্বেষের শিকার হতে হয়৷ কিন্তু সমকামিতা জার্মান রাজনীতিকে ধীরে ধীরে পালটে দিচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. von Erichsen
বৈধতা, বিয়ের অধিকার
প্রুশিয়ান সাম্রাজ্য এবং পরে নাৎসি জার্মানিতে সমকামীরা ব্যাপক নির্যাতনের স্বীকার হতেন৷ সমকামিতার অভিযোগে ছিল কারাদণ্ডের বিধান৷ এমনকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আধুনিক জার্মানি স্থাপিত হওয়ার পরও সমকামীদের অধিকার নিশ্চিত হয়নি৷ তবে কয়েক দশকে সে অবস্থানের দ্রুতই পরিবর্তন হয়েছে৷ ১৯৬৯ সালে সমকামীদের শাস্তি দেয়ার বিধান বাতিল হলেও ২০১৭ সালে এসে তারা বিয়ের অধিকার পান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. von Erichsen
পার্লামেন্টে জয়
জার্মান পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে সমকামীদের বিয়ের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ান রাজনীতিবিদরা৷ কিন্তু তখনো অনেক পার্লামেন্ট সদস্য এর বিরুদ্ধে ছিলেন৷ ক্ষমতায় থাকা দল সিডিইউ-র ৩০৯ সদস্যের মধ্যে ২২৫ জনই এর বিরুদ্ধে ভোট দেন৷ খোদ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ছিলেন বিরোধিতাকারীদের একজন৷ তবে পরবর্তী ভোটে রাজনীতিবিদরা যাতে দলের মতাদর্শ মেনে ভোট না দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে ভোট দেন, সে আহ্বান জানিয়েছিলেন ম্যার্কেল৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/O. Messinger
প্রকাশ্যে সমকামী রাজনীতিবিদ
সমকামীদের অধিকারের আন্দোলন যত জনপ্রিয় হতে থাকে, জার্মান রাজনীতিতেও পড়ে এর প্রভাব৷ অনেক রাজনীতিবিদ নিজেদের সমকামিতার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে থাকেন৷ ২০০১ সালের সিটি নির্বাচনে বার্লিনের এসপিডির মেয়র প্রার্থী ক্লাউস ভোভেরাইট দলের সম্মেলনে তার বক্তব্য শেষ করেন এই বলে, ‘‘আমি সমকামী এবং এটা খারাপ কিছু নয়৷’’ পরবর্তীতে ভোভেরাইট মেয়র নির্বাচিত হন এবং টানা ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেন৷
ছবি: Imago/W. Wagner
রক্ষণশীল দলে সমকামী নেতা
সমকামিতা সাধারণ মানুষের চোখে ধীরে ধীরে সহনীয় করে তোলায় বড় ভূমিকা রেখেছেন রাজনীতিবিদরা৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক সফরে তার পার্টনার মিখায়েল ম্রোনৎসকে নিয়ে যেতেন৷ এখন এমনকি সমকামিতার বিরুদ্ধে কথা বলে এমন কট্টর ডানপন্থি দল এএফডির এক নেত্রী অ্যালিস ভাইডেলও এক নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন৷
ছবি: Reuters/M. Rehle
সরকারে সমকামী মন্ত্রী
জার্মানির বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েনস স্পান নিজেকে সমকামী ঘোষণা দেয়া প্রথম মন্ত্রী ৷ দলের অন্যতম উদীয়মান রাজনীতিবিদ বলে বিবেচনা করা হয় স্পানকে৷ করোনা মহামারিতে নিজের দেশকে দারুণভাবে সামাল দেয়ায় দল ও দেশ ছাড়াও আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি৷ ম্যার্কেলের পর সিডিইউয়ের প্রধান হওয়ার লড়াইয়েও অনেক এগিয়ে আছেন স্পান৷ জিতে গেলে তিনি হতে পারেন প্রথম সমকামী জার্মান চ্যান্সেলর৷
ছবি: Sean Gallup/Getty Images
এখনো রয়েছে বৈষম্য
রাজনীতিবিদ তো বটেই, জার্মান জনগণের মধ্যেও ধীরে ধীরে সমকামীভীতি দূর হচ্ছে৷ কিন্তু এখনো অনেক ক্ষেত্রেই বৈষম্যের স্বীকার হন তারা৷ সম্প্রতি জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক রিসার্চ এবং বিলেফেল্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিজেদের এলজিবিটিকিউ ঘোষণা দেয়া ৩০ শতাংশ কর্মীই কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন৷ জরিপে অংশ নেয়া এক তৃতীয়াংশই জানিয়েছেন, তারা সহকর্মীদের এ বিষয়ে জানাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না৷