মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর সমাহিত হলো জর্জ ফ্লয়েডের দেহ। তবে এর মধ্যে তিনি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে গিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তাঁর নিথর দেহ নিয়ে যখন শেষ যাত্রা শুরু হলো হিউস্টনের চার্চ থেকে, তখন দুই সারিতে বিভক্ত পুলিশ কর্মীরা তাঁকে স্যালুট করলেন। দুই সপ্তাহ আগে বর্ণবিদ্বেষী পুলিশের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে জর্জ ফ্লয়েডকে। তারপর গত দুই সপ্তাহে অ্যামেরিকা তো বটেই বিশ্ব জুড়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হয়েছে ফ্লয়েডকে সামনে রেখে। দাবি উঠেছে পুলিশি ব্যবস্থা সংস্কারের। সেই ফ্লয়েডের দেহ নিয়ে কফিন যখন বেরচ্ছিল চার্চ থেকে, তখনই তিনি পুলিশের স্যালুট পেলেন। কিন্তু এখন তিনি সত্যিই শ্বাস নিতে পারছেন না, তবে ভবিষ্যতে যাতে বর্ণবাদীরা আর কারও শ্বাসরোধ করতে না পারে, সেই কাজটাও শুরু হয়েছে তাঁকে সামনে রেখেই।
তাঁর মায়ের পাশেই সমাহিত করা হলো ফ্লয়েডকে। চার্চ থেকে সমাধিস্থল পর্যন্ত রাস্তায় ছিলেন অসংখ্য মানুষ। তাঁরা ঘণ্টা খানেক আগে থেকে দাঁড়িয়েছিলেন সেখানে। এই হিউস্টনেই বেড়ে উঠেছিলেন ফ্লয়েড। সেই হিউস্টনই চোখের জলে বিদায় জানাল তাঁকে। সেই সঙ্গে শপথ নিলো অন্যায়, অবিচার ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের।
ফ্লয়েডের মৃত্যু ও বিক্ষোভে বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ চলছে৷ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দও৷
তিনি বলেন, ‘‘আমরা বর্ণবাদ কিংবা অন্য কোনো কারণে কাউকে বাদ দেয়ার বিষয়ে চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না৷ আমাদের মনে রাখতে হবে, সহিংসতা দিয়ে কিছু অর্জন করা যায় না৷’’
ছবি: Reuters/R. Casilli
বরিস জনসন
ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার সমালোচনা করে চলমান বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ তবে বিক্ষোভ দমনে ট্রাম্পের শক্তি প্রয়োগের ইচ্ছার সমালোচনা থেকে বিরত থেকেছেন তিনি৷
ছবি: AFP/UK Parliament/J. Taylor
চীন
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদকে ‘মার্কিন সমাজের একটি দুরারোগ্য ব্যাধি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র৷ যুক্তরাষ্ট্রে সহিংস বিক্ষোভের খবর বেশ ভালোভাবে কাভার করছে চীনের সরকারি প্রচারমাধ্যম৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Wong
ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান হোসেপ বোরেল বলেন, পুলিশি নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ইউরোপ ‘হতভম্ব’ হয়ে গেছে৷ বিক্ষোভ দমাতে ‘অত্যধিক শক্তি প্রয়োগ’ না করতেও ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস যুক্তরাষ্ট্রে চলা বিক্ষোভ সমর্থনযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন৷ এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবর্তন আসবে বলেও আশা করছেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Kappeler
ইরান
নিজের নাগরিকদের উপর ‘সহিংস’ না হতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ এক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি মার্কিন জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে আপনাদের প্রতিবাদ বিশ্ব দেখছে৷ বিশ্ববাসী আপনাদের পাশে আছে৷’’ এছাড়া মার্কিন কর্মকর্তা ও পুলিশদের প্রতি জনগণকে নিঃশ্বাস নিতে দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি৷
ছবি: mfa.ir
ঘানা
প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আদ্দু ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গ মানুষসহ সারা বিশ্বের মানুষ ‘অবাক ও হতবিহ্বল’ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/PhotoshotS. Haijun
ফিলিপাইন্স
প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ এই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে দুতার্তে বলেন, অ্যামেরিকার বিক্ষোভের মতো কিছু ফিলিপাইন্সে ঘটছে না বলে নিজেকে তিনি সৌভাগ্যবান মনে করেন৷ তাহলে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার কাজটি কঠিন হয়ে যেতো বলে মনে করেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Malacanang Presidential Photographers Division/K. N. Alonzo
বারাক ওবামা
ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর দেয়া প্রথম ভিডিও বার্তায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানান, তিনি তাঁর জীবনে এমন বিক্ষোভ দেখেননি৷ সমাজের সমস্যাগুলো সমাধানের এমন সুযোগ কাজে লাগাতে তিনি মার্কিনিদের প্রতি আহ্বান জানান৷
ছবি: Getty Images
মার্ক রুটে
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ দমনে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহারের দৃশ্য তাঁকে ‘মর্মাহত’ করেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘ফ্লয়েডকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র শুধু একমাত্র দেশ নয় যেখানে অনেক মানুষকে সমাজে পুরোপুরি গণনা করা হয় না৷’’ নেদারল্যান্ডসেও বর্ণবাদ ও বৈষম্য আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
ছবি: imago/Hollandse Hoogte/P. Hilz
10 ছবি1 | 10
শুধু হিউস্টন নয়, গোটা অ্যামেরিকা ছিল শোকস্তব্ধ। তাঁর শেষকৃত্যের ছবি পুরো অ্যামেরিকায় লাইভ দেখানো হয়েছে। শেষ যাত্রা শুরু হতেই নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ নীরব হয়ে যায় আট মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের জন্য। বর্ণবাদী পুলিশ অফিসার ফ্লয়েডের গলায় আট মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে তার হাঁটু চেপে রেখেছিল। ২২৮ বছরের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে কখনও নীরব থাকেনি নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ।
ডেমোক্র্যাট নেতা এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রার্থী জো বাইডেন সোমবার দেখা করে গিয়েছিলেন ফ্লয়েডের পরিবারের সঙ্গে। মঙ্গলবার তিনি একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ''যখন জর্জ ফ্লয়েড ন্যায়বিচার পাবেন, তখন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকাও ন্যায় পাবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চারা একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে, আমার বাবাকে কেন চলে যেতে হলো? তখন সেই প্রশ্ন আর তাঁদের জিজ্ঞাসা করতে হবে না।''
কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ৮ ঘটনা
পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷ ছবিঘরে গত ছয় বছরে কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের আটটি ঘটনার উল্লেখ থাকছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/O. Haj Kadour
২৫ মে, ২০২০, মিনেপোলিস
জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা ৪৬ বছর বয়সি জর্জ ফ্লয়েডকে রাস্তায় ফেলে তাঁর গলায হাঁটু দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছিলেন মিনেপোলিসের পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিন৷ এতে ফ্লয়েডের মৃত্যু হলে শভিনসহ চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়৷ এছাড়া শভেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/S. Maturen
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, আর্লিংটন
গাড়িতে নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ট্যাগ থাকার কারণে ও’শে টেরিকে আটক করেছিলেন টেক্সাসের পুলিশ কর্মকর্তারা৷ এরপর একজন অফিসার গাড়িতে মারিজুয়ানার গন্ধ পেয়ে তদন্ত করতে চাইলে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন টেরি৷ এই সময় পুলিশ কর্মকর্তা বাও ট্রান গাড়িতে গুলি করলে টেরি গুলিবিদ্ধ হন৷ পরে হাসপাতালে মারা যান৷ এই ঘটনায় বাও ট্রানকে বরখাস্ত করা হয়৷
ছবি: Getty Images
১৯ জুন, ২০১৮, পিটসবার্গ
১৭ বছর বয়সি অ্যান্টোন রোজসহ তিনজন একটি গাড়িতে ছিলেন৷ গাড়িটি একটি গোলাগুলির ঘটনা সঙ্গে জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করেছিল পুলিশ৷ এই অবস্থায় গাড়ির চালককে হাতকড়া পরানো হয়৷ আর গ্রেপ্তার আটকাতে অ্যান্টোন রোজ পালিয়ে যেতে চাইলে গুলি চালান পুলিশ কর্মকর্তা মাইকেল রসফেল্ড৷ এই ঘটনায় মামলা হলেও রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হন রসফেল্ড৷
ছবি: Reuters/J. Altdorfer
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ওকলাহোমা
রাস্তার মাঝখানে পড়ে থাকা গাড়ির চালক টেরেন্স ক্রুচারকে গুলি করেছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা বেটি শেলবি৷ মামলার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে শেলবি দাবি করেন, ক্রুচার তার গাড়ির কাছে এগিয়ে গেলে ভয় পান তিনি৷ কারণ তার মনে হয়েছিল, বন্দুক নিতে ক্রুচার গাড়ির দিকে এগোচ্ছেন৷ তাই নিজের প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালান বলে দাবি করেন শেলবি৷ আদালত তাকে হত্যা মামলা থেকে রেহাই দিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
৬ জুলাই, ২০১৬ মিনেসোটা
লাইসেন্স ও নিবন্ধন পরীক্ষা করে দেখতে ফিল্যান্ডো ক্যাস্টিলের গাড়ি থামিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা জেরনিমো ইয়ানেস৷ এই সময় ইয়ানেস তার কাছে অস্ত্র থাকার কথা জানিয়ে হাত বাড়ালে গুলি চালান ইয়ানেস৷ এতে ক্যাস্টিল মারা যান৷ তবে তার সঙ্গে থাকা পার্টনার ডায়মন্ড রেনল্ডসের দাবি, ক্যাস্টিল নথি বের করার জন্য হাত বাড়িয়েছিলেন৷ মামলাটি তিন মিলিয়ন ডলারে মীমাংসা হয়েছিল৷
ছবি: picture alliance/AP Images/S.Takushi
২০ অক্টোবর, ২০১৫, শিকাগো
পুলিশ কর্মকর্তা জেসন ফান ডাইকের গুলিতে প্রাণ হারান লেকান ম্যাকডোনাল্ড৷ তার কাছে একটি তিন ইঞ্চি ছুরি ছিল৷ পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, ডাইক ম্যাকডোনাল্ডকে ছুরি ফেলে দিতে বললে তিনি তা করেননি৷ পরে জানা যায়, ম্যাকডোনাল্ডকে ১৬ বার গুলি করা হয়৷ এই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা ডাইককে ছয় বছর নয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ এছাড়া ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার সঙ্গে পুলিশ সদস্য়সহ ১৬ জন জড়িত ছিল বলে জানান প্রধান পুলিশ পরিদর্শক৷
ছবি: Reuters/Chicago Tribune/A. Perez
১২ এপ্রিল, ২০১৫, বাল্টিমোর
পকেটে ছুরি থাকায় ২৫ বছরের ফ্রেডি গ্রেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ এইসময় পুলিশ ভ্যানে কোমায় চলে গেলে তাকে একটি ট্রমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়৷ সেখানেই তার মৃত্যু হয়৷ মেরুদণ্ডে আঘাতজনিত কারণে তিনি মারা যান৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিচার শুরু হলেও কারও শাস্তি হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J.L. Magana
৯ আগস্ট, ২০১৪, মিসৌরি
নিজেদের মধ্যে সংঘাতের এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা ড্যারেন উইলসনের গুলিতে প্রাণ হারান ১৮ বছরের মাইকেল ব্রাউন৷ এই ঘটনায় গ্র্যান্ড জুরি উইলসনকে অভিযুক্ত না করলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল৷ পরে উইলসন পদত্যাগ করেন৷ এছাড়া ব্রাউনের পরিবারও মীমাংসায় বসেছিল৷
ছবি: DW/C. Bleiker
8 ছবি1 | 8
হিউস্টনের মেয়র সিলভেস্টর টার্নার ঘোষণা করেছেন, তিনি একটি প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছেন। এতে বলা হয়েছে, পুলিশ দমবন্ধ করে কাউকে মারতে পারবে না বা শাস্তি দিতে পারবে না। আর গুলি চালানোর আগে পুলিশকে প্রথমে সতর্ক করে দিতে হবে। মেয়র নিজেও কৃষ্ণাঙ্গ। তিনি বলেছেন, ''আমরা তাঁর শ্বাস নিয়ে নিয়েছি। এখন আমরা যাতে নিঃশ্বাস নিতে পারি, সেই ব্যবস্থটুকু অন্তত করতে হবে।''
আর শেষ যাত্রার আগে ফ্লয়েডের পরিবারের লোক, বন্ধুরা তাঁকে স্মরণ করেছেন। সেখানে একবারের জন্যও ট্রাম্পের নাম নেওয়া হয়নি। তবে বলা হয়েছে, এরপর যিনি অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন, তাঁকে বর্ণবাদ শেষ করার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে। অ্যামেরিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। এখন সেই পরিবর্তন আনার সময়।
জর্জ ফ্লয়েড আর সশরীরে নেই। তিনি থেকে গেলেন লোকের হৃদয়ে। থেকে গেলেন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে।